
নব্যফিতনাকথিত আহলে হাদিস ,তারা দাবী করে তাহাজ্জুদ ও তারাবীহ নামাজ নাকি এক।
অর্থাৎ রমজানে তাহাজ্জুদ বলতে আলাদা কিছু নাই বরং তাহাজ্জুদই তারাবীহ ।
এ বেপারে তারা যে দলিল দেয় তা হচ্ছে বুখারী শরিফের আম্মাজান আয়শা রাঃ এর হাদিস—-
হযরত আবু সালমা বিন আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত তিনি আয়েশা রাঃ এর কাছে জানতে চান নবীজী সাঃ এর নামায কেমন হত রামাযান মাসে? তিনি বললেন-রাসূল সাঃ রামাযান ও রামাযান ছাড়া ১১ রাকাত থেকে বাড়াতেন না। তিনি ৪ রাকাত পড়তেন তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চেওনা। তারপর পড়তেন ৪ রাকাত তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা বিষয়ে জানতে চেওনা, তারপর পড়তেন ৩ রাকাত। হযরত আয়েশা রাঃ বলেন-তখন আমি বললাম-হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি বিতর পড়ার পূর্বে শুয়ে যান? তিনি বললেন-হে আয়েশা! নিশ্চয় আমার দু’চোখ ঘুমায় আমার কলব ঘুমায়না। (সহীহ বুখারী-১/১৫৪)
অতচ ইমাম বুখারী রাহঃ রামজানে তারাবীহ নামাজ পড়ে তাহাজ্জুদ ও পড়তেন ।
প্রমান সরূপ নিচে মুল কিতাবের স্কেন তুলে দরলাম কিতাবটির নাম হচ্ছে :
تيسيرالبارىشرحبخاري
ج١/ 49
هدىالسارشرحبخاري٥٠٥
নিচে বাংলা ট্রান্সলেট রয়েছে:-
ইমাম হাকিম আব্দুল্লাহ রাহঃ সনদের সাথে মুস্তাকিম ইবনে সায়ীদ রাহঃ থেকে বর্ণনা করেন যে যখন রামজানের প্রথম আরম্ব হইত তখন মানুষেরা আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে ইস্মায়ীল বুখারী রাহঃ এর নিকট একত্রিত হইত , এবং তিনি মানুষদের নিয়ে তারাবীহ নামাজ পড়তেন যেখানে তিনি প্রতি রাকাতে ২০ আয়াত করে পড়তেন এ ভাবেই তিনি কুরআন খতম করতেন ।
এর পর তিনি সেহরির সময় আবার তাহাজ্জুদ পড়তেন প্রতিদিন তাহাজ্জুদে কুরানের এক ৩য়াংশ তিলাওয়াত করতেন এ ভাবে প্রতি ৩ দিনে কুরআন খতম করতেন ।
এই কথা ধারা প্রমান হল যে তারাবীহ এবং তাহাজ্জুদ এক নয় ।





Users Today : 352
Users Yesterday : 767
This Month : 14774
This Year : 186645
Total Users : 302508
Views Today : 38554
Total views : 3615297