প্রসঙ্গঃ শেষ ১২ দিনের ঘটনা প্রবাহ
হযরত মায়মুনা (رضي الله عنها)-এর ঘর থেকে নবী করীম [ﷺ] অসুস্থ অবস্থায় হযরত আয়শা (رضي الله عنها)-এর ঘরে দুজন সাহাবীর কাঁধে ভর দিয়ে তাশরীফ নিয়ে আসেন এবং অন্যান্য বিবিগণের অনুমতিক্রমে ইনতিকাল পর্যন্ত এখানেই অবস্থান করেন। ইনতিকালের পর এই ঘরের একাংশের মধ্যেই রওযা মোবারক তৈরী করা হয়।
[বর্তমানে রওযা মোবারক মসজিদে নববীর ভিতরে অবস্থিত, তিনদিকে মসজিদ। পূর্বদিক খোলা চত্ত্বর।]
আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, আখেরী চাহার শোম্বার দিন বিকাল থেকেই তিনি পূনরায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকাল ছিলো আনন্দময় বিকাল হলো বিষাদময়। এসময় থেকে তিনি ৮ই রবিউল আউয়াল বৃহস্পতিবার জোহর পর্যন্ত অসুখ নিয়েই সমস্ত নামায মসজিদে গিয়ে আদায় করতেন। সাহাবাগণের কাঁধে ভর দিয়ে তিনি মসজিদে যেতেন এবং নামায আদায় করতেন। কোন কোন সময় হযরত আবু বকর (رضي الله عنه)-কে ইমামতী করতে বলতেন কিন্তু তাঁর আগমনের সাথে সাথে হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) পিছনে সরে আসতেন এবং বাকী নামায নবীজীর পিছনে মোকাব্বির হয়ে আদায় করতেন। নামাযকে তিনি গুরুত্ব দিতেন। আমরা উম্মাত হয়ে আজ নামাযের গুরুত্ব ভুলে গিয়েছি। আফসোস ! নামাযে আমাদের দৃষ্টি থাকে মোছাল্লার দিকে কিন্তু হযরত আবু বকর ও সাহাবাগণের দৃষ্টি থাকতো আল্লাহর রসূলের দিকে।
অসুস্থ অবস্থায় নবী করীম [ﷺ] প্রায়ই বলতেন- “হে আয়শা! খায়বারের ইয়াহুদী রমনী জয়নাবের বিষ মিশ্রিত খাদ্যের বিষক্রিয়া এখন আমি অনুভব করছি। আমার মনে হয়-ঐ বিষের জ্বালায় আমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চূর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে যাচ্ছে।” (বুখারি -৪৪২৮)
[মোহাদ্দেস আবদুল গনি নাবলুছী (ফিলিস্তিন) যিনি আল্লামা শামী’র ওস্তাদ ও মুজতাহিদ ছিলেন - তাঁর লিখিত কিতাব “আল হাদিকায়” উল্লেখ আছে- “নবী করীম [ﷺ] দুবার নিজের মউতের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিলেন। প্রথমবার খায়বারের বিষক্রিয়া জনিত সম্ভাব্য মৃত্যু তিনি ৪ বৎসর পর্যন্ত বিলম্বিত করেছিলেন। দ্বিতীয়বার ইনতেকালের সময় হযরত আজরাঈল (عليه السلام) কে বসিয়ে রেখে জিবরাঈল (عليه السلام) ও আল্লাহর সাথে কিছু কথা বলেছিলেন, এবং উম্মতের জন্য কিছু প্রতিশ্রুতি আদায় করেছিলেন। এই বিলম্ব নবীজীর ইচ্ছায় ও আল্লাহর নির্দেশে ঘটেছিলো। কাজী আয়ায (رحمة الله عليه) তার শিফা শরীফের ‘বাবুল কারামত ও নবীজীর বৈশিষ্ট’ অধ্যায় লিখেছেন- “আমরা মউতের অধিন কিন্তু মউত নবীজীর ইখতেয়ারাধীন। মউত আল্লাহর সৃষ্টি মাখলুখ। সকল মাখলুখই আল্লাহ তায়ালা নবীজীর অধীনস্ত করে দিয়েছেন। কেননা, তিনি সমস্ত সৃষ্টির মূল।” (শিফা শরীফ)]
এই আক্বিদা ও বিশ্বাসের নামই সুন্নী আক্বিদা। হিজরত অধ্যায়ে জমিনের উপর নবীজীর কর্তৃত্বের হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে। এখতিয়ার, কর্তৃত্ব ও তাসাররুপ নবীজীর মো’জেজার অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহর রাজ্যে রসূলে পাকের রাজত্ব সর্বস্বীকৃত বিষয়।
