ইসলামী ধ্যান-ধারনা চরিত্র গঠনের গুরুত্ব এবং আখলাকে হাসানা অর্জনে ইসলামের ভূমিকা
ইসলাম মানবচরিত্রকে সুন্দরভাবে গঠন করার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করে থাকে।
আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ ছিলেন উত্তম চরিত্রের আদর্শস্বরুপ।
তিনি একটি অসভ্য সমাজকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুসভ্য সমাজে পরিণত করেছিলেন কেবলমাত্র সুন্দর চরিত্রের ইসলামি সেই ব্যক্তিকে সবচেয়ে সম্মানিত করেছে যার ভিতর স্বচ্চরিত্রের মূল তাকওয়া বিরাজমান থাকবে।
এই ব্যাপারে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা’য়ালা বলতেছেন,
তোমাদের ভিতর ঐ ব্যক্তি সবেচেয়ে সম্মানিত যার ভিতর তাকওয়া সবচেয়েবেশী।”[হুজুরাতঃ১৩]
তাছাড়া আল্লাহ পাক এই পৃথিবীতে রাসুলে আকরাম ﷺ কে শ্রেষ্ঠ নবী, শ্রেষ্ট মানব হিসেবে প্রেরণ করেছেন,
যার ভিতর একবারে কলংমুক্ত উত্তম চরিত্র ছিল এবং তারই চারিত্রিক গুণাবলীর দ্বারা তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষদের ভাল মানুষে পরিণত করেন।
তাই মুসলিম হিসেবে সকলের উচিৎ রাসুলে পাক ﷺ এর আদর্শকে অনুসরণ করা।
তাই আল্লাহ পাক বলেন,
এবং নিশ্চয় আপনি (রাসুল ﷺ) মহান চরিত্রের উপর অধিষ্ঠিত।” [কালামঃ৩]
যারা আল্লাহকে ভয় করে এবং আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে আপনি (রাসুল ﷺ) তাদের জন্য উত্তম চরিত্রের নমুনাস্বরুপ।[আহযাবঃ২১]
তাছাড়া রাসুল ﷺ কে কুরআনুল কারীমে রহমাতুললীল আলামীন বলা হয়েছে।
অর্থাৎ তারই অনুসরণের দ্বারা বিশ্বশান্তি তথা নৈতিকতা স্থাপন করা সম্ভবপর।
আমি আপনাকে সারা বিশ্বের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি। [আম্বিয়াঃ১০৭]
সুতরাং যারাই রাসুল ﷺ এর অনুসরণ অনুকরণ ছেড়ে দিবে তারাই পথভ্রষ্ট হবে।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে উত্তম চরিত্রবান হওয়ার তৌফিক দান করুক।