রাসূল (দ:)-এর এলমে গায়ব শুনলে যাদের গা জ্বলে তাদের খেদমতে

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

রাসূল (দ:)-এর এলমে গায়ব শুনলে যাদের গা জ্বলে তাদের খেদমতে
[ড: আবদুল বাতেন মিয়াজ্বি’র ফেসবুক পেজ হতে সংগৃহীত]

রাসুল ﷺ গায়েব জানেন শুনলে যাদের গা জ্বালা করে, তাদের জন্য এই পোস্ট!
==================

আল্লাহ্‌ পাক কুরআনে ৭টি বিষয় উল্লেখ করে বলেছেন, এগুলো কেবলমাত্র আল্লাহ্‌ তা’লা জানেন। এর মধ্যে কয়েকটি যেমন, কার মৃত্যু কখন ও কোন্ দেশে হবে, কিয়ামত কখন হবে, কখন বৃষ্টি হবে ইত্যাদি। তবে তাঁর এই খাস শর্তের আওতায় আঁকা হযরত ﷺ অন্তর্ভুক্ত নন। কেননা কার মৃত্যু কখন হবে, কীভাবে হবে, কোন্ দেশে হবে, তিনি তা অসংখ্য সাহাবা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) এবং বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি সম্পর্কে বলে গেছেন। এমন কি কিয়ামত পর্যন্ত কী কী ঘটবে, কারা কারা ফেতনা সৃষ্টি করবে, তাদের নাম, বাবার নাম, দাদার নামসহ বলে গেছেন।

নিচে দুটি হাদিস আপনাদের কাছে উপস্থাপন করছি।

“তুমি-ই প্রথম আহলে বাইত, যার সাথে আমার প্রথম সাক্ষাৎ হবে।” {তাফসীরে দুররে মানসূর-৮/৬০২, সূরা নসর}

সহীহ বুখারীর হাদীসে এসেছে –

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: دَعَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ فِي شَكْوَاهُ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ، فَسَارَّهَا بِشَيْءٍ فَبَكَتْ، ثُمَّ دَعَاهَا فَسَارَّهَا بِشَيْءٍ فَضَحِكَتْ، فَسَأَلْنَا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَتْ: «سَارَّنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ يُقْبَضُ فِي وَجَعِهِ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ فَبَكَيْتُ، ثُمَّ سَارَّنِي فَأَخْبَرَنِي أَنِّي أَوَّلُ أَهْلِهِ يَتْبَعُهُ فَضَحِكْتُ»

হযরত আয়শা (রা:) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূল ﷺ শেষবারের রোগকালে হযরত ফাতিমা (রা:)-কে ডেকে আনলেন এবং চুপে চুপে কিছু বললেন, তখন ফাতিমা (রা:) কেঁদে ফেললেন; এরপর রাসূল ﷺ পুনারায় তাঁকে ডেকে চুপে চুপে কিছু বললেন, তখন তিনি হাসলেন। পরে আমরা এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম; তিনি বললেন, রাসূল ﷺ যে রোগে আক্রান্ত আছেন এ রোগেই তিনি বেসালপ্রাপ্ত হবেন। এ কথাটি-ই তিনি আমাকে গোপনে বলেছেন। তখন আমি কাঁদলাম। আবার তিনি আমাকে চুপে চুপে বললেন, তাঁর পরিবার-পরিজনের মাঝে সর্বপ্রথম আমি-ই তাঁর সাথে মিলিত হবো, তখন আমি হাসলাম। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৪৪৩৩, ৪১৭০}

সংক্ষেপঃ-
১। রাসুল ﷺ নিজে কি রোগে বেসালপ্রাপ্ত হবেন, তা তিনি বলেছেন।
২। তাঁর বেসালের পর আহলে বায়েতের মধ্যে কে সর্বপ্রথম তাঁর সাথে মিলিত হবেন, অর্থাৎ, বেসালপ্রাপ্ত হবেন, তিনি তা-ও বলেছেন। কোনো কোনো বর্ণনায় ৬ মাস পর মা ফাতেমা (রা:)-এর বেসাল হবে, তা-ও বলে গেছেন।

তাহলে ঘটনা কী দাঁড়ালো? যারা বলে তিনি ইলমে গায়েব জানতেন না, জিব্রাইল যা জানাত তাই জানতেন, কিংবা আল্লাহ্‌ পাক জিব্রাইল (আ:)-এর মাধ্যমে যা জানাতেন তাই তিনি জানতেন, তাদের খেদমতে পেশ করছি – উপরোক্ত হাদিসদ্বয়ে জিব্রাইল (আ:)-এর আগমন বা তথ্য দেবার কোনো সংবাদ নেই। এ রকম অসংখ্য হাদিস রয়েছে। ইনশা’আল্লাহ্‌ সময়মতো কিছু কিছু হাদিস পোস্ট করা হবে। জাযাকাল্লাহ!

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment