৫০টি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস!
❏১। আমার কথা (অন্যদের কাছে) পৌঁছিয়ে দাও, তা যদি একটি আয়াতও হয়।
☛(সহীহ বুখারীঃ ৩২১৫)
❏২। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ তোমাদের কেউ মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষন না আমি তার কাছে তার পিতা, সন্তান ও সব মানুষের চেয়ে বেশী প্রিয় হই। (সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ ২ ঈমান হাদিস নাম্বারঃ ১৪)
❏৩।রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করবে সে জাহান্নামে যাবে।
☛(সহীহ বুখারীঃ ১০৭, ১০৮, ১০৯, ১১০, ১১১ সহীহ মুসলিম, মুকাদ্দামা)
❏৪।পিতা-মাতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহ্ সন্তুষ্ট আর পিতা-মাতার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহ্ অসন্তুষ্ট।
☛(তিরমিযী, সনদ হাসান, মিশকাত হা/৪৭১০)
❏৫।”কেউ যেন কারও ওপর জুলুম না করে।” ☛(মুসলিম)
❏৬।”দুটি অভ্যাস আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। তা হলোঃ দান ও উদারতা।” ☛(শুয়াবুল ঈমান)
❏৭।”আমি রাসূলুল্লাহ(ﷺ) থেকে অধিক উত্তম কোন ব্যক্তি কখনও দেখিনি।”
☛[হযরত সাফিনা (رضي الله عنه), মুসনাদে আহমদ ১৩:৩৮]
❏৮।”আল্লাহ(ﷻ) ততক্ষণ বান্দার সাহায্যে থাকেন, যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে যায়।” ☛[মুসলিম ২৬৯৯]
❏৯।”যে মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেন না।” ☛[সহিহ মুসলিম ২৩১৯]
❏১০।”যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব কষ্টসমূহ থেকে কোনো কষ্ট দূর করবে, কিয়ামতের কষ্টসমূহ থেকে আল্লাহ তার একটি কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবীকে দুনিয়ায় ছাড় দিবে, আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে ছাড় দিবেন। আর আল্লাহ বান্দার সাহায্যে থাকেন যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে যায়।” ☛[মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজি]
❏১১।‘বিধবা ও অসহায়কে সাহায্যকারী ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য। সে ওই সালাত আদায়কারীর মতো যার ক্লান্তি নেই এবং ওই সিয়াম পালনকারীর মতো যার সিয়ামে বিরতি নেই।” ☛[মুত্তাফাকুন আলাইহি]
❏১২।যে ব্যক্তি নম্রতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, সে কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
☛[মুসলিম, আস সাহীহ, হাদীস নং ২৫৯২]
❏১৩।”তোমরা জগদ্বাসীর প্রতি দয়া করো, তাহলে আসমানের অধিপতিও তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।”
☛[তিরমিযী ২০০২]
❏১৪।সচ্চরিত্রের চেয়ে মিজানে ভারী কিছু নেই।
☛[তিরমিযী, আস সুনান, হাদীস নং ২০০২]
❏১৫।দাতাকর্ণ নবী (ﷺ) বলেন, যে কোনো অমুসলিম নাগরিকের উপর জুলুম করল, কিয়ামতের দিন আমি তার বাদী হব। আর আমি যার বিরুদ্ধে বাদী হবো, কিয়ামতের দিন আমি তার উপর বিজয়ী হবো।” ☛(আবু দাউদ ৩০৫২)
