জানাজা নামাজের নিয়মাবলী | জানাযার নামাযের পদ্ধতি (হানাফী)

জানাজা নামাজের নিয়মাবলী | জানাযার নামাযের পদ্ধতি (হানাফী) জানাজা একটি আরবি শব্দ যার অর্থ মৃতদেহ বা লাশ। আর জানাজা নামাজ … Read More

ফাতিহা, কুলখানী, চেহেলাম ইত্যাদির বর্ণনা

ফাতিহা, কুলখানী, চেহেলাম ইত্যাদির বর্ণনা দৈহিক ও আর্থিকইবাদতেরছওয়াবঅন্য মুসলমানকে দানকরা জায়েয এবংএটা ফলপ্রসূও হয়।কুরআন হাদীছও ফকীহগণের উক্তিথেকে এর প্রমাণমিলে। কুরআন করীমমুসলমানদেরকে একে অপরেরজন্য দুআ করানির্দেশ দিয়েছেন। জানাযার নামাযএজন্যই আদায় করাহয় মিশকাত শরীফেরفضل الصدقة শীর্ষক অধ্যায়ে আছে, হযরত সা’আদ(রাঃ) একটি কূপখনন করে বলেছিলেন  هَذِهِ لِاَمِّسَعْدٍ এটা সা’আদের মায়েরনামে উৎসর্গীতহল। ফকীহগণও ঈসালেছওয়াবের নির্দেশ দিয়েছেন। তবেদৈহিক ইবাদতের ক্ষেত্রে পরনীর্ভরশীলতা নাজায়েয। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি অপরেরবদলে নামায পড়লে, নামায আদায় হবেনা। অবশ্য নামাযের ছওয়াবদান করা যেতেপারে। মিশকাত শরীফেباب الفتن الملا حم এরদ্বিতীয় পরিচ্ছেদে বর্ণনাআছে হযরত আবুহুরাই (রাঃ) কাউকেবলেছিলেন- مَنْ يَضْمِنُ لِىْ مِنْكُمْ اَنْ يُّصَلِّى فِىْ مَسْجِدِ الْعَشَا رَكْعَتَيْنِ وَيَقَوْلُ هَذِهِ … Read More

ঈছালে ছওয়াব

ঈছালে ছওয়াব) অর্থ পুণ্য পৌঁছানো পরিভাষায় তার অর্থ হচ্ছে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ পাঠ, দরূদ ও সালাম পাঠ, পান্থশালা, মাদ্রাসা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা, জিকর-ফিকর, ওয়াজ-নছীহত, যিয়ারত-জিয়াফত, দান-খয়রাত, পুকুর ও কুয়া খনন ইত্যাদি জনহিতকর কাজ করে উহার ছওয়াব জীবিত ও মৃত ব্যক্তিদের যথা নবী, ওলী, গওছ, কুতুব, আলেম ফাজেল, হাজী-গাযী, মুমিন-মুসলিম, স্ত্রী-পুরুষের জন্য পৌঁছায়ে দেয়ার নাম ঈছালে ছওয়াব। যেহেতু ঐ সব কাজের একমাত্র উদ্দেশ্য ছওয়াব হাছিল করা। তাই, এ বিশেষ উদ্দেশ্যের প্রতি লক্ষ্য করে এই মজলিসের নামকরণ করা হয়েছে ঈছালে ছওয়াব মাহফিল- আহলে সুন্নাত অল-জামায়াতের আকায়েদ নসফীপ্রসিদ্ধ কিতাব – ১৭১ পৃষ্ঠায় লিখিত আছে – জীবিত লোকের দোয়া ও দান-খয়রাত মৃত লোকদের জন্য উপকারী।আসুন ! জিন্দা ব্যক্তিগণ মৃতদের জন্য কিরূপে দোয়া করবেন, এ সম্পর্কে আঁ হযরত ও ছাহাবায়ে কিরামের এবং আয়েম্মায়ে দ্বীনের আমল ও কওল থেকে দেখি! জীবিতগণ মৃতদের জন্য দোয়া করেছেন কি? তাই মহান আল্লাহ ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের শানে নিম্নোক্ত আয়াতখানি অবতীর্ণ করেছেন-অর্থাৎ ঃ ঐ সব ব্যক্তিগণ যারা পূর্ববর্তী ঈমানদার ভাইদের ক্ষমা করুন। (সূরা হাশর ১০) হযরত বুরায়দা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে- তিনি বলেছেন, আঁ-হযরত (সাঃ) ছাহাবায়ে কেরামকে শিক্ষা দিতেন। তারা যখন কবরস্থানে গমন করবেন, যেন তাদের মধ্য হতে একজন বলেন, ওহে কবরস্থানের মুমিন মুসলমান বাসিন্দারা ! তোমাদের প্রতি সালাম। আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় আমরাও তোমাদের সাথী হবো। মহান আল্লাহর কাছে আমাদের ও তোমাদের জন্য নিরাপত্তা ও শান্তি প্রার্থনা করি।উপরোক্ত আয়াত ও হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, জীবিতদের দোয়া মৃতদের জন্য উপকারী এবং মৃতদের জন্য জীবিতগণের দোয়া করা উচিত। মুসলিম শরীফ, নাসায়ী শরীফ, মুসনদে আহমদ ও ইবনে মাজা শরীফে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে- তিনি বলেছেন, জনৈক ব্যক্তি হযরত রাসূলুল্লাহকে জিজ্ঞেস করলেন আমার আব্বাজান মারা গেছেন, অথচ কোন অছীয়ত করে যাননি। আমি যদি তার পক্ষ হতে ছদ্কা করি তাতে তিনি উপকৃত হবেন কি? হুযুর বললেন হঁ্যা।হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি হুযুরকে জিজ্ঞেস করেন, আমার আম্মা হঠাৎ মারা যান। আমার ধারণা যদি তিনি কথা বলার সুযোগ পেতেন, তাহলে তিনি দান ছদকা করে যেতেন। হুযুর! যদি আমি তার পক্ষ থেকে দান করি, তাহলে তিনি উক্ত দানের ছওয়াব পাবেন কি:? আঁ-হযরত (সাঃ) উত্তরে বললেন হঁ্যা। এই হাদীছটি বুখারী ও মুসলিম স্বীয় কিতাবে বর্ণনা করেছেন। আব্দুল্লাহ বিন আব্বাছ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি হযরত রাসুলকে জিজ্ঞেস করেন, আমার মাতা মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি যদি তার তরফ হতে ছদকা করি এতে তার কোন উপকার হবে কি? তদুত্তরে হুযুর পাক বললেন হঁ্যা। প্রশ্নকারী বলেন আমি বললাম আমার একটি বাগান আছে এবং আপনাকে সাক্ষী করলাম, উক্ত বাগানটি আমার মায়ের তরফ হতে দান করলাম। বুখারী, তিরমিজী, আবু দাউদ ও নাসায়ী শরীফ দ্রষ্টব্য। হাসান বসরী (রাঃ) ছাদ বিন ওবাদা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমার মাতা মারা যান। আমি কি মায়ের তরফ হতে দান করবো। তিনি বললেন হঁ্যা। আমি বললাম কি ছদকা দেবো? উত্তরে বললেন, পানি পান করার ব্যবস্থা কর। (অর্থাৎ কূপ খনন করে দাও)।উল্লেখিত হাদীছ সমূহ দ্বারা প্রমাণিত হলো, আওলাদ ফরজন্দ যদি ছদকা খয়রাত মা-বাপের মৃত্যুর পর অছীয়ত করুক বা না করুক তাদের রূহের মাগফিরাত কামনার্থে দান করে তবে উক্ত দান-খয়রাতের ছওয়াব তাদের রূহের উপর পৌঁছবে।মানুষ যা দুনিয়াতে উপার্জন করে উহাই পরকালে ভোগ করবে। মো’তাযিলা ফেরকা উক্ত আয়াত চয়ন করে বলেন, অপরের দান খয়রাত দ্বারা মৃত ব্যক্তির কোন উপকার সাধিত হবে না। তদুত্তরে বলবো উক্ত আয়াতখানি কাফিরদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। উল্লেখিত আয়াতখানীর হুকুম মানসুখ হয়ে গেছে।যথা ঃহাদীছ শরীফে উল্লেখ আছে যে, আঁ-হযরত বলেছেন, মানুষের উপার্জনের একটা অংশ হতেছে সন্তানাদি।সুতরাং কুরআন পাকের আয়াত দ্বারা এটাই প্রমাণিত। যথা মুলতাকাল আখবার ৪/৮০ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য। অর্থাৎ মানুষ যা দুনিয়ায় কামাই করবে তা’ পাবে। এখানে আয়াতে উল্লেখিত দ্বারা মানুষের আওলাদ উদ্দেশ্য হতেছে। অথবা ইনসান শব্দ দ্বারা এখানে কাফেরকে বুঝানো হয়েছে। কাফিরদের জন্য পরকালে কিছুই নেই। শুধু দুনিয়ার বুকে যা গুনাহ করেছে উহাই পাবে। অথবা এর অর্থ হবে, যে মুসলমান স্ত্রী বা পুরুষের জন্য মৃত্যুর পর কোন লোক দান-খয়রাত ও কুরআন পাঠ কিছুই না করে তাহলে ঐ ব্যক্তি পরকালে শুধু উহাই ভোগ করবে, যা সে দুনিয়ার বুকে ভাল কাজ করেছে। সুতরাং আয়াতটি জীবিতদের দোয়া ও দান-খয়রাত মৃতদের জন্য উপকৃত হওয়ার বিপরীত নয় বরং সপক্ষে। মানুষের মৃত্যুর পর সে কিছু আল্লাহ পাকের তরফ থেকে পুরস্কার পাবে, উহা একমাত্র আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ হিসেবে পাবে। অথবা এর লামটা অর্থে ব্যবহৃত হবে। অর্থাৎ প্রত্যেক মানুষের কর্মদোষের দরুণ তার উপর শাস্তির ব্যবস্থা হবে। মানুষের মৃত্যুর পর জীবিত ব্যক্তিগণ তাদের জন্য দোয়া অথবা দান-খয়রাত করলে তদ্বারা মৃত ব্যক্তিগণ উপকৃত হন।এ বিষয় দলিলরূপে ধারাবাহিক কয়েকটি হাদীছ পেশ করছি। যথা ঃ মুসলিম শরীফ ২/৪১ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, আঁ-হযরত বলেছেন, মানুষের মৃত্যুর পর তার যাবতীয় নেক আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি নেক আমল এমন ধরনের যার ছওয়াব মৃত্যুর পরেও তার আমলনামায় লিপিবদ্ধ হতে থাকে। (১) ছদকায়ে জারিয়া যেমন ওয়াকফ সম্পত্তি বা মাদ্রাসা, মসজিদ, পান্থশালা ইত্যাদি কায়েম করা। (২) এমন ইলম শিক্ষা ব্যবস্থা কায়েম করা যেমন বই পুস্তক, কিতাবাদি প্রণয়ন করা এবং এমন তা’লীম তরবীয়ত দেয়া যাতে সে লোকটি শিক্ষা প্রাপ্ত হয়ে অন্যকে শিক্ষা দিতে সক্ষম হয়। (৩) এমন নেক সন্তান রেখে যাওয়া যে সন্তান নামাজ, রোজা, ওয়াজ-নছীহত, জিকর-ফিকর, মুরাকাবা ও মুশাহাদা কালে দোয়াতে লোকটিকে স্মরণ করে। উপরোলি্লখিত হাদীছ দ্বারা বুঝা গেল যে, জীবিত ব্যক্তির দোয়ায় মৃত ব্যক্তির উপকার হয়। আহলে সুন্নাতুল জামায়াত অর্থাৎ চারি মাযহাবের ইমামদের ইহা সম্মিলিত মত। মো’তাযিলা (মুসলমানদের বাতিল একটি দল) ফেরকার অভিমত হলো, মানুষের মত্যুর পর তাদের পক্ষ থেকে জীবিতদের দ্বারা যত রকমের নেককাজ করা হউক তাতে কোন উপকার হবে না। বুখারী শরীফ ১ম খণ্ড ১৭৭ পৃষ্ঠায় আছে_হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, আঁ-হযরত ছাহাবায়ে কেরামকে নাজাশী, (হাবশার বাদশাহ আসহামা) এর মৃত্যু সংবাদ দিলেন। এরপর তিনি সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন, ছাহাবায়ে কেরাম হুযুর এর পেছনে কাতার দিয়ে দাঁড়ালেন; তখন তিনি চার তকবীরে জানাজার নামাজ আদায় করলেন তাঁর থেকে আরোও একটি হাদীছ বর্ণিত আছে যে, আঁ-হযরত হাবশার বাদশাহ নাজাশী যেদিন ওফাত পেলেন সেদিনই ছাহাবায়ে কেরামকে ডেকে বললেন, তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে মাগফিরাত কামনা কর। বুখারী শরীফ ১ম খণ্ড ১৭৭ পৃষ্ঠায় লিখিত আছে-যিয়াদ বিন আলাকা বলেন, আমি জারীর বিন আব্দুল্লাহকে বলতে শুনেছি ঐ দিন কুফার গভর্নর মুগীরা বিন শো’বা মৃত্যু বরণ করেন, জারীর (রাঃ) দাঁড়িয়ে আল্লাহ তা’য়ালার হামদ ও ছানা পাঠ করে বলেন; ওহে হাজেরীন! আল্লাহ তা’য়ালা যার কোন অংশীদার নেই তাকে ভয় করুন; ধৈর্য ও স্থীরতা আপনাদের একান্ত প্রয়োজন যতক্ষণ না তার স্থলে আরেকজন গভর্নর না আসেন। সত্বর তিনি আসছেন। তৎপর বললেন, আপনারা মরহুম গভর্নরের জন্য মহান আল্লাহর কাছে মাগফিরাত কামনা করুন; কেননা, তিনি মানুষকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতেন। অতপর জারীর বললেন, আমি হুযুর এর দরবারে এসে আরজ করেছিলাম, আমি আপনার নিকট ইসলামের বয়াত করবো। তাতে তিনি আমার উপর প্রত্যেক মানুষের জন্য সদুপদেশ প্রদানের শর্তারোপ করেন। একথার উপর আমি তাঁর নিকট বয়াত হয়েছি।ঈছালে ছওয়াবের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কবর ও মাযার যিয়ারত। এ বিষয় আঁ-হযরত নিজে যিয়ারত করেছেন ও উম্মতগণকে যিয়ারত করার জন্য হুকুম দিয়েছেন। নাসায়ী শরীফ ১ম খণ্ড ২৮৫ পৃষ্ঠায় আছে-হযরত বুরায়াদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আঁ-হযরত বলেছেন, আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা কবর যিয়ারত কর।নাসায়ী শরীফের ১ম খণ্ড ২৭১ পৃষ্ঠায় আছে-আউফ বিন মালিক (রাঃ) বলেন, আমি রাসুল পাককে কোন এক মায়্যেতের উপর এ দোয়া করতে শুনেছি, হে প্রভু! তাকে ক্ষমা করুন, রহম করুন, মাফ করুন, তাকে সম্মান জনক আতিথিয়তা দান করুন, তার কবরকে প্রশস্ত করুন, তাকে পানি ও বরফ দ্বারা গোসল দিন এবং তাকে গুনাহ থেকে পরিষ্কার করুন যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়।

