উত্তর: বান্ধবীর পিতা নিজের পিতা নয় বিধায় বান্ধবীর পিতার সাথে কোন মহিলার (প্রাপ্ত বয়স্ক) এভাবে কোলাকুলি করার ইসলামী শরীয়তে অনুমতি নাই। এ ধরনের আচরণ অনেক সময় গুনাহ্-নাফরমানীর দিকে ধাবিত করে- এ জাতীয় অবাধ আচরণে পশ্চিমা দেশে জেনা-নাফরমানী- সীমা অতিক্রম করেছে। তাই ইসলাম নারী জাতীর মান-সম্মান, ইজ্জত, আবরু রক্ষার জন্য শালীন আচরণ ও পর্দা-পুশিদার বিধান প্রদান করেছে। এটা না বুঝে যদি কোন মহিলা/পুরুষ এ কথা বলে- ‘এই যদি ইসলামের বিধান হয় তবে আমি এ ইসলাম মানি না।’ তাকে প্রথমে ইসলামের আদর্শ মর্মবাণী ও তাহজীব তামাদ্দুন বুঝাতে হবে এবং ইসলাম নারী জাতীর মর্যাদা ও সম্মান কত উচুঁ করেছে তা জানাতে হবে। তবে কোন মুসলিম নর-নারী জেনে শুনে বুঝে ইসলামকে কটাক্ষ করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের উক্তি করে তখন ঈমান থেকে বের হয়ে যাবে। খালিস নিয়তে পরম করুণাময় আল্লাহ্ তা‘আলার দরবারে লজ্জিত হয়ে তাওবা করতে হবে। নতুবা ঐ ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর মা-বাবার সম্পত্তির মিরাছ/তর্কা পাবে না। এবং মা-বাবা ও ভাই-বোনের সাথে ঈমানী সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: এক মেয়েকে তার বান্ধবীর বাপের সাথে পুরুষের ন্যায় কোলাকুলি করতে দেখে তাকে ভদ্রভাবে মোহরেম/গায়রে মোহরেম, মেয়েদের হিজাব ইত্যাদি ব্যাপারে বুঝালে সে উত্তরে বলে- ‘এই যদি ইসলামের বিধান হয় তবে আমি এ ইসলাম মানি না।’ এ অবস্থায় মেয়েটি কি মুরতাদ হবে? যদি হয় তবে তার মা/বাবা, ভাই-বোনদের সাথে সম্পর্ক কিরূপ হবে? সে কি মা/বাবার সম্পত্তিতে মিরাছের অধিকারী হবে?
পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।