মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাঃ কিতাবুল ফিতান (হাদিস ১-৪০)
হাদিস – ১
আব্দুর রহমান বিন আবদু রাব্বিল কাবা বলেছেন:
আমি আব্দুল্লাহ বিন উমর রা: এর কাছে এলাম, উনি কাবার ছায়ায় বসে ছিলেন
উনার চারদিকে অনেক মানুষ জমেছিলো।
একবার আমরা রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সংগে সফরে ছিলাম
একটা মনজিলে থামার পরে, আমাদের মাঝে কেউ তাবু টাংগানো আরম্ভ করলো, কেউ তীর চালনা প্রতিযোগিতা আরম্ভ করলো, কেউ বা জন্তুগুলো নিয়ে দৌড় আরম্ভ করলো।
এই অবস্থায় একজন ডাক দিলেন, “আসসালাতু জামিয়া”। আমরা শুনে সবাই একত্রিত হলাম।
তখন রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন, আমার আগের সব নবী উম্মতদের বলে দিয়ে গিয়েছেন কোনটা তাদের জন্য ভালো, আর কোনটা তাদের জন্য খারাপ। এটা জানানো ছিলো তাদের উপর আল্লাহর হক।
এই উম্মতের প্রথম যুগের মানুষেদের সঠিক পথে রাখা হবে। আর শেষ যুগের মানুষদের উপর বিপদাপদ এবং তারা যা অপছন্দ করে সেগুলো আসবে।
এর পর ফিতনা এত বাড়বে যে মু’মিন বলবেন “এটাতে আমি ধ্বংশ হয়ে যাবো”
এর পর ফিতনা চলে যাবে।
এর পর ফিতনার আবার বাড়বে।
মু’মিন বলবে “না, বরং এবার।”
তোমাদের মাঝে যে চায় আগুন থেকে বাচতে এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে, সে যেন আল্লাহ আর আখিরাতের উপর বিশ্বাস রেখে মৃত্যু বরন করে। এবং নিজে যেটা পেতে পছন্দ করে, সেটা যেন মানুষের জন্য পছন্দ করে।
যে লোক কোনো ইমামকে বায়াত দিলো তার হাত ও অন্তর দিয়ে, সে যেন তার আদেশ পালন করে যতটুকু পারে। এবং অন্য কেউ এসে চ্যলেঞ্জ করলে তোমরা তার ঘাড়ে আঘাত করবে।”
আমি মানুষের মাঝ থেকে মাথা বের করে জিজ্ঞাসা করলাম, “আমি আল্লাহ নামে জিজ্ঞাসা করছি। আপনি কি এটা রাসুলুল্লাহ ﷺ থেকে শুনেছেন?”
উনি উনার দু হাত দিয়ে উনার কান দেখালেন এবং বললেন, “আমি এই দুই কান দিয়ে শুনেছি এবং অন্তর দিয়ে খেয়াল করেছি।”
আমি বললাম, “আমি হলাম আপনার চাচার ছেলে। আমাদের বলুন নিজেদের মাল অবৈধ ভাবে খাওয়া আর নিজেদের হত্যা না করার ব্যপারে। যেমন আল্লাহ বলেছেন — তোমরা তোমাদের মাল নিজেরা অবৈধ ভাবে ভোগ করো না, এবং ভোগ করার জন্য বিচারকের কাছে নিয়ে যেও না’…” সুরা বাকার ১৮৮ নং আয়াত তিলওয়াত করলেন শেষ পর্যন্ত।
উনি দুই হাত একত্র করলেন এবং মুখের উপর রাখলেন। এর পর হাত কিছুটা নামিয়ে বললেন: “আল্লাহর অনুসরনের ক্ষেত্রে তাদের বাধ্য হবে। আর আল্লাহর অবাধ্যতার ক্ষেত্রে তাদের অবাধ্য হবে।”
আব্দুল্লাহ বিন উমার রা: রাসুলুল্লাহ ﷺ থেকেও একই কথা বর্ননা করেছেন। তিনি যোগ করেছেন “এই উম্মতের শেষ যুগে একের পর এক ফিতনা দেখা যাবে যার পরেরটা আগেরটার থেকে বড় হবে।”
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪১১ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤١١
حدثنا أبو عبد الرحمن قال حدثنا أبو بكر عبد الله بن محمد بن أبي شيبة قال : حدثنا أبو معاوية عن الاعمش عن زيد بن وهب عن عبد الرحمن بن عبد رب الكعبة ، قال انتهيت إلى عبد الله بن عمرو وهو جالس في ظل الكعبة والناس عليه مجتمعون ، فسمعته يقول : بينما نحن مع رسول الله (ص) في سفر إذ نزلنا منزلا ، فمنا من يضرب خباءه ، ومنا من ينتضل ، ومنا من هو في جشره إذ نادى مناديه : الصلاة جامعة ، فاجتمعنا ، فقام النبي (ص) فخطبنا فقال : (إنه لم يكن نبي قبلي إلا كان حق الله عليه أن يدل أمته على ما هو خير لهم ، وينذرهم ما يعلمه شرا لهم ، وإن أمتكم هذه جعلت عافيتها في أولها ، وإن آخرها سيصيبهم بلاء وأمور تنكرونها ، فمن ثم تجئ الفتنة ، فيقول المؤمن : هذه مهلكتي ثم تنكشف ثم تجئ الفتنة ، فيقول المؤمن : هذه ، ثم تنكشف ، فمن سره منكم أن يزحزح عن النار ويدخل الجنة فتدركه منيته وهو يؤمن بالله واليوم الآخر ، وليأت إلى الناس الذي يحب أن يأتوا إليه ، ومن بايع إماما فأعطاه صفقة يده وثمرة قلبه فليطعه ما استطاع ، فإن جاء آخر ينازعه فاضربوا عنق الآخر) ، قال : فأدخلت رأسي من بين الناس ، فقلت : أنشدك بالله ! أسمعت هذا من رسول الله (ص) ؟ قال : – فأشار بيديه إلى أذنيه فقال : فسمعته أذناي ووعاه قلبي ، قال : قلت : هذا ابن عمك ، يأمرنا أن نأكل أموالنا بيننا بالباطل وأن نقتل
أنفسنا ، وقد قال الله : * (لا تأكلوا أموالكم بينكم بالباطل وتدلوا بها إلى الحكام) * – إلى آخر الآية ، قال : فجمع يديه فوضعهما على جبهته ثم نكس هنيهة ، ثم قال أطعه في طاعة الله ، واعصه في معصية الله.
حدثنا وكيع قال حدثنا الاعمش عن زيد بن وهب عن عبد الرحمن بن عبد رب الكعبة عن عبد الله بن عمرو عن النبي (ص) بمثله إلا أن وكيعا قال : (وسيصيب آخرها بلاء وفتن يرقق بعضها بعضا ، وقال : (من أحب أن يزحزح عن النار ويدخل الجنة فلتدركه منيته) – ثم ذكر مثله.
* (لا تأكلوا أموالكم بينكم) * سورة البقرة من الآية (188).