ইয়া শব্দটি নিয়ে আহলে হাদীস নাসির উদ্দিন আলবানীর জালিয়াতী

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে… (প্রসঙ্গ ইয়া শব্দটি নিয়ে আহলে হাদীস নাসির উদ্দিন আলবানীর জালিয়াতী সাবধান ওয়াহাবীরা কিতাব পরিবর্তন করছে।তাদের আকীদার বিরুদ্ধে চলে যায় এমন গুরুত্বপূর্ণ অক্ষর ও শব্দগুলোমুল কিতাবের নতুন সংস্করণ করে মুছে দিচ্ছে।গায়েব হয়ে যাচ্ছে মুল কিতাবের অস্তিত্ব।এই কাজ কোন মুসলমান করতে পারেনা। এটা মুসলমানের বৈশিষ্ট্য হতে পারেনা।মুসলমান সমাজের ক্যান্সার ওয়াহাবী/নজদীদের এমন কাজের কথা লিখতে গিয়ে মনে পড়ে গেল খ্রীস্টানদের কথা।বাইবেল কিন্তু আজ আগের অবস্থায় নেই।খ্রিস্টানরা তাদের উদ্দেশ্য সাধন করতে গিয়ে চেঞ্জ করেছে তাদের বাইবেল।যার ফলে এখন বাইবেল হয়েছে দুটিঃওল্ড টেস্টামেন্ট/পুরাতন বাইবেলএবং নিউ টেস্টামেন্ট/নতুন বাইবেল।ওয়াহাবী দুষ্কৃতিকারীরা যা শুরু করে দিয়েছে, তাতে ভবিষ্যতে যে কী হবে, তা ভেবে বুক কেঁপে উঠে।আল্লাহ, তুমি হেফাজত কর।আজকের আলোচনাঃইয়া মুহাম্মাদ/ইয়া রাসুলাল্লাহ বলা।প্রথমে ইমাম বুখারীর লেখা গ্রন্থ আল আদাবুল মুফরাদ এর একটি হাদীস পড়ে নিনঃহযরত আব্দুর রাহমান বিন সা’দ থেকে বর্ণিত, একবার হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমার এক পাঅসাড় ও অনুভুতিশুন্য হয়ে গেল। এক লোক তাকে বললেন, আপনার সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তির নাম স্মরণ করুন।অতঃপর ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বললেন, ইয়া মুহাম্মাদ। (হে মুহাম্মাদ)রেফারেন্সঃ১/আল আদাবুল মুফরাদইমাম বুখারীহাদীস/৯৬৪ ২/আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাতিইবনুস সুন্নীহাদীসঃ১৬৭/১৬৮/১৬৯/১৭১৩/মাসনাদু ইবনে জা’দ/২৫৩৯আত তাবাকাতুল কুবরাঃ৪/১৫৪৪/আল কালিমুত তায়্যিবখন্ড-১পেইজঃ১৭৩৫/আল আযকারইমাম নববীপেইজঃ৩০৫৬/তারিখু মাদীনাতি দিমাশকইবনু আসাকির৩১/১৭৭হাদীসটি নিয়ে সড়যন্ত্রঃওয়াহাবী/লা মাযহাবীরা বিশ্বাস করে, ইয়া রাসুলাল্লাহ/ইয়া মুহাম্মাদ বলেরাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ডাকা শিরক।এখন যখন দেখছে, স্বয়ং ইমাম বুখারীর মত গ্রহনযোগ্য ইমাম তাঁর কিতাব আদাবুল মুফরাদের মধ্যে একটি হাদীস উল্লেখ করেছেন,যেখানে বিপদে থাকাকালীন সময়ে সাহাবী হযরত ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহ আনহুমারাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ইয়া মুহাম্মাদ অর্থাৎ হে মুহাম্মাদ বলে ডেকেছিলেন।মাথা খারাপ হয়ে গেল ওয়াহাবী/নজদী শয়তানদের।সিদ্ধান্ত নিল,নাহ,কিতাব থেকে এটা মুছে দিতে হবে। না হলে আকীদা প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।যেই ভাবা সেই কাজ।শুরু হয়ে গেল কিতাবের সংস্করণ।হাদিসটি অকার্যকর করতে তারা দুটি কাজে হাত দিলঃএক,ইয়া (সম্বোধন করার হরফ) তোলে ফেলা।দুই,হাদিসটি দুর্বল প্রমাণ করা।হাদিসটি দুর্বল করার ষড়যন্ত্রঃতারা বলে, হাদীসের একজন বর্ণনাকারীর নাম আবু ইসহাক আস সাবিয়ী। তিনি মুদাল্লিস। তাই তাঁর বর্ণিত এই হাদীসটি দুর্বল।দলীল দেয়া যাবেনা।আমাদের পক্ষ থেকে জবাবঃএই বর্ণনাকারী আবু ইসহাক আস সাবিয়ীর ব্যাপারে দেখুন, হাদীস শাস্ত্রের ইমামগণ কী বলেছেনঃইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন,আবু ইসহাক আস সাবিয়ী একজন নির্ভরযোগ্য হাদীস বর্ণনাকারী।ইয়াহিয়া বিন মুয়ীন বলেন,তিনি একজন নির্ভরযোগ্য হাদীস বর্ণনাকারী।আলী বিন মাদীনী বলেন,সমগ্র উম্মতের মধ্যে ছয়জনের নিকট ইলিম সংরক্ষিত তথা মাহফুয।তন্মধ্যে একজন হলেন, আবু ইসহাক আস সাবিয়ী।ইমাম যাহাবী বলেন,আবু ইসহাক আস সাবিয়ীর বর্ণিত হাদীস দ্বারা দ্বীনের সকল বিষয়ে দলীল প্রদান করা যাবে।রেফারেন্সঃসিয়ারু আ’লামিন নুবালাইমাম যাহাবীআত তাবাকাতুস সালিসাহ।বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিসগণের মন্তব্য যার পক্ষে, সেই আবু ইসহাক আস সাবিয়ীর বর্ণিত আলোচ্য হাদিসটি নিঃসন্দেহে সহীহ তথা বিশুদ্ধ।পরিবর্তনঃআমি প্রমাণ স্বরূপ মূল কিতা্বের এবং পরিবর্তিত (যেটা ওয়াহাবীরা পরিবর্তন করেছে) কিতাবের এবারত( বাক্য) সহআপনাদের সামনে তোলে ধরলাম।দেখুন,মূল কিতাবটিতে ‘ইয়া’ হরফের উল্লেখ আছে। কিন্তু আলবানীর কমেন্ট সহ যে কিতাব, এখানে ‘ইয়া’ হরফের উল্লেখ নেই।(অর্থাৎ তারা বলতে চায়, ইবনে উমর হে মুহাম্মাদ বলে ডাকেন নি। কারণ ‘হে মুহাম্মাদ’ বলে ডাকা শিরক।)শুধু এই কিতাবেই নয়, সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম সহ অন্যান্য কিতাবগুলোতে ও তারা তাদের কালো হাত বাড়িয়েছে। ইচ্ছে মত কাটা ছেঁড়া করছে।নিজেদের মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।হে মুসলিম,সাবধান, তুমি সাবধান হয়ে যাও।তাদের মুখে কোর’আন হাদীস শুনেই পাগল হয়ে যেওনা।এরা কোর’আন হাদীসের সাইনবোর্ড সামনে রেখে দ্বীনের শিকড় কাটছে।আল্লাহ, তুমি আমাদের হেফাযত কর,আমীন।

আল হিদায়া গ্রন্থের উপর আহলে হাদীস শায়খ আব্দুর রউফ এর জালীয়াতীর মুখোশ উন্মোচন

প্রিয় পাঠকগণ সাবধানী পোষ্ট/আহলে হাদীসলা মাযাহাবী হইতে সাবধান কারণ এর বাটপার বিখ্যাত হানাফী মাযহাবের কিতাব আল হিদায়া ও ইমাম আবু হানিফা (র:) উপর ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহপড়া নিয়ে আহলেহাদীস মুফতি আব্দুর রউফ এর জালিয়াতী. কথায় আছে সত্যকে মিথ্যা করতে চেষ্টা করা যায় কিন্তু মিথ্যাকে সত্যি করা যায় না আর হানাফী মাযহাবের যত দলিলআছে এসকল দলিলগুলো কে নকল করে জালিয়াতী করচে আহরে হাদীস শায়খরা এরকম বহু জালিয়াতী করেছে তার মধ্যেবর্তমানে ইমামের পিছনেসূরা ফাতিহা নিয়েআল হিদায়া গ্রন্থের উপর মিথ্যাচার ও ইমাম আবু হানিফ(র:)এর উপর জালীয়াতী করেছে এই শায়খ নামের ভন্ডসে বলেছে ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়তেই হবে এবং তা পড়া ফরয সে দলিল হিসেবে হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত গ্রন্থ আল হিদায়ার ১ম খন্ডের এবারত দিয়েচে আমি আপনাদের সামনেসেই এবারতের পৃ: সহ ছবি তুলেধরলাম ভাল করে দেখেন সেখানে ইমামআবু হানিফা ইমামের পিছনে কিরাত পড়তেসর্ম্পূণ নিষেধ করেছেন আর এই ভন্ডআহলে হাদিস শায়কবলছে ইমাম আবু হানিফা (র;) নাকিইমাম ও মুক্তাদী উভয়কেই কিরাত পড়া ফরয বলেছে তার আরো ফালতু মিথ্যাচার কথা রয়েছে ২৬ মিনিটের ভিডিওটিতে আপনারা সবাই দেখবেন আশা করি আর আমারএই পোষ্টটি জনস্বার্থে শেয়ারকরুন.আল্লাহ যেন সরলপ্রাণ মুসলিমদের এ সকল ভন্ডদের কাছ থেকে হেফাজত করেন..আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ

ইমামের পিছনে মুক্তাদীর সুরা ফাতিহা পড়া আর না পড়া

ইমামের পিছনে মুক্তাদীর সুরা ফাতিহা পড়া আর না পড়া ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা পড়া আর না পড়া – অনেক দিন ধরেই এটি একটি বিতর্কের বিষয়।এই তর্কটি, কোন পদ্ধতি ভাল ও উত্তম শুধুমাত্র এই বিষয়ে সীমাবদ্ধ নয়,বরং ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা পড়া যাবে কি যাবে না অর্থাৎ জায়েজ নাকি মানা – এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।এ কারণে সালাতের বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।এজন্য বিভিন্ন আলেম উলামাদের এ নিয়ে বিভিন্ন মতামত লক্ষ্য করা যায় এবং অনেক বই, অনুচ্ছেদ ও পাওয়া যায়। নামাযের অন্যান্য বিষয়গুলো যেমন রাফয়ে ইয়াদাইন ইত্যাদির ক্ষেত্রে ২ টি মতামত এর মাঝে কোনটি অধিকতর ভাল তা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা পাওয়া যায়,কিন্তু ইমামের পিছনে মুক্তাদীর কেরাত এর বিষয়টি অনেক গুরুতর,কারণ কারও মতে ইমামের পিছনে মুক্তাদীর কেরাত ফরজ,কারও মতে ওয়াজিব,আবার কারও মতে মাকরুহে তাহ্রীমী আর কারও মতে হারাম। ইমামের পিছনে মুক্তাদীর কেরাত পড়া কি জরূরী? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তবে কোন নামাযের ক্ষেত্রে, সিরী নামায(ইমাম যখন কেরাত চুপে চুপে পড়েন) এবং জেহরী নামায (ইমাম যখন কেরাত শব্দ করে জোরে জোরে পড়েন), উভয়ের ক্ষেত্রে না যে কোন একটির ক্ষেত্রে। উত্তর যদি না হয়, তাহলে সে সব হাদীসের ব্যাখ্যা কি যেগুলো দেখতে এ মতামতের বিরোধী মনে হয়? এই প্রবন্ধটি বা লেখাটি আশা করি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দিবে এবং আপনার বুঝে আসবে। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে বুঝার তওফীক দান করুন। আমিন। চার ইমাম এবং উলামা কেরাম গণের মতামতঃ প্রথমত, ইমাম এবং মুনফারিদ (যে একাকী নামায পড়ে) নামাযে সুরা ফাতিহা পড়বে কি পড়বে না – এ বিষয়ে মুজতাহিদ ইমাম গণের মাঝে কোন মত বিরোধ নেই। সকল ইমাম এবং মুহাদ্দিসগণ একমত যে তাদের কে অবশ্যই সুরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে এবং এটি বাধ্যতামূলক।তাঁদের এ বিষয়েও ঐক্যমত্য আছে যে, ইমামের পিছনে মুক্তাদীর অন্য কোন সুরা বা আয়াত পড়তে হবে না যা সাধারণত ইমাম বা মুনফারিদ কে সুরা ফাতিহার পড়ে অবশ্যই পড়তে হয়। কিন্তু মুক্তাদী যখন ইমামের পিছনে নামায আদায় করবেন, তখন সুরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে কি না তা নিয়ে উলামা দের মাঝে মতবিরোধ আছে। ইমাম মালিক ও ইমাম আহমদঃ তাদের উভয়েরই মত হলঃ জাহরী নামায ( ইমাম যখন কেরাত শব্দ করে জোরে জোরে পড়েন, ফজর, মাগরিব, এশা ) এর ক্ষেত্রে মুক্তাদীর ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা পাঠ করার দরকার নেই।কিন্তু সিরী নামায(ইমাম যখন কেরাত চুপে চুপে পড়েন, যোহর, আসর) এর ক্ষেত্রে সুরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে। ইমাম শাফীঃ উনার প্রসিদ্ধ মত হচ্ছে, জাহরী নামায এবং সিরী নামায উভয় ক্ষেত্রেই মুক্তাদীর সুরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে। এই মতটি যদিও প্রসিদ্ধ, কিন্তু এটি ইমাম শাফীর সর্বশেষ মত ছিল না।তাঁর কিতাবগুলোর উপর ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করলে এই মতটিকে তাঁর পূর্বের মত হিসেবে পাওয়া যায়। ইবনে কদামাহ তাঁর কিতাব “আল মুগনী” তে এই মতটিকে ইমাম শাফীর পূর্বের মত বলে অভিহিত করেছেন।(আল মুগনী ৬০১ : ১) ইমাম শাফীর নিজের লিখা “কিতাবুল উমম” গ্রন্থ থেকে আমরা জানতে পারি জাহরী নামায এর ক্ষেত্রে মুক্তাদীর সুরা ফাতিহা তিলাওয়াত জরূরী নয়, তবে সিরী নামায এর ক্ষেত্রে সুরা ফাতিহা পাঠ অবশ্যই জরুরী।তিনি “কিতাবুল উমম” গ্রন্থে লিখেন, “এব্ং আমরা বলি ইমাম নিঃশব্দে পড়েন এ রকম প্রত্যেক নামাযের ক্ষেত্রে ইমামের পিছনে মুক্তাদীর অবশ্যই কিরাত পাঠ করতে হবে।”(আল মুগনী ৬০১ : ১) “কিতাবুল উমম” ইমাম শাফীর পরবর্তী কিতাবগুলোর মধ্যে একটি যা হাফেজ ইবনে কাসীর তার “আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া” (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ২৫২ : ১০) এবং আল্লামা সুয়ুতী “হুসনুল মুহাদরাহ” গ্রন্থে দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেছেন।এটি প্রমাণ করে যে “কিতাবুল উমম” এর মতামতটি ইমাম শাফী পরে দিয়েছেন। … Read More

সূরা আরাফের ২০৪ নং আয়াত অনুসারে ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়তে হবেনা তাফসীর ইবনে কাসির এর মত

