(১) হযরত আদম عليه السلام ছিলেন প্রথম মানুষ ও প্রথম নবী। তার ইলম সম্পর্কে আল্লাহ পাক এরশাদ করেন-
وَعُلّم أدّم الأسماء كلّها – “আল্লাহ তায়ালা আদম عليه السلام কে সমস্ত সৃষ্ট বস্তুর নাম ও গুণাগুণ সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছেন”। শুধু শিক্ষা দেয়া নয়- বরং ভূমন্ডল থেকে নভোমন্ডল পর্যন্ত যাবতীয় বস্তু তাঁর গোচরীভূত করেছেন। অণু থেকে পাহাড়, বিন্দু থেকে সিন্ধু, ভূমন্ডল থেকে নভোমন্ডল পর্যন্ত যা কিছু হয়েছে এবং হবে, সেসব বিষয়েরও শিক্ষা দান করেছেন (তাফসীরে জালালাঈন)। এতে প্রতীয়মান হলো- নবী হলেন অদৃশ্য জগতের গায়েবী সংবাদদাতা।
(২) হযরত ঈছা عليه السلام কে আল্লাহ পাক ৫টি মু’জিযা যথাঃ মাটি দিয়ে জীবন্ত পাখী তৈরী করা, অন্ধকে দৃষ্টি দান করা, কুণ্ঠরোগীকে আরোগ্য দান করা, মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করা এবং অদৃশ্য সম্পদের সংবাদ দেয়া- এই পঞ্চ-মো’জেযা দান করেছিলেন। তার ইলমে গায়েব সম্পর্কে আল্লাহ পাক এরশাদ করেনঃ-
وَأُنَبِّئُكُم بِمَا تَأْكُلُونَ وَمَا تَدَّخِرُونَ فِي بُيُوتِكُمْ –
অর্থঃ- “হযরত ঈছা عليه السلام হাওয়ারীদেরকে বললেন- আমি তোমাদেরকে গায়েবী সংবাদের মাধ্যমে বলে দিতে পারি - তোমরা কি কি খাচ্ছো এবং তোমাদের ঘরে কি কি জমা করে রাখছো” (সূরা আলে ইমরান, ৪৯. আয়াত)।
অত্র আয়াতে تَأْكُلُونَ এবং تَدَّخِرُونَ দ্বারা বর্তমান ও ভবিষ্যত উভয়কালই বুঝাচ্ছে- অর্থাৎ “ভবিষ্যতে তোমরা কি কি খাবে এবং কি কি জমা করে রাখবে- তাও আমি না দেখেই বলে দিতে পারি”।
বুঝা গেল - নবীগণের ইলম অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎকাল পৰ্যন্ত ব্যাপ্ত। ভূত ও ভবিষ্যৎ নবীগণের নখদর্পনে থাকে। আমাদের প্রিয়নবীর ভূত ও ভবিষ্যতের ইলমে গায়েব তো প্রশ্নাতীত বিষয়।