এক বেদুইনের রওজা মুবারকে হাজিরা ও রওজা শরীফ থেকে আওয়াজঃ
ইমাম কুরতুবী রাহিমাহুল্লাহ তাঁর তাফসীরে বলেন, আবু সাদিক, হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুল ﷺ কে দাফন করার তিন দিন পর জনৈক বেদুইন এসে কবর শরীফে পরে মাথায় কবর শরীফের মাটি রেখে রাসুল ﷺ কে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি বলেছেন, আমরা শুনেছি,আল্লাহ আপনার উপর নাযিল করেছেন,
ﻭَﻟَﻮْ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﺇِﺫْ ﻇَّﻠَﻤُﻮﺍ ﺃَﻧْﻔُﺴَﻬُﻢْ ﺟَﺎﺀُﻭﻙَ ﻓَﺎﺳْﺘَﻐْﻔَﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﺍﺳْﺘَﻐْﻔَﺮَ ﻟَﻬُﻢُ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝُ ﻟَﻮَﺟَﺪُﻭﺍ ﺍﻟﻠﻪَ ﺗَﻮَّﺍﺑًﺎ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ .
ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ : 64
অর্থাৎ, ওরা যখন তাদের নফসের উপর যুলুম করে তখন যদি তারা আপনার দরবারে আসে, অতঃপর (আপনার ওয়াসীলা নিয়ে) আল্লাহর নিকট ক্ষমা ভিক্ষা চায় এবং রাসুলও যদি তাদের জন্য সুপারিশ করেন, তবে অবশ্যই তারা আল্লাহকে ক্ষমাকারী, মেহেরবান রূপে পাবে। (সুরা নিসাঃ৬৪)
ইয়া রাসুলাল্লাহ ﷺ! আমি আমার নিজের উপর যুলুম করেছি, আপনার দরবারে এসেছি আমার জন্য সুপারিশ করবেন।হযরত আলী রাদিয়াল্লাহ আনহু বলেন ,তখন রাওযা শরীফ
থেকে আওয়াজ আসল, “তোমাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে”। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, মুহাম্মাদ বিন উবায়দুল্লাহ
(যিনি উতবী বলে পরিচিত ছিলেন।) বলেন,এ সময় বেদুইন ব্যক্তি নিম্নের কবিতাটি পাঠ করেন,
:
1 ﻳﺎ ﺧﻴﺮ ﻣﻦ ﺩﻓﻨﺖ ﻓﻲ ﺍﻟﺘﺮﺏ ﺃﻋﻈﻤـﻪ *** ﻓﻄﺎﺏ ﻣﻦ ﻃﻴﺒﻬـﻦ ﺍﻟﻘـﺎﻉ ﻭﺍﻻﻛﻢ
2 ﻧﻔﺴﻲ ﺍﻟﻔـﺪﺍﺀ ﻟﻘﺒـﺮ ﺃﻧـﺖ ﺳﺎﻛﻨـﻪ *** ﻓﻴﻪ ﺍﻟﻌﻔﺎﻑ ﻭﻓﻴـﻪ ﺍﻟﺠـﻮﺩ ﻭﺍﻟﻜـﺮﻡ
3 ﺃﻧﺖ ﺍﻟﺤﺒﻴﺐ ﺍﻟﺬﻱ ﺗﺮﺟـﻰ ﺷﻔﺎﻋﺘـﻪ *** ﻋﻨﺪ ﺍﻟﺼﺮﺍﻁ ﺇﺫﺍ ﻣـﺎ ﺯﻟـﺖ ﺍﻟﻘـﺪﻡ
4 ﻟﻮﻻﻙ ﻣﺎ ﺧﻠﻘـﺖ ﺷﻤـﺲ ﻭﻻ ﻗﻤـﺮ *** ﻭﻻ ﺳﻤـﺎﺀ ﻭﻻ ﻟــﻮﺡ ﻭﻻ ﻗـﻠـﻢ
“হে ঐসবের শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি, কবরে শায়িত যার অস্থিঞ্জলী যার সুবাসে সুরভিত আজ নিখিল ভুমি। আপনি যার বাসিন্দা, সে কবরের তরে অধম কুরবান, পবিত্রতা, দানশীলতা আর মহত্ত্ব যেথায় রয়েছে বর্তমান”।
কবিতাটি পাঠ করে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে উনি ফিরে চলে যান। ঊবায়দুল্লাহ বলেন, আমি তখন তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ি এবং স্বপ্নে দেখি, রাসুল ﷺ আমাকে বলছেন, ‘হে উতবী, যাও, লোকটিকে জানিয়ে দাও,আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন’।
রেফারেন্সঃ
১. তাফসীরে ইবনে কাসীর। সুরা নিসা এর ৬৪ নাম্বার আয়াতের তাফসির।
২. আল কাওলুল বাদীঃ ১৫৬
৩. আল মুগনীঃ৫/৪৬৬
৪. আল আযকারঃ ২৬৪
৫. আল মাজমু’ ৮/২০২
৬. তাফসীরে কুরতুবীঃ৫/১৭২
৭. ওয়াফাউল ওয়াফাঃ৪/১৩৬১
৮. জাযবুল কুলুবঃ ২১১
এছাড়া ও আরো অনেক।
_________________________________
আমাদের আকীদাঃ
আমার রাসুল ﷺ রাওযা শরীফে জীবিত আছেন।জীবিত আছেন,
জীবিত আছেন।
আসসালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ।