মাসয়ালা (১) - দুই ব্যক্তি ভুল করে একে অপরের পশু যদি জবেহ করে থাকে তাহলে উভয়ের কুরবানী হয়ে যাবে। পশুর মাংস খাবার পর নিজেদের ভূল বুঝতে পারলে একে অপরের নিকট ক্ষমা চেয়ে নিবে। যদি একে অপরকে ক্ষমা করতে রাজি না হয় তাহলে একে অপরের নিকট হতে নিজ নিজ পশুর মূল্য গ্রহণ করবে এবং তা সাদকা করে দিবে (দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার)।
মাসয়ালা(২) – ইচ্ছাকৃত বিনা অনুমতিতে অপরের কুরবানীর পশু নিজের নামে জবেহ করলে যদি পশুর মালিক জবেহ কারীর নিকট হতে জরীমানা গ্রহণ করতে রাজি হয় তাহলে জবেহ কারীর পক্ষ হতে কুরবানী হয়ে যাবে। অন্যথায় জবেহ কারী নিজের নামে জবেহ করলেও মালিকের পক্ষ হতে কুরবানী হয়ে যাবে (রদ্দুল মুহতার)।
মাসয়ালা(৩) – যদি কোনো ব্যক্তি অপরের ছাগল জোর পুর্বক নিয়ে কুরবানী করে থাকে এবং ছাগলের মালিক তার নিকট হতে জরিমানা নেয় তাহলে কুরবানী জায়েজ হয়ে যাবে। কিন্ত কুরবানীকারী গোনাহগার হয়ে যাবে, এজন্য তওবা করা জরুরী। মালিক জরিমানা গ্রহণ করে জবেহ করা ছাগল নিয়ে থাকলে কুরবানী জায়েজ হবেনা (রদ্দুল মুহতার)।
মাসয়ালা(৪) - পোষণী ছাগলের কুরবানী জায়েজ হবেনা। কারণ সে পোষণী নিয়েছে সে প্রকৃত পক্ষে তার মালিক নয় (রদ্দুল মুহতার)।
মাসয়ালা(৫) - নিলামের পশু কুরবানী জায়েজ নয় কারণ নিলামকারী পশুর প্রকৃত মালিক নয়। (বাহারে – শরিয়াত)
মাসয়ালা(৬) – দুই ব্যক্তি একটি পশুর মালিক হলে উক্ত পশুর কুরবানী কোনো পক্ষের জন্য জায়েজ নয়। দুই ব্যক্তি দুইটি পশুর সমান সমান মালিক হলে দুইজন দুইটি পশুর কুরবানী করে দিলে উভয়ের কুরবানী জায়েজ হবে। (রদ্দুল মুহতার)
মাসয়ালা(৭) – যদি কোনো ব্যক্তি নির্দিষ্ট না করে নিজের পক্ষ হতে এবং নিজ নাবালক পাঁচ সন্তানের পক্ষ হতে ছয়টি বকরী কুরবানী করে থাকে তাহলে সবার পক্ষ হতে কুরবানী জায়েজ হয়ে যাবে (আলমগিরী)।
মাসয়ালা(৮) - যদি কোনো ব্যক্তি নিজের পক্ষ হতে এবং নাবালক সন্তানের পক্ষ হতে একটি গরু কুরবানী করে থাকে তাহলে সবার পক্ষ হতে কুরবানী জায়েজ হয়ে যাবে। বালেগ সন্তানের বিনা অনুমতিতে কুরবানী জায়েজ হবেনা। অনুরূপ যেসমস্ত বালেগ সন্তানের নামে কুরবানী করা হয়েছে যদি এদের মধ্যে দু’একজনের অনুমতি না থাকে তাহলে কারো কুরবানী জায়েজ হবেনা। (আলমগিরী)
মাসয়ালা(৯) - যদি কোনো ব্যক্তি অবৈধ ক্রয়ের বকরী নিয়ে কুরবানী করে থাকে তাহলে বিক্রেতা ইচ্ছা করলে বকরীর মূল্য গ্রহণ করতে পারে অথবা জবেহকৃত বকরী নিতে পারে। যদি মূল্য গ্রহণ করে থাকে তাহলে জবেহ কারির দায়িত্ব কিছুই থাকবেনা। যদি জবেহকৃত বকরী গ্রহণ করে থাকে তাহলে কুরবানী দাতার জন্য জবেহ কৃত বকরীর মূল্য সাদকা করতে হবে। (আলমগিরী)
মাসয়ালা(১০) - দান সূত্রে পাওয়া ছাগল – গরুর কুরবানী করা জায়েজ। দানে পাওয়া ছাগলের কুরবানীর পর যদি দাতা জবেহ করা ছাগল ফিরত নিয়ে থাকে তাহলে কুরবানী দাতার কুরবানী জায়েজ হয়ে যাবে এবং তার দায়িত্বে কিছু সাদকা করা ওয়াজিব নয় (আলমগিরী)।