❏১৬।”যে মুসলিম কোনো অমুসলিম নাগরিককে অন্যায়ভাবে হত্যা করে, তার জন্য জান্নাত হারাম।” ☛(নাসায়ী ৪৭৪৭)
❏১৭।পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করলে পঞ্চাশ ওয়াক্ত সলাতের সওয়াব পাওয়া যায়।
☛(সহীহ বুখায়, মুসলিম ও তিরমিযীঃ ২১৩)
❏১৮।ঈমানের সত্তরের কিছু বেশী শাখার মধ্যে সর্বোত্তম শাখা হচ্ছে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলা এবং সাধারণ শাখা হচ্ছে চলার পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দেয়া। আর লজ্জা হচ্ছে ঈমানের একটি বিশেষ শাখা।
☛[সহীহ মুসলিমঃ ৬১]
❏১৯।ক্বিয়ামতের দিন বান্দার কাজসমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম সলাতের হিসাব নেওয়া হবে।
☛(সহীহ তিরমিযীঃ ৪১৩, ইবনু মাযাহঃ ১৪২৫,১৪২৬)
❏২০। যে ব্যক্তি ফজর ও আসরের নামায আদায় করবে সে জান্নাতে যাবে।
☛(সহীহ বুখারীঃ ৫৪৬)
❏২১। আল্লাহ্ তা’আলার নিকট প্রিয় ঐ আমল যা নিয়মিত করা হয় যদিও তা অল্প হয়।
☛(সহীহ বুখারীঃ ৪১,৬০২০)
❏২২। যে ব্যক্তি (পুরুষ অহংকারবশত) পায়ের টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পরবে, সে জাহান্নামী।
☛(সহীহ বুখারীঃ৫৩৭১, মিশকাত, হা/৪১২৫)
❏২৩। কালিজিরায় মৃত্যু ছাড়া আর সকল রোগের চিকিৎসা রয়েছে।
☛(বুখারী, হা/৫২৮৬ ও মুসলিম)
❏২৪। নবী করীম (ﷺ) মিষ্টি ও মধু খুব ভালো বাসতেন।
☛(বুখারী, হা:৫২৮০)
❏২৫। যারা আমার সুন্নতের প্রতি বিরাগ পোষন (অনিহা প্রকাশ) করবে, তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়।
☛(সহীহ বুখারীঃ ৪৬৯৭)
❏২৬। যে ব্যক্তি (মন্দ) বিদআত সৃষ্টি করবে ও আশ্রয় দিবে তার উপর আল্লাহ্ তা’আলার, ফেরেশতা ও সকল মানব সম্প্রদায়ের লানত । ☛(সহীহ বুখারীঃ ৬৮০৮)
এখানে মূলত বিদআতে সাইয়্যা তথা মন্দ বিদআতকে বুঝানো হয়েছে। বিদআতে হাসানাকে বুঝানো হয়নি। বিদআতে হাসানা মানেঃ কুরআন একত্র করা, কুরআনে জের, যবর পেশ লাগানো, ইটের তৈরি মসজিদ, মাদ্রাসা, ইলমে দ্বীনের কাজের বিনিময়ে কোন হাদিয়া নেয়া ইত্যাদি।
❏২৭। যার অন্তরে সরিষা সমপরিমাণ ঈমান আছে, সে জাহান্নামে যাবে না। আর যার অন্তরে সরিষা সমপরিমাণ অহংকার আছে সে জান্নাতে যাবে না।
☛(মুসলিম, মিশকাত হা/৫১০৮)
❏২৮। যে ঘরে কুকুর ও (প্রাণীর) ছবি থাকে,সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।
☛(সহীহ বুখারীঃ ২৯৯৮, ৫৫২৫, মিশকাত হাঃ৪২৯৮)
❏২৯। তিন ব্যক্তির দিকে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাদের দিকে করুণার দৃষ্টি দিবেন না ও তাদের জন্য কঠিন শাস্তি–
(ক) (অহংকার বশত ঝুলিয়ে) টাকনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী পুরুষ।
(খ) খোটাদানকারী।
(গ) মিথ্যা কসমে পণ্য বিক্রয়কারী।
☛(মুসলিম, মিশকাত হা/২৬৭৩)
❏৩০। “যে ব্যক্তি মারা গেল অথচ জিহাদ (অন্যায়ের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ) করেনি এমনকি জিহাদের আকাঙ্ক্ষাও ব্যক্ত করেনি, সে মুনাফিকের ন্যায় মৃত্যুবরণ করল।”
☛(সহীহ মুসলিমঃ ৪৭৭৯, নাসায়ীঃ ৩০৯৯)
❏৩১। আত্মীয়ের সাথে ভালো ব্যবহার করলে রিযিক ও হায়াত বৃদ্ধি পায়।
☛(সহীহ বুখারীঃ ৫৫৫৯,৫৫৬০)
❏৩২। কেউ সওয়াল থেকে পবিত্র থাকতে চাইলে আল্লাহ্ তাকে পবিত্র রাখেন। যে অমুখাপেক্ষী থাকতে চায়, আল্লাহ্ তাকে অমুখাপেক্ষী রাখেন এবং যে ধৈর্য ধারণ করতে চায়, আল্লাহ্ তাকে তাই দান করেন। ধৈর্যের চেয়ে অধিক ব্যাপক কিছু দান করা হয়নি।
☛(সহীহ বুখারী, হা/১৪৬৯, সহীহ মুসলিম, সহীহ আবু দাউদ, হা/১৬৪৪)
❏৩৩। বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে (সত্তর হাজার) ওসব লোক যারা (তকদীরে বিশ্বাস করে আর) অশুভ অমঙ্গল চিহ্ন মানে না, যারা (কুফরী কালাম দ্বারা) ঝাড়-ফুক করায় না, যারা (জাদু-টোনা) মন্ত্রতন্ত্রের ধার ধারে না এবং আগুনে পোড়া লোহার দাগ লাগায় না ; বরং সদা সর্বদা তাদের পরোয়ারদেগারের উপর পূর্ণ ভরসা রাখে।
☛(সহীহ বুখারী, হাদিস ৫৩৪১,৬২৮,৬০৯৯)
❏৩৪। যে ব্যক্তি নিষ্ঠার সাথে শহীদি মৃত্যু কামনা করে, আল্লাহ্ তাকে শহীদদের মর্যাদায় পৌছিয়ে দিবেন, যদিও সে তার বিছানায় মৃত্যুবরণ করে।
☛(সহীহ মুসলিমঃ ৪৭৭৮)
❏৩৫। যখন কোন ব্যক্তি তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দু’আ করে, তখন ফেরেশতাগণ বলেন, আমীন, এবং তোমার জন্যও অনুরুপ হবে।
☛(সহীহ মুসলিম ও আবু দাউদ,হাঃ১৫৩৪)
❏৩৬। কোন ব্যক্তির মন্দ হওয়ার জন্য অশ্লীল বাকচারী ও কৃপণ হওয়াই যথেষ্ট।
☛(আহমাদ, মিশকাত হা/৪৬৯৩)
❏৩৭। রাসূল বলেছেন: “যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোন কিছু বাধা হবে না।
☛(সহীহ আল্ জামে :৬৪৬৪, নাসায়ী, ইবনে হিব্বান,
ত্বাবরানী)
❏৩৮। যে ব্যক্তি উযূ করে এবং উযূকে পূরণাংগরুপে সম্পন্ন করে,তারপর কালেমা শাহাদাত পাঠ করে,তার জন্য জান্নাতের ৮(আট)টি দরজা খুলে যায় । সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে ।
☛(সহিহ মুসলিমঃ ৪৬০, তিরমিযীঃ৫৫, ইবনু মাযাহঃ ৪৭০)
❏৩৯। যে ব্যক্তি দিবসে ১ বার ও রাতে ১ বার আন্তরিকতার সাথে সােয়্যদুল ইস্তেগফার পাঠ করে যদি সে দিন বা রাতে মারা যায়, তাহলে ওই ব্যক্তি জান্নাতি ।
☛(সহিহ বুখারী-৫৮৬৭)
❏৪০। ওযু করার সময় কেউ যদি উত্তমরূপে ওযু করে তাহলে তার শরীরের সব গুণাহ বের হয়ে যায়। এমনকি তার নখের নিচের গুণাহও বের হয়ে যায়।
☛(সহীহ মুসলিমঃ ৪৮৪,৪৮৫)
❏৪১। রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি সর্বোত্তম যে কুরান শিখে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়।
☛(সহীহ বুখারীঃ ৪৬৬১,৪৬৬২)
❏৪২। কুরআন পাঠে দক্ষ ব্যক্তি উচ্চ মর্যাদা ফিরিশতাদের সঙ্গী হবে। আর যে ব্যক্তি কুরাআন পড়ার সময় আটকে যায় এবং কষ্ট করে তিলাওয়াত করে তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব।
☛(সহীহ বুখারী-৪৯৩৭, মুসলিম আবু দাউদ -১৪৫৪ ক্বাতাদাহ হতে)
❏৪৩। রাসূল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন সে যেন দু’রাকাত সালাত আদায় করা ব