নবী-জীবনের শেষ বৃহস্পতিবার ৮ রবিউল আউয়ালঃ ইয়াওমুল খামিছঃ-
নবী করীম [ﷺ]-এঁর জীবনের শেষ বৃহস্পতিবার ছিল ৮ই রবিউল আউয়াল। ঐদিন হুযুর [ﷺ] যোহরের নামাযের বাকী অংশে কোন রকমে জামাতে ইমামতী করেন। ঐদিন হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) হুযুরের নির্দেশে যোহরের নামায পড়াচ্ছিলেন। এমন সময় হুযুর [ﷺ]-কে আসতে দেখে পিছনে হেঁটে আসলেন। নামায শেষে তিনি সমবেত সাহাবাগণের উদ্দেশ্যে এক অশ্রুপূর্ন ভাষণ দেন এবং তাদের থেকে শেষ বিদায় গ্রহণ করেন। সেদিনের করূণ পরিবেশ আকাশ-বাতাসকে অশ্রুভারাক্রান্ত করে তুলেছিল। সাহাবায়ে কেরামের রোনাজারীতে আল্লাহর আরশ পর্যন্ত কেঁপে উঠেছিল। মদীনায় রোনাজারী ও মাতমের হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল সেদিন। শেষ বৃহস্পতিবারের হৃদয় বিদারক অবস্থার কথা স্মরণ করে পরবর্তী সময়ে ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) প্রায়ই বলতেন- “ইয়াওমুল খামিছ ওয়ামা ইয়াওমুল খামিছ।”
সেদিনের ভাষণে তিনি হযরত আবু বকর (رضي الله عنه)-এর অনেক মর্তবা ও মর্যাদা বর্ণনা করেন। এবং অবশিষ্ট দিনগুলোতে নবী করীম [ﷺ]-এঁর স্থানে ইমামতী করার জন্য তাঁকে নির্দেশ প্রদান করেন। এর মাধ্যমেই পরবর্তী খেলাফতের বিষয়টি এরকম চূড়ান্ত হয়ে যায়। নামাযের ইমামতী হচ্ছে ইমামতে ছোগরা এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ইমামত বা নেতৃত্ব হচেছ ইমামতে কোবরা। সাহাবায়ে কেরাম (رضي الله عنهم) আকারে-ইঙ্গিতে ভবিষ্যৎ নির্ধারণের নীতিমালা আঁচ করে নিলেন।
বিদায়ী শেষ ভাষণঃ
নামাযের পর নবী করীম [ﷺ] যে বিদায়ী ভাষণ প্রদান করেন তা কয়েকজন সাহাবী থেকে বর্ণিত হয়েছে। তারা হচ্ছেন হযরত আইয়ুব বিন বশির, উম্মে সালামা, আবু সাঈদ, আবুল মোয়াল্লা, জুনদুব, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস এবং ফজল ইবনে আব্বাস (رضي الله عنهم اجمعين) প্রমুখ। তাঁদের বর্ণিত হাদীসে শব্দের কিছু বেশ কম রয়েছে। সবার বর্ণিত হাদীসের সারমর্ম নিম্নরূপ।
“যোহরের নামায শেষ করে নবী করীম [ﷺ] মিম্বরে উপবেশন করলেন। আল্লাহর হামদ ও সানা পাঠ করে সমবেত সাহাবায়ে কেরামকে লক্ষ্য করে তিনি বললেন – “আল্লাহ তায়ালা আপন এক প্রিয় বান্দাকে দুটি জিনিসের মধ্যে একটি গ্রহণ করার এখতিয়ার ও স্বাধীনতা দিয়েছেন। যথাঃ- (ক) তিনি যতদিন ইচ্ছা জীবিত থেকে দুনিয়ার সুখ-শান্তি ও আরাম-আয়েশ ভোগ করতে পারবেন অথবা (খ) এখনই আল্লাহর সান্নিধ্যে গিয়ে তাঁর জন্য সংরক্ষিত নেয়ামত ভোগ করবেন। আল্লাহর সেই প্রিয় বান্দা শেষটি গ্রহণ করে নিয়েছেন।“
হযরত উম্মে সালামা (رضي الله عنها) বলেন, “দীর্ঘ জীবনের এখতিয়ার একমাত্র নবী করীম [ﷺ]-কেই দান করা হয়েছে। অন্য কাউকে নয়।” নবী করীম [ﷺ]-এঁর ভাষণের অন্তর্নিহিত মর্ম বুঝতে পেরে সর্বপ্রথম হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) কেঁদে কেঁদে আরজ করতে লাগলেন- “ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের নিজের জীবন পিতা-মাতার জীবন, সন্তানাদীর জীবন ও অর্থ সম্পদের বিনিময়ে আমরা আপনাকে পেতে চাই।”
নবী করীম [ﷺ] হযরত আবু বকর (رضي الله عنه)-কে ধৈর্যধারণের উপদেশ দিলেন। আবু সাঈদ (رضي الله عنه)-এর বর্ণনায় নবী করীম [ﷺ] এরশাদ করলেন-
“আমার সান্নিধ্য লাভে এবং দ্বীনের জন্য ধন-সম্পদ বিলিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে আমার উপর আবু বকরের চেয়ে অন্য কারো অধিক এহ্সান আছে বলে আমার জানা নেই। আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে যদি আমি খলীল বা একান্ত বন্ধু বানিয়ে নিতাম, তাহলে আবু বকরকেই খলীল বানিয়ে নিতাম। আল্লাহ আমাকে খলীল বা একান্ত বন্ধু বানিয়ে নিয়েছেন এবং আমিও আল্লাহকে জান-প্রাণ দিয়ে খলীল বা একক বন্ধু বানিয়েছি। তোমরা আমার মসজিদের দিকে তোমাদের ঘরের ছোট ছোট সব দরজা, জানালা বন্ধ করে দাও। একমাত্র আবু বকরের দরজাটি খোলা রাখো। আবু বকরের সাথে আমার ইসলামীক বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা রয়েছে।”
খলীল ও হাবিব এর পার্থক্য নবীঃ-
উল্লেখ্য যে, কাজী আয়ায (رحمة الله عليه) শেফা শরীফে খলীল শব্দটি বিশ্লেষণ করেছেন এভাবে- “খালা” অথবা “খাল্লাতুন” মূল ধাতু হতে খলীল শব্দটির উৎপত্তি। “খালা”-র অর্থ হলো সব কিছুর বিনিময়ে বন্ধুত্ব। হযরত ইব্রাহীম (عليه السلام) সব কিছু আল্লাহর জন্য বিলিয়ে দিয়ে খলীল উপাধী পেয়েছিলেন। তদ্রূপ নবী করীম [ﷺ] ও সব কিছু আল্লাহর জন্য বিলিয়ে দিয়ে খলীল উপাধীতে ভূষিত হয়েছেন। অপরদিকে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে হাবীবুল্লাহ বা একান্ত প্রেমাস্পদ উপাধী দান করেছেন। “খলীল” বলা হয়- যিনি আল্লাহর জন্য সব কিছু দান করেন; কিন্তু “হাবীব” বলা হয় তাঁকে আল্লাহ যার জন্য সব কিছু বিলিয়ে দেন। খলীল হচ্ছে প্রেমীক আর হাবীব হচ্ছেন প্রেমাস্পদ। নবী করীম [ﷺ] ছিলেন আল্লাহর প্রেমিক এবং প্রেমাস্পদ-উভয়ই (সোবহানাল্লাহ)। খাল্লাতুন ধাতুর অর্থ হচ্ছে একান্ত ভালোবাসা (Exclusive love) এ অর্থে নবী করীম [ﷺ] আপন জীবন দিয়ে একান্তভাবে আল্লাহকে ভালোবাসতেন (শিফা শরীফ)। এই ভালোবাসা যদি তিনি আল্লাহর জন্য দান না করতেন তাহলে আবু বকর (رضي الله عنه)-কেই এই স্থানে বসাতেন।এই হাদীসে সমস্ত সাহাবীর উপর হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) গুরুত্ব দান করা হয়েছে।
হযরত আইউব বিন বশীর (رضي الله عنه)-এর বর্ণনা মতে আরো কিছু নসিহতের কথা উল্লেখ আছে। যথাঃ- “নবী করীম [ﷺ] মিম্বারে বসে প্রথমে ওহুদের শহীদানদের জন্য বিশেষ দোয়া করেন। ইসলামের জন্য তাঁদের আত্মত্যাগ ও শাহাদাতের কথা স্মরণ করেন।“
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)-এর বর্ণনায় আরো আছে - নবী করীম [ﷺ] মদীনার আনছারদের সেবা ও অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে বললেনঃ-
“হে মোহাজিরগণ! তোমরা সংখ্যায় অনেক বেড়ে গিয়েছো এবং দিন দিন তোমাদের আগমনের সংখ্যা বাড়ছেই কিন্তু আনসারের সংখ্যা পূর্বের ন্যায়ই রয়েছে। তাঁরা আমাকে আশ্রয় দিয়েছে। তোমরা (মোহাজিরগণ) তাঁদের সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মান করবে এবং তাঁরা কোন ত্রুটি করলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে।”
ফযল ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন, নবী করীম [ﷺ] অন্যান্য কথার মধ্যে এই কথাও বলেছিলেন-
“হে উপস্থিত লোক সকল! তোমাদের বিগত জনেরা আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে। আমার বর্তমান মিম্বারে তোমরা আর কখনো আমাকে দেখতে পাবেনা। আমি যদি তোমাদের কারো পিঠে চাবুক দ্বারা আঘাত করে থাকি, তাহলে এই নাও আমার পিঠ। তোমরা বদলা নিতে পারো। আমি যদি কারও নিকট থেকে মাল নিয়ে থাকি, তাহলে তোমরা তা আমার থেকে নিয়ে নাও। আর যদি কারো সম্মান লাঘব করে থাকি আমার থেকে তার বদলা নিতে পারো। কেউ যেন আমাকে কা-পুরুষ বা বখিল বলতে না পারো। বখিলী আমার শানও নয় এবং চরিত্রও নয়। যদি তোমাদের কারো কোন হক্ব আমার উপর থেকে থাকে তাহলে সে ব্যক্তি সে হক্ব নিয়ে নিক – সে ব্যক্তিই আমার সবচেয়ে প্রিয় হবে।”
এক সাহাবী দাঁড়িয়ে বললেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনার কাছে তিন দেরহাম পাওনা আছি। একদিন এক ফকির আপনার কাছে কিছু চাইলে আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তাকে তিনটি দেরহাম দেয়ার জন্য। ঐ তিনটি দেরহামই আমি পাবো।” নবী করীম [ﷺ] ফজলে ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)-কে তা দিয়ে দিতে আদেশ করলেন। এরপর নবী করীম [ﷺ] বললেন, “তোমাদের কারো কাছে যুদ্ধ প্রাপ্ত কোন অবৈধ মাল আছে কী? তাহলে তা বাইতুলমালে জমা দিয়ে দাও।“ এক সাহাবী দাঁড়িয়ে বললেন, “আমার নিকট তিন দেরহাম আছে।” নবী করীম [ﷺ] বললেন, “তুমি কেন তা নিয়েছিলে?” ঐ সাহাবী উত্তর করলেন, “আমি খুবই দরিদ্র। তাই নিয়েছিলাম।“ নবী করীম [ﷺ] ফযল (رضي الله عنه)-কে তা আদায় করে দিতে নির্দেশ দিলেন। নবী করীম [ﷺ] পূণরায় জিজ্ঞাসা করলেন – “কারো মনে কিছু ঈমানী দুর্বলতা থাকলে বলো, আমি দোয়া করবো।“ একজন লোক সামনে এগিয়ে এসে বললো - “ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি একজন মুনাফিক, মিথ্যাবাদী ও দূরাচার।“ তার কথা শুনে হযরত ওমর (رضي الله عنه) বললেন – “তোমার সর্বনাশ হোক! তুমি নিজের দোষ খোলাখোললি না বললেও পারতে! আল্লাহ তোমাকে গোপনে ক্ষমা করে দিতেন।“ নবী করীম [ﷺ] হযরত ওমরকে থামিয়ে দিয়ে বললেন – “দুনিয়ার অপমান পরকালের অপমানের তুলনায় অনেক তুচ্ছ। হে আল্লাহ, তুমি তাকে সততা ও ঈমান দান করো।”
তারপর হযরত ওমরকে শান্তনা দিয়ে বললেন – “ওমর আমার সাথে এবং আমিও ওমরের সাথে আছি। আমার পর সত্য ওমরের সাথী হবে।“ ভাষণ শেষ করে সবার থেকে বিদায় নিয়ে তিনি হুযরা মোবারকে চলে গেলেন। এরপর থেকে হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) নামাযে ইমামতী করতে লাগলেন। বৃহস্পতিবার আসর থেকে সোমবার ফজর পর্যন্ত তিনি একাধারে ১৯ ওয়াক্ত নামাযের ইমামতী করেন। তখন থেকে নবী করীম [ﷺ] নিজ হুযরায় একাকী নামায পড়তেন।