আল্লাহর শানে বেয়াদবি করায় ইবনে তাইমিয়াকে দামেস্কে গণপিটুনি
বিশ্ববিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা বিশ্ব ভ্রমণে বের হয়ে তৎকালীন সিরিয়ার রাজধানী দামেষ্কে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে তার নিজ চোখে দেখা একটি ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন-
“ইবনে তাইমিয়া দামেস্কের একটি জামে মসজিদের মিম্বরে বয়ান করছিলেন। তার কথাসমূহের মধ্যে একটা ছিল এমন-
নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আকাশে এভাবে নেমে আসেন যেভাবে আমি নেমে আসি, এই কথা বলে ইবনে তাইমিয়া মিম্বর থেকে এক সিঁড়ি নীচে নেমে আসেন। (নাউযুবিল্লাহ)
তার এমন জঘন্য উক্তিতে উপস্থিত একজন মালেকী মাজহাবের ফকীহ যিনি ইবনে জাহরা নামে পরিচিত ছিলেন তিনি কঠোর প্রতিবাদ করলেন এবং যা বলেছেন তা মানতে অস্বীকৃতি জানালেন।
তার প্রতিবাদের সাথে সাথেই উপস্থিত আম মুসল্লীরা ফকিহর সমর্থনে দাঁড়িয়ে গেল এবং তাকে (ইবনে তাইমিয়াকে) হাত দ্বারা, জুতা দ্বারা এমনভাবে প্রহার করলো যে, তার মাথা থেকে পাগড়ী পড়ে গেল, মাথায় পরিহিত রেশমী টুপি বের হয়ে পড়লো, তারা সেই পোষাকও (ইবনে তাইমিয়ার পরনে থাকুক) এটা অপছন্দ করলো।
তাকে ধরে সেখানকার হাম্বলী মাজহাবের কাজী ইজ্জুদ্দীন বিন মুসলিমের কাছে নিয়ে গেলে তিনি ইবনে তাইমিয়াকে জেলে বন্দী করার নির্দেশ দেন।” [১]
এই ইবনে তাইমিয়া কিন্তু ওহাবি, সালাফিসহ দেহবাদী আকিদাধারী জনগোষ্ঠীর মহান গুরু। ওদিকে মোনাফেক অফ দা সেনচুরি মিস্টার পাদ্রীও নাকি এই ইবনে তাইমিয়াকে শাইখুল ইসলাম সম্বোধন করে! হায় হায়!
______________________
[১] রিহলাতু ইবনে বতুতা/প্রথম খন্ড- ৫৭ ও ৫৮ পৃষ্ঠা- প্রকাশক: মাকত্ববাতুল আযহার, মিসর, ১৩৪৬ হিজরী, হিন্দাওয়ী ৬৯ পৃ.