হযরত আনাছ ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন যে, হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মজলিশে একবার দরীদ্রদের এক প্রতিনিধি আসলেন, প্রতিনিধির আগমনে তিনি বললেন, মারহাবা! তোমাকে মুবারকবাদ এবং তাদেরকেও মুবারকবাদ, যাদের পক্ষ থেকে তুমি এসেছ। আল্লাহ্ পাক তোমাকে এবং তাদেরকে ভাল বাসেন।
প্রতিনিধি আরজ করলেন, আমি গরীবদের একটি পয়গাম নিয়ে আপনার খেমতে এসেছি, তারা বলছেন – মালদার ব্যক্তিরা আমাদের থেকে অনেক আগে চলে গিয়েছে, তারা মাল-সম্পদ ব্যয় করে হ্জ্জ করে, সদকা ইত্যাদী করে, ফলে তারা অনেক উচুঁ মর্যাদা লাভ করে নেয়, আর আমরা এত্থেকে বঞ্চিত, মাহরুম রয়েছি। হুজুর পাক (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করলেন, গরীবদেরকে আমার কথা বলে দাও, “যদি তোমরা সবর (ধৈর্য ধারণ) কর এবং আল্লাহ্ তা’আলার কাছে এটার ছওয়াবের আশা রাখো, তাহলে তোমাদের জন্যে তিনটি বিশেষ পুরস্কার রয়েছে, এতে বিত্তবানদের কোন অংশ নেই।
১। জান্নাতে লাল ইয়াকূতের তৈরী অট্টালিকা পাবে, যার দিকে অন্যান্য জান্নাতীরা এমন ভাবে দেখবে, যেমন ভাবে দুনিয়ায় মানুষ আকাশের নক্ষত্র দেখে থাকে (অর্থাৎ অনেক উচ্চ প্রাসাদ হবে) এতে দরিদ্র নবী, দরিদ্র শহীদ, দরিদ্র মু’মিন ব্যক্তি ছাড়া আর কেই প্রবেশ করতে পারবে না।
২। গরীবগণ ধনীদের থেকে পাঁচশো বছর আগে জান্নাতে চলে যাবে।
হযরত সোলাইমান (আঃ) অন্যান্য নবীগণ থেকে চল্লিশ বৎসর পর জান্নাতে প্রবেশ করবেন, এই বিলম্বের কারণ হলো হযরত সুলাইমান (অর্থাৎ এর বাদশাহী)।
৩। যদি গরীব ও ধনী উভয়েই এখলাসের সাথে কলেমায়ে ছুওম (বা যে কোন হামদ-ছানা’র কলেমা) পড়ে, তাহলে ধনী গরীবের সমান ছওয়াব পাবে না, যদিও সে সাথে দশ হাজার দিরহাম খয়রাত করে। এ ভাবে সমস্ত নেকীরই একই অবস্থা (অর্থাৎ ধনী-গরীবের ছওয়াবের মধ্যে তারতম্য থাকবে)।
প্রতিনিধি হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বার্তা নিয়ে পৌছালে গরীবরা খুশী ও আনন্দে বলতে লাগলেন رَضِيْنَا يَارَبّ رَضِيْنَا يَارَبّ “হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমরা খুশী হলাম, আমরা সন্তুষ্ট হলাম।
কলেমায়ে ছূওম হলো।
سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ اِلَهَ اِلاَّاللهُ
وَاللهُ اَكْتَرُ لاَحَوْلَوَلاَقُوَّةَ اِلاَّ بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ-
ছুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার লা হাওলা ওয়ালাকুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যীল আজীম।