আয়াত ১ :
فكيف اذا جءنا من كل امة بشهيد وجءنا بك على هؤلاء شهيدا –
অতপর ঐ দিনের কি অবস্থা হবে, যখন আমি প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করবাে এবং (হে হাবীব!) আমি আপনাকে তাদের সাক্ষীরূপে উপস্থিত করবাে?
_______________
সুরা নিসা, ৪/৪১
আয়াত ২ :
وما أرسلنا من رسول إلا ليطاع بإذن الله، ولو أنهم إذ ظلموا انفسهم جاءوك فاشتغفروا الله واستغفر لهم الرسول لوجدوا الله توابا رحيما-
আমি রাসূল এ উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেছি যে, আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে তাঁর আনুগত্য করা হবে আর (হে হাবীব!) যদি ঐ সকল লােক যারা নিজেদের আত্মার উপর জুলুম করে এবং আপনার সমীপে আসলে ও আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করলে আর রাসূলও তাদের জন্য ক্ষমা চাইলে তবে তারা (ঐ ওসীলা এবং শাফআতের কারণে) অবশ্যই আল্লাহকে তাওবা কবূলকারী ও পরম দয়ালুরূপে পাবে।
_______________
সুরা নিসা, ৪/৬৪
আয়াত ৩ :
وما كان الله ليعذبهم وانت فيهم – وما كان الله معذبهم وهم يستغفرون –
আর প্রকৃত কথা হচ্ছে এই, আল্লাহর এ শান নয় যে, তাদেরকে শাস্তি দিবেন অথচ (হে হাবীব) আপনি তাদের মধ্যে (উপস্থিত) থাকবেন।
এবং আল্লাহ এমনও নন যে, তারা ক্ষমা প্রার্থনা করবে অথচ তিনি তাদেরকে শাস্তি দিবেন।
___________________
সুরা আনফাল, ৮/৩৩
আয়াত ৪ :
ويوم نبعث فى كل امة شهيدا عليهم من أنفيهم، وچءنا بك شهيدا على هؤلاء، ونزلنا عليك الكتب تبيانا لكل شىء وهدى ورحمة وبشرى للمسلمين –
আর (এটা) ওই দিন হবে (যখন) আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্য থেকে স্বয়ং তাদের জন্য একজন স্বাক্ষী উঠাবাে। আর (হে প্রিয় হাবীব) আমি আপনাকে ঐ সকলের (উম্মত এবং নবীগণের) জন্য স্বাক্ষী বানাবাে। এবং আপনার উপর আমি ওই মহান কিতাব অবতীর্ণ করেছি যা প্রত্যেক কিছুর সুস্পষ্ট বিবরণ, মুসলমানদের জন্য হেদায়ত, রহমত ও সুসংবাদস্বরূপ।
_________________
সূরা নাহল, ১৬/৮৯
আয়াত ৫ :
النبى أولى بالمؤمنين من أنفسهم وأزواجه أمهاتهم –
এ (সম্মানিত) নবী মু’মিনদের নিকট তাদের প্রাণের চেয়ে বেশি নিকটে। এবং তাঁর (পবিত্র) স্ত্রীগণ তাঁদের মাতা।
_________________
সূরা আহযাব, ৩৩/৬
আয়াত ৬ :
ولا تقولوا لمن يقتل فى سبيل الله أموت، بل أحياء ولكن لا تشعرون –
এবং যে-সব লােক আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে মৃত বলাে না (তারা মৃত নয়) বরং তারা জীবিত, কিন্তু তােমাদের (তাদের জীবন সম্পর্কে) অনুভূতি নেই।
__________________
সূরা বাকারা, ২/১৫৪
আয়াত ৭ :
ولا تحسبن الذين قتلوا فى سبيل الله أمواتا، بل أحياء عند ربهم يرزقون – (١٦٩)
فرحين بما ءاتاهم الله من فضله ويستبشرون بالذين لم يلحقوا بهم من خلفهم ألا خوف عليهم ولا هم يحزنون (١٧٠)
আর যে-সব লােক আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে মৃত বলে অনুমানও করাে না বরং তারা আপন রবের কাছে জীবিত, তাদেরকে (জান্নাতের নেয়ামত দ্বারা) রিজিক দেয়া হয়।
তারা (চিরস্থায়ী জীবনে) ঐ নেয়ামতসমূহে আনন্দিত থাকে, যা আল্লাহ তাদেরকে স্বীয় করুণা দ্বারা দান করেন এবং তাতেও (আনন্দ প্রকাশ করে) যাদের সাথে এখনাে পর্যন্ত মিলিত হয়নি (তাদের ঈমান ও আনুগত্য দেখে)। কারণ তাদের না কোন ভয় হবে, না তারা দুঃখিত হবে।
_______________________
সূরা আলে ইমরান, ৩/১৬৯-১৭০