শায়খ শারওয়ী ও এক উগ্রবাদী যুবকের কথোপকথন!
“আমি একদিন এক যুবকের সাথে কথা বলতেছিলাম যে খুবই উগ্র মন-মানসিকতার ছিল, আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম: “একটা নাইটক্লাব বা অনৈতিক জায়গা মানুষসহ উড়িয়ে দেয়া, হালাল নাকি হারাম?”
যুবক: “অবশ্যই হালাল হবে এবং তাদেরকে হত্যা করাও জায়েজ হবে।”
শায়খ শারাওয়ী: “যখন তারা আল্লাহর অবাধ্যতা করছে তখন তাদেরকে হত্যা করলে তাদের কি হবে? বা তারা কোথায় যাবে?”
যুবক: “অবশ্যই তারা জাহান্নামে যাবে।”
শায়খ শারাওয়ী: “শয়তান তাদেরকে কোথায় নিয়ে যেতে চায়?”
যুবক:”অবশ্যই তাদেরকে জাহান্নামে নিতে চায়, কারন এটাই শয়তানের লক্ষ্য।”
শায়খ শারাওয়ী: “তারমানে তুমি এবং শয়তান একই লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে কাজ কর, মানুষকে জাহান্নামে নেওয়া।”
শায়খ তাকে আরো স্মরন করিয়ে দিলেন নবীজীর (ﷺ) সেই হাদিসের কথা যেখানে একজন ইহুদী মহিলার লাশ তাঁর সামন দিয়ে যাচ্ছিল, তখন তিনি ওঠে দাঁড়ালেন এবং কাঁদতে লাগলেন। সাহাবায়ে কেরামগন তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন , “ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কেন কাঁদতেছেন? ” তিনি (ﷺ) জবাব দিলেন: “আরো একটি প্রান আমার হাত থেকে ছুটে গেল ও জাহান্নামে প্রবেশ করল।”
শায়খ শারাওয়ী: “(হে যুবক!) তুমি কি তোমার ও নবীজী করীম (ﷺ) এঁর মধ্যকার (লক্ষ্য ও উদ্দ্যশ্যগত) পার্থক্য বুঝতেছ? সকল মানুষকে হেদায়াতের পথ প্রদর্শন করার ইচ্ছা এবং তাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানো , তুমি একদিকে আর তিনি (ﷺ) সম্পূর্ন অন্যদিকে।”
-শায়খ মুহাম্মাদ মোতাওয়াল্লী শারাওয়ী (রাহিমাহুল্লাহ)