৮ টি শিক্ষনীয় গল্প ও শিক্ষামূলক ঘটনা – ইসলাম

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

পাহাড়ের গুহায় আঁটকে পড়া তিন যুবক

একবার তিনজন লোক পথ চলছিল, এমন সময় তারা বৃষ্টিতে আক্রান্ত হ’ল। অতঃপর তারা এক পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিল। হঠাৎ পাহাড় হ’তে এক খণ্ড পাথর পড়ে তাদের গুহার মুখ বন্ধ হয়ে গেল। তখন তারা একে অপরকে বলল, নিজেদের কৃত কিছু সৎকাজের কথা চিন্তা করে বের কর, যা আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য তোমরা করেছ এবং তার মাধ্যমে আল্লাহ্র নিকট দো’আ কর। তাহ’লে হয়ত আল্লাহ তোমাদের উপর হ’তে পাথরটি সরিয়ে দিবেন। তাদের একজন বলতে লাগল, হে আল্লাহ! আমার আব্বা-আম্মা খুব বৃদ্ধ ছিলেন এবং আমার ছোট ছোট সন্তানও ছিল। আমি তাদের ভরণ- পোষণের জন্য পশু পালন করতাম। সন্ধ্যায় যখন আমি বাড়ি ফিরতাম তখন দুধ দোহন করতাম এবং আমার সন্তানদের আগে আমার আব্বা- আম্মাকে পান করাতাম। একদিন আমার ফিরতে দেরী হয় এবং সন্ধ্যা হওয়ার আগে আসতে পারলাম না। এসে দেখি তারা ঘুমিয়ে পড়েছেন। আমি দুধ দোহন করলাম, যেমন প্রতিদিন দোহন করি। তারপর আমি তাঁদের শিয়রে (দুধ নিয়ে) দাঁড়িয়ে রইলাম। তাদেরকে জাগানো আমি পসন্দ করিনি এবং তাদের আগে আমার বাচ্চাদেরকে পান করানোও সঙ্গত মনে করিনি। অথচ বাচ্চাগুলো দুধের জন্য আমার পায়ের কাছে পড়ে কান্নাকাটি করছিল। এভাবে ভোর হয়ে গেল। হে আল্লাহ! আপনি জানেন আমি যদি শুধু আপনার সন্তুষ্টির জন্যই এ কাজটি করে থাকি তবে আপনি আমাদের হ’তে পাথরটা খানিক সরিয়ে দিন, যাতে আমরা আসমানটা দেখতে পাই। তখন আল্লাহ পাথরটাকে একটু সরিয়ে দিলেন এবং তারা আসমান দেখতে পেল।

দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ! আমার এক চাচাতো বোন ছিল। পুরুষরা যেমন মহিলাদেরকে ভালবাসে, আমি তাকে তার চেয়েও অধিক ভালবাসতাম। একদিন আমি তার কাছে চেয়ে বসলাম (অর্থাৎ খারাপ কাজ করতে চাইলাম)। কিন্তু তা সে অস্বীকার করল যে পর্যন্ত না আমি তার জন্য একশ’ দিনার নিয়ে আসি। পরে চেষ্টা করে আমি তা যোগাড় করলাম (এবং তার কাছে এলাম)। যখন আমি তার দু’পায়ের মাঝে বসলাম (অর্থাৎ সম্ভোগ করতে তৈরী হলাম) তখন সে বলল, হে আল্লাহ্র বান্দা! আল্লাহকে ভয় কর। অন্যায়ভাবে মোহর (পর্দা) ছিঁড়ে দিয়ো না। (অর্থাৎ আমার সতীত্ব নষ্ট করো না)। তখন আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। হে আল্লাহ! আপনি জানেন আমি যদি শুধু আপনার সন্তুষ্টির জন্য এ কাজটি করে থাকি, তবে আপনি আমাদের জন্য পাথরটা সরিয়ে দিন। তখন পাথরটা কিছুটা সরে গেল । তৃতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ! আমি এক ‘ফারাক’ চাউলের বিনিময়ে একজন শ্রমিক নিযুক্ত করেছিলাম। যখন সে তার কাজ শেষ করল আমাকে বলল, আমার পাওনা দিয়ে দাও। আমি তাকে তার পাওনা দিতে গেলে সে তা নিল না। আমি তা দিয়ে কৃষি কাজ করতে লাগলাম এবং এর দ্বারা অনেক গরু ও তার রাখাল জমা করলাম। বেশ কিছু দিন পর সে আমার কাছে আসল এবং বলল, আল্লাহকে ভয় কর (আমার মজুরী দাও)। আমি বললাম, এই সব গরু ও রাখাল নিয়ে নাও। সে বলল, আল্লাহকে ভয় কর, আমার সাথে ঠাট্টা কর না। আমি বললাম, আমি তোমার সাথে ঠাট্টা করছি না, ঐগুলো নিয়ে নাও। তখন সে তা নিয়ে গেল। হে আল্লাহ! আপনি জানেন, যদি আমি আপনার সন্তুষ্টি লাভের জন্য এ কাজটি করে থাকি, তবে পাথরের বাকীটুকু সরিয়ে দিন। তখন আল্লাহ পাথরটাকে সরিয়ে দিলেন।

