আহলে বাইত এর দৃষ্টান্ত নূহ (عليه السلام) এর কিস্তির মতঃ

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

আহলে বাইত এর দৃষ্টান্ত নূহ (عليه السلام) এর কিস্তির মতঃ

❏ হাদিস ১:

أخرج البزار عن عبد الله بن الزبیر رضی الله عنهما، أن النبيﷺ قال: مثل أهل بیتی، مثل سفينة نوح، من ركبها نجا،  ومن تركها غرق ؛

ইমাম বাযযার (رحمة الله) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (رضي الله عنه)’র সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন “আমার পরিবারবর্গের (আহলে বাইত) হচ্ছে হযরত নূহ (عليه السلام) এর নৌকার মত, যে তাতে আরােহণ করল সে মুক্তি পেল আর যে তা ছেড়ে দিল (আরােহণ করলনা) সে ডুবে গেল”।

➠ তথ্যসূত্রঃ

১. কাশফুল আসতার-হাইছামী, ৩:২২২ (২৬২৩)।

২. মাজমাউয যাওয়ায়েদ-৯:১৬৮।

❏ হাদিস ২:

أخرج البزار عن ابن عباس رضي الله عنهما قال: قال رسول اللهﷺ مثل أهل بیتی مثل سفينة نوح، من ركبها نجا،  ومن تركها غرق ؛

ইমাম বাযযার (رحمة الله) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) এর সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, “আমার পরিবারবর্গ (আহলে বাইত) এর উদাহরণ হচ্ছে হযরত নূহ (عليه السلام) এর নৌকার মত, যে তাতে আরােহণ করল সে মুক্তি পেল। আর যে তাকে ছেড়ে দিল (আরােহণ করলনা) সে ডুবে গেল”।

➠ তথ্যসূত্রঃ

১. কাশফুল আসতার-হাইছামী, ৩:২২২ (২৬১৫)। 

২. মাজমাউয যাওয়ায়েদ -৯:১৬৮।

৩. মু’জামুল কাবীর- তাবরানী, ৩:৪৬ (২৬৩৮)।

৪. আল-হুলিয়্যাহ- আবু নঈম, ৪:৩০৬।

❏ হাদিস ৩:

أخرج الطبرانی عن أبی ذر رضي الله عنه سمعت رسول اللهﷺ يقول: مثل أهل بيتي فيكم كمثل سفينة نوح في  قوم نوح، من ركبها نجا، ومن تخلف عنها هلك. ومثل حطة بني إسرائيل.

ইমাম তাবরানী (رحمة الله) হযরত আবু যর (رضي الله عنه) এর সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলতে শুনেছি, “তােমাদের মধ্যে আমার পরিবারবর্গ (আহলে বাইত) এর উদাহরণ হচ্ছে, হযরত নূহ (عليه السلام) এর উম্মতের জন্য তার নৌকার মত। যে তাতে আরােহন করল সে মুক্তি পেল। আর যে তা হতে পিছন পড়ে রইল (পরিত্যাগ করল) এবং আরােহণ করলনা সে ধ্বংস হল। আর আমার আহলে বাইতের আরাে উদাহরণ হচ্ছে, বনী ইসরাঈলের ‘হিত্তাতুন’ এর মত।

➠ তথ্যসূত্রঃ

১.তাবারানীঃ আল-মু’জামুল আওসাত-৪:২৮৩ (৩৫০২)/৬:২৫১ ৫৫৩২)।

২.আল-মু’জামুস সাগীর, ১:১৩৯।

৩.আল মুসতারিক, ইমাম হাকেম, ২:৩৭৩ (৩৩১২)। মুস্তাদরাক, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৩৪৩, তিনি বলেন হাদিসটি মুসলিমের শর্তে সহীহ; 

৪.মুখতাসারু ইত্তিহাফুল খাইর, ৫:২১১ (৭৫৪০)।

৫.কাশফুল আসতার, হইছামী, ৩:২২২ (২৬১৪)।

৬.মুসনাদে ইমাম আহমদ

৭.মিশকাত শরিফ,খঃ-১১, হাঃ-৫৯২৩; 

৮.কাশফুল মাহজুব, পৃঃ-৭০, (দাতাগঞ্জ বকস); 

৯.তাফসীরে কাবির, খঃ-২৭, পৃঃ-১৬৭; 

১০.মুসনাদে হাম্বাল,খঃ-২, পৃঃ-৭৮৬; 

১১.কানযুল উম্মাল, খঃ-৬, পৃঃ-২৫৬; 

১২.মানাকেবে ইবনে মাগজিলি, পৃঃ-১৩২; 

১৩.আরবাইন নাবহানী,পৃঃ, ২১৬, 

১৪.সুয়ূতীঃ তারিখে খোলাফা, পৃঃ, ৩০৭; 

১৫.যাখায়েরুল উকবা, পৃঃ-২০; 

১৬.ইবনে হাজার মাক্কী; ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত, পৃঃ-৩৭০, ৩০৮; 

১৭.আল তাবরানি, খঃ-৩, পৃঃ-৩৭-৩৮; 

১৮.হিলিয়াতুল আউলিয়া, খঃ-৪, পৃঃ-৩০৬; 

১৯.সুয়ূতি রহ., ‘আল জামে আল সাগীর’, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৫৩৩, হাদিসটি হাসান।

২০.ইমাম সাখাভী রহ., আল বালদানাইত, পৃষ্ঠা ১৮৬, হাদিসটি হাসান।

❏ হাদিস ৪:

নবী করিম (ﷺ) এর প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আবুজার আল গিফারী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,  আমি রাসুল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, আমার আহলে বাইত-এর সদস্যগণ [ আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসাইন আঃ ] আমার উম্মতের জন্য তেমনি নাজাতের তরী, যেমনি আল্লাহ্‌র নবী নুহ (عليه السلام)-এর তরী মহাপ্রলয়ের সময় তার জাতির জন্য আশ্রয় ও নাজাতের তরী ছিলো। অর্থাৎ যারাই হযরত নুহ (عليه السلام)-এর তরীতে উঠেছিল তারাই মহাপ্রলয় থেকে নাজাত পেয়েছিল ( হযরত নুহ (عليه السلام) এর ছেলে তরীতে উঠেনি আল্লাহ তাকেও ক্ষমা করেন নি ) তেমনি এই উম্মতের যারা আমার আহলে বাইত কে অনুসরন করবে তারাই নাজাত পাবে এবং যারা অনুসরন করবে না তারা সুস্পষ্ট পথভ্রষ্ট ( জাহান্নামী ) হবে।

[ মেশকাত শরিফ, কাশফুল মাহজুব, মাসিক মদিনা, পীরের মর্যাদা ও ভুমিকা, জ্ঞানধারা, আস সাওয়ায়েকে মুহরেকা, তাফসীরে কাবির, মুসনাদে হাম্বাল, কানযুল উম্মাল, মুস্তাদারাকে হাকেম, তারিখে খোলফা, ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত, মুয়াদ্দাতুল কুরবা, নুরুল আবসার, আল তাবরানি, আরজাহুল মাতালেব, ইত্যাদি।]

❏ হাদিস ৫:

হযরত   আবু   সাঈদ  খুদরী     (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা   আনহু)   থেকে   বর্নিত।  

أخرج الطبراني في الأوسط عن أبي سعيد الخدری رضی الله عنه سمعت رسول اللهﷺ يقول: إنما مثل أهل بیتی كمثل سفينة نوح، من ركبها نجا، ومن تخلف عنهاغرق ؛ وإنما مثل أهل بيتي فيكم كمثل حطة بني إسرائيل، من دخل غفر له ؛

