সর্বপ্রথম ঈমানের জ্ঞান শিক্ষা করা ফরয
সর্বপ্রথম ঈমান-আক্বিদা বিষয়ক জ্ঞান শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরযে আইন। অতঃপর দ্বীনের অন্যান্য জরুরী জ্ঞান শিক্ষা কার ফরয। যেমন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-
لَمَّا بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ إِلَى نَحْوِ أَهْلِ اليَمَنِ قَالَ لَهُ: ্রإِنَّكَ تَقْدَمُ عَلَى قَوْمٍ مِنْ أَهْلِ الكِتَابِ، فَلْيَكُنْ أَوَّلَ مَا تَدْعُوهُمْ إِلَى أَنْ يُوَحِّدُوا اللَّهَ تَعَالَى، فَإِذَا عَرَفُوا ذَلِكَ، فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللَّهَ قَدْ فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي يَوْمِهِمْ وَلَيْلَتِهِمْ، فَإِذَا صَلَّوْا،
-‘‘রাসূল (ﷺ) যখন মুয়াজ বিন জাবাল (رضي الله عنه) কে ইয়ামান দেশে পাঠান তখন তাঁকে বলেন, তুমি এমন এক সম্প্রদায়ের নিকট যাচ্ছ যারা কিতাবধারী। সুতরাং তুমি তাদের নিকট পৌঁছে (সর্বপ্রথম ঈমানের) আহবান করবে, তারা যেন সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই এবং হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল। যদি তারা তোমার (ঈমানের) কথা মেনে নেয় (ঈমান গ্রহণ করে) তবে তাদেরকে জানিয়ে দিও প্রত্যহ দিন-রাত আল্লাহ তাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন……।’’ ➤ইমাম বুখারী, আস-সহীহ, ৯/১১৪পৃষ্ঠা, হা/৭৩৭২, ইমাম মুসলিম, আস-সহীহ, হা/১৩২।
এ হাদিসে রাসূল (ﷺ) মুয়ায ইবনে জাবাল (رضي الله عنه) কে সর্বপ্রথম আহলে কিতাবদেরকে ঈমান-আক্বিদা বিষয়ক জ্ঞান শিক্ষা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন এবং ইরশাদ করেছেন যদি আহলে কিতাব তাঁর ঈমানের দাওয়াত কবুল করে, তবে তাদেরকে ইবাদাতের দাওয়াত দিবে। নতুবা নয়। সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) ঈমানের গুরূত্ব এতই দিতেন যে, তাঁরা ঈমানের হালকা (মজলিস) কায়েম করতেন, পরস্পরে বসে ঈমান শিখতেন এবং অপর জনকে শিখাতেন। যেমন হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (رضي الله عنه) আসওয়াদ ইবনে হেলাল (رضي الله عنه) কে লক্ষ্য করে বলেন-
اجْلِسْ بِنَا نُؤْمِنْ سَاعَةً
-‘‘আমাদের সাথে বসুন, কিছুক্ষণ ঈমান আনি তথা ঈমান শিখি।’’ ➤ইমাম বুখারী, আস-সহীহ, ১/১০পৃষ্ঠা।
আক্বিদা বিশারদ আল্লামা ইবনু আবিল ইয্য হানাফী (رحمة الله) বলেন-
وَلِهَذَا كَانَ الصَّحِيْحُ أَنَّ أَوَّلَ وَاجِبٍ يَجِبُ عَلَى المُكَلَّفِ شَهَادَةُ أَن لا أله الا الله….بَلْ أَئِمَّةُ السَّلَفِ كُلُّهُمْ مُتَّفِقُوْنَ عَلَى أَنَّ أَوَّلَ مَا يُؤْمَنُ بِهِ العَبْدُ الشَّهَادَتَانِ
-‘‘বিশুদ্ধমতে প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির উপর সর্বপ্রথম ঈমান-আক্বিদা বিষয়ক জ্ঞান শিক্ষা করা ফরয….এবং সকল আলেমগণ এ কথায় একমত যে, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে সর্বপ্রথম ঈমান-আক্বিদা বিষয়ক জ্ঞান শিক্ষা করার আদেশ দেওয়া হবে…।’’ (শরহু আক্বিদাতুত তাহাভী, )