ক্ষুদে বালক এর কান্ড
আলহাজ্ব দীন মোহাম্মদ
আজকে আমি আলোচনা করবো ক্ষুদে বালকের লঙ্কাকান্ড নিয়ে।
ঘটনাটি ছিল ১৯৪৫ সালে ৬ই আগস্ট ও ৯ই আগস্টের। ঘটনাটি ছিল এমন ১৯৪৫ সালে ৬ই আগস্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকা থেকে ৫ ঘন্টা ৩০ মিনিট সময়ে “বি-২৯ এনোলাগে” বিমানে চড়ে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ক্ষুদে বালকটি জাপান দেশের হিরোশিমা শহরে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১৬ মিনিটে ১৬৭০ ফুট উপর থেকে নিক্ষিপ্ত হয়ে বিস্ফোরণ ঘটায় অতিঅল্প সময়ের মধ্যে হিরোশিমায় বসবাসরত ৩ লক্ষ ৫০ হাজার লোক সংখ্যার মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার আদম সন্ত্মান মারা যান।
হিরোশিমা শহরে বাড়ীঘরের সংখ্যাছিল ৭৬ হাজার, এই দুষ্ট নাদান বালকের আঘাতে ধবংস হয়ে যায় ৫১ হাজার ৬৮০টি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয় ১৮১৪০টি ঘরবাড়ী। সম্পূর্ণরূপ ধূলিস্মাৎ হয়ে যায় ৫.০২ বর্গকিলোমিটার জায়গা।
এবার ৯ই আগস্টের ঘটনা, এ আরেক নিষ্ঠুর বালকের নিষ্ঠুরতম হিংস্রতা সেও কিন্তু কম হিস্রতা বা বর্বরতা দেখায়নি। একই সালে ৯ই আগস্ট বেলা ১২টা ২ মিনিটের সময় জাপানের আরেক শহর নাগাসাকি শহরে ১৬৪০ ফুট উঁচু থেকে নিক্ষিপ্ত হয়ে বিষ্ফোরন ঘটিয়ে নাগাসাকি শহরের বসবাস রত ২ লক্ষ ৮০ হাজার নিরোপরাধ মানুষের মধ্যে ৭৪ হাজার মানুষকে হত্যা করে। ৫১ হাজার ঘরবাড়ীর মধ্যে সম্পূর্ণরূপে ১২৭৫০ টি ঘরবাড়ী ধ্বংস করে দেয় এবং ৫৬১০ টি ঘরবাড়ী আংশিক ধ্বংস করে ধূলিস্মাৎ করে ২.৫৯ কিলোমিটার জায়গা।
এতোক্ষণ আমি যেই ক্ষুদে বালকের কুকর্মের বর্ণনা দিলাম সেই ক্ষুদে বালক কিন্তু একেবারেই নেহায়েত ছোট নহে, তার দৈর্ঘ্য ছিল ১০ ফুট, বেড় ছিল ২৮ ইঞ্চি এবং ওজন ছিল ৯ হাজার পাউন্ড।
আসলে এই ক্ষুদে বালকটি কোন মনুষ্যজাত বালক নহে এটি বিশ্ব মোড়ল আমেরিকার তৈরী অঃড়স বোমা, অঃড়স শব্দটি গ্রীক থেকে এসেছে। সেই দেশীয় ভাষায় অ অর্থ ঘঙঞ এবং :ড়স অর্থ ঈটঞ অর্থাৎ ঘঙঞ ঈটঞ মানে যাকে আর কাটা যায় না বা ছোট করা যায় না।
আগে বলা হতো অণুর ক্ষুদ্রতম অংশকে পরমাণু বলে, তবে আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণার আরো প্রমাণিত হয়েছে যে, পরমাণুই পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা নয়। পরমাণু প্রকৃত অর্থে আরো অতিক্ষুদ্র কণার সমন্বয়ে গঠিত, পরমাণুর চেয়ে অতিক্ষুদ্র কণিকার নাম ইলেকট্রন।
১৯৪৫ সালে জাপানে যেই বোমা নিক্ষেপ করা হয় তার নাম আমরা জানি অঃড়স (এ্যটম) বোমা, আসলে তখন তার আরেকটি ছদ্ম নাম বা পোশাকী নাম ছিল (খরঃঃষব ইড়ু) বা ক্ষুদে বালক।
পরিশেষে শুধু এতাটুকুই বলবো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার সমন্বয় গঠিয়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে যদি এতো শিক্তশালী বোমা তৈরী করা যায়। তাহলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমন্বয় একত্রিত করে (চৎড়ঢ়বৎ) প্রপার (ডধু) ওয়েতে ব্যবহার করা গেলে সম্মিলিত প্রয়াশের মাধ্যমে অনেক জনকল্যাণকর কাজ করে দেশকে স্বনির্ভর করা যায়। মোট কথা সকলে মিলে মিশে দেশের উন্নতির জন্য কাজ করলে দেশ ও নিজের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়ে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করা সম্ভব।
্থ সাবেক ছাত্র, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদরাসা ও চেয়ারম্যান, বছিলাগার্ডেন সিটি, মোহাম্মদপুর, ঢাকা






Users Today : 379
Users Yesterday : 759
This Month : 5413
This Year : 177284
Total Users : 293147
Views Today : 8255
Total views : 3463366