হামিদী সাহেব লিখেছেন-
‘সমস্ত ঐতিহাসিক একমত ১২ই রবিউল আউয়াল আমাদের প্রিয় রাসূলের হিজরতের ও ইন্তেকালের তারিখ ছিল। তাই নবীর ইন্তেকালের দিন আমরা সুখ প্রকাশ করব না আনন্দ প্রকাশ করব?’ (এখানে সুখ শব্দটি শোক হওয়া উচিত ছিল)
হামিদী সাহেব এখানে প্রশ্নবোধক বাক্য ব্যবহার করে এর উত্তর জানতে চেয়েছেন। ইতোপূর্বে এ ধরনের প্রশ্ন তাজ উদ্দিন ফাকেহানীও উত্থাপন করেছিলেন। যার উত্তর আল্লামা সুয়ুতি নিজেই প্রদান করে গেছেন। তাই এ প্রশ্নের জবাব সরাসরি আল্লামা সুয়ুতির ফতোয়া থেকে প্রদান করা হলো-
جوابه ان ولادته صلى الله عليه وسلم اعظم النعم علينا- ووفاته اعظم المصائب لنا- والشريعة حثت على اظهار شكر النعم والصبر السكون والكتم عند المصائب- وقد امر الشرع بالعقيقة عند الولادة وهى اظهار شكر وفرح بالمولود ولم يأمر عند الموت بذبح ولابغيره بل نهى عن النياحة واظهار الجزع فدلت قواعد الشريعة على انه يحسن فى هذا الشهر اظهار الفرح بولادته صلى الله عليه وسلم دون اظهار الحزن فيه بوفاته- (الحاوى للفتاوى)
অর্থ: জবাব, রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বেলাদত শরীফ আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় নিয়ামত এবং তাঁর ওফাত শরীফ আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় মুসিবত। আর শরিয়ত উৎসাহিত করেছে নিয়ামতের শুকরিয়া প্রকাশের জন্য এবং বিপদ মুসিবতের সময় ধৈর্যধারণের মাধ্যমে নীরব থাকার জন্য। অতএব নবজাতকের জন্ম উপলে আক্বিকা করার শরয়ি হুকুম প্রকৃতপক্ষে শুকরিয়া ও আনন্দ প্রকাশের নামান্তর। অথচ কারো মৃত্যুতে পশু জবাই করে আনন্দ-উল্লাসের হুকুম শরিয়ত দেয়নি (এখানে ইসলে সওয়াবের উদ্দেশ্যে অন্যকে খাওয়ানোর জন্য কুরবানী নিষেধ বলা হয় নি)। বরং মর্সিয়া ও আহাজারি করতে নিষেধ করেছে। অতএব শরিয়তের বিধান অনুযায়ী ইহাই প্রমাণিত হলো যে, উক্ত রবিউল আউয়াল মাসে রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাত উপলে চিন্তা পেরেশানী না করে তাঁর বেলাদতশরীফ উপলে আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করা উত্তম কাজ। (আল হাবী লিল ফাতাওয়া)