হাদিস – ২
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪১২ ]
___________________________________
পাথরের উপর আঘাত হানবে তলোয়ার ভোতা করে ফেলার জন্য।
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤١٢
حدثنا وكيع عن عثمان الشحام قال حدثنا مسلم بن أبي بكرة عن أبيه قال : قال رسول الله (ص) : (إنها ستكون فتنة المضطجع فيها خير من الجالس ، والجالس خير من القائم ، والقائم خير من الماشي خير من الساعي) ، فقال رجل : يا رسول الله ! ما تأمرنا ؟ قال : (من كانت له إبل فليلحق بإبله ، ومن كانت له غنم فليلحق بغنمه ، ومن كانت له أرض فليلحق بأرضه ، ومن لم يكن له شئ من ذلك فليعمد إلى سيفه فليضرب بحده على صخرة ثم لينج إن استطاع النجاة).
হাদিস – ৩
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪১৩ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤١٣
حدثنا عبد الاعلى وعبيدة بن حميد عن داود عن أبي عثمان عن سعد – رفعه عبيدة ولم يرفعه عبد الاعلى – قال : (تكون فتنة القاعد فيها خير من القائم ، والقائم خير من الماشي ، والماشي خير من الساعي الساعي خير من الراكب ، والراكب خير من الموضع).
হাদিস – ৪
খালিদ বিন সুবাই বা সুবাই বিন খালিদ বলছেন:
আমি কুফায় আসলাম। সেখানে অনেক বাহনের ডাক শুনতে পারলাম। আমি কুফার মসজিদে গেলাম। একজন লোক আসলেন এবং সমস্ত লোক উনার চারদিকে জমে গেলেন।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম: উনি কে?
জবাব দিলো: হুজাইফা বিন ইয়ামান।
আমি উনার পাশে বসে পড়লাম। উনি বললেন:
মানুষজনেরা নবী ﷺ কে ভালো জিনিষ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন। আমি জিজ্ঞাসা করতাম খারাপ সম্পর্কে।
আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম:
: ইয়া রাসুলুল্লাহ, দেখছেন আমরা এখন যে ভালোর মাঝে আছি। এর আগে কি খারাপ ছিলো? আর এর পরে কি খারাপ আসবে?
উনি ﷺ বললেন:
: হ্যা।
: এর থেকে রক্ষা কিসে?
: তলোয়ারে।
: ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ, তলোয়ারের পরে কি কিছু বাকি থাকবে?
: হ্যা। এর পর সন্ধি।
: সন্ধির পরে?
: বিশৃংখলার দিকে ডাক দেয়া হবে। যদি তুমি তখন কোনো খলিফাকে দেখো, তবে তার আনুগত্য করবে। যদিও সে তোমার পিঠে বেত্রাঘাত করে, আর তোমার মাল কেড়ে নেয়। আর যদি খলিফা না থাকে, তবে পালাও যতক্ষন না তোমার মউত আসে এই অবস্থায় যে তুমি গাছ কামড়ে ধরে আছো।
: ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ এর পর কি হবে?
: দাজ্জাল বের হবে।
: ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ, দাজ্জাল কি নিয়ে আসবে?
: সে আসবে আগুন আর ঝর্না নিয়ে। যে তার আগুনে পড়বে সে পুরস্কার পাবে, তার গুনাহ কমে যাবে। যে তার ঝর্নায় পড়বে, তার পুরস্কার কমে যাবে, সে গুনাহ পাবে।
: ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ, দাজ্জালের পর কি?
: তোমাদের কোন একজন ঘোড়ায় জিন চড়িয়ে তাতে উঠার সময় পাবে না, কিয়ামত চলে আসবে।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪১৪ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤١٤
حدثنا وكيع عن حماد بن نجيح عن أبي التياح عن صخر بن بدر عن خالد بن سبيع – أو سبيع بن خالد – قال : أتيت الكوفة فجلبت منها دواب ، فإني لفي مسجدها إذ جاء رجل قد اجتمع الناس عليه ، فقلت : من هذا ؟ قالوا : حذيفة بن اليمان ، قال : فجلست إليه
فقال : كان الناس يسألون النبي (ص) عن الخير ، وكنت أسأله عن الشر ، قال : قلت : يا رسول الله ! أرأيت هذا الخير الذي كنا فيه هل كان قبله شر وهل كائن بعهده شر ، قال : (نعم ، قلت : فما العصمة منه ؟ قال : السيف ، قال : فقلت : يا رسول الله ! فهل بعد السيف من بقية ؟ قال : نعم ، هدنة ، قال : قلت : يا رسول الله ! فما بعد الهدنة قال ؟ دعاة الضلالة ، فإن رأيت خليفة فالزمه وإن نهك ظهرك ضربا وأخذ مالك ، فإن لم يكن خليفة فالهرب حتى يأتيك الموت وأنت عاض على شجرة ، قال : قلت : يا رسول الله ! فما بعد ذلك ؟ قال : خروج الدجال ، قال : قلت : يا رسول الله ! فما يجئ به الدجال ؟ قال : يجئ بنار ونهر ، فمن وقع في ناره وجب أجره ، وحط وزره ، ومن وقع في نهره
حط أجره ، ووجب وزره ، قال : قلت : يا رسول الله ! فما بعد الدجال ؟ قال : لو أن أحدكم أنتج فرسه ما ركب مهرها حتى تقوم الساعة).
ما ركب مهرها : كناية عن قصر الوقت بين خروج الدجال وقيام الساعة.
হাদিস – ৫
হুজাইফা রা: বলেছেন:
রাসুলুল্লাহ ﷺ কে মানুষ ভালো জিনিষ নিয়ে জিজ্ঞাসা করতেন। আমি খারাপ জিনিষ নিয়ে জিজ্ঞাসা করতাম। ভালো গুলো সম্পর্কে [মানুষদের কাছ থেকে] জেনে নিতাম যেগুলো শুনিনি।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম: ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ এই ভালোর পরে কি কোনো মন্দ আসবে?”
উনি ﷺ জবাব দিলেন, “হ্যা হুজাইফা! আল্লাহর কিতাব, এতে যা আছে তা অনুসরন করবে।”
আমি এটা তিন বার জিজ্ঞাসা করেছিলাম।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম: “ইয়া রাসুলুল্লাহ এই ভালোর পরে কি কোনো মন্দ আসবে?”
উনি ﷺ জবাব দিলেন, “ফিতনা আর খারাপ”
: ঐ খারাপের পর কি ভালো আসবে?
: হ্যা, হুজাইফা! আল্লাহর কিতাব, এতে যা আছে তা অনুসরন করবে।” তিনবার বললেন।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম: “ইয়া রাসুলুল্লাহ এই ভালোর পরে কি কোনো মন্দ আসবে?”
জবাব দিলেন, “অন্ধ আর বধির ফিতনা। তখন [কিছু লোক] মানুষকে জাহান্নামের দরজার দিকে ডাকবে। হুজাইফা! তুমি যদি গাছের শেকড় কামড় দেয়া অবস্থায় মরেও যাও তবে সেটা তোমার জন্য ভালো, ঐ লোকদের কাউকে অনুসরন করা থেকে।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪১৫ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤١٥
حدثنا أبو أسامة عن سليمان بن المغيرة قال : قال حميد : حدثنا نصر بن عاصم الليثي قال : سمعت حذيفة يقول : كان رسول الله (ص) يسأله الناس عن الخير وكنت أسأله عن الشر ، وعرفت أن الخير لن يسبقني ، قال : قلت : يا رسول الله ! هل بعد هذا الخير من الشر ؟ قال : (يا حذيفة ! تعلم كتاب الله واتبع ما فيه – ثلاثا ، قال : قلت : يا رسول الله ! هل بعد هذا الشر خير ؟ قال : يا حذيفة ! تعلم كتاب الله واتبع ما فيه – ثلاث مرار ، قال : قلت يا رسول الله ! هل بعد هذا الخير شر ؟ قال : فتنة عمياء صماء عليها دعاة على أبواب النار ، فإن تموت يا حذيفة ! وأنت عاض على جذل خير من أن تتبع أحدا منهم).
الجذل : جذع الشجرة وسمي كذلك لثباته في مكانه لا يغادره.
হাদিস – ৬
আব্দুল্লাহ বিন আমর রা: বলেছেন,
আমরা একসময় রাসুলুল্লাহ ﷺ এর চারদিকে বসা ছিলাম।
উনি ﷺ ফিতনার কথা আলোচনা করলেন বা অন্য কেউ প্রসংগ তুললো।
তিনি ﷺ বললেন,
: যখন দেখবে মানুষ তাদের ওয়াদা ভঙ্গ করছে,
আমানত খিয়ানত করছে,
এবং এই রকম হয়ে গিয়েছে
বলে উনি উনার আংগুলগুলো একে অন্যটার ভেতর ঢুকালেন।
তখন আমি দাড়িয়ে উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম,
: ঐ সময়ে আমি কি করবো? আল্লাহ আমাকে আপনার মুক্তিপন বানান।
উনি ﷺ আমাকে বললেন,
: তখন নিজের বাসায় থাকবে,
নিজের জিহ্বাকে সংযত রাখবে,
যেটা জানো সেটা গ্রহন করবে,
যেটা খারাপ জানো, সেটা পরিত্যাগ করবে,
তোমার দায়িত্ব শুধু তোমার নিজের বিষয় দেখা,
আর জনসাধারনের কাজ পরিত্যাগ করবে।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪১৬ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤١٦
حدثنا الفضل بن دكين قال حدثنا يونس بن أبي إسحاق عن هلال بن خباب قال حدثني عبد الله بن عمرو قال : بينا نحن حول رسول الله (ص) إذ ذكر الفتنة أو
ذكرت عنده ، قال : فقال : (إذا رأيت الناس مرجت عهودهم وخفت أماناتهم ، وكانوا هكذا – وشبك بين أصابعه – قال : فقمت إليه فقلت : كيف أفعل عند ذلك ؟ جعلني الله فداءك ؟ قال : فقال لي : الزم بيتك وأمسك عليك لسانك وخذ بما تعرف وذر ما تنكر ، وعليك بخاصة نفسك ، وذر عنك أمر العامة).
مرجت عهودهم : فسدت.
হাদিস – ৭
আবু সাইদ রা: বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
এটা হতে যাচ্ছে যে কোনো মুসলিমের উত্তম সম্পদ হবে ভেড়া যেটা নিয়ে সে ভালো লাগা কোনো পাহাড়ে চলে যাবে যেখানে বৃস্টি পড়ে। তার দ্বীন নিয়ে ফিতনা থেকে পলানোর জন্য।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪১৭ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤١٧
حدثنا عبد الله بن نمير عن يحيى بن سعيد عن عبد الله بن عبد الرحمن الانصاري عن أبيه أنه سمع أبا سعيد يقول : قال رسول الله (ص) : (يوشك أن يكون خير مال المسلم غنم يتبع بها شعف الجبال ، مواقع القطر ، يفر بدينه من الفتن).
شعف الجبال : شعابها.
القطر : المطر.
হাদিস – ৮
হুজাইর বিন রাবী বলেছেন:
ইমরান বিন হুসাইন আমাকে বললেন,
তোমার কওম এসেছিলো, এর পর এই বিষয়ে কম করতে তাদের নিষেধ করা হয়েছিলো।
আমি বললাম,
আমি তাদের মাঝে থাকি, তবে তাদের অনুসারি না।
উনি বললেন,
তাহলে আমার পক্ষ থেকে তাদের জানিয়ে দিও যে, এক জন হাবশি গোলাম হয়ে পাহাড়ের চুড়ায় ছাগল পালন করা যতক্ষন না আমার মৃত্যু আসে, আমার কাছে বেশি প্রিয়, কোনো কাতারে ভুল কোনো তীর নিক্ষেপ বা আঘাত করার থেকে।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪১৮ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤١٨
حدثنا ابن علية عن أيوب عن حميد بن هلال عن حجير بن الربيع قال : قال لي عمران بن حصين : أئت قومك فانهم أن يخفوا في هذا الامر ، فقلت : إني فيهم لمغموز
ولما أنا فيهم بالمطاع ، فأبلغهم عني لان أكون عبدا حبشيا في أعنز * حصبات أرعاها في رأس جبل حتى يدركني الموت أحب إلي من أن أرمي في واحد من الصفين بسهم أخطأت أو أصبت.
يخفوا في هذا الامر : يسرعوا فيه ويشاركوا.
= * أعنز حصبات : قليلة اللبن ولبنها لا زبد له أو لا يخرج زبده من البرد.
হাদিস – ৯
হুজাইফা রা: বলেছেন,
ফিতনা হবে।
থামবে, আবার আরম্ভ হবে।
তুমি যদি এটা থেমে থাকার সময়ে মরে যেতে পারো, তবে তাই করো।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪১৯ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤١٩
حدثنا أبو معاوية عن الاعمش عن زيد بن وهب قال : قال حذيفة : إن للفتنة وقفات وبعثات ، فإن استطعت أت تموت في وقفاتها فافعل.
হাদিস – ১০
আব্দুল্লাহ বিন আমর রা: বলেছেন,
ফিতনা দেখা দিবে। আরবদের উপর ফোটায় ফোটায় পড়বে।
সে সময় কতলকারী জাহান্নামে যাবে।
সে সময় জিহ্বা, তলোয়ারের আঘাত থেকেও প্রচন্ড হবে।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪২০ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٢٠
حدثنا عبد الله بن إدريس عن ليث عن طاوس عن زياد سيمين كوش اليماني عن عبد الله بن عمرو قال : تكون فتنة أو فتن تستنطف العرب ، قتلاها في النار ، اللسان فيها أشد من وقع السيف.
تستنطف العرب : تفنيهم وتقطع ذريتهم.
হাদিস – ১১
আবি মুসা রা: বলেছেন,
উনি ﷺ আমাদেরকে খুতবা দিলেন এবং বললেন,
সাবধান! তোমাদের পেছনে আধার রাত্রির টুকরার মত ফিতনা আছে।
তখন এক লোক সকালে মু’মিন থাকবে তো সন্ধায় কাফির হবে।
সন্ধায় কাফির থাকলে সকালে মু’মিন হবে।
ঐ সময়ে বসে থাকা লোক দাড়ানো লোকের থেকে ভালো।
দাড়ানো লোক হেটে চলা লোকের থেকে ভালো।
হেটে চলা লোক আরোহী থেকে ভালো।
লোকেরা জিজ্ঞাসা করলো:
আমাদের কি করতে বলেন?
উনি ﷺ বললেন,
বাসায় বসে থাকবে।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪২১ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٢١
حدثنا علي بن مسهر وأبو معاوية عن عاصم عن أبي كبشة السدوسي عن أبي موسى قال : خطبنا فقال : ألا وإن من ورائكم فتنا كقطع الليل المظلم ، يصبح الرجل فيها مؤمنا ويمسي كافرا ، ويصبح كافرا ويمسي مؤمنا ، القاعد فيها خير من القائم ، والقائم خير من الماشي ، والماشي خير من الراكب ، قالوا فما تأمرنا ؟ قال : كونوا أحلاس البيوت.