ইমাম তাবরানী (رحمة الله) হাদিসটি সংকলন করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলতে শুনেছি, “নিশ্চয় আমার পরিবারবর্গের (আহলে বাইত) উদাহরণ হচ্ছে, নূহ (عليه السلام) এর নৌকার মত, যে তাতে আরােহন করল সে মুক্তি পেল। আর যে তা থেকে পিছিয়ে পড়ল (আরােহণ করলনা) সে ডুবে গেল। আর নিশ্চয় তােমাদের মধ্যে আমার পরিবারবর্গের (আহলে বাইত) উদাহরণ হচ্ছে, বনী ইসরায়েলের ‘হিত্তাতুন’ এর মত। যে তাতে প্রবেশ করল সে ক্ষমা প্রাপ্ত হল”।

➠ তথ্যসূত্রঃ

১.তাবরানী   কৃত মুজামুল  কাবির  ১২/৩৪, হাঃ ২৩৭৭, ২৬৩৭,২৬৩৮,২৬৩২

২. তাবারানীঃ মুজামুল আউছাত ৪/১০  হাঃ ৩৪৭৮ 

৩. মুজামুল ছাগির  ১/২৪০ হাঃ ৩৯১

৪. মুসতাদরেকে হাকেম ৩/১৬৩ হাঃ ৪৭২০

উপরোক্ত বর্ণনাগুলোর বিষয়বস্তুকে সাপোর্ট দেয় নিচের বর্ণনাগুলোঃ

❏ হাদিস ৬:

ইবনে নাজ্জার তার ‘তারীখ’-এ হযরত হাসান ইবনে আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,

أخرج ابن النجار في تاريخه عن الحسن بن علی رضی الله عنهما قال: قال رسول الله ﷺ لكل شيء أساس، وأساس الإسلام حب أصحاب رسول اللهﷺ وحب أهل بيته؛

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, “প্রত্যেক কিছুর একটি মূল আছে। আর ইসলামের মূল হচ্ছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবাদের এবং তার পরিবারবর্গ (আহলে বাইত)’কে ভালবাসা”।

তথ্যসূত্র:

‘আদ-দুররুল মনসুর জালালুদ্দীন সুয়ুতী, ৬:৭।

❏ হাদিস ৭:

হযরত ইবনে আবিশ শায়বা এবং মুসাদ্দাদ উভয়ে তাদের ‘মুসনাদ’-এ হাকীম তিরমিজী ‘নাওয়াদেরুল উসূল’-এ আবু ইয়ালা এবং তাবরানী প্রমূখ হযরত সালমা ইবনে আকওয়া’ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,

أخرج ابن أبي شيبة، ومسدد فی مسنديهما، والحكيم الترمذي في نوادر الأصول، وأبو يعلى، والطبراني عن سلمة بن الأكوع رضي الله عنه قال: قال رسول الله ﷺ النجوم أمان لأهل السماء وأهل بیتی أمان لأمتی؛

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, ‘তারকারজি হচ্ছে আসমানের অধিবাসীদের জন্য নিরাপত্তা আর আমার পরিবারবর্গ (আহলে বাইত) হচ্ছে, আমার উম্মতের জন্য নিরাপত্তা।

➠তথ্যসূত্রঃ

১.আল-মাতালিবুল আলিয়া-ইবনে হাজর আল আসকালানী – ৪:২৬২ (৩৯৭২)।

২. মুখতাসারু ইত্তিহাফুস সাদাতিল মাহরা-বুসিরী-৫:২১০ (৭৫৩৬)। 

৩. নাওয়াদিরুল উসূল, ২:১৯৯। 

৪. আল মু’জামুল কাবীর- তাবরানী ৭:২২ (৬২৬০)।

৫. আল মারিফাতু ওয়াত তারীখু-আল ফাসভী- ১:৫৩৮। 

৬. যাবায়েরুল উকবা- আত্বাবারী, পৃষ্ঠা- ৪৯।

৭. কানযুল উম্মাল- আল মুত্তাকি আল হিন্দ-১২:১০১।

৮.আল-মসনদ-আর রুয়ানী -২:২৫৩ (১১৫২)/২৫৮(১১৬৪/১১৬৫)।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment