ইয়ার’ কে নিয়ে চার মহামানবের চার কবিতা
—–
১.
সাক্বানিল হুব্বু- ভালবাসার পিলানেওয়ালা
কাসাতিল বিসালি- একত্রিত হওয়ার পাত্র এগিয়ে দিলো
ফাকুলতু লি খামরাতি- তাই আমি আমার শরাবকে বললাম
নাহওয়ি তাআলি- এগিয়ে এসো আমার কাছে।
শরাব তখন এগিয়ে এলো পাত্রে পাত্রে
মাতাল হয়ে মাতাল থেকেই
চিনতে পারলাম আমার মাওলাদেরকে।
-সূফিদের ইমামুল আইম্মা সাইয়্যিদ আবদুল ক্বাদির জিলানি রা.
২.
আমি আনাল হক্ব বলি না, বলে আমার স্বামী*-
স্বামী যখন বলে কিছু, অস্বীকার করি আমি?
“মান নামি গোয়াম আনাল হক্ব”
– সূফিদের ইমাম খাজা মুঈনউদ্দিন চিশতি রা.
(স্বামী: ইয়ার। প্রভুও হয়. বজম ফ্রেন্ডও হয়।)
৩.
আমি যদি তোর তো তখন আমারই হোস তুই-
দেহ যদি এইখানেই, আত্মা আমার কই?
না যেন কেউ বলতে আসে! কক্ষনো, কোথাও-
তুই অন্য কেউ আর আমি? অন্য কোনও হই।
“মান তান শুদাম, তু জা শুদি”
-সূফিদের ইমাম আমির খসরু রা.
৪.
আমি যদি হইগো মাতাল, যদি মূর্তিপূজক হই
তবে তা-ও নাহয় নিলাম মেনে, বলবি যা আজ তুই
আমি শরাবি, আমিই খোদ্ মূর্তি হলাম আজ
খোদা গ্রহণ করুন যেমন আর যা আছিস তুই
জানিস, বুকের ভিতর ক’দিন ধরে মূর্তি পুঁতে রেখে
রাতের বেলায় পূজি তারে, এম্নি, দেখে দেখে
“আগার রিন্দম আগার মান বূত পারাস্তাম”
-সূফিদের ইমাম বূ আলী শাহ্ কালান্দার রা.
.
প্রাসঙ্গিক আলোচনা:
আমরা সব সময় বলে এসেছি, সূফিত্ব অনুভবের বিষয়। সূফিত্ব উপলব্ধির বিষয়। সূফিত্ব লেভেল আনলক করার বিষয়। সব ধরনের সংস্কার- তা কু সংস্কার হোক আর সু সংস্কার হোক, মুক্ত হবার বিষয়। নিজেকে চিনতে পারা… টুল ও অ্যাপারেটাস হওয়ার বদলে শিরদাঁড়া সোজা করে পূর্ণ মানুষ রূপে উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার দেয়ার বিষয়। সূফিত্ব একটা পথযাত্রা, যে পথযাত্রায় শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল দ. ও তাঁদের প্রিয়জনদের সাথে ঘনিষ্ট হওয়া যায়।
সূফিত্ব সেই পথ, যে পথে মানুষ শেষ পর্যন্ত একই আলোয়, এবং মুক্ত আলোয়, সবকিছুকে স্পষ্টভাবে দেখতে পায়।