كونوا أحلاس البيوت : أي أقيموا في بيوتكم ولازموها.
হাদিস – ১২
মুজাহিদ রা: বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
কিয়ামতের আগে রাতের আধার টুকরার মত ফিতনা দেখা দিবে।
সকালে এক জন মুমিন থাকবে, তো সন্ধায় সে কাফির হয়ে যাবে।
সন্ধায় মুমিন থাকবে, তো সকালে কাফির হয়ে যাবে।
মানুষ তার দ্বীনকে দুনিয়ার মালের বিনিময়ে বিক্রি করে দেবে।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪২২ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٢٢
حدثنا ابن إدريس عن ليث عن مجاهد قال : قال رسول الله (ص) : (بين يدي الساعة فتن كقطع الليل المظلم ، يصبح الرجل فيها مؤمنا ويمسي كافرا ، ويمسي مؤمنا ويصبح كافرا ، ويبيع أقوام دينهم بعرض الدنيا).
হাদিস – ১৩
হুজাইফা রা: বর্ননা করেছেন আবি মুসা রা: থেকে:
নবী ﷺ বলেছেন:
তোমাদের ধনুক ভেঙ্গে ফেলো, অর্থাৎ ফিতনার সময়।
আর ধনুকের তারগুলো কেটে ফেলো।
আর নিজেদেরকে বাসায় আবদ্ধ করে ফেলো।
এবং সে সময় আদমের সন্তানদের মাঝে উত্তম জনের মত হয়ে যাও।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪২৩ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٢٣
حدثنا عفان قال حدثنا همام قال حدثنا محمد بن جحادة عن عبد الرحمن بن ثروان عن الهذيل عن أبي موسى عن النبي (ص) قال : (اكسروا قسيكم – يعني في الفتنة ، واقطعوا الاوتار والزموا أجواف البيوت ، وكونوا فيها كالخير من ابني آدم).
كالخير من ابني آدم : أي كونوا كالمقتول منهما ولا تكونوا كالقاتل.
ابن أبي شيبة – ج 8 – م 38 (*)
হাদিস – ১৪
আবু জর রা: বলছেন,
রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে বলেছেন
: হে আবু যর। যখন তুমি দেখবে মানুষ একে অন্যকে কতল করছে এমন কি “হিজারাতু জাইত” পর্যন্ত রক্তে ডুবে গিয়েছে তখন তুমি কি করবে?
: আল্লাহ আর উনার রাসুল ভালো জানেন।
: তুমি নিজের বাসায় ঢুকে যাবে।
: আমি কি অস্ত্র বহন করবো না?
: যদি এটা তোমার বিষয় হয়।
: তখন আমি কি করবো, ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ ?
: যদি ভয় পাও সূর্যরশ্মি তোমাকে পরাজিত করছে তবে তোমার জামার অংশ দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলবে। সে তোমার আর তার নিজের পাপের বোঝা নেবে।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪২৪ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٢٤
حدثنا عبد العزيز بن عبد الصمد العمي عن أبي عمران الجوني عن عبد الله بن الصامت عن أبي ذر قال : قال لي رسول الله (ص) : (يا أبا ذر ! أرأيت إن اقتتل الناس حتى تغرق حجارة الزيت من الدماء كيف أنت صانع ؟ قال : قلت : الله ورسوله أعلم ، قال : تدخل بيتك ، قال : قلت : أفأحمل السلاح ؟ قال : إذا شاركت ، قال : قلت : فما
হাদিস – ১৫
আবি মুসা রা: বলেছেন:
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
তোমাদের পরে এমন দিন আসবে যখন অজ্ঞতা নেমে আসবে। ইলম তুলে নেয়া হবে। আর হারজ বেড়ে যাবে।
সবাই জিজ্ঞাসা করলো:
ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ, হারজ কি?
উনি ﷺ বললেন:
কতল করা।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪২৫ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٢٥
حدثنا أبو معاوية عن الاعمش عن شقيق عن أبي موسى قال : قال رسول الله (ص) : (إن من ورائكم أياما ينزل فيها الجهل ويرفع فيها العلم ويكثر فيها الهرج ، قالوا : يا رسول الله ! وما الهرج ؟ قال : القتل).
হাদিস – ১৬
হুজাইফা রা: বলেছেন:
আধার রাত্রির টুকরার মত তোমাদের উপর ফিতনা আসবে। তাতে ধ্বংশ হয়ে যাবে প্রত্যেক সাহসী বীর, প্রত্যেক স্থির সাওয়ারী আর প্রত্যেক দক্ষ বক্তা।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪২৬ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٢٦
حدثنا محمد بن فضيل عن يزيد بن أبي زياد عن يزيد بن الاصم قال : قال حذيفة : أتتكم الفتن مثل قطع الليل المظلم ، يهلك فيها كل شجاع بطل وكل راكب موضع وكل خطيب مصقع.
الراكب الموضع : الراكب الذي ينيخ راحلته في موضع الفتنة.
الخطيب المصقع : البليغ.
হাদিস – ১৭
কুরযি বিন আলকামা আল-খুজাই বলেছেন:
এক লোক বললেন:
ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ, ইসলামের কি সমাপ্তি আছে?
উনি ﷺ বললেন,
: হ্যা। যখন আল্লাহ তায়ালা কোনো আরব বা অনারব কোনো পরিবারের ভালো চান তখন উনি তাদের ইসলামে প্রবেশ করান।
: এর পর?
: এর পর ফিতনা যেটা ছায়ার মত ঢেকে ফেলবে। সে সময়ে সিংহরা গড়িয়ে পড়ে যাবে। তোমাদের এক দল অন্য দলের গলায় আঘাত করবে।
সিংহ হলো: জীবিত লোক যারা জেগে উঠবে, এর পর আবার গড়িয়ে পড়বে।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪২৭ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٢٧
حدثنا ابن عيينة عن الزهري عن عروة عن كرز بن علقمة الخزاعي قال : قال رجل : يا رسول الله ! هل للاسلام منتهى ؟ قال : (نعم ، أيما أهل بيت من العرب أو العجم أراد الله بهم خيرا أدخل عليهم الاسلام ، قال : ثم مه ؟ قال : ثم الفتن تقع كالظل تعودون فيها أساود صبا ، يضرب بعضكم رقاب بعض) ، والاسود : الحية ترتفع ثم تنصب.
হাদিস – ১৮
আসমা রা: বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ ﷺ একবার মদিনার উচু ঘরগুলোর মাঝে একটা উচু ঘরে দাড়ালেন এবং বললেন,
তোমরা কি দেখছো যা আমি দেখছি?
আমি ফিতনার দেখছি তোমাদের বাসাগুলোর মাঝ দিয়ে পড়ছে, যেমন করে বৃস্টি ঐ জায়গায় পড়ে।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪২৮ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٢٨
حدثنا ابن عيينة عن الزهري عن عروة عن أسامة أن النبي (ص) أشرف على أطم من آطام المدينة ثم قال : (هل ترون ما أرى ؟ إني لارى مواقع الفتن خلال بيوتكم كمواقع القطر).
أي أن الفتن لن تترك دارا إلا وتدخله كما يتساقط المطر على كل الدور.
হাদিস – ১৯
আউফ বলছেন আবু মিনহাল সাইয়ার বিন সালামা থেকে:
যে সময়ে ইবনে জিয়াদ বেরুলেন তখন
সিরিয়ায় মারওয়ান উঠে দাড়ালেন
মক্কায় ইবনে জুবাইর উঠে দাড়ালেন
বসরায় দুনিয়া ত্যগিরা দাড়িয়ে গেলেন।
তখন আমার পিতা প্রচন্ড দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন।
উনার বেশ প্রসংসা ছিলো ঐ সময়ে।
আমার পিতা আমাকে বললেন:
হে আমার ছেলে, আমার সাথে চলো। আমরা রাসুলুল্লাহ ﷺ এর এক সাহাবির কাছে যাবো।
এর পর আমরা আবি বারযাহ আল-আসলামি রা: এর কাছে গেলাম প্রচন্ড এক গরম দিনে।
উনি আখের ছালের তৈরি একটা কিছুর ছায়ায় বসে ছিলেন।
আমার আব্বা উনাকে পেয়ে উনার সাথে কথপোকথন আরম্ভ করলেন,
এটা দিয়ে কথা আরম্ভ করলেন।
: হে আবি বারযাহ! আপনি দেখছেন না? দেখছেন না?
উনি বললেন,
: আমি কুরাইশদের কাজকর্মের উপর অসন্তুস্ট।
তোমরা আরব জাতীরা কিরকম জাহিলিয়াত আর অধ্বঃপতনে ছিলে সেটা তোমরা জানো।
আল্লাহ তোমাদের ইসলাম দিয়ে তুলে এনেছে, আর মুহাম্মদ ﷺ কে দিয়েছেন যিনি তোমাদের কাছে কি নিয়ে এসেছেন দেখেছো।
আর এই দুনিয়া তোমাদের মাঝে ফাসাদ [ঝগড়া] সৃস্টি করছে।
এবং শামে একই অবস্থা — মানে মারওয়ান।
ওয়াল্লাহ! দুনিয়ার কারন ছাড়া যুদ্ধ করছে না।
এবং মক্কাতেও একই অবস্থা — মানে ইবন জুবাইর।
ওয়াল্লাহ! দুনিয়ার কারন ছাড়া যুদ্ধ করছে না।
একই অবস্থা তোমাদের আশেপাশে যারা আছে তাদেরও, যাদের তোমরা দুনিয়া ত্যগি ডাকো।
ওয়াল্লাহ! তারা দুনিয়ার কারন ছাড়া যুদ্ধ করছে না।
যখন উনি কারো পক্ষে বললেন না তখন আমার পিতা উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন,
: হে আবি বারজাহ! তাহলে আপনার মত কি?
উনি বললেন,
: দুনিয়া ত্যগিদের ভালোগুলো এখন আর দেখা যায় না।
যাদের পেটে মানুষের মাল নেই।
যাদের গায়ে অন্যের রক্ত নেই।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪২৯ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٢٩
حدثنا مروان بن معاوية عن عوف عن أبي المنهال سيار بن سلامة قال : لما كان زمن خرج ابن زياد وثب مروان بالشام حين وثب ، ووثب ابن الزبير بمكة ، ووثبت القراء بالبصرة ، قال : قال أبو المنهال : غم أبي غما شديدا ، قال : وكان يثني على أبيه خيرا ، قال : قال لي أبي : أي بني ! انطلق بنا إلى هذا الرجل من صحابة رسول الله (ص) ، فانطلقنا إلى أبي برزة الاسلمي في يوم حار شديد الحر وإذا هو جالس في ظل علو له من قصب ، فأنشأ أبي يستطعمه الحديث ، فقال : يا أبا برزة ! ألا ترى ؟ ألا ترى ؟ فكان أول شئ
تكلم به ، قال : إني أصحبت ساخطا على أحياء قريش ، إنكم معشر العرب كنتم على الحال التي قد علمتم من قلتكم وجاهليتكم ، وإن الله نعشكم بالاسلام وبمحمد حتى بلغ بكم ما ترون ، وإن هذه الدنيا هي التي قد أفسدت بينكم ، إن ذاك الذي بالشام – يعني مروان – والله إن يقاتل إلا على الدنيا ، وإن ذاك الذي بمكة – يعني ابن الزبير – والله إن يقاتل إلا على الدنيا ، وإن هؤلاء الذين حولكم تدعونهم قراءكم والله إن يقاتلون إلا على الدنيا ، قال : فلما لم يدع أحدا قال له أبي : يا أبا برزة ! ما ترى ؟ قال : لا رأى اليوم خيرا من عصابة ملبدة ، خماص بطونهم من أموال الناس ، خفاف ظهورهم من دمائهم.
في ظل علوله من قصب : بناء من قصب أو خيمة من قصب والقصب قد يكون القصب المعروف أو قماشا من كتان رقيق.
يستطعمه الحديث : يستدرجه إلى الكلام.
= ملبدة : قد لبدوا شعورهم : أي تركوا زينة الدنيا.
خماص بطونهم من أموال الناس : جياع بطونهم ليس فيها شئ من مال الناس.
خفاف ظهورهم من دمائهم : لم يشاركوا في فتنة ولم يحملوا دما حراما.
হাদিস – ২০
শাকিক বলেছেন:
হুজাইফা রা: বলেছেন:
আমরা ওমর রা: এর সাথে বসে ছিলাম। উনি জিজ্ঞাসা করলেন:
“তোমাদের মাঝে কে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর ফিতনা সম্পর্কিত হাদিস মুখস্ত করে রেখেছো যেভাবে উনি বলেছিলেন?”
বললাম, “আমি।”
: তুমি তো দুঃসাহসী। কিভাবে?
: আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: একজন মানুষের ফিতনা হলো তার পরিবার, তার মাল, সে নিজে, তার সন্তান আর তার প্রতিবেশি। এর ক্ষমা হলো রোজা আর সদকা।
: আমি এটা জানতে চাইনি। আমি জানতে চাইছি ওটা সম্পর্কে যেটার ঢেউ হবে সমূদ্রের ঢেউয়ের মত।
: তাতে আপনার আর তার কি আমিরুল মু’মিনিন? আপনার আর তার মাঝে একটা দরজা আছে, বন্ধ।
: দরজাটা কি ভাঙ্গা হবে নাকি খুলা হবে?
: না। বরং ভাঙ্গা হবে।
: সেটা হলে, চেস্টা করলেও সেই দরজা আর কখনো বন্ধ করতে পারবে না।
আমরা হুজাইফা রা: কে জিজ্ঞাসা করলাম,
: ওমর রা: কি জানতেন দরজাটা কে?
: হ্যা। যে রকম আমি জানি রাতের পরে দিন। আমি উনাকে এমন হাদিস বর্ননা করেছি যেটাতে প্রশ্ন তোলার মত কিছু ছিলো না।
শাকিক বলছেন:
আমরা ভয় পেলাম হুজাইফা রা: কে জিজ্ঞাসা করতে, ঐ দরজাটা আসলে কে? তাই আমরা মাসরুককে বললাম, আপনি বরং উনাকে জিজ্ঞাসা করেন।
উনি জিজ্ঞাসা করলেন।
হুজাইফা রা: জবাব দিলেন: “ওমর।”
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৩০ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٣٠
حدثنا أبو معاوية وابن نمير وحميد بن عبد الرحمن عن الاعمش عن شقيق عن حذيفة قال : كنا جلوسا عند عمر فقال : أيكم يحفظ حديث رسول الله (ص) في الفتنة كما قال : فقلت : أنا ، قال : فقال : إنك لجرئ ، وكيف ؟ قال : قلت : سمعت رسول الله (ص) يقول : (فتنة الرجل في أهله وماله ونفسه وجاره يكفرها الصيام والصدقة والامر بالمعروف والنهي عن المنكر).
