উত্তর: মুসলিম মহিলাদের জন্য পর্দা সহকারে ঘরের ভিতরে নামায আদায় বেশি প্রিয় অত্যন্ত ফজিলতময় এবং তাদের ইজ্জত-আবরু রক্ষার জন্য বড়ই উপকারী। তবে হজ্জ এবং উমরার ক্ষেত্রে আলাদা/ভিন্ন কথা। এ মহিলা বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু-এর নিকট মসজিদে হাযির হয়ে নামাযে জুমা আদায় প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি তদুত্তরে বলেন-ما مصلّى لامرأةِ مِنْ خير بَيْتِهَا-
অর্থাৎ- মহিলাদের জন্য সর্বোত্তম নামায হলো যা ঘরে তার খাস কামরায় আদায় করা হয়। বর্তমান ফিতনার জমানায় নাজুক অবস্থায় মা-বোনদের জন্য মসজিদে গমন করে পুরুষদের সাথে জামআত আদায় করা নিষেধ। যেহেতু ফিতনা-ফ্যাসাদ হতে বেঁচে থাকা নেহায়ত অপরিহার্য বিষয়।
এ প্রসঙ্গে ফতোয়ায়ে সিরাজিয়ায় উল্লেখ আছে-اما فى زماننا فلا تحضر الا ناث المساجد– অর্থাৎ- অবশ্যই বর্তমান আমাদের সময় মহিলারা মসজিদে হাযির বা উপস্থিত হবে না। ফতোয়ায়ে দুররুল মুখতারে আল্লামা আলাউদ্দীন খাচকপি হানাফী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি বর্ণনা করেন- يكره حضورهن الجماعة ولو لجمعة وعيد على المذهب المفتى به لفساد الزمان-
অর্থাৎ- মহিলাদের জন্য পুরুষদের সাথে পঞ্জেগানা নামাযের জামাত, জুমা ও ঈদের জামাতে হাযির হওয়া ফিতনা-ফ্যাসাদের কারণে মাকরূহে তাহরিমা। এটা হানাফী মাযহাবের চূড়ান্ত ফতোয়া বা ফয়সালা।
কিতাবুল হেদায়ার প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যা গ্রন্থ ফাতহুল ক্বদিরে ইমাম ইবনুল হুম্মাম হানাফী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি বলেন-
بل عمم المتاحرون المنع للعجائز والشّواب فى الصلوات كلها لغلبة الفساد فى سائر الاوقات-
অর্থাৎ- পরবর্তী হানাফী ফক্বিহগণ যুবতী ও বয়স্ক সকল মহিলাদের জন্য ফ্যাসাদের আশংকা বেড়ে যাওয়ার কারণে সর্বাবস্থায় প্রত্যেক নামাযের জামাতে বের হওয়াকে নিষেধ করেছেন। এ প্রসঙ্গে মাসিক তরজুমান জিলহজ্ব- ১৪৩৭ হিজরী, সেপ্টেম্বর-২০১৬ ইংরেজী সংখ্যা ৬৩ পৃষ্ঠায় বিস্তারিত নির্ভরযোগ্য প্রমাণ ও দলিল সহ বর্ণনা করা হয়েছে। তা সংগ্রহ করে জেনে নেওয়ার অনুরোধ রইল।
প্রশ্ন: কিছু দিন পূর্বে পরপর ২টি মসজিদে দেখতে পেয়েছি জামাতের পর বারান্দায় পুরুষের কাতারের সমানে ও পেছনে ২/১ মহিলা নামায আদায় করছে। যা দেখতে মসজিদের পরিবেশের আদবের বিপরীত মনে হলো। প্রশ্ন হলো, এভাবে নামায আদায় করা মহিলাদের জন্য শরীয়তে আছে কিনা? জানালে উপকৃত হবো।
পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।