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে… (প্রসঙ্গ ইমামের পিছনেমুক্তাদিরা সূরা ফাতিহা পড়বে কি না আবার না পড়লেসালাত হবে কি না) রাসূল (সা:)একটি ভবিষ্যত বাণী করে গিয়েছিলেন যে তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল বের হবে যারাপূর্ববর্তীগণদের কে কটাক্ষ্য করে চলবে বর্তমানে তাই হচ্ছে যার একটি হলো ইমামের পিছনে মুক্তাদিরা কিরাত পড়বে কি না এ নিয়ে বর্তমান যামানায় একটি দল ধাক্কা ধাক্কি করে সরলপ্রাণ মুসলিমদেরকে কোরান ও হাদীসের সঠিকব্যখ্যা না বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে তারা কথায় কথায়বলে সূরা ফাতিহা না পড়লে নামাযহবে না তাদেরএ কথা ঠিক কিন্তু এ কথাটিকোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সে ব্যপারটি তারা না বুঝে ফতোয়া দেওয়াশুরু করে দেয় যে যারা  ইমামের পিছনে সূরাফাতিহা না পড়বেতাদের সালাত হবে না এ ফতোয়ার কোন ভিত্তি নেই কারণ কোরান হাদীসএবং ফকীহগণের রায় প্রকাশ করলে বুঝাযায় তারা ইসলামের নামে ওহাব নজদীকে প্রাধান্য দিচ্ছে কিন্তু আসুন দেখি কোরান হাদীস এবং এজমাকিয়াস কি বলে- দলিল নং-১..যখন কোরান পাঠ করা হয়,তখন তোমরা মনোযোগ সহকারে সেটাশ্রবণ করো এবং নিশ্চুপ থাকো, যাতেতোমাদের উপর দয়া হয়-আল কোরান-সূরা-আরাফ-২০৪ নং আয়াত-পাঠকগণ খুব ভালভাবে উপলপ্ধি করুন উপরের আয়াতটি হযরত আবু হুরাইরা(রা:),হযরত ইবনে মাসঊদ(রা:),হযরত আবদুল্লাহ ইবনেআব্বাস(রা:),মুজাহিদ(রা:),ইবনে জুবাইর(রা:),ইবনে জারীর(রা:), প্রমখ সাহাবীগণ বলেছেন যে, এই আয়াতটি নাযিল হয়েছে সালাতএবং জুম’আর খুতবাসম্পর্কে।(তাফসীর ইবনেকাসীরঃ 4 : 428) আশাকরি পাঠকগণ উপরের কোরানের আয়াতটি দিয়ে খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন যে,মুক্তাদীর ইমামের পিছনে কেরাত না পড়ার জন্য এটি একটি বড় ও পর্যাপ্ত দলিল এবং যখন ইমাম কেরাতপড়তে থাকেন তখন মুক্তাদীর চুপ থাকাও মনোযোগ দিয়েশ্রবণ করা আবশ্যক। এখন আসূস হাদীসের দিকেযায় (হাদীস শরীফে রাসূল(সা:)বলেছেন যে ব্যক্তি সালাতে সূরাফাতিহা পড়বে না তার সালাত হবে না এই হাদীসটি বুখারী শরীফ-মুসলিম শরীফ-তিরমিযী শরীফ-আবু দাউদ শরীফ-সূনান নাসাঈ-মুসনাদে আহমদ-ইবনে মাযাহও মেশকাত সহ অনেক হাদীসে সহীহসনদে লিপিবদ্ধ আছে)কিন্তু হাদীসটি কোনক্ষেত্রে ব্যবহার করতেহবে আর কোনক্ষেত্রে ব্যবহার করতেহবে না তা কোরানের আয়াত আরোঅন্যান্য হাদীস এবং ফকীহগণের রায় প্রকাশ করলে বুঝা য়ায় যে এটি শুধুমাত্র একাকী নামায়ের বেলায় প্রযোয্য এর পক্ষে হাদীস হচ্ছে-যে ব্যক্তি সালাতে সূরা ফাতিহা পড়বেনা তার সালাতহবে না এই হাদীসটির ব্যখ্যায় ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (রা:)বলেন এটি শূধু একাকী সালাতআদায়ের ক্ষেত্রে প্রযোয্য এবং এই হাদীসটিতে জাবির (রা:)বলেন যে ব্যক্তি সালাতে সূরাফাতিহা পড়বে না তার সালাত হবে না তবে ইমামের পিছনে হলে ভিন্নকথা ইমাম আহমদ(রা:)বলেন জাবির(রা:)একজন সাহাবী এবয় জাবির (রা:)এই হাদীসটিকে একাকী সালাত আদায়কারীর বেলায় প্রযোয্য বলে ঘোষণা দিচ্ছেন -তিরমিযী শরীফ-৩১২ নং হাদিসইসলামিক ফা:-সূতরাং পাঠকগণ আশাকরি বুঝতেপেরেছেন এই হাদীসটি কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করতেহবে আর কোনক্ষেত্রে ব্যবহার করতেহবে না তা আপনাদের সামনে পরিষ্কার হয়ে গেলো  তবে কেউ যদি ইমামের পিছনেমনে মনে কিরাতপরে তা পড়তেপারবে এ ব্যপারে হাদীস আছে আবারইমামের পিছনে না পড়ার অনেক শক্তিশালী হাদীস আছে কিন্তু আমার কথা হলোযে ভাইয়েরা বলেনবা ফতোয়া দেন যে নামায ই হবে না এটা আমি কোন হাদীসে পাই নি বা কোন ফকীহগণ বা কোরানে এ রকম কোন কিছু উল্লেখ নেই তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ করছিনা বুঝে কোনকিছু হুট করে পোষ্ট করবেন না কারণ কোন হাদীসকোন জায়গায় ব্যবহার করতে হবে তা আমি আপনি হয়তোবুঝতে পারি না তাই অযতা ইসলামনিয়ে সাধারণ সরলপ্রাণ মুসলিমদের মাঝে বিশৃংখলা করবেন না যদি করেন তাহলে পাপেরবোঝা আপনাকেই বহন করতে হবে অন্যদের নয়-আল্লাহ হাফেয-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ

নামাযের মাঝে নারী পুরুষের ভিন্নতা কি কি?