فقال عمر : ليس هذا أريد ، إنما أريد التي تموج كموج البحر ، قال : قلت : مالك ولها يا أمير المؤمنين ؟ إن بينك وبينها بابا مغلقا ، قال : فيكسر
الباب ، أم يفتح ؟ قال : قلت : لا ، بل يكسر ، قال : ذاك أحرى أن لا يغلق أبدا ، قال : قلنا لحذيفة : هل كان عمر يعلم من الباب ؟ قال : نعم ، كما أعلم أن غدا دون الليلة ، إني حدثته حديثا ليس بالاغاليط ، قال : فهبنا حذيفة أن نسأله من الباب ، فقلنا لمسروق : سله ، فسأله فقال : عمر.
فقال عمر : أي أن موت عمر رضي الله عنه سيفتح باب الخلاف وبالتالي الفتن.
হাদিস – ২১
হুজাইফা রা: বলেছেন:
চাবুকের ফিতনা হবে তলোয়ারের ফিতনা থেকেও প্রচন্ড।
জিজ্ঞাসা করা হলো:
কিভাবে?
বললেন:
মানুষকে চাবুক দিয়ে মারা হবে যতক্ষন না সে কাঠের তক্তায় আরোহন করে।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৩১ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٣١
حدثنا أبو معاوية عن الاعمش عن شقيق عن حذيفة قال : لفتنة السوط أشد من فتنة السيف ، قالوا : وكيف ذاك ؟ قال : إن الرجل ليضرب بالسوط حتى يركب الخشبة.
হাদিস – ২২
সাইদ বিন যাইদ রা: বলেছেন:
আমরা নবী ﷺ এর সংগে বসে ছিলাম।
উনি ফিতনার কথা আলোচনা করলেন এবং ঐ সময়ের বিপদের প্রচন্ডতা বর্ননা করলেন।
আমরা বললাম:
ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ, যদি এটা আমরা পাই তাহলে এটা তো আমাদের ধংশ করে দেবে।
উনি বললেন:
না! বরং, কতল হয়ে যাওয়া তোমাদের জন্য যথেষ্ট।
সাইদ রা: বলছেন:
আমি দেখেছি আমার ভাইদের কতল হয়ে যেতে।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৩২ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٣٢
حدثنا أبو الأحوص عن منصور عن هلال بن يساف عن سعيد بن زيد قال : كنا عند النبي (ص) فذكر فتنة فعظم أمرها ، قال : فقلنا – أو قالوا – : يا رسول الله ! لئن أدركنا هذا لنهلكن ، قال : (كلا ، إن بحسبكم القتل) ، قال سعيد : فرأيت إخواني قتلوا.
হাদিস – ২৩
হুজাইফা রা: বলেছেন:
তিনটা ফিতনা হবে। চতুর্থটা দাজ্জালের দিকে নিয়ে যাবে।
তখন কালো পাথর ছুড়ে মারা হবে। এবং অগ্নি পাথর ছুড়ে মারা হবে।
ঢেউয়ের মত অন্ধকার আসবে। সমুদ্রের ঢেউয়ের মত।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৩৩ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٣٣
حدثنا عبد الله بن نمير عن الوليد بن جميع عن عامر بن واثلة قال : قال حذيفة : تكون ثلاث فتن ، الرابعة تسوقهم إلى الدجال ، التي ترمي بالنشف والتي ترمي بالرضف ، والمظلمة التي تموج كموج البحر.
النشف : الحجارة السود واحدتها النشفة ، ويطلق على حجارة الخفان السوداء التي تحف الارجل بها في الحمام.
الرضف : الحجارة المحماة.
হাদিস – ২৪
হুজাইফা রা: বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ সা: বলেছেন,
ফিতনা দেখা দিবে
অন্ধ ও বধির হয়ে যাওয়া মানুষদের জাহান্নামের দরজার দিকে ডাকা হবে।
হুজাইফা! তুমি যদি গাছের শেকড় কামড় দেয়া অবস্থায় মরেও যাও তবে সেটা তোমার জন্য ভালো, ঐ লোকদের কাউকে অনুসরন করা থেকে।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৩৪ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٣٤
حدثنا أبو أسامة عن سليمان بن المغيرة قال : قال حميد : حدثنا نصر بن عاصم قال حدثنا اليشكري قال : سمعت حذيفة يقول : قال رسول الله (ص) : (فتنة عمياء صماء عليها دعاة على أبواب النار ، فإن تمت يا حذيفة وأنت عاض على جذل خير لك من أن تتبع أحدا منهم).
হাদিস – ২৫
এক ব্যক্তি হুজাইফা রা: কে জিজ্ঞাসা করলো,
: যখন মুসুল্লিদের কতল করা হবে তখন আমি কি করবো?
: নিজের বাসায় ঢুকে যাবে।
: সে যদি আমার বাসায় ঢুকে পড়ে তখন কি করবো?
: বলে দিবে, আমি তোমাকে হত্যা করবো না, আমি রাব্বুল আলামিন আল্লাহকে ভয় করি।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৩৫ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٣٥
حدثنا وكيع قال حدثنا سفيان عن منصور عن ربعي قال : قال رجل لحذيفة : كيف أصنع إذا اقتتل المصلون ؟ قال : تدخل بيتك ، قال : قلت : كيف أصنع إن دخل
بيتي ؟ قال : قل : لن أقتلك إني أخاف الله رب العالمين.
أي تتبع خير ابني آدم هابيل المقتول وتقول قوله لاخيه قابيل عندما أراد قتله.
হাদিস – ২৬
হুজাইফা রা: বলেছেন:
তিনটা জিনিস দিয়ে ফিতনা বাড়বে।
এমন লোকের হাতে রক্তপাত বৃদ্ধির কারনে, যে ফিতনা বাড়ুক সেটা চায় না, বরং তলোয়ার দ্বারা কমাতে চায়।
এমন খতিবের কারনে যে সবকিছু নিজের দিকে ডাকে।
এবং প্রশংসিত শরিফ লোকের কারনে।
এর পর রক্তপাত যখন বেড়ে যাবে, তখন সেটা তাদেরকে ফেলে দেবে।
এরপর তাদেরকে উপড়ে ফেলবে এবং তাদের নিকট যা ছিলো সেটা তাদের ক্ষতি করবে।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৩৬ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٣٦
حدثنا أبو معاوية عن الاعمش عن زيد بن وهب عن حذيفة قال : وكلت الفتنة بثلاثة : بالجاد النحرير الذي لا يريد أن يرتفع له شئ إلا قمعه بالسيف ، وبالخطيب الذي يدعو إليه الامور ، وبالشريف المذكور ، فأما الجاد النحرير فتصرعه ، وأما هذان فتجثهما فتبلو ما عندهما.
হাদিস – ২৭
হুজাইফা রা: বলেছেন:
: তখন তোমাদের কি অবস্থা হবে যখন উট তার লাগাম সহ এসে তোমাদের মাঝে হাটু গেড়ে বসবে, এবং তোমাদের কাছে এখান থেকে, ওখান থেকে লোকেরা আসবে?
: ওয়াল্লাহ আমরা জানি না।
: তবে ওয়াল্লাহ। আমি জানি। তোমারা তখন গোলাম আর তার মালিকের মত হয়ে যাবে। মালিক গোলামকে ধমক দিলেও গোলাম পাল্টা ধমক দেয় না। আর পিটালেও গোলাম পাল্টা পিটায় না।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৩৭ ]
___________________________________
উট: উটের পিঠের যুদ্ধের কথা উল্লেখ করেছেন।
গোলাম-মালিক: প্রতিশোধ প্রতিবাদ না করে চুপ থেকে মেনে নিতে বলেছেন।
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٣٧
حدثنا مروان بن معاوية عن الصلت بن بهرام عن المنذر بن هوذة عن خرشة ابن الحر قال : قال حذيفة : كيف أنتم إذا بركت تجر خطامها فأتتكم من ههنا ومن ههنا ، قالوا : لا ندري والله ، قال : لكني والله أدري ، أنتم يومئذ كالعبد وسيده ، إن سبه السيد لم يستطع العبد أن يسبه ، وإن ضربه لم يستطع العبد أن يضربه.
إن بركت تجر خطامها : تشبيه للفتنة بالناقة.
হাদিস – ২৮
হুজাইফা রা: লোকদের বলছেন,
: তখন তোমাদের কি অবস্থা হবে যখন তোমরা দ্বীনের ব্যপারে এরকম উদার হয়ে যাবে, যেমন এক মহিলা কবুল বলার পর উদার হয়ে যায়। তার কাছে যে আসে তাকে মানা করে না?
: আমরা জানি না।
: কিন্তু ওয়াল্লাহ! আমি জানি। তোমরা সেদিন থাকবে অক্ষম আর অসৎ হবার মাঝে।
ঐ কওম থেকে এক লোক বললেন,
: এর অক্ষমতাকে ঘৃনা করে তা থেকে দূরে থাকতে হবে।
হুজাইফা রা: তখন ঐ লোকের গায়ে কয়েকবার আঘাত করলেন। এর পর বললেন,
: যেভাবে তুমি এ থেকে দূরে থাকলে। যেভাবে তুমি এ থেকে দূরে থাকলে।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৩৮ ]
___________________________________
বুঝা যাচ্ছে: আঘাত গুলো ঠেকাতে সে যেমন অক্ষম হয়েছিলো, সেরকম অক্ষম তখন মানুষ হয়ে যাবে।
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٣٨
حدثنا عبد الله بن نمير قال حدثنا الصلت بن بهرام عن منذر بن هوذة عن خرشة عن حذيفة قال : كيف أنتم إذا انفرجتم عن دينكم كما تنفرج المرأة عن قبلها لا تمنع من يأتيها ، قالوا : لا ندري ، قال : لكني والله أدري ، أنتم يومئذ بين عاجز وفاجر ، فقال رجل من القوم : قبح العاجز عن ذاك ، قال : فضرب ظهره حذيفة مرارا ، ثم قال : قبحت أنت ، قبحت أنت.
হাদিস – ২৯
খারাশাহ বলছেন:
হুজাইফা রা: একবার মসজিদে ঢুকলেন।
দেখলেন এক কওমের কিছু লোক অন্য লোককে পড়াচ্ছেন।
বললেন,
: তোমরা যদি পথের উপর থাকতে! তোমরা অনেক দূরের জিনিষকে জরুরী বানিয়ে ফেলেছো।
এর পর উনি রা: তাদের সাথে বসলেন এবং বললেন,
: আমরা ছিলাম সেই কওম যারা পড়া শেখার আগে ঈমান এনেছি। শিগ্রই এমন কওম আসবে যারা ঈমান আনার আগে পড়া শিখবে।
ঐ কওম থেকে একজন বললেন,
: এটা ফিতনা?
উনি বললেন,
: দ্রুতই, তোমাদের সামনে থেকে কিছু এসে তোমাদের চেহারাকে অপরাধি করে দিবে। এর পর অনবরত আসতে থাকবে আসতে থাকবে। লোকজন ফিরে গিয়ে পরামর্শ নেবে এমন দুব্যক্তি থেকে, তাদের একজন অথর্ব, অন্যজন অসৎ।
খারাশাহ বললেন,
: এর পর কিছু সময় যায় নি। আমি দেখলাম লোকটা তার তলোয়ার নিয়ে বেরিয়ে মানুষকে পর্যবেক্ষন করছে।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৩৯ ]
___________________________________
দুইব্যক্তি: দুজন নেতা।
এটা ঐ যুগের ঘটনা।
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٣٩
حدثنا عبد الله بن نمير قال حدثنا الصلت بن بهرام قال أخبرنا المنذر بن هوذة عن خرشة أن حذيفة دخل المسجد ، فمر على قوم يقرئ بعضهم بعضا ، فقال : أن
تكونوا على الطريقة ، لقد سبقتم سبقا بعيدا ، وأن تدعوه فقد ضللتم ، قال : ثم جلس إلى حلقة ، فقال : إنا كنا قوما آمنا قبل أن نقرأ ، وإن قوما سيقرأون قبل أن يؤمنوا ، فقال رجل من القوم : تلك الفتنة ، قال : أجل ، قد أتتكم من أمامكم حيث تسوء وجوهكم ثم لتأتينكم ديما ديما ، إن الرجل ليرجع فيأتمر الامرين : أحدهما عجز والآخر فجور ، قال خرشة : فما برحت إلا قليلا حتى رأيت الرجل يخرج بسيفه يستعرض الناس.
হাদিস – ৩০
যাইদ বিন ওয়াহাব বলেছেন:
হুজাইফা রা: কে প্রশ্ন করা হলো:
ফিতনা “আরম্ভ হওয়া” আর “থেমে যাওয়া” মানে কি?
বললেন:
আরম্ভ হওয়া মানে তলোয়ারকে খাপমুক্ত করা।
থেমে যাওয়া মানে সেটাকে কোষবদ্ধ করা।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৪০ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٤٠
حدثنا وكيع عن سفيان عن الحارث بن حضيرة عن زيد بن وهب قال : قيل لحذيفة : ما وقفات الفتنة وما بعثاتها ؟ قال : بعثاتها سل السيف ، ووقفاتها إغماده.
হাদিস – ৩১
আবি আল-তাফাইল আমির বিন ওয়াথিলা বলেছেন:
হুজাইফা রা: আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন,
: তোমার কি অবস্থা হবে যখন ফিতনা দেখা দেবে — যাদের চাহিদা নেই এবং নিজেদেরকে গোপন রাখে — এরকম উত্তম মানুষদের মাঝে?
: আর কেমন? একে একে এটা আমাদের সামনে পরিবেশন করা হবে। প্রত্যেক বিচ্ছিন্ন লোককে এটা বিচ্ছিন্ন করে দেবে। প্রতিটা লক্ষ্যেকে কেন্দ্র করে ছুড়ে মারা হবে।
: তুমি তখন সদ্যজাত শিশুর মত হয়ে যাবে
সে চড়ে বসে না, তাকে বহন করা হয়।
সে দুধ খায় না, তাকে খাওয়ানো হয়।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৪১ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٤١
حدثنا يزيد بن هارون قال أخبرنا يحيى بن سعيد أن أبا الزبير أخبره عن أبي الطفيل عامر بن واثلة أن حذيفة قال له : كيف أنت وفتنة خير الناس فيها غني خفي ، قال : قلت : وكيف وإنما هو عطاء أحدنا يطرح به كل مطرح ، ويرمي به كل مرمى ، قال : كن إذا كابن المخاض لا ركوبة فتركب ولا خلوبة فتحلب.
হাদিস – ৩২
হুজাইফা রা: বলেছেন,
ফিতনা আসবে।
তখন সন্দেহ জনক বিষয় বাড়বে, পরিস্কার বিষয় চলে যাবে।
তখন ঐ বেদুইন সম্মানিত হবে, যে লাঠিতে ভর করে তার ভেড়ার পেছনে থাকবে।
এবং সে তোমাদের স্রোতের সাথে চলবে না।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৪২ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٤٢
حدثنا يزيد بن هارون عن شعبة عن أبي إسحاق عن عبد الله بن الرواع عن حذيفة قال : تكون فتنة تقبل مشبهة وتدبر مميتة ، فإن كان ذلك فالبدوا ، يجود الراعي على عصاه خلف غنمه ، لا يذهب بكم السيل.
হাদিস – ৩৩
হুজাইফা রা: কে জিজ্ঞাসা করা হলো,
: বনি ইসরাইল কি একদিনেই কুফরিতে চলে গিয়েছিলো?
বললেন,
: না। বরং তাদের উপর ফিতনা আসে। তারা এতে পড়ে যায়।
কিন্তু ফিতনাকে তারা খারাপ বুঝতে পারে।
এর পর আবার ফিতনা আসে, এতে আবার পড়ে যায়।
এভাবে,
এক পর্যায়ে তারা চাবুক আর তলোয়ার নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে তারা সাওয়ারী নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে তারা জানা জিনিস ভুলে যায়।
এবং খারাপকে আর খারাপ বুঝতে পারে না।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৪৩ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٤٣
حدثنا وكيع عن سفيان عن حبيب عن ميمون بن أبي شبيب قال : قيل لحذيفة : أكفرت بنو إسرائيل في يوم واحد ؟ قال : لا ، ولكن كانت تعرض عليهم الفتنة فيأتونها فيكرهون عليها ، ثم تعرض عليهم فيأتونا حتى ضربوا عليها بالسياط والسيوف حتى خاضوا الماء حتى لم يعرفوا معروفا ولم ينكروا منكرا.
হাদিস – ৩৪
রিবয়ি বলেছেন:
আমি শুনেছি হুজাইফা রা: এর জানাজায় এক লোক বলছেন:
আমি এই খাটিয়ার লোকের কাছে শুনেছি উনি বলেছেন:
আমার সামান্য কস্টও নেই।
কারন আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর কাছে শুনেছি,
: তোমাদের যদি হত্যা করা হয়, তবে তোমরা আমার ঘরে প্রবেশ করবে। তাই, তারা যদি আমার ঘরে প্রবেশ করে তবে আমি তাদেরকে বলবো: আসো! আমার আর তোমার গুনাহ নিয়ে ফিরে যাও।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৪৪ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٤٤
حدثنا غندر عن شعبة عن منصور عن ربعي قال : سمعت رجلا في جنازة حذيفة يقول : سمعت صاحب هذا السرير يقول : ما بي بأس مذ سمعت من رسول الله (ص) : (ولئن اقتتلتم لادخلن بيتي ، فلئن دخل علي لاقولن : ها بؤ بإثمي وإثمك).
أي لن أمد إليك يدي فإن أردت قتلي فعليك إثمك وإثمي.
হাদিস – ৩৫
হুজাইফা রা: বলেছেন:
যে জামাত থেকে এক হাত দূরে চলে গেলো সে যেনো ইসলাম থেকে দূরে চলে গেলো।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৪৫ ]
___________________________________
জামাত: মুসলিমদের মূলধারা।
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٤٥
حدثنا أبو الأحوص عن أبي إسحاق عن سعد قال : قال حذيفة : من فارق
الجماعة شبرا فارق الاسلام.
হাদিস – ৩৬
হুজাইফা রা: বলেছেন,
মানুষের উপর এমন যুগ আসবে, ডুবন্ত মানুষের মত যে দোয়া করছে, সে ছাড়া আর কেউ তখন বাচতে পারবে না।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৪৬ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٤٦
حدثنا أبو معاوية عن الاعمش عن إبراهيم عن همام عن حذيفة قال : ليأتين على الناس زمان لا ينجو فيه إلا الذي يدعو بدعاء كدعاء الغريق.
হাদিস – ৩৭
হুজাইফা রা: বলেছেন:
মানুষের উপর এমন একটা যুগ আসবে যখন কেউ রক্ষা পাবে না, সে ছাড়া যে দোয়া করছে, ডুবন্ত মানুষের দোয়ার মত।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৪৭ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٤٧
حدثنا أبو معاوية عن الاعمش عن عمارة عن أبي عمار قال : قال حذيفة : ليأتين على الناس زمان لا ينجو فيه إلا من دعا بدعاء كدعاء الغريق.
হাদিস – ৩৮
হুজাইফা রা: বলেছেন:
ওয়াল্লাহ! এক জন সকাল অতিবাহিত করবে দৃস্টি ক্ষমতা নিয়ে। এর পর সন্ধায় সে থাকবে অন্ধ।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৪৮ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٤٨
حدثنا أبو خالد الاحمر عن الاعمش عن عمارة عن أبي عمار عن حذيفة قال : والله إن الرجل ليصبح بصيرا ثم يمسي وما ينظر بشفر.
وما ينظر بشفر : أي يصبح أعمى لا رموش له.
হাদিস – ৩৯
হুজাইফা রা: সুরা তৌবার ১২ নং আয়াত পাঠ করলেন,
অর্থ: আর যদি ভঙ্গ করে তারা তাদের শপথ প্রতিশ্রুতির পর এবং বিদ্রুপ করে তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে, তবে কুফর প্রধানদের সাথে যুদ্ধ কর। কারণ, এদের কেন শপথ নেই যাতে তারা ফিরে আসে
এর পর বললেন,
: পরবর্তিতে এই আয়াতে যাদের কথা আছে তাদের সাথে আর যুদ্ধ হয় নি।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৪৯ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٤٩
حدثنا أبو معاوية عن الاعمش عن أبي وائل قال : قرأ حذيفة هذه الآية * (فقاتلوا أئمة الكفر) * ، قال : ما قوتل أهل هذه الآية بعد.
سورة التوبة من الآية (12).
হাদিস – ৪০
মুহাম্মদ বিন মাসলামা রা: বলেছেন:
রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে একটা তলোয়ার দিয়ে বললেন:
এটা দিয়ে তুমি মুশরিকদের কতল কর, যাদের কতল করা হয়।
আর যখন দেখবে মানুষদের একদল অন্যদলকে মারছে — বা এরকম কোনো কথা বললেন,
তখন এটা নিয়ে তুমি পাথরের কাছে চলে যাও এবং এটা দিয়ে পাথরের উপর মারতে থাকো যতক্ষন না এটা ভেঙ্গে যায়।
এর পর নিজেকে নিজের বাসায় আটকে রাখো যতক্ষন না তোমার কাছে খারাপ কোনো হাত আসে বা মৃত্যুর লিখনি চলে আসে।
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৫০ ]
___________________________________
مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٥٠
حدثنا عبد الله بن المبارك عن هشام عن الحسن قال : قال محمد بن سلمة : أعطاني رسول الله (ص) سيفا فقال : قاتل به المشركين ما قوتلوا ، فإذا رأيت الناس يضرب بعضهم بعضا – أو كلمة نحوها – فاعمر به إلى صخرة فاضربه بها حتى ينكسر ثم اقعد في بيتك حتى تأتيك يد خاطئه أو منية قاضية).