১নং আপত্তিঃ একই সময় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার লোককে দাফন করা হয়। ঐ একই সময় নবীজিকে কিভাবে প্রত্যেক জায়গায় দেখানো হবে?
উত্তরঃ একটি সূর্য একই সময়ে লক্ষ লক্ষ জায়গায় দেখা যায়- আর বলা হয়- এটা সূর্য। টেলিভিশনে একই ব্যক্তিকে লক্ষ লক্ষ জায়গায় দেখানা সম্ভব। দুনিয়ার কারিগর যদি এটা পারে- তাহলে মহাকারিগর আল্লাহ তায়ালা কেন নবীজিকে একই সময়ে লক্ষ কবরে দেখাতে পারবেন না?
সূর্যের আলো আর বিদ্যুতের যদি এই শক্তি হয়- তাহলে নূরের নবীর শক্তি সম্পর্কে আপত্তি করার অবকাশ কোথায়? আল্লাহর কুদরাতের ওপর অবিশ্বাসীরাই কাফের।
২নং আপত্তিঃ যারা নবীজিকে দেখেনি- তারা কিভাবে কবরে নবীজিকে চিনতে পারবে? আর আবু জাহেল প্রমূখ নবীজিকে দেখা সত্ত্বেও কেন চিনতে পারবে না?
উত্তরঃ যাদের অন্তরে নবীজির নূর ও এশক রয়েছে- তারা ঐ এশকের নূর দ্বারাই নবীজিকে চিনতে পারবে। কেননা, তিনি তো নূর। নূর নূরকে চিনৃতে অসুবিধা হবেনা। অনেক ভাগ্যবান ব্যক্তি স্বপ্নে নবীজিকে দেখেই চিনতে পারেন- পূর্ব পরিচয়ের প্রয়োজন হয় না।
৩নং আপত্তিঃ কিছু জ্ঞানপাপী আছে- যারা বলে- هَٰذَا শব্দ দ্বারা عهد ذهني বা মানসপট আঁকা স্মৃতির প্রতি ইঙ্গিত করা হবে عهد خارجي বা বাস্তবে নবীকে হাযির করা হবেনা। আরবীতে هَٰذَا শব্দটি عهد ذهني এবং عهد خارجي উভয় অর্থেই ব্যবহৃত হয়। তাদের মতে هَٰذَا শব্দটি দ্বারা এখানে عهد ذهني বুঝানা হয়েছে عهد خارجي এর জন্য বুঝানা হয়নি। আর একদল বলে- কবরে নবীজির ছবি দেখানো হবে- মূল নবীকে নয়।
উত্তরঃ আল্লাহ এবং ধর্ম সম্পর্কে তো সকল মো’মেনের অন্তরেই ধারণা ছিল। তা সত্ত্বেও هَٰذَا ব্যবহার করা হয়নি। বুঝা গেল- هَٰذَا শব্দটি عهد ذهني -এর জন্য ব্যবহার করা হয়নি -বরং عهد خارجي -এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। কেননা, পরবর্তী শব্দটি হচ্ছে رجل যার অর্থ দেহধারী ব্যক্তি। দেহধারীকে দেখা যায়- তাই ইঙ্গিত হবে উপস্থিত নবীর প্রতি। একেই আরবীতে عهد خارجي বলে। আর যারা বলে ছবি দেখানো হবে- তাদের ধারণাও ভুল। কেননা, هذا الرجل মানুষকেই বলা হয়- ছবিকে কেউ কোন দিন هذا الرجل বলেনা।
বুঝা গেল - নবীজীকে স্বশরীরেই কবরে হাযির করা হবে।