প্রশ্নঃ ইউসুফ (আঃ) এর সৌন্দর্যে মিশরের নারীগণ হাত কেটেছিলেন আমাদের নবী (ﷺ) এর সৌন্দর্য্য দেখে কেউ এমনটা করেন নি কেন?
উত্তরঃ (সংকলক→ মাসুম বিল্লাহ সানি)
সূত্রঃ
কিতাবঃ আনওয়ারে মদিনা
লেখকঃ আব্দুল করিম সিরাজনগরী।
জগৎবিখ্যাত ইমাম শাহ ওলি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহঃ) বলেন, আমার শ্রদ্ধেয় পিতা শাহ আব্দুর রহিম মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহঃ) আমাকে জানিয়েছেন,
আল্লাহর হাবিব (ﷺ) ইরশাদ করেন, انا املح واخى يوسف اصبح অর্থাৎ ‘‘আমি লাল ও হলুদ বর্ণ এবং আমার ভাই ইউসুফ আলাইহিস সালাম উজ্জ্বল বা ফর্সা।’’
ইমাম শাহ আব্দুর রহিম (রহঃ) বলেন, আমি আল্লাহর হাবিব (ﷺ) এর জবান মোবারক থেকে ইহা শ্রবণ করে এর সঠিক ভাবার্থ নির্ণয় করতে অপারগ হয়ে গেলাম। এজন্য যে, ملاحت ‘মালাহাত’ বা লাল ও হলুদ বর্ণ। صباحت ‘ছাবাহাত’ বা উজ্জ্বল (ফর্সা) বর্ণ থেকে প্রেমিকের জন্য মালাহাত অধিক টেনশন ও আশক্ত হওয়ার কারণ। অথচ হাদিসশরীফ দ্বারা প্রমাণিত ইউসুফ আলাইহিস সালামের সৌন্দর্য দেখে মিশরের কতেক মহিলা তাদের হাত কেটে ফেলেছিল এবং কতেক লোক তাঁকে দেখে মৃত্যুবরণও করছিল।
অপরদিকে আমাদের নবী (ﷺ) কে দেখার পর এমন মর্মান্তিক ঘটনার কোন রেওয়ায়েত পাওয়া যায় নাই।
অতঃপর তিনি (আমার শ্রদ্ধেয় পিতা) বলেন, আমি হাবিবে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্নে দেখে এর সঠিক ভাবার্থ জানতে আরজি পেশ করলে, আল্লাহর হাবিব উত্তরে বলেন,
(فقال جمالى مستور عن اعين الناس غيرة من الله عز وجل ولو ظهر لفعل الناس اكثر مما فعلوا حين راو يوسف)
ভাবার্থ: আল্লাহতা’য়ালা আমার সৌন্দর্য মানুষের দৃষ্টি থেকে সূক্ষ্ম মর্যাদা বোধের কারণে গোপন করে রেখেছেন এবং যদি আমার এ নূর বা সৌন্দর্য প্রকাশ হয়ে যেত, তবে মানুষের অবস্থা ইউসুফ আলাইহিস সালামকে দেখে যা হয়েছিল, তার চেয়েও ভয়াবহ হতো। অর্থাৎ হুজুরের সৌন্দর্য দেখে অগণিত মানুষ প্রাণ হারাতো।’
চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেজাখাঁন বেরেলী আলাইহির রহমত কতইনা সুন্দর বর্ণনা করেছেন,
حسن یوسف پہ کٹیں مصر میں انگشت زنان
سر کٹا تے ہیں ترے نام پہ مردان عرب
আ’লা হযরত বলেন, মিশরের মহিলাগণ হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের সৌন্দর্য দেখে হাত কেটেছিল। ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) আপনার পবিত্র নামের উপরে আরবের জলিলুল কদর সাহাবায়ে কেরামগণ নিজের মাথা কাটিয়ে দিয়েছেন। (#সুবহানাল্লাহ)