শিক্ষা 

১. বান্দা সুখে-দুঃখে সর্বদা আল্লাহকে ডাকবে।

২. বিপদাপদের সময় আল্লাহকে ব্যতীত কোন মৃত ব্যক্তি বা অন্য কাউকে ডাকা শিরকে আকবর বা বড় শিরক।

৩. সৎ আমলকে অসীলা হিসাবে গ্রহণ করতে হবে।

৪. পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে হবে এবং স্ত্রী ও সন্তানদের উপর তাদেরকে প্রাধান্য দিতে হবে।

৫. শ্রমিককে তার ন্যায্য পাওনা প্রদান করতে হবে।

       আবুবকর (রাঃ)-এর ঈমানী দৃঢ়তা

(১) খলীফা আবুবকর (রাঃ) খেলাফতের গুরু দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। রাসূল (ছাঃ)-এর প্রেরিত সেনাবাহিনী তাঁর মৃত্যু সংবাদ শুনে মদীনায় ফিরে এসেছে। এক্ষণে তাদের রাজধানী রক্ষার জন্য মদীনায় রাখা হবে, না পুনরায় প্রেরণ করা হবে- এ নিয়ে শীর্ষস্থানীয় ছাহাবীগণের মধ্যে আলোচনা হ’ল। অধিকাংশের পরামর্শ হ’ল, এ মুহূর্তে রাজধানী মদীনাকে রক্ষা করাই হবে সবচেয়ে বড় কর্তব্য। তাছাড়া সেনাপতি পরিবর্তন করাও আবশ্যক। কেননা সে হ’ল বয়সে তরুণ এবং গোলামের পুত্র উসামা বিন যায়েদ বিন হারেছাহ (রাঃ)। আনছার ও মুহাজির সেনারা তাঁর নেতৃত্ব মানতে চাইবে না। খলীফা আবুবকর ছিদ্দীক (রাঃ) দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বললেন, ‘মদীনার রক্ষাকর্তা আল্লাহ । যুদ্ধে বিজয় দানের মালিকও আল্লাহ। আর ইসলামে সাদা-কালোর কোন ভেদাভেদ নেই। অতএব মৃত্যুর পূর্বে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যার মাথায় জিহাদের পাগড়ী বেঁধে যে উদ্দেশ্যে তাকে প্রেরণ করেছিলেন, আমি সে পাগড়ী খুলে নিতে পারব না’। অতঃপর আল্লাহ্ নামে তিনি সেনাবাহিনীকে খৃষ্টান পরাশক্তির বিরুদ্ধে রওয়ানা হবার নির্দেশ দিলেন এবং যুদ্ধ শেষে যথারীতি তারা বিজয়ী বেশে মদীনায় ফিরে এল। চারিদিকে শত্রু-মিত্র সবার মধ্যে নতুন মাদানী রাষ্ট্র সম্পর্কে শ্রদ্ধার আসন দৃঢ় হ’ল (আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়াহ ৭/৪২০) 

(২) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পর যাকাত জমা দিয়ে তাঁর দো’আ পাবার সুযোগ নেই- এই অজুহাতে একদল লোক নতুন খলীফার নিকটে যাকাত জমা করতে অস্বীকার করল। শূরার বৈঠক বসল। খলীফা আবুবকর (রাঃ) ওদের বিরুদ্ধে সৈন্য প্রেরণ করতে চাইলেন। কিন্তু শূরা দ্বিমত পোষণ করল। এমনকি ওমর (রাঃ) বললেন, হে খলীফা! তারা যে কলেমাগো মুসলমান। আপনি কিভাবে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন? খলীফা বলে উঠলেন, আল্লাহ্র কসম! আমি ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবশ্যই যুদ্ধ করব, যে ব্যক্তি ছালাত ও যাকাতের দু’টি ফরয (একটি হাক্কুল্লাহ অন্যটি হাক্কুল ইবাদ)-এর মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে? আল্লাহ্র কসম! রাসূল (ছাঃ)-এর সময়ে যাকাত হিসাবে জমাকৃত একটি বকরীর দড়িও যদি কেউ আজকে দিতে অস্বীকার করে, আমি অবশ্যই তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করব। ওমর (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, আমি দেখলাম আল্লাহ আবুবকরের বক্ষকে যুদ্ধের জন্য সুপ্রশস্ত করে দিয়েছেন। ফলে আমি বুঝতে পারলাম তিনি হক-এর উপরই প্রতিষ্ঠিত ‘আছেন’ (মুত্তাফাক আলাইহ, মিশকাত হা/১৭৯০)। এই যুদ্ধের ফলে ভবিষ্যতে আর কেউ কোন ফরয বিধানকে হালকা করে দেখার সাহস পায়নি এবং এভাবে হাক্কুল ইবাদ রক্ষার ফলে ইসলামী রাষ্ট্রের আর্থিক ভিত মযবুত হ’ল। গরীবদের অধিকার রক্ষা পেল।

https://googleads.g.doubleclick.net/pagead/ads?npa=1&gdpr=1&us_privacy=1—&gdpr_consent=CPziCYAPziCYAEsACBENDaCoAP_AAEPAAAIYINJB7D7FbSFCwH57aLsAMAhXRsCAQqQAAASBAmABQAKQIAQCkkAYFESgBAACAAAAICZBIQIMCAgACUABQAAAAAEEAAAABAAIIAAAgAEAAAAIAAACAIAAEAAIAAAAEAAAmQhAAIIACAAAhAAAIAAAAAAAAAAAAgCAAAAAAAAAAAAAAAAAAQQaQD2F2K2kKFgPi2QWYAQBCijYEAhUAAAAkCBIAAgAUgQAgFIIAwAIFAAAAAAAAAQEgCQAAQABAAAIACgAAAAAAIAAAAAAAQQAAAAAIAAAAAAAAEAQAAAAAQAAAAIAABEhCAAQQAEAAAAAAAQAAAAAAAAAAABAAAAAAAAAAAAAAAAAAAAgAA&addtl_consent=1~2072.70.89.93.108.122.149.196.2253.2299.259.2357.311.317.323.2373.338.358.2415.415.2506.2526.482.486.494.495.2568.2571.2575.540.574.2624.609.2677.2779.827.864.981.1048.1051.1095.1097.1201.1205.1276.1301.1365.1415.1449.1570.1577.1651.1716.1735.1753.1765.1834.1870.1878.1889.1958&client=ca-pub-1426523110009009&output=html&h=280&adk=689432304&adf=4135734726&pi=t.aa~a.289897897~i.21~rp.4&w=728&fwrn=4&fwrnh=100&lmt=1697061769&num_ads=1&rafmt=1&armr=3&sem=mc&pwprc=7374466645&ad_type=text_image&format=728×280&url=https%3A%2F%2Fwww.loveislife1.com%2F2023%2F06%2Fblog-post_1.html&host=ca-host-pub-1556223355139109&fwr=0&pra=3&rh=182&rw=728&rpe=1&resp_fmts=3&wgl=1&fa=27&uach=WyJXaW5kb3dzIiwiMTUuMC4wIiwieDg2IiwiIiwiMTE3LjAuNTkzOC4xNTAiLFtdLDAsbnVsbCwiNjQiLFtbIkdvb2dsZSBDaHJvbWUiLCIxMTcuMC41OTM4LjE1MCJdLFsiTm90O0E9QnJhbmQiLCI4LjAuMC4wIl0sWyJDaHJvbWl1bSIsIjExNy4wLjU5MzguMTUwIl1dLDBd&dt=1697115150495&bpp=8&bdt=1496&idt=-M&shv=r20231004&mjsv=m202310090101&ptt=9&saldr=aa&abxe=1&cookie=ID%3D1ee942d30082ee50-222d393765e0001f%3AT%3D1697114959%3ART%3D1697115149%3AS%3DALNI_MaBmSdtUY4R7_qtrDo_VbhJptGxnw&gpic=UID%3D00000cba06040dec%3AT%3D1697114959%3ART%3D1697114959%3AS%3DALNI_MYtHDQUHhtIZrRaF0Q4BOp_u_vmnA&prev_fmts=0x0%2C1073x280%2C290x600&nras=2&correlator=5414214310720&frm=20&pv=1&ga_vid=896729878.1697114958&ga_sid=1697115150&ga_hid=561416439&ga_fc=1&u_tz=60&u_his=1&u_h=1080&u_w=1920&u_ah=1032&u_aw=1920&u_cd=24&u_sd=1&dmc=8&adx=415&ady=2482&biw=1903&bih=955&scr_x=0&scr_y=133&eid=44759876%2C44759927%2C31077328%2C31078599%2C31078702%2C42531705%2C44804783%2C44805098%2C31078680%2C31078663%2C31078665%2C31078668%2C31078670&oid=2&psts=AOrYGslE3eUNKPZJ5rrpl-Tg2z8b0-1PXytYkWsO5gppbtF6jorgF2f8-plkfyPq0Zs-NT0V_lvL4npW-I8hbH6zUg&pvsid=3530619794624114&tmod=1819887879&uas=0&nvt=1&topics=5&tps=5&ref=https%3A%2F%2Fwww.loveislife1.com%2F2022%2F12%2Fblog-post_88.html&fc=1408&brdim=0%2C0%2C0%2C0%2C1920%2C0%2C1920%2C1032%2C1920%2C955&vis=1&rsz=%7C%7Cs%7C&abl=NS&fu=128&bc=31&td=1&nt=1&ifi=4&uci=a!4&btvi=1&fsb=1&xpc=ttZEwNPz6k&p=https%3A//www.loveislife1.com&dtd=43

শিক্ষা : আবুবকর (রাঃ)-এর অপূর্ব ঈমানী দৃঢ়তার স্বাক্ষর উপরোক্ত ঘটনা দু’টি। এর মাধ্যমে তিনি হাক্কুল ইবাদ কঠোরভাবে রক্ষা করলেন। সাথে সাথে ইসলামের কোন ফরয ইবাদতকে হালকা করে দেখার যে কোন অবকাশ নেই- সেটিও জনগণকে বুঝিয়ে দিলেন।

  নীলনদের প্রতি ওমর (রাঃ)-এর পত্র

২০ হিজরী সনে দ্বিতীয় খলীফা ওমর (রাঃ)-এর শাসনামলে বিখ্যাত ছাহাবী আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ)-এর নেতৃত্বে সর্বপ্রথম মিসর বিজিত হয়। মিসরে তখন প্রবল খরা। নীলনদ পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। সেনাপতি আমরের নিকট সেখানকার অধিবাসীরা অভিযোগ করে বলল, হে আমীর ! নীলনদ তো একটি নির্দিষ্ট নিয়ম পালন ছাড়া প্রবাহিত হয় না। তিনি বললেন, সেটা কি? তারা বলল, এ মাসের ১৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমরা কোন এক সুন্দরী যুবতীকে নির্বাচন করব। অতঃপর তার পিতা-মাতাকে রাযী করিয়ে তাকে সুন্দরতম অলংকারাদি ও উত্তম পোষাক পরিধান করানোর পর নীলনদে নিক্ষেপ করব।

আমর ইবনুল ‘আছ তাদেরকে বললেন, ইসলামে এ ধরনের কাজের কোন অনুমোদন নেই। কেননা ইসলাম প্রাচীন সব জাহেলী রীতি-নীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। অতঃপর তারা পর পর তিন মাস পানির অপেক্ষায় কাটিয়ে দিল। কিন্তু নীলনদের পানি বৃদ্ধির কোন লক্ষণ দেখা গেল না। অতঃপর সেখানকার অধিবাসীরা দেশত্যাগের কথা চিন্তা করতে লাগল। এ দুর্যোগময় অবস্থা দৃষ্টে সেনাপতি আমর ইবনুল আছ (রাঃ) খলীফা ওমর (রাঃ)-এর নিকটে পত্র প্রেরণ করলেন। উত্তরে ওমর (রাঃ) লিখলেন, হে আমর! তুমি যা করেছ ঠিকই করেছ। আমি এ পত্রের মাঝে একটি পৃষ্ঠা প্রেরণ করলাম। এটা নীলনদে নিক্ষেপ করবে।’ ওমরের পত্র যখন আমরের নিকটে পৌঁছাল, তখন তিনি পত্রটি খুলে দেখলেন সেখানে এ বাক্যগুলি লেখা রয়েছে- 

https://googleads.g.doubleclick.net/pagead/ads?npa=1&gdpr=1&us_privacy=1—&gdpr_consent=CPziCYAPziCYAEsACBENDaCoAP_AAEPAAAIYINJB7D7FbSFCwH57aLsAMAhXRsCAQqQAAASBAmABQAKQIAQCkkAYFESgBAACAAAAICZBIQIMCAgACUABQAAAAAEEAAAABAAIIAAAgAEAAAAIAAACAIAAEAAIAAAAEAAAmQhAAIIACAAAhAAAIAAAAAAAAAAAAgCAAAAAAAAAAAAAAAAAAQQaQD2F2K2kKFgPi2QWYAQBCijYEAhUAAAAkCBIAAgAUgQAgFIIAwAIFAAAAAAAAAQEgCQAAQABAAAIACgAAAAAAIAAAAAAAQQAAAAAIAAAAAAAAEAQAAAAAQAAAAIAABEhCAAQQAEAAAAAAAQAAAAAAAAAAABAAAAAAAAAAAAAAAAAAAAgAA&addtl_consent=1~2072.70.89.93.108.122.149.196.2253.2299.259.2357.311.317.323.2373.338.358.2415.415.2506.2526.482.486.494.495.2568.2571.2575.540.574.2624.609.2677.2779.827.864.981.1048.1051.1095.1097.1201.1205.1276.1301.1365.1415.1449.1570.1577.1651.1716.1735.1753.1765.1834.1870.1878.1889.1958&client=ca-pub-1426523110009009&output=html&h=280&adk=689432304&adf=591857341&pi=t.aa~a.289897897~i.29~rp.4&w=728&fwrn=4&fwrnh=100&lmt=1697061769&num_ads=1&rafmt=1&armr=3&sem=mc&pwprc=7374466645&ad_type=text_image&format=728×280&url=https%3A%2F%2Fwww.loveislife1.com%2F2023%2F06%2Fblog-post_1.html&host=ca-host-pub-1556223355139109&fwr=0&pra=3&rh=182&rw=728&rpe=1&resp_fmts=3&wgl=1&fa=27&uach=WyJXaW5kb3dzIiwiMTUuMC4wIiwieDg2IiwiIiwiMTE3LjAuNTkzOC4xNTAiLFtdLDAsbnVsbCwiNjQiLFtbIkdvb2dsZSBDaHJvbWUiLCIxMTcuMC41OTM4LjE1MCJdLFsiTm90O0E9QnJhbmQiLCI4LjAuMC4wIl0sWyJDaHJvbWl1bSIsIjExNy4wLjU5MzguMTUwIl1dLDBd&dt=1697115150495&bpp=3&bdt=1496&idt=3&shv=r20231004&mjsv=m202310090101&ptt=9&saldr=aa&abxe=1&cookie=ID%3D1ee942d30082ee50-222d393765e0001f%3AT%3D1697114959%3ART%3D1697115149%3AS%3DALNI_MaBmSdtUY4R7_qtrDo_VbhJptGxnw&gpic=UID%3D00000cba06040dec%3AT%3D1697114959%3ART%3D1697114959%3AS%3DALNI_MYtHDQUHhtIZrRaF0Q4BOp_u_vmnA&prev_fmts=0x0%2C1073x280%2C290x600%2C728x280&nras=3&correlator=5414214310720&frm=20&pv=1&ga_vid=896729878.1697114958&ga_sid=1697115150&ga_hid=561416439&ga_fc=1&u_tz=60&u_his=1&u_h=1080&u_w=1920&u_ah=1032&u_aw=1920&u_cd=24&u_sd=1&dmc=8&adx=415&ady=3241&biw=1903&bih=955&scr_x=0&scr_y=133&eid=44759876%2C44759927%2C31077328%2C31078599%2C31078702%2C42531705%2C44804783%2C44805098%2C31078680%2C31078663%2C31078665%2C31078668%2C31078670&oid=2&psts=AOrYGslE3eUNKPZJ5rrpl-Tg2z8b0-1PXytYkWsO5gppbtF6jorgF2f8-plkfyPq0Zs-NT0V_lvL4npW-I8hbH6zUg&pvsid=3530619794624114&tmod=1819887879&uas=0&nvt=1&topics=5&tps=5&ref=https%3A%2F%2Fwww.loveislife1.com%2F2022%2F12%2Fblog-post_88.html&fc=1408&brdim=0%2C0%2C0%2C0%2C1920%2C0%2C1920%2C1032%2C1920%2C955&vis=1&rsz=%7C%7Cs%7C&abl=NS&fu=128&bc=31&td=1&nt=1&ifi=5&uci=a!5&btvi=2&fsb=1&xpc=jEmVic4Sdq&p=https%3A//www.loveislife1.com&dtd=68

আমীরুল মুমিনীন ওমর-এর পক্ষ থেকে মিসরের নীলনদের প্রতি। যদি তুমি নিজে নিজেই প্রবাহিত হয়ে থাক, তবে প্রবাহিত হয়ো না। আর যদি একক সত্তা, মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তোমাকে প্রবাহিত করান, তবে আমরা আল্লাহ্ নিকটে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন তোমাকে প্রবাহিত করেন। অতঃপর আমর (রাঃ) পত্রটি নীলনদে নিক্ষেপ করলেন। পর দিন শনিবার সকালে মিসরবাসী দেখল, আল্লাহ তা’আলা এক রাতে নীলনদের পানিকে ১৬ গজ উচ্চতায় প্রবাহিত করে দিয়েছেন। তারপর থেকে আজও পর্যন্ত নীলনদ প্রবাহিতই রয়েছে। কখনো বিশুদ্ধ হয়নি।

শিক্ষা : আল্লাহর হুকুমেই পৃথিবীর সবকিছু পরিচালিত হচ্ছে। তাঁর নির্দেশ ব্যতীত গাছের একটা পাতাও নড়ে না। অতএব যেকোন দুর্যোগে কেবল তাঁর কাছেই সাহায্য চাইতে হবে। কোন জাহেলী ও শিরকী পন্থার আশ্রয় নেয়া যাবে না।

আবুবকর (রাঃ)-এর মৃত্যুকালীন অছিয়ত

ইসলামের ১ম খলীফা আবুবকর ছিদ্দীক (রাঃ)-এর মৃত্যুক্ষণ উপস্থিত হ’লে তিনি সূরা ক্বাফ-এর ১৯নং আয়াতটি তেলাওয়াত করেন (‘মৃত্যুযন্ত্রণা অবশ্যই আসবে; যা থেকে তুমি টালবাহানা করে থাক’)। অতঃপর তিনি স্বীয় কন্যা আয়েশা (রাঃ)-কে বললেন, আমার পরিহিত দু’টি কাপড় ধুয়ে তা দিয়ে আমাকে কাফন পরিয়ো। কেননা মৃত ব্যক্তির চাইতে জীবিত ব্যক্তিই নতুন কাপড়ের অধিক হকদার (মুসনাদে আবী ইয়া’লা হা/৪৪৫১)। অতঃপর তিনি পরবর্তী খলীফা হযরত ওমর (রাঃ)-কে অছিয়ত করেন এই মর্মে যে, ‘নিশ্চয়ই রাত্রির জন্য আল্লাহ এমন কিছু হক নির্ধারণ করে রেখেছেন, যা তিনি দিবসে কবুল করেন না। আবার দিবসের জন্য এমন কিছু হক নির্ধারণ করেছেন, যা রাতে কবুল করেন না। কোন নফল ইবাদত কবুল করা হয় না, যতক্ষণ না ফরযটি আদায় করা হয়। নিশ্চয়ই আখেরাতে মীযানের পাল্লা হালকা হবে দুনিয়ার বুকে বাতিলকে অনুসরণ করা এবং নিজের উপর তা হালকা মনে করার কারণে। অনুরূপভাবে আখেরাতে মীযানের পাল্লা ভারী হবে দুনিয়াতে হক অনুসরণ করা এবং তাদের উপর তা ভারী হওয়ার কারণে’।

শিক্ষা : রাষ্ট্রীয় গুরুদায়িত্ব পালনকারীর জন্য অলসতা ও বিলাসিতার কোন সুযোগ নেই। তাকে কোন অবস্থাতেই বাতিলের সাথে আপোষ করা চলবে না। বরং যেকোন মূল্যে সর্বাবস্থায় হক তথা আল্লাহ প্রেরিত সত্যকে কঠিনভাবে আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে। কেননা দুনিয়াতে সকল কাজের উদ্দেশ্য হবে আখেরাতে মীযানের পাল্লা ভারী করা।

    আবুবকর (রাঃ)-এর গোপন আমল

ইসলামের প্রথম খলীফা আবুবকর (রাঃ) ফজরের ছালাত আদায় করে। মরুভূমির দিকে হাঁটাহাঁটি করতেন এবং কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থানের পর শহরে ফিরে আসতেন। ওমর (রাঃ) তাকে প্রতিদিন শহরের বাইরে ঘোরাফিরা করতে দেখে কৌতূহল বোধ করলেন। তাই একদিন ফজরের ছালাতের পর আবুবকর (রাঃ) যখন বের হ’লেন, তখন তিনি পায়ে পায়ে তাঁকে অনুসরণ করতে লাগলেন। অতঃপর আবুবকর (রাঃ) মরুভূমিতে হাঁটতে হাঁটতে একটি পুরাতন তাঁবুতে প্রবেশ করলে ওমর (রাঃ) একটি টিলার পিছনে লুকিয়ে থাকলেন সন্তর্পণে। কিছুক্ষণ পর আবুবকর (রাঃ) সেই তাঁবু থেকে বেরিয়ে এসে আবার শহরের পথ ধরলেন। এদিকে ওমর (রাঃ) টিলার আড়াল থেকে বের হলেন এবং উক্ত তাঁবুতে প্রবেশ করলেন। সেখানে তিনি এমন একজন অন্ধ দুর্বল মহিলাকে দেখতে পেলেন, যার কয়েকটি শিশু সন্তান রয়েছে। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি জান, তোমার নিকটে কে আসে? মহিলা বলল, আমি তাকে চিনি না। তিনি একজন মুসলিম। প্রতিদিন সকালে তিনি আমাদের বাড়িতে এসে আমাদের গৃহ পরিষ্কার করেন। তারপর রুটি তৈরীর জন্য আটা পিষে এবং গৃহপালিত পশুগুলির দুগ্ধ দোহন করে চলে যান। একথা শুনে ওমর (রাঃ) বিস্ময়াভিভূতভাবে বেরিয়ে আসলেন এবং স্বগতোক্তি করলেন, হে আবুবকর! পরবর্তী খলীফাদের উপর তুমি কত কষ্টই না চাপিয়ে দিলে’!

শিক্ষা : অসহায় গরীব-দুঃখীদের খোঁজ-খবর নেয়া ও তাদেরকে সহযোগিতা করা রাষ্ট্র প্রধানের কর্তব্য।

        রাষ্ট্রপ্রধানের জবাবদিহিতা

মুহাম্মাদ বিন ওবায়দুল্লাহ হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা দ্বিতীয় খলীফা ওমর (রাঃ)-এর নিকটে কিছু কাপড় আসলে তিনি সেগুলি হকদারগণের মাঝে বণ্টন করে দেন। এতে আমাদের প্রত্যেকে একটি করে কাপড় পেল। কিন্তু তিনি নিজে দু’টি কাপড় দিয়ে তৈরী একটি পোষাক পরিধান করে খুত্বা দিতে মিম্বরে আরোহণ করলেন। কিন্তু শ্রোতাদের অন্যমনস্কতা লক্ষ্য করে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, হে লোকসকল! তোমরা কি আমার কথা শ্রবণ করছ না? এমতাবস্থায় বিখ্যাত ছাহাবী সালমান ফারেসী (রাঃ) উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, জি না, আমরা শ্রবণ করব না। ওমর (রাঃ) বললেন, কেন হে আবু আব্দুল্লাহ? তিনি বললেন, আপনি আমাদেরকে একটি করে কাপড় দিয়েছেন। অথচ আপনি পরিধান করেছেন (দুই কাপড়ের) বড় পোষাক ! ওমর (রাঃ) বললেন, ব্যস্ত হয়ো না হে আবু আব্দুল্লাহ! অতঃপর তিনি ছেলে আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ)-এর দিকে ইশারা করলে তিনি উঠে দাঁড়ালেন। অতঃপর ওমর (রাঃ) বললেন, আমি আল্লাহ্র কসম করে জিজ্ঞেস করছি, আমার পোষাকে যে অতিরিক্ত কাপড় রয়েছে, সেটা কি তোমার নয়? আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) বললেন, জি, আমার। অতঃপর সালমান ফারেসী (রাঃ) বললেন, এখন আপনি বক্তব্য শুরু করুন, আমরা শ্রবণ করব।

শিক্ষা : রাষ্ট্রপ্রধান জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নন। তাঁকে পরকালে যেমন আল্লাহ্র কাছে তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে, তেমনি দুনিয়াতেও তিনি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন।

       আমানতদারিতার অনন্য দৃষ্টান্ত

ওমর (রাঃ)-এর খেলাফতকালে ১৬ হিজরীতে মুসলিম সৈন্যদল মাদায়েন জয় করেছে। গণীমতের মাল জমা হচ্ছে। এমন সময় এক ব্যক্তি মহামূল্যবান ধন- রত্ম নিয়ে এল। জমাকারী বললেন, এমন মূল্যবান সম্পদ তো আমরা ইতিপূর্বে দেখিনি। তুমি এখান থেকে নিজের জন্য কিছু রেখে দাওনি তো ভাই? লোকটি বলল,’আল্লাহ্র কসম! যদি আল্লাহ্র ভয় না থাকত, তাহ’লে আমি কখনোই এ সম্পদ আপনাদের কাছে নিয়ে ‘আসতাম না’। সবাই তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, যদি আমি পরিচয় দেই, তাহ’লে আপনারা আমার প্রশংসা করবেন। অথচ আমি কেবল আল্লাহ্ প্রশংসা করি এবং তাঁর নিকটেই প্রতিদান কামনা করি। এরপর তিনি চলে গেলেন। তখন তার পিছনে একজন লোককে পাঠানো হ’ল এবং জানা গেল যে, তিনি হলেন, আমের বিন আবদে কায়েস।

শিক্ষা : আমানতদারিতা মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। পক্ষান্তরে আমানতের খেয়ানত করা মুনাফিকের অন্যতম লক্ষণ।

                    পাত্রী নির্বাচন

ওমর (রাঃ) জনসাধারণের সঠিক অবস্থা জানার জন্য রাত্রিতে ঘুরে বেড়াতেন। এক রাতে একটি ছোট্ট কুটিরের সামনে এলে তিনি বাড়ীর ভিতরের কথাবার্তা শুনতে পেলেন। মা মেয়েকে আদেশ করছেন, ‘দুধের সাথে পানি মিশাও। ভোর হয়ে এল’। মেয়েটি উত্তর দিল, ‘না মা, ওমর (রাঃ) দুধে পানি মিশাতে নিষেধ করেছেন। তিনি জানতে পারলে শাস্তি দিবেন।

মা বললেন, ‘ওমর দেখতে পেলে তো? মেয়ে বলল, ‘আমি প্রকাশ্যে তাঁর আনুগত্য করব, আর গোপনে তাঁর অবাধ্যতা করব? আল্লাহ্র কসম! এটা আমার পক্ষে মোটেই সম্ভব নয়। অন্য বর্ণনায় এসেছে, সে বলল, ওমর (রাঃ) হয়ত আমাদেরকে দেখছেন না, কিন্তু তাঁর প্রভু তো আমাদেরকে দেখছেন। গোপনে সব শুনে ওমর (রাঃ) বাড়ীটি চিহ্নিত করে ফিরে এলেন। পরে তার ছেলে আছেমের সাথে ঐ মেয়ের বিবাহ দিলেন। তার গর্ভে দু’টি কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করল, যাদের একজনের গর্ভে ওমর বিন আব্দুল আযীয (রহঃ)-এর জন্ম হয়েছিল।

শিক্ষা : পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্যান্য সকল গুণের উপর দ্বীনদারী ও আল্লাহভীরুতাকে প্রাধান্য দিতে হবে।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment