যেনা ভয়ংকর শাস্তিঃ

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

রেওয়ায়েত-এ রয়েছে, যে ব্যাক্তি এমন কোন মহিলাকে কাম-উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করবে, যে মহিলা তার জন্য হালাল নয়। সে কেয়ামত দিবসে এই অবস্থায় উঠবে যে, তার হাত সে মহিলার ঘাড়ের সাথে সংযুক্ত থাকবে, আর যদি সে ঐ মহিলাকে চুম্বন দিয়ে থাকে, তাহলে তার দুই ঠোঁটকে আগুনের কাঁচি দ্বারা-কর্তন করা হবে। আর যদি সে ঐ মহিলার সাথে জিনা করে থাকে, তাহলে তার উরুদয়-কেয়ামত দিবসে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে এবং বলবে আমরা হারাম কাজের জন্য সওয়ার হয়ে ছিলাম। ইহা শুনে আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি গজবের দৃষ্টিতে দেখবেন। তখন তার চেহারার মাংস ঝরে পড়বে, সে ব্যাক্তি তার জেনার কথা অস্বিকার করে বলবে আমিতো জেনা করিনি। কিন্তু তার জবান তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে বলবে আমি সে মহিলার সাথে কথা বলেছিলাম, যে আমার জন্য হালাল ছিলোনা। তার হাত বলবে-আমরা হারামের দিকে প্রসারিত হয়েছিলাম। তার দুই চোখ বলবে, আমরা হারামের দিকে দৃষ্ট্রিপাত করেছিলাম। তার পদ-যুগল বলবে, আমরা হারামের দিকে গিয়েছিলাম। তার লজ্জা স্থান বলবে, আমি ব্যাভিচারে লিপ্ত হয়েছিলাম। তার আমল-নামা লিখক ফেরেস্তাদের একজন বলবে, আমি শ্রবণ করেছিলাম এবং অপরজন বলবে, আমি লিখেছিলাম। আল্লাহ তায়ালা বলবেন, আমি তার কাজ দেখেছিলাম এবং আমি তা গোপন রেখেছিলাম। তিনি-(আল্লাহ)-বলবেন, হে আমার ফেরেস্তারা! তাকে পাকরাও করো এবং তাকে আমার শাস্তি প্রধান করো। নিঃস্বন্দেহে তার উপর আমার শাস্তি খুবই কঠোঁর, যে আমাকে লজ্জা ও হায়া করেনা।
★ কিতাবুল কাবায়ের, পৃষ্টা-৫৯

হযরত উমর ফারুক-{রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম আলাইহি}-হযরত ক্বাআব-{রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম আলাইহি}-কে বললেন, হে ক্বাআব! আমার মৃত্যর ব্যাপারে কিছু বলো, হযরত ক্বাআব-{রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা আলাইহি}-বললেন, মৃত্য ঐ বৃক্ষের ঐ শাখার মত। যেখানে অনেক কাটাঁ রয়েছে, যদি ঐ কাটাঁময় শাখাঁটি কারো পেটে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক কাটাঁ এক একটি শিরা-উপশিরায় বিধেঁ যায় এবং কোন ব্যাক্তি শাখাঁটি খুব জোড়ে টানতে থাকে, তাহলে ঐ কাটাঁযুক্ত শাখাঁটির কাটাঁর সাথে শরীরের মাংসের কিছু অংশ নিয়ে আসবে। আর কিছু শরীরে থেকে যাবে।-

★ মুকাচ্ছাফাতুল ক্বুলুব, পৃষ্টা-১৬৮, দারুল কুত্বুবিল ইলমিয়্যা-বৈরুত

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a reply

  • Default Comments (0)
  • Facebook Comments