হিংসা এবং লোভ হলো চোখের ছানির মতো, যতো বাড়ে ততোই বিবেকের চোখ অন্ধ হতে থাকে! হিংসা এমন এক ব্যাধি যা শুধুমাত্র মনের ই নয় দেহেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। বলা হয় যে, হিংসুক লোকের কোন বিশ্রাম (ঘুম) নেই ও সে বন্ধুর লেবাসে একজন শক্র । হিংসারোগ সম্বন্ধে ঠিকই বলা হয় যে, এটা কম পক্ষে একটা ভয়; কেননা, এটা হিংসুককেই প্রথমে হত্যা করে (অর্থাৎ হিংসা হিংসুককে তিলে তিলে ধ্বংস করে।
▪ রাসূলুল্লাহ্ ﷺ ইরশাদ করেছেন – “কোন বান্দার অন্তরে ঈমান ও হিংসা একত্রিত হতে পারে না।
– নাসাঈ, হাদিস নং ৩১০৯। সনদ – হাসান
▪ হযরত মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু বলেন – “সকল মানুষকে আমি খুশী করতে সক্ষম, কেবল হিংসুক ব্যতীত। কেননা, সে অন্যের নিয়ামত দূর না হওয়া পর্যন্ত খুশী হয় না।” – ইবনু আসাকির, তারিখু দিমাশক, ৫৯/২০০
▪ হযরত হাসান আল বাসরি রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
“হিংসুকের চেয়ে বড় কোন যালেমকে আমি দেখিনি, যে নিজেই মাযলূমের মতো (অত্যাচারিত)। কেননা সে বেঁচে থাকে, অথচ দুঃখ তার অবশ্যম্ভাবী এবং দুশ্চিন্তা তার অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী।” – ইবনু আব্দি রাব্বিহি, আল-ইক্বদুল ফারিদ, ২/২৭০
▪ হযরত আবু হাতেম দারেমী রাহিমাহুল্লাহ বলেন –
“জ্ঞানীর উপর ওয়াজিব হলো, সর্বাবস্থায় সে হিংসা থেকে দূরে থাকবে। কেননা, হিংসার সবচেয়ে নীচু স্তর হলো, তাক্বদিরের উপর সন্তুষ্টি পরিত্যাগ করা এবং আল্লাহ স্বীয় বান্দার জন্য যা নির্ধারণ করেছেন তার বিপরীত কামনা করা।” – আবু হাতেম দারেমী, রওযাতুল উক্বালা, পৃষ্ঠা : ১৩৪
▪ হযরত ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সিরিন রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
“আমি কোনদিন কোন বিষয়েই কাউকে হিংসা করিনি যদি কোন মানুষ জাহান্নামের পথে এগিয়ে চলে, আমি কেবল দুনিয়াবি কিছু বিষয় নিয়ে কীভাবে তাকে হিংসা করতে পারি যখন তার শেষ ঠিকানা জাহান্নামের দিকে? আর কেউ যদি জান্নাতের পথে এগিয়ে চলে, একজন জান্নাতি মানুষের ব্যাপারে আমি কীভাবে হিংসা পোষণ করতে পারি যখন স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা নিজেই তার উপরে খুশি?” – আবু বাকর আল-দাইনুরি, আল-মুজাসালাহ ওয়া জাওয়াহির আল-‘ইলম, ২৯৩১





Users Today : 298
Users Yesterday : 767
This Month : 14720
This Year : 186591
Total Users : 302454
Views Today : 27252
Total views : 3603995