কাউছারের মালিক হচ্ছেন নবী মোস্তফা মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এ ব্যাপারে সমস্ত উলামায়ে কিরামগণ একমত। আল্লাহতায়ালা তাঁর প্রিয় হাবিবকে কাউছার দান করেছেন। যেমন আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন- انا اعطينك الكوثر অর্থ: নিশ্চয় আমি আপনাকে কাউছার দান করেছি।
কিয়ামতের দিন নবীজি স্বীয় উম্মতদেরকে কাউছারের পানি পান করাবেন। যদিও অন্যান্য নবীদের হাউজ থাকবে। কিন্তু হাউজের মূল উৎস হবে কাউছার। অর্থাৎ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কাউছার থেকে পানি বিতরণ করবেন তখনই শুধুমাত্র অন্যান্য হাউজসমূহে পানি প্রবাহিত হবে। অতএব নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই কাউছারের মূল মালিক।
যেমন বুখারি শরীফে বর্ণিত হাদিস
عن ابن عباس رضى الله تعالى عنه قال الكوثر الخير الكثير الذى اعطاه الله اياه-
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- কাউছার হচ্ছে অজস্ত্র কল্যাণ, যা আল্লাহ তায়ালা শুধুমাত্র তাঁর নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রদান করেছেন।
ইতোপূর্বে হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত একখানা হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম নবীজিকে বলেছেন- قال هذا الكوثر الذى اعطاك ربك অর্থ: জিব্রাইল বলেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ ইহা হচ্ছে কাউছার। যা আপনার প্রভূ আপনাকে প্রদান করেছেন।
হাফিজ ইবনে হাজর আসকালানী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন-
فالمختص بنبينا صلى الله عليه وسلم الكوثر الذى يصب من مائه فى حوضه فانه لم ينقل نظيره لغيره ووقع الامتنان عليه به فى السورة المذكورة- (فتح النارى)
অর্থ: কাউছার শুধুমাত্র আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য খাস বা নির্দিষ্ট। আর এ কাউছার থেকেই হাউজের মধ্যে পানি সরবরাহ করা হবে। অন্যান্য নবীদের কাউছার থাকার ব্যাপারে কোন নযির বা প্রমাণ নেই। উল্লেখিত সুরায় কাউছার প্রদানের মাধ্যমে রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ করা হয়েছে। (ফতহুল বারি)
হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত আরো একটি হাদিস-
قوله تعالى (انا اعطينك الكوثر) قالت نهر اعطيه نبيكم شاطئاه عليه در مجوف انيته كعدد النجوم- (بخارى)
অর্থ: হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন- আল্লাহতায়ালার বাণী- انا اعطينك الكوثر উক্ত আয়াতে কাউছার হচ্ছে এমন একটি ঝর্ণা যা আল্লাহ তায়ালা তোমাদের নবীকে প্রদান করেছেন। যার উভয় পার্শ্বে মুতির তৈরি প্রাসাদসমূহ বিদ্যমান। তার পানপাত্র হবে নত্র রাজির সমান। (বুখারি)