নামাযের মাঝে নারী পুরুষেরভিন্নতা কি কি?———–প্রকৃত কথা হচ্ছে হক্ব বাতিলের সংঘাত চিরন্তন -অন্যথায় রাসুল( স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )এর স্বর্ণ যুগে তারকারাজীর ন্যায় উজ্জ্বল আদর্শবানসাহাবায়ে-কিরাম, তাবেঈ,তাবে তাবেঈ থেকে শত শত বছরেরগবেষক, বিচক্ষণ ইমামদের সর্ব স্বীকৃত কোরআন ও হাদীসেরআলোকে নারীদের সালাত পদ্ধতিকে ইদানিং জন্মনেয়া একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দল কিভাবে প্রশ্ন বিদ্ধকরতে পারে ?নামাযের মাঝে কি পার্থক্য আছে, তা বর্ণনা করারপূর্বে আমি উল্লেখ করবো শরীয়তের অন্য কোন বিধান এরমাঝেও কি নারী পুরুষের পার্থক্য আছে? না শুধু নামাযেরমাঝে? যেমন-১। পুরুষ ও মহিলা উভয়ের উপরই হজ্জ ফরয। কিন্তু মহিলাদের জন্যপথ খরচ ছাড়াও হজ্জের সফরে স্বামী বা মাহরাম পুরুষেরউপস্থিতি শর্ত। (অথচ মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে যারকাছে পথ খরচ আছে তাকে হজ্ব করার নিদেশ দিয়েছেন-{ ﻭَﻟِﻞِﻩَّﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺣِﺞُّ ﺍﻟْﺒَﻴْﺖِ ﻣَﻦِ ﺍﺳْﺘَﻄَﺎﻉَ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺳَﺒِﻴﻠًﺎ { [ ﺁﻝ ﻋﻤﺮﺍﻥ : 97 ] সূরা আলইমরান-97।২। ইহরাম অবস্থায় পুরুষের জন্য মাথা ঢাকা নিষেধ অথচমহিলাদের জন্য ইহরাম অবস্থায়ও মাথা ঢেকে রাখা ফরয।মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-1668।৩। ইহরাম খোলার সময় পুরুষ মাথা মুণ্ডাবে; কিন্তু মহিলাদেরমাথা মুণ্ডানো নিষেধ।৪।হজ্জ পালনের সময় পুরুষ উচ্চ আওয়াজে ‘তালবিয়া’ পাঠ করে;অথচ মহিলদের জন্য নিম্ন আওয়াজে পড়া জরুরী।৫। ইমাম ও খতীব পুরুষই হতে পারে। মহিলারাহতেই পারে না।৬। আযান শুধু পুরুষই দেয়; মহিলাকে মুয়াজ্জিন বানানো জায়েযনয়।৭। ইকামত শুধু পুরুষই দেয়; মহিলা নয়।৮। পুরুষের জন্য জামাআত সুন্নতে মুয়াক্কাদা; অথচমহিলাকে মসজিদ ও জামাআতের পরিবর্তে ঘরেরভেতরে নামায পড়ার হুকুম করা হয়েছে।৮। সতরের মাসয়ালায় পুরুষ ও মহিলার মাঝে পার্থক্য রয়েছে।৯। নামাযে সতর্ক করার মত কোন ঘটনা ঘটলে সতর্ক করার জন্যকিংবা অবহিত করার জন্য পুরুষকে তাসবীহ পড়ার হুকুমকরা হয়েছে। অথচ মহিলাদের জন্য হুকুম হল ‘তাসফীক’ তথা হাতদ্বারা শব্দ করে অবহিত করা।১০। জুমার নামায শুধু পুরুষের উপর ফরয, মহিলার ‍উপর নয়।১১। মারা যাওয়ার পরও পুরুষের তিন কাপড় আর নারীর পাঁচকাপড়।১২। খলিফা শুধু পুরুষই হতে পারে। মহিলারাহতেই পারে না।এই পর্যন্ত এক ডজন মাসায়ালা উল্লেখ করলাম।মানুষের জন্য নারী পুরুষের মাঝে শরয়ী দিক থেকে পার্থক্যহতে পারে এ কথা বুঝার জন্য এটাই যথেষ্ট।এখন দেখুন হাদীস ও আসারের আলোকে নারী পুরুষেরমাঝে নামাযের পার্থক্য।সতর কেন্দ্রিক, অর্থাৎ যতটুকু সম্ভব গোপনীয়তারমাধ্যমে মহিলারা সালাত আদায় করবে।আল্লাহ তা’লা বলেনﻭَﻗَﺮْﻥَ ﻓِﻲ ﺑُﻴُﻮﺗِﻜُﻦَّ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺒَﺮَّﺟْﻦَ … Read More