জান্নাতের ফুল: সাইয়্যিদায়ে কায়েনাত হযরত ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আনহা)

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

স্মরণ—-

জান্নাতের ফুল: সাইয়্যিদায়ে কায়েনাত হযরত ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আনহা)

………………………………..

ড. এ. এস. এম. ইউসুফ জিলানী

………………………………

ফাতিমা-তাঁকে বলে যিনি নাজাত দানকারী। তিনি তাঁর গোলামদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করবেন।

হযরত ফাতিমা- যার উপাধি বতুল, বতুল তাকে বলা হয়, হায়েজ নেফাস থেকে মুক্ত। সকল অপবিত্রতা থেকে পবিত্র তাহেরা মুতাহহ্হার মুনাজ্জাহ-মুবাররাহ, পাক-পরিস্কার পবিত্র। তিনি মহিলাদের কোন অসুখ-হায়েয নেফাস ইত্যাদি দেখেন নি, তাই তাকে বলা বতুল।

হযরত ফাতিমা-তাঁর উপাধি-জাহেরা/ জাহরা বা ফুল। তিনি জান্নাতের ফুল। রাসূল বলতেন আমার ফাতিমা থেকে জান্নাতের সুগন্ধ আসছে, তিনি জান্নাতের এ ফুল শুঁকতেন।

তাঁর সওয়ারি যখন ময়দানে মাহশরে আসবে তখন ঘোষক ঘোষণা করবেন, হে হাশরবাসী তোমাদের দৃষ্টি নিচু করো মুহাম্মদ (দ.) এর কলিজার টুকরা এখন অতিক্রম করবেন। যার সওয়ারি সত্তর হাজার হুরদের পাহারায় পুলসিরাত এমনভাবে অতিক্রম করবেন যেভাবে বিজলি অতিক্রম করে।

যার বংশধরের উপর আল্লাহ তায়ালা জাহান্নাম হারাম করে দিয়েছেন।

যিনি নূর থেকে পয়দা আর যিনি নূর পয়দা করেছেন। আলা হযরত বলেছেন-

তেরি নসলে পাক মে হে বাচ্চা বাচ্চা নুর কা তুহে আইনে নুর তেরা সব গেরানা নূর কা

নবীজি (দ.) বলেন,

وهي بُضعةٌ مني وهي قلبي وهي روحي من اذاها فقد اذاني وقد اذاني فقد اذي الله

ফাতিমা আমার জান ফাতিমা আমার প্রাণ ফাতিমা আমার রূহ ফাতিমা আমার কলিজার টুকরো।

যে তাকে কষ্ট দিলো সে আমাকে কষ্ট দিলো আর যে আমাকে কষ্ট দিলো সে আল্লাহকে কষ্ট দিলো।

فاطمة سيدة النساء العالمين. فاطمة سيدة النساء اهل الجنة.

ফাতিমা সমগ্রজগতের নারীকুলের সরদার। ফাতিমা জান্নাতের নারীকুলের সরদার।

যার পর্দার ইহতেরাম করে মালাকুল মওত ফেরেস্তা তার রুহ কবজ করতে অপরাগতা প্রকাশ করে। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা নিজেই তাঁর পবিত্র কুদরতের হাত দ্বারা তাঁর রুহ কবজ করেন।

সাইয়্যিদা জাহেরা তৈয়বা তাহিরা জানে আহমদ কি রাহাম পে লাখো সালাম।

উস বতুলে জিগর পারায়ে মুস্তাফা হাজালা আরায়ে ইফফত পে লাখো সালাম।

তিনি যখন নামায পড়তেন তাঁর চোখ বেয়ে অবিরত পানি পড়তো, যার চোখের পানি জিবরাইল মুতির মত বেছে বেছে কুয়াশার মত আরশে বরি যে আকাশে আরশে ইলাহি অবস্থিত সেখানে নিয়ে ফেলেন।

যার নকশ কদমে চললে মহিলারা প্রকৃত মহিলা হতে পারবে। যার উত্তম আদর্শকে পথের মশাল বানিয়ে মুসলমান মহিলারা নিজের সহীহ মকাম অর্জন করতে পারবে যার সিরাত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে মুসলমান মায়েরা মুজাহিদ তৈরি করতে পারে। এ কারণে যে, ছেলে মেয়েরা মাকে অনুসরণ করে। মা বেপর্দা হলে ছেলেরাও বেহায়া নির্লজ্জ হয়। মায়ের কার্যত্রম যদি পরিশুদ্ধ-পবিত্র ও উচ্চ মর্যাদার হয় ছেলেরাও উচ্চ মর্যাদাশীল হবে মা যদি ইবাদতগুজার হয় ছেলেরাও ইবাদতগুজার হবে। মা নেককার হলে ছেলেরাও নেককার হবে।

আজ 3 রমযান আম্মাজানের বেসাল দিবস। তার কদমে পাকে লাখো-কোটি সালাম। আল্লাহ তায়ালা তাঁর উসিলায় আমাদের ক্ষমা করুন।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment