বিদায় হজ্জ ১ম পর্ব

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

বিদায় হজ্জ্বের ঘটনা (৬৩৩ খৃ/ ১০ হিঃ)

الۡيَوۡمَ اَكۡمَلۡتُ لَكُمۡ دِيۡنَكُمۡ وَاَتۡمَمۡتُ عَلَيۡكُمۡ نِعۡمَتِىۡ وَرَضِيۡتُ لَكُمُ الۡاِسۡلَامَ دِيۡنًا*
আজ আমি তোমাদের জন্য দ্বীনকে সম্পূর্ণ করলাম, তোমাদের উপর আমার নেয়ামত পূর্ণ করে দিলাম, আর ইসলামকে তোমাদে দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। (সূরা মায়েদাঃ ৩)
এখানে উল্লেখ্য যে, মক্কা বিজয়ের পর ইসলামি যুগের প্রথম হজ্জ ৮ম হিজরীতে প্রাচীন রীতিনীতিতেই উদযাপিত হয়। পরে নবম হিজরীতে দ্বিতীয় হজ্জ মুসলমানদের নিজেদের রীতিনীতি অনুযায়ী সম্পন্ন করেন, আর মুশরিকরা তাদের রীতি নীতি অনুসারে করে। তখন (৯ম হিঃ) হজ্জ সমাপনের জন্য নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হযরত আবু বকর (রাঃ)-কে আমীরে হজ্জ করে মক্কায় পাঠান এবং তিনি রওনা হয়ে যাওয়ার পর সূরা তাওবার (প্রথমাংশের আয়াতগুলো) بَرَآءَةٌ বা সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষনা বর্ণিত বাণী নাযিল হয়। এবং সে ঘোষণা বাণী নিয়ে হযরত আলী (রাঃ)-কে পিছনে পাঠান। এরপর দশম হিজরীতে খাঁটি ইসলামী আর্দশ অনুসারে হজ্জ উদযাপিত হয়। আর তাই হচ্ছে প্রখ্যাত বিদায় হজ্জ। প্রথম দু’হজ্জে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম) মক্কা গমন করেননি তৃতীয় হজ্জকালে শিরকের নাম চিহ্ন উৎপাটিত হয়ে গেলে তিনি হজ্জে যাত্রা করেন।

পরবর্তী পর্বঃ  বিদায় হজ্জের ঘটনার সূত্রপাত।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a reply

  • Default Comments (0)
  • Facebook Comments