✍ কৃতঃ আল্লামা আজিজুল হক আল কাদেরী (رحمة الله) ➡ মুনিয়াতুল মুছলেমীন [১ম খন্ড]
❏ মাসয়ালা: (২৪২)
বেদ্’আত এর বর্ণনা:- বেদ্’আত ঐ সমস্ত নতুন বস্তুকে বলা হয় যা হুজুর (ﷺ) এর ওফাত শরীফের পরবর্তীতে ধর্মের মধ্যে সংযোজিত হয়েছে।
এটি দু’প্রকার-
(১) বেদ্’আতে দ্বালালা যাকে বেদ্’আতে ছাইয়্যেয়াও বলা হয়।
(২) বেদ্’আতে মাহমুদা যাকে বেদ্’আতে হাসানাও বলা হয়।
বেদ্’আতে সাইয়্যাহ সে সমস্ত নতুন বস্তু বা নতুন সংযোজন যা কোরআন, হাদিস ও ইজ্মায়ে উম্মতের পরিপন্থী হবে। তথা সেই সমস্ত নতুন কর্ম যা এমন বস্তুর অধীন হবে যা খারাপ হওয়ার ক্ষেত্রে শরীয়ত দ্বারা প্রমাণিত আর এটি মাকরূহ ও হারাম।
বেদ্’আতে হাসানা দ্বারা উদ্দেশ্যে হচ্ছে- সে সমস্ত নতুন কথা কিংবা বস্তু কোরআন, হাদিস এবং ইজ্মায়ে উম্মতের পরিপন্থী হবে না কিংবা সেই সমস্ত নতুন কথা যা এমন কোন বস্তুর অধীন হবে যার সুন্দর্য্য শরীয়ত দ্বারা প্রমাণিত হবে। আর যার সংস্করণে (সংযোজন) দ্বীন-ধর্মের মধ্যে শক্তি তথা পরিপূর্ণতা অর্জিত হবে। সে সমস্ত ভাল কর্ম ও কথাকে “বেদ্’আতে হাসানা” বলা হয়ে থাকে। আর এই বেদ্’আত মুস্তাহাব বরং সুন্নাত ও ওয়াজিবের স্তরে পর্যন্ত হয়ে থাকে।
অতএব বলা যায়- যে বেদ্’আত للدين তথা দ্বীনের জন্য হবে তা হাসানা ও মাহমুদা আর যেটি فى الدين তথা দ্বীনের মধ্যে হবে তা ছাইয়্যেয়া ও মাজ্মুমা।
জানা আবশ্যক কোন নতুন কথা কিংবা বস্তু ছাইয়্যেয়া কিংবা হাসানা হওয়াটা কোন জামানার উপর সীমাবদ্ধ নয়। বরং এটির সীমাবদ্ধতা কিতাব, হাদিস এবং ইজ্মায়ে উম্মতের পরিপন্থী কিংবা পক্ষ অবলম্বনের উপর সীমাবদ্ধ।
যে সমস্ত হুকুম কোরআন, হাদিস এবং ইজ্মায়ে উম্মতের পরিপন্থী না হবে। তা কখনো বেদ্’আতে ছাইয়্যেয়া নয়। হ্যাঁ সেটি যে কোন জমানায় হউক না কেন।
➠হযরত ওমর ফারুক (رضي الله عنه) তাবারীহ সম্পর্কে বলেছেন- نعمت البدعة هذا (এটি সর্বোত্তম বেদ্’আত) অথচ তারাবীহ হচ্ছে সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ। স্বয়ং রাসূল (ﷺ) ভাল কর্মের সৃষ্টিকারীকে সুন্নাত প্রতিষ্ঠাকারী বলে এরশাদ করেছেন। এমনিভাবে কিয়ামত পর্যন্ত নতুন নতুন কথা সৃষ্টি করার অনুমতি প্রদান করেছেন।
➥ [মিনহাজুল আক্কায়েদ, ৬৭ পৃষ্ঠা]






Users Today : 418
Users Yesterday : 767
This Month : 14840
This Year : 186711
Total Users : 302574
Views Today : 41736
Total views : 3618479