দৈনন্দিন দোয়া
◾দোয়া কবুলের জন্য যে কোন সময় এ দোয়া পাঠ করা:
اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً
উচ্চারন: আল্লাহু আকবার কাবীরা, ওয়াল হামদু লিল্লাহি কাছীরা ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতান ওয়া আসীলা
অর্থ: আল্লাহ মহান, অতি মহান, আল্লাহ তাআলার জন্য অনেক অনেক প্রশংসা এবং সকাল-সন্ধ্যা আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। (মুসলিম, তিরমিজী ৩৯৪১)
◾আমাদের ইবাদাত সুন্দর ও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রতি নামাজ শেষে এই দোয়া পাঠ করা যায়:
اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ، وَشُكْرِكَ، وَحُسْنِ عِبادَتِكَ
উচ্চারন: আল্লাহুম্মা আ ই’ন্নী আ’লা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হু’সনি ইবাদাতিকা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার স্মরণ, তোমার কৃতজ্ঞতা এবং তোমার সুন্দর ইবাদত করার ব্যাপারে আমাকে সাহায্য কর।” (আবু দাউদ ১/২১৩, নাসায়ী, ইবেন হিব্বান, হাদীস সহীহ)
◾দুই সিজদার মাঝে এ দোয়া পাঠ করা:
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِنِي، وَاجْبُرْنِي، وَعَافِنِي، وَارْزُقْنِي، وَارْفَعْنِي
উচ্চারন: আল্লাহুম্মাগ ফিরলি, ওয়ার হামনী, ওয়াহদীনি, ওয়া আফিনী, ওয়ার-ঝুকনী
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমায় মাফ কর, আমাকে রহম কর, আমাকে হেদায়েত দান কর, আমাকে শান্তি দান কর এবং আমাকে রিজিক দাও| (মুসলিম, মিশকাত পৃঃ ৭৭ হা/ ৮৯৩)
◾তাশহুদ শেষে এই দোয়া পাঠ করা:
اَللَّهُـمَّ إِنيِّ أَعوُذُ بِكَ مِنْ عَذاَبِ جَهَنَّمَ،وَمِنْ عَذاَبِ الْقَبْرِ وَمِنْ فِتْـنَةِ الْمَحْياَ وَالْمَماَتِ وَمِنْ فِتْـنَةِ الْمَسيِحِ الدَّجاَّلِ
উচ্চারন: আল্লাহুম্মা ইন্নি আ’উযুবিকা মিন আযাবি জাহান্নাম ওয়া আ’উযুবিকা মিন আযাবিল ক্ববর ওয়া আ’উযুবিকা মিন ফিতনাতিল মা’হয়া ওয়াল মামাত ওয়া আ’উযুবিকা মিন ফিতনাতি মাসিহিদ দাজ্জাল। (সহীহ মুসলিম ও মিশকাত। হাদীস নং- ৯৪০-৪১)
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে জাহান্নামের আযাব থেকে মুক্তি দান করুন। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ববরের আযাব থেকে মু্ক্তি দান করুন। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে জীবন মৃত্যুর কঠিন ফিতনা থেকে মুক্তি দান করুন। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাসিহি দাজ্জালের ফিতনা থেকে মুক্তি দান করুন।
◾মা আয়েশা নবী করিম (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করেন: হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমি লাইলাতুল কদর লাভ করি, তাহলে কি দুআ’ করবো? তিনি (ﷺ) বলেন: বলবে,
اللهم إنك عفو تحب العفو فاعفو عنى
উচ্চারন: “আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল্ আফওয়া ফা’ফু আন্নী”। [আহমদ,৬/১৮২]
অর্থ: “হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল। ক্ষমা পছন্দ কর, তাই আমাকে ক্ষমা কর”