আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে… (প্রসঙ্গ রাসূল (সা:)ওনার রওযা শরীফযিয়ারত এবং ওলি আওলিয়াদের রওযা যিয়ারতের নিয়ম)আমি অধম ফতোয়া আলমগীরে থেকে দলিল পেশ করছি কিভাবে রাসূল (সা:)ওনার এবং ওনার আওলাদ এবং ওলী আওলিয়াগণের রওযা যিয়ারত করবেন প্রথমে একটি হাদীশ পেশ করছি-রওজা জিয়ারতের ফজিলত: – অনুবাদ-হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি আমার কবর যিয়ারত করল, তার জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে গেল। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৯৪, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১০০৫৩, মুসনাদে তায়ালিসী, হাদীস নং-৬৫, সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং-৩১১২, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪১৫৩)সবচেয়ে বড় দলিল হলো এই হাদীসটি রাসূল (সা:) ওনার রওযা শরীফের দরজার উপরে লিখা আছে-সুবাহানাল্লাহ.আবার এখানে আরেকটু বলছি সবার পক্ষেতো যিয়ারত করা সম্ভব না তাই যাদের জন্য মদীনায় যাওয়া সম্ভব তাদের জন্য যিয়ারত করা ওয়াজীব এবং তারা অন্য কারো সালাম রাসূল (সা:)ওনার দরবারে পৌছাতে পারেন.প্রথমে যারা হজ্জ করতে যান হ্জ্জ করার সাথে সাথে রওযা যিয়ারত করা এই নিয়তটি করে নিতে হবে কারণ আপনি হজ্জ করলেন আর রাসূল (সা:)ওনার রওযা যিয়ারত করলেন না এটা হবে না কারণ হাদীসে আছে যে ব্যক্তি হজ্জ করলো অতচ আমার রওযা যিয়ারত করলো না সে যেন আমার উপর জুলুম করলো তাই সাবধান রাসূল (সা:)কে কষ্ট দিলেই সব আমল বিফলে যাবে.তারপর সম্ভব হলে পায়ে হেটে মদীনায় প্রবেশ করবেন কারণ এতে মদীনার প্রতি বেশী আদব এবং অধিক সম্মান প্রর্দশন করা হয়-সুবাহানাল্লাহ আর এটা খুবই উত্তম তারপর মদীনায় প্রবেশ করে ডান পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করবেন তারপর মিম্বরের পার্শ্বে দাড়িয়ে দু রাকাত নফল নামায আদায় করবেন এমনভাবে দাড়াবেন যাতে মিম্বরের খাম্বা ডান কাধের সামনে থাকে এবং রাসূল (সা:)এ স্থানেই দাড়াতেন আর যায়গাটি রাসূল (সা:)ওনার রওযা এবং মিম্বরের মাঝখানে অবস্থিত এরপর আল্লাহ তাআলা যে আপনাকে সেখানে দাড়ানোর তাওফীক দিযেছে সে জন্য দুটি শুকরিয়া সেজদা এবং দুআ করবেন অত:পর এখান থেকে উঠে সোজা রাসূল (সা:)ওনার রওযা শরীফের দিকে যাবেন এবং ওনার মাথার নিকট পৌছে কিবলাকে পিঠ দিয়ে রাসূল (সা:)রওযাকে সামনে রাখবেন এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার এখানেই অনেকে ভুল করে তাই আমি আবার ও বলছি রওযা যিয়ারত করার সময় রাসূল (সা:)ওনার রওযা হলো সবচেয়ে বড় কেবলা তাই ওনাকে কখনো পিঠ দিতে পারবেন না সাবধান থাকবেন তারপর নামাযে যেভাবে দন্ডায়মান হয়ে দাড়ান ঠিক সেভাবে উনার রওযার পাশে দাড়াবেন এবং দাড়িয়ে ওনার নূর চোহারা খানি খেয়াল করবেন যে ওনি আপনাকে রওযা থেকে সরাসরি দেখতেছেন এবং আপনার কথাবার্তা শুনছেন এবং ওনার উপর আদবের সহিত দাড়িয়ে দুরুদ ও সালাম পেশ করবেন এভাবে সাল্রেল লা ওয়ালা মুহাম্মদ সাল্রেল লা ওয়ালা ওয়া সাল্লাম এবং খেয়াল করবেন আপনার আওয়াজ যেন অধিক উচ্চ না হয় এবং একেবারে আস্তে না হয় মাঝামাঝি অবস্থায় যেন থাকে পাঠকগণ খেয়াল করবেন রাসূল (সা:) ওনার দরবারে যেন আপনার গলার স্বর যে উচ্চ না হয় মনে রাখবেন এ কথাটি তারপর হযরত আবু বক্কর (রা:)হযরত উমর (রা:)উনাদের দরবারে একিই নিয়মে দুআ ও সালাম পেশ করবেন অবশ্যই দাড়িয়ে তারপর রাসূল (সা:)ওনার জান্নাতুল বাকী যত রওযা আছে এবং উহুদ যুদ্ধে শহীদগণের মাযার যিয়ারত করবেন তবে এসব স্থানে নির্দিশ্ঠ কোন দুআ দুরুদ নেই আপনি যা ইচ্ছে করতে পারেন কোরান তেলাওয়াতে তেকে শূরু করে যিকির আসকার ও শেষে দু্হাত তুলে পরম করুণাময়ের কাছে ফরিয়াদ করবেন নিজের অন্তর থেকে.তারপর সেখান থেকে ফিরে আবার রাসূল (সা:)ওনার দরবারে যাবেন সেখানে গিয়ে আগের মত দন্ডামান হয়ে সালাতু সালাম পেশ করে বিদায় গ্রহণ করবেন.আমি অধম জানিনা আপনাদের কাছে কতটুকু লিখতে পারলাম তবে এখানে আমি আমার নিজস্ব কোন মতামত প্রকাশ করিনি শূধূ ফতোয়া আরমগীরী থেকে আমি আমার মত করে সাজিয়ে লিখেছে ভুল হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন পরিশেষে আমি আরেকটি কথা যোগ করতে চায় সেটা হচ্ছে প্রকৃত ওলি আওলিয়ারা কিন্তু রাসূল (সা:)ওনার ওয়ারিশগন এটা বুখারী শরীফের হাদীস ইস: ফা: তাই রাসূল (সা:)ওনার রওযা যেই সূন্নতী তরীকায় পালন করবেন ঠিক সেই তরীকায় ওলি আওলিয়াদের রওযা যিয়ারত করবেন কারণ ওলি আওলিয়াদের রওযা যিয়ারত করা ও মুস্তাহাব-সমাপ্ত-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ-সূত্র-ফতোয়ায়ে আলমগীরী-১ম খন্ড ৬৩২ পৃ: ইস:ফা: