রাসূল (ﷺ) এর রক্ত পান করে যারা জান্নাতি হলেন

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

নবিজী (ﷺ) এর রক্ত পান করে যারা জান্নাতি হলেন

এ ঘটনা সম্বলিত হাদিস বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত। যারা যারা রক্ত মুবারক পান করেছেন।

১.আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের (রাঃ) এর ঘটনা। [হযরত আসমা বিনতে আবী বকর (রাঃ) এবং হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণিত]

২.হযরত মালিক বিন সিনান (রাঃ) এর ঘটনা।

♦সাহাবীর রক্ত পান সম্পর্কিত ঘটনা: প্রবাহিত রক্ত পান করা হারাম-সূরা-আনআম-১৪৫) রক্ত অপবিত্র (মুসলিম শরীফ)।কিন্তু আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের (রাঃ) কর্তৃক রাসূল (ﷺ)-রক্ত পান করার ঘটনা। অতঃপর রাসূল (ﷺ) তাকে বেহেশতের সু-সংবাদ দিয়েছেন।

রেফারেন্সঃ

১. ইমাম হাকিমঃ মুস্তাদরাকে হাকেম-৩/৫৫৩

২. ইমাম বায়হাকীঃ সুনানুল কুবরা ৭/৬৭

৩. ইমাম যাহাবীঃ সিয়ারু আলামিন নুবালা-৩/৩৬৬ ৪.মাযমাউজ যাওয়াদ-৮/২৭০

৫. ইমাম হিন্দীঃ কানযুল উম্মাল-১৩/৪৬৯

৬. ইমাম সুয়ূতীঃ আল খাসায়েলুল কুবরা -২/২৫২

৭. আল-ইসাবাহ-২/৩১০

৮. ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানীঃ হিলয়াতুল আওলিয়া-১/৩৩০

৯. ফাযায়েলে আমালের উর্দু এডিশনের ১৮৮ নং পৃ:

[হযরত আব্দুল্লাহ বিন জুবাইর (রা) এবং হযরত মালেক বিন সিনান (রা) এর ঘটনা]

মুহাদ্দিসীনদের মন্তব্যঃ

১. হাফেজ নূরুদ্দীন হায়সামী (রহ) এ ঘটনাকে রাসূল (ﷺ) এঁর বৈশিষ্টের অধ্যায়ে বর্ণনা করে বলেনঃ এটি তাবারানী ও বাজ্জারের বর্ণনা। আর মুসনাদে বাজ্জারের সমস্ত বর্ণনাকারী সহীহ এর রাবী। হুনাইদ বিন কাসেম (রহঃ) ছাড়া, তবে সেও সেকা তথা গ্রহণযোগ্য রাবী।

[মাযমাউজ জাওয়েদ-৮/২৭০]

২. ইমাম বায়হাকী (রহঃ) বলেনঃ হযরত আব্দুল্লাহ বিন জুবাইর (রাঃ) কর্তৃক রাসূল (ﷺ) এঁর রক্ত পান করার ঘটনাটি হযরত আসমা বিনতে আবী বকর (রাঃ) এবং হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) থেকেও একাধিক সনদে বর্ণিত।

[সুনানুল কুবরালিল বায়হাকী-৭/৬৭]

৩. হাফেজ শামসুদ্দীন জাহাবী (রহঃ) বলেনঃ এ বর্ণনাটিকে ইমাম আবী ইয়ালা স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন, এবং লিখেছেন যে, হুনাইদ (রহঃ) বর্ণনাকারীর উপর কেউ জরাহ করেছেন বলে আমার জানা নেই। [সিয়ারু আলামিন নুবালা-২/৩৬৬]

৪. আল্লামা আলী মুত্তাকী হানাফী (রহঃ) এ ঘটনা বর্ণনা করে বলেনঃ এ বর্ণনার সকল রাবী সেকা তথা গ্রহণযোগ্য।

[কানযুল উম্মাল-১৩/৪৬৯]

হযরত মালিক বিন সিনান (রাঃ) কর্তৃক রাসূল (ﷺ) এঁর রক্ত পানের ঘটনা নিম্নবর্ণিত কিতাবে বর্নিত।

১. হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী শাফেয়ী (রহঃ) এ ঘটনাটি ইবনে আবী আসেম, বাগবী, সহীহ ইবনুস সুকুন এবং সুনানে সাঈদ বিন মানসুরের হাওয়ালায় নকল করেন।

[আল ইসাবাহ-৩/৩২৫, মিশর থেকে প্রকাশিত]

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment