হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ইমাম হযরত ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাতের মর্যাদা সকল রাতের চাইতে বেশি।
———————————————————————–
হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ইমাম হযরত ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি (২২৯- ৩২১ হিজরী) তিনি বলেছেন,
ونقل الطحاوي عليه الرحمة في حواشي المختار عن بعض الشافعية أن أفضل الليالي ليلة مولده عليه الصلاة والسلام ثم ليلة القدر ثم ليلة الإسراء والمعراج ثم ليلة عرفة ثم ليلة الجمعة ثم ليلة النصف من شعبان ثم ليلة العيد
অর্থ: রাত সমূহের মধ্যে উত্তম রাত হচ্ছে পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাত, অতপর লাইলাতুল কদরের রাত, অতপর মিরাজ শরীফের রাত, অতপর আরাফার রাত, অতপর জুমুয়ার রাত, অতপর ১৫ শাবানের রাত, অতপর ঈদের রাত।”
(দলীল: স্ক্যান ক্যাপশন – তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১৯/ ১৯৪, সূরা ক্বদরের তাফসীরে)
লক্ষ্যনীয় যে ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি ১২০০ বছর আগের একজন জগৎবিখ্যাত ইমাম। সেই ইমাম তাহাবী রহতুল্লাহি আলাইহি তিনিও পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ফযিলত সকল রাতের চাইতে বেশি সেটা বলে গেছেন। উক্ত কওল হানাফী মাযহাবের অন্যতম কিতাব “রদ্দুল মুহতার” কিতাবেও আছে। এতে যা বোঝা গেলো,
প্রথমত, হযরত ইমাম তাহাবী একজন মুজতাহিদ শ্রেনীর আলেম।
দ্বিতীয়ত, এটা একটা মাযহাবের মুস্তাহিদের বক্তব্য।
তৃতীয়ত, এটা ফিকাহের কিতাবেও আছে।
সূতরাং পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাতের গুরুত্ব কতবেশি সেটা এখান থেকেই স্পষ্ট হলো। এরপরও যারা বিরোধীতা করবে আল্লাহ পাকের কাছে তাদের জন্য হিদায়েত কামনা করা ছাড়া আর কিছু করার নাই।