কিতাবঃ সালাফীদের জবাবে কালিমায়ে তাইয়্যেবাহঃ ফতহুল বারি

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

ফতহুল বারি
➖➖➖
হাফিয     ইবনে    হাজার   আসকালানী   রহমতুল্লাহি   আলাইহি বুখারিশরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ ‘ফতহুল বারি’ কিতাবে ‘কিতাবুত তাফসির’    অধ্যায়ে    ৪৫৯১    নং    হাদিসের    অধীনে    একটি  রেওয়ায়েত   বর্ণনা    করেছেন।   বুখারির    মূল   হাদিসটি    হল এভাবে-

عن ابن   عباس  رضى     الله عنه  ( ولا تقولوا لمن  القى  اليكم السلام لست مؤمنا)  قال ابن عباس كان رجل فى  غنيمة له فلحقه المسلمون-

فقال السلام   عليكم-  فقتلوه واخذوا  غنيمته فانزل  الله فى ذلك الى قوله (غرض الحياة الدنيا)

অর্থ:  হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু  থেকে বর্ণিত আল্লাহর বাণী যে তোমাদেরকে  সালাম  করে   তাকে  বল না যে তুমি মুসলমান নও। (নিসা ৯৪)

অতঃপর   ইবনে   আব্বাস    রাদিয়াল্লাহু    আনহু   বলেন-   এক ব্যক্তির কিছু ছাগল ছিল। অতঃপর মুসলমানগণ তার   সাথে সাক্ষাত করলে সে বলল- ‘আস সালামু আলাইকুম’ অতঃপর তারা    তাকে  হত্যা   করে তার ছাগলগুলো নিয়ে নিলেন।  এ প্রসঙ্গে     আল্লাহতা’য়ালা    উক্ত     আয়াত    অবতীর্ণ     করলেন। (পার্থিব সম্পদের লালসায়) পর্যন্ত।

উক্ত        হাদিসের        ব্যাখ্যায়        ইবনে       হাজর       আসকালানী   রহমতুল্লাহি আলাইহি আরো একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। হাদিসটি নিম্নরূপ-

واخرجه  عبد بن  حميد  من طريق  قتادة  نحوه   واللفظ للكلبى ان   اسم  المقتول  مرادس   بن   نهيك   من  اهل  فدك-   وان  اسم  القاتل  اسامة  بن  زيد  وان  اسم  امير  السرية  غالب  بن  فضالة  الليثى-   وان   قوم   مرادس   لما   انهمزموا   بقى   هو   وحده   وكان  ألجأغنمه بجبل- فلما لحقوه قال لا اله الا الله محمد  رسول الله السلام   عليكم- فقتله اسامة بن زيد- فلما رجعوا نزلت الاية  وكذا اخرج الطبرى من طريق السدى نحوه-

অর্থ:  আব্দ   বিন   হুমাইদ  কাতাদাহ   সূত্রে   বর্ণনা   করেছেন। তবে এখানকার  শব্দগুলো হল   কালবীর বর্ণনা সূত্রে। নিহত ব্যক্তির  নাম হল মুরাদিস বিন  নুহাইক।  সে ফদক  গোত্রের  লোক ছিল।  আর হত্যাকারীর   নাম হল উসামা  বিন  যায়দ। উক্ত  অভিযানের আমির ছিলেন গালিব  বিন ফুদালাহ    আল লাইছি।     অতঃপর      যখন     মুরাদিসের     সম্প্রদায়ের      উপর  আক্রমণ   করা হল  তখন   সে একাকী হয়ে  পড়ল। সে তখন ছাগলগুলো   নিয়ে   পাহাড়ের   পার্শে¦  অবস্থান   করল।   যখন  তার  উপর  আক্রমণ  করা  হল  তখন  সে  বলল-  ‘লা  ইলাহা  ইল্লাল্লাহু  মুহাম্মাদুর  রাসূলুল্লাহ’-   আস    সালামু   আলাইকুম। অতঃপর উসামা বিন  যায়দ তাকে হত্যা করলেন। অতঃপর যখন  তারা  অভিযান  থেকে প্রত্যবর্তন  করলেন    তখন উক্ত আয়াতটি    নাযিল   হয়।     ইমাম   তাবারি   সুদ্দির   বর্ণনা   সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

এমনিভাবে হাফিজ   ইবনে হাজার  আসকালানী রহমতুল্লাহি  আলাইহি   فتح   البارى   কিতাবে  ‘কিতাবুল   মাগাযী’   অধ্যায়ে ৪২১০   নং   হাদিসের    ব্যাখ্যায়    আরো    একটি   রেওয়ায়েত উল্লেখ করেছেন-

روى  احمد والترمذى من حديث ابن عباس   كانت راية  رسول الله صلى  الله عليه  وسلم-  سوداء    ولؤلؤه ابيض-  ومثله  عند  الطبرانى   عن   بريدة   وعند   ابن   عدى    عن     ابى    هريرة   وزاد  مكتوبا فيه لا اله الا الله محمد رسول الله

অর্থ:    ইমাম    আহমদ    ও    ইমাম    তিরমিজি    হযরত    ইবনে  আব্বাস    রাদিয়াল্লাহু      আনহু    থেকে     বর্ণনা    করেছেন     যে, (খায়বর   যুদ্ধে)  রাসূলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু    আলাইহি  ওয়াসাল্লাম এর পতাকাটি ছিল কালো রঙের এবং এর মোতি ছিল সাদা রঙ বিশিষ্ট।

ইমাম   তাবারী   হযরত   বুরায়দা    থেকে   এবং    ইবনে    আদি হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।  তারা  অতিরিক্ত  বর্ণনা  করেছেন,  সেখানে  লিখা  ছিল   ‘লা  ইলাহা  ইল্লাল্লাহু  মুহাম্মাদুর   রাসূলুল্লাহ’।   (৭ম  খ- ৫৪৫ পৃষ্ঠা)

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment