মৃত্যুযন্ত্রনা হওয়া বরহক্ব। কোরআন মজিদের চার জায়গায় মৃত্যুযন্ত্রনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তা কেউ টের পাবে- কেউ পাবে না। কারো কারো মৃত্যু যন্ত্রনাই হবে না। প্রমাণস্বরূপ কোরআনের ৪ আয়াত নিম্মরূপ।
(১) ছুরা ক্বাফঃ ১৯ আয়াত
وَجَاءتْ سَكْرَةُ الْمَوْتِ بِالْحَقِّ ذَلِكَ مَا كُنتَ مِنْهُ تَحِيدُ۔
অর্থাৎঃ “মৃত্যুর যন্ত্রনা নিশ্চিত আসবে- যার থেকে তুমি টাল্বাহানা করতে”।
(২) ছুরা আনআমঃ ৯৩ আয়াত
وَلَوْ تَرَى إِذِ الظَّالِمُونَ فِي غَمَرَاتِ الْمَوْتِ وَالْمَلآئِكَةُ بَاسِطُواْ أَيْدِيهِمْ أَخْرِجُواْ أَنفُسَكُمُ۔
অর্থাৎঃ “হে রাসুল! যদি আপনি দেখতেন- যখন যালেমরা মৃত্যুযন্ত্রনায় থাকে আর ফিরিস্তারা স্বীয় হস্ত প্রসারিত করে বলে- বের করে আনো তোমাদের স্বীয় আত্মা”।
(৩) ছুরা ওয়াকিয়াঃ ৮৩-৮৪ আয়াত
فَلَوْلَا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ – وَأَنتُمْ حِينَئِذٍ تَنظُرُونَ -۔
অর্থাৎঃ “যখন কারও প্রাণ কণ্ঠাগত হয়, তখন তোমরা শুধু তাঁর দিকে তাকিয়ে থাক”।
(৪) ছুরা কিয়ামাহ্ঃ ২৪-২৬ আয়াত
وَوُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ بَاسِرَةٌ – تَظُنُّ أَن يُفْعَلَ بِهَا فَاقِرَةٌ – كَلَّا إِذَا بَلَغَتْ التَّرَاقِيَ
অর্থাৎঃ “আর অনেক মুখমণ্ডল সেদিন উদাস হয়ে পড়বে। তাঁরা ধারণা করবে যে, তাঁদের সাথে কোমরভাঙ্গা আচরণ করা হচ্ছে। কখনও না। যখন প্রান উষ্ঠাগত হবে” এবং বলা হবে ……..।
আম্বিয়ায়ে কেরামের মৃত্যুযন্ত্রনা হয় কি না?
=====
(১) রাসুলেপাক (ﷺ) -এর মৃত্যুযন্ত্রনা হয়েছে অন্য উদ্দেশ্যে-
روى البخاري عن [ عائشة رضي الله عنها : أن رسول الله صلى الله عليه و سلم كانت بين يديه ركوة أو علبة فيها ماء فجعل يدخل يديه في الماء فيمسح بهما وجهه و يقول لا إله إلا الله إن للموت سكرات ثم نصب يديه فجعل يقول : في الرفيق الأعلى حتى قبض و مالت يده ]
অর্থঃ “হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) হতে বর্ণিত- রাসুল মকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেষ মূহুর্তে যখন তিনি আমার বুকে ঠেস দিয়ে বসেছিলেন- তার সামনে ছিল ঘটির মধ্যে পানি। তিনি পানিতে বারেবারে হাত মোবারক ঢুকিয়ে দুহাত দিয়ে মুখ মুবারক ধৌত করছিলেন- আর যবানে পাকে একথা উচ্চারণ করেছিলেন- “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্”- “নিশ্চয়ই মউতের কষ্ট অতি ভীষণ”। এরপর তিনি হাত নামিয়ে ফেললেন- আর বলতেছিলেন- “মহান বন্ধুর সান্নিধ্যে”। একথা বলেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন এবং তার হাত ঢলে পড়লো”। (বুখারী)
(২) হযরত আয়েশা (রাঃ) আরো বলেন-
قالت ۔ ما اغبط احدا بھون موت بعد الذی رأیت من شدۃ موت رسول اللّٰہ ﷺ
অর্থঃ হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন- “রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তিকাল যন্ত্রনা দেখার পর কারো মৃত্যুকষ্ট কম হলে আমি তার প্রতি ঈর্ষা করিনা”। (তিরমিযি)। কেননা, তিনি উম্মতের মৃত্যুযন্ত্রনা নিজের উপর কবুল করে নিয়েছিলেন। এ কারণেই হুযুরের মৃত্যুযন্ত্রনা বেশী হয়েছিল।
হযতর ইব্রাহীম (আঃ) -এর মৃত্যুযন্ত্রনা
=====
(৩) ইমাম মাহাসিবী তাঁর “রিয়ায়া” গ্রন্থে বর্ণনা করেন-
ان اللّٰہ تعالی قال لابراھیم علیہ السلام یا خلیل کیف وجدت الموت ۔ قال السفود محمی جعل فی صوف رطب ثم ذاب۔ قال : اما انا قدھون علیک یا ابراھیم ۔
অর্থঃ “আল্লাহ্তায়ালা হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে জিজ্ঞেস করেছিলেন- হে আমার বন্ধু! তুমি মৃত্যুর স্বাদ কেমন বুঝলে? হযরত ইব্রাহীম (আঃ) জওয়াব দিলেন- ”যেন একটি অগ্নিশলাকা কাঁচা তুলায় ঢুকিয়ে তা আবার টেনে বের করা হলো”। আল্লাহ্পাক বললেন- হে ইব্রাহীম। নিশ্চয় আমি আপনার জান অতি হাল্কাভাবে বের করেছি”।
(৪) হযরত মূছা আলাইহিস সালামের মৃত্যুযন্ত্রনাঃ
روی عنہ انہ قال وجدت نفسی کشاۃ تسلخ بید العقاب وھی حیۃ ۔
অর্থঃ আল্লাহ্পাক হযরত মুছা (আঃ) কে তাঁর মৃত্যুর অবস্থা জিজ্ঞেস করলে “তিনি জওয়াব দেন- কসাই একটি জীবিত বকরীর চামড়া খুললে যেরূপ কষ্ট হয় -আমিও সেরূপ কষ্ট পেয়েছি”।
(৫) হযরত ইছা আলাইহিস সালাম তাঁর হাওয়ারী উম্মতকে উপদেশ দিয়ে বলেছিলেন,
یا معشر الحوا ایین ادعوا اللّٰہ ان یھون علیکم ھذہ السکرۃ یعنی سکرات الموت۔
অর্থঃ “হে হাওয়ারীগণ, তোমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করো- তিনি যেন এই কষ্ট- অর্থাৎ মৃত্যুযন্ত্রনা তোমাদের জন্য সহজ করে দেন”। (তাযকিরাহ্)
(৬) মালাকুল মউত দর্শন করাই একহাজার তলোয়ারের আঘাততুল্য-
وذکر ا ابو نعیم الحافظ فی کتاب الحلیۃ من حدیث مکحول عن وائلۃ بن الاسقع عن النبی ﷺ انہ قال والذی فسی بیدہ لمعائنۃ ملک الموت اشد من الف ضربۃ بالسیف ۔
অর্থঃ ”হযরত মাক্হুল ইব্নুল আছ্কা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিত- তিনি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এভাবে রেওয়ায়াত করেছেন- রাসুল (ﷺ) এরশাদ করেছেন- “যার হাতে আমার প্রান- তাঁর শপথ করে বলছি- মালাকুলমউত দর্শন করাই একহাজার তরবারীর আঘাতের চেয়েও অধিক কষ্টদায়ক”। (তাযকিরাহ্)
(৭) আযরাঈলের জান কব্জ
وجاء ت الروایہ بان ملک الموت علیہ السلام اذ ا تولی اللّٰہ قبض نفسہ بعد موت الخلائق یقول و عزتک لو علمت من سکرۃ الموت ما اعلم ماقبضت نفس مؤمن ۔ ذکرہ القاضی ابو بکر بن العربی ۔
অর্থঃ কাযী আবু বকর ইবনে আরবী বর্ণনা করেছেন- যখন আল্লাহ্পাক প্রাণী জগতের মৃত্যুর পর আযরাঈলকে তার নিজের রূহ্ কব্জ করার জন্য নির্দেশ দিবেন- তখন আযরাঈল বলবে- হে আল্লাহ্! তোমার মহত্বের শপথ করে বলছি, এখন মউতের কষ্ট যেভাবে উপলব্ধি করতে পারছি- এরকম যদি পূর্বে উপলদ্ধি করতাম- তাহলে কোন মুমিনের রূহ্-ই আমি কব্জ করতাম না”।
(৮) মৃত্যুযন্ত্রণা হলো পশমের মধ্যে শলাকা ঢুকিয়ে টেনে বের করার ন্যায়-
وعن شھر بن حوشب رضی اللّٰہ عنہ قال سئل رسول اللّہ ﷺ عن الموت وشدتہ ۔ فقال ان اھول الموت بمنزلۃ حسکۃ فی صوف ۔ فھل تخرج الحسکۃ من الصوف الاومعھا صوف ۔
অর্থঃ “হযরত শহর ইবনে হাওশাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত- রাসুল করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খেদমতে মৃত্যু এবং মৃত্যুযন্ত্রনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে রাসুল করিম (ﷺ) এরশাদ করলেন- নিশ্চয়ই সবচেয়ে আছান মৃত্যুর উদাহরণ হলো- পশমের মধ্যে শলাকা ঢুকিয়ে তা টেনে বের করে নিয়ে আসার ন্যায়। উক্ত শলাকা কি একা পশম থেকে বের হয়ে আসে- না কি তাঁর সাথে কিছু পশমও বের হয়ে আসে”? (আল্লাহর কাছে পানাহ্ চাই)।
(৯) হযরত আমর ইব্নুল আছ (রাঃ) -এর মৃত্যুযন্ত্রনার অভিজ্ঞতা-
قال شھر بن حوشب ص لما حضرت عمروبن العاص الوفاۃ قال لہ ابنہ یا ا بتاہ انک لتقول لنا لیتنی القی رجلا عاقلا لبیبا عند نزول الموت حتی یصف لی ما یجد؟ وانت ذلک الرجل فصف لی الموت فقال یابنی واللّٰہ کان جنبی فی تخت وکأنی اتنفس من سم ابرۃ وکأن غضن شوک یجذب من قدمی الی ھامتی ۔
অর্থঃ “শহর ইবনে হাওশাব (রাঃ) বলেন- যখন হযরত আমর ইবনুল আছ (রাঃ) -এর মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলো -তখন তাঁর ছেলে বললো, আব্বা! আপনি তো আমাদেরকে বলতেন-“যদি আমি কোন এলেম ওয়ালা আকলমন্দ ও বুদ্ধিমান লোক পেতাম- যিনি আমাকে তাঁর মৃত্যুর অবস্থা বলতো! এখন তো আমরা দেখছি- আপনিই সেই আকলমন্দ ও বুদ্ধিমান ব্যক্তি! আপনি আমাকে আপনার মৃত্যুযন্ত্রনা সম্পর্কে বলুন। হযরত আমর ইবনুল আছ (রাঃ) বল্লেন- “হে প্রিয় বৎস! আল্লাহর শপথ- মনে হচ্ছে- আমি একটি তক্তার উপর শুয়ে আছি- আর প্রতি নিঃশ্বাসে সুঁই দিয়ে আমাকে আঘাত করা হচ্ছে। আর মনে হচ্ছে- কাঁটাযুক্ত একটি ডালা আমার পা থেকে মাথার খুলি পর্য্যন্ত টেনে আনা হচ্ছে”। (আল্লাহর পানাহ্ চাই)। (তাযকিরাহ্)
বিঃ দ্রঃ ইমাম কুরতুবী উপরোক্ত ৯টি ঘটনা বর্ণনা করার পর উপদেশ হিসেবে বলছেন -“হে মোমিনগণ! নিদ্রিত ব্যক্তির এখনই সময় এসে গেছে গাফ্লতের নিদ্রা থেকে সজাগ হওয়ার। গাফেলরা যেন মৃত্যুর পেয়ালা পান করার পূর্বে গাফ্লত থেকে জেগে উঠে। নিথর হওয়ার পূর্বে, শ্বাস প্রশ্বাস শীতল হওয়ার পূর্বে, কবরে যাত্রার পূর্বে এবং আল্লাহর দরবারে দাঁড়াবার পূর্বে জাগরণের সময় এখনই- আর বিলম্ব নয়”। (তাযকিরাহ্)
(১০) মোমিনের মৃত্যু হবে প্রবাহিত পানির ন্যায় সহজ-
عن البراء بن عازب ص انہ قال کنا فی جنازۃ بالبقیع الغرقد قد اتینا رسول اللّٰہ ﷺ فقعد وقعدنا فقال : ان المؤمن اذا کان اقبال الی الاخرۃ وانقطاع من الدنیا نزلت الیہ ملائکۃ کان وجوھھم الشمس فیجلسون منہ مد البصر ثم یحی ملک الموت حتی یجلس عند رأسہ فیقول ایتھا النفس الطیبۃ ۔ اخرجی الی مغفرۃ من اللّٰہ ورضوان فتخرج تسیل کما تسیل القطرۃ من فی السقا الخ ( ابو داؤد۔ الترمذی ۔ ابن ماجۃ والنسائی)
অর্থঃ “হযরত বারা ইবনে আযেব (রাঃ) বলেন- আমরা জান্নাতুল বাক্বীতে কোন এক জানাযায় উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় নবী করিম (ﷺ) সেখানে এসে উপস্থিত হলেন। তিনি বসলেন। আমরাও চুপ করে বসলাম। তিনি (কবর আযাব থেকে তিনবার পানাহ্ চেয়ে) বল্লেন- যখন মোমেনবান্দার দুনিয়া ত্যাগ করে পরকালে যাত্রার সময় উপস্থিত হয়- তখন অনেক নূরানী ফিরিস্তা নেমে এসে তাঁর দৃষ্টিসীমা পর্য্যন্ত জায়গা জুড়ে বসে যায়। এরপর মালাকুত মউত এসে তাঁর শিয়রে বসে এবং বলে- “হে পবিত্র আত্মা! তুমি বের হয়ে আসো তোমার প্রভূর মাগফিরাত এবং সন্তুষ্টির দিকে। অতঃপর রূহ্ এমন সহজভাবে বের হয়ে আসে- যেমন কলসের পানি টপটপ করে নীচে পড়তে থাকে অতি সহজভাবে”। (আবু দাউদ, তিরমিযি, ইবনে মাজাহ্ ও নাসায়ী)। এটাই হলো মুমিনদের সহজ মৃত্যু। সে তখন মৃত্যুর কষ্ট টের পায় না।
একটি প্রশ্নঃ
====
এখন একটি প্রশ্ন জাগে- নবীগণের মৃত্যুযন্ত্রনা, বিশেষ করে আমাদের প্রিয় নবীর মৃত্যুযন্ত্রনার অবস্থা এইমাত্র পড়লাম। উনাদের এত কষ্ট- আর মোমেনদের কোন কষ্ট নেই- এর কারণ কী?
উত্তর হলোঃ নবী করিম (ﷺ) এরশাদ করেছেন-
اشد الناس بلاء الانبیاء فی الدنیاء ثم الامثل فالامثل ۔
অর্থাৎ “দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশী পরীক্ষা ও কষ্ট হয় নবীগণের, তারপর আউলিয়াগণের, তারপর সাধারন মোমেনগণের”।
“নবীগণ মৃত্যুর হাকিকত জানেন, তাই তাঁদের ধৈর্যক্ষমতাও বেশী। এরপর অলীগণের, এরপর মোমেনগনের”। এটা দুনিয়ার বাস্তব প্রমান। এটা তাঁদের মর্যাদার পরিপন্থী নয়। দেখুন- হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। আমাদের প্রিয়নবীকে তায়েফে, বদরে, ওহোদে কাফেররা কষ্ট দিয়েছিল। এই পরীক্ষায় উর্ত্তীন হয়ে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) হয়েছেন খলিলুল্লাহ্। আর আমাদের নবীজি হয়েছেন হাবিবুল্লাহ্। (তাযকিরাহ্ ২৯ পৃঃ)।
মুমিনরা এর শতভাগের এক ভাগও সহ্য করতে পারবেনা। তাই মৃত্যুর সময় তাঁদের কষ্ট কম হবে। মোমেনগণের দুঃখকষ্ট নবীগণ বহন করেন। রোজহাশরে সবাই জান্নাতে গিয়ে আরামে থাকবে- কিন্তু আমাদের প্রিয়নবী (ﷺ) জাহান্নামীদের চিৎকারে জান্নাত থেকে বারেবারে বের হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করে তাঁদেরকে বের করে আনবেন আল্লাহর অনুমতিক্রমে। তাহলে দেখা যাচ্ছে- হুযুরের কষ্ট সবচেয়ে বেশী। সন্তান ঘুমিয়ে থাকে- কিন্তু পিতামাতার নিদ্রা বারেবারে ঢুটে যায়- সন্তানের খেয়ালে। নবী করিম (ﷺ) এরশাদ করেছেন “আল মু’মিনু ইয়ামুতু আলা র্ইকে জাবিনিহী”। অর্থাৎ মোমেনের আলামত হলো- মৃত্যুর সময় তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম দেখা দিবে (তাযকিরাহ্)।
মোমেনদের মৃত্যুযন্ত্রনা সহজ হওয়ার আর একটি কারণ হলো- মৃত্যুর শিয়রে নবীজীর দীদার লাভ। মিশরের মহিলারা হযরত ইউসুফ (আঃ) কে দেখে বেখোদ হয়ে নিজ হাত কেটে ফেলেছিল- কিন্তু টের পায়নি। তদ্রূপ, মৃত্যুর যন্ত্রনা মোমেনরা ভুলে যাবে প্রিয় নবীজীকে দেখে। এটিও একটি কারণ। সর্বোপরি- হুযুর করিম (ﷺ) যেভাবে বলেছেন- সেটাই সত্য। এখানে কোন যুক্তির অবকাশ নেই। অপারেশনের সময় কষ্ট হয় সত্য- কিন্তু রুগী টের পায়না এনেসথেশিয়া ব্যবহারের কারণে। তদ্রূপ- মৃত্যুযন্ত্রনা হবে ঠিকই- কিন্তু মোমেনরা টের পাবে না। (আল্লাহ্! তুমি আমাদেরকে সেই সৌভাগ্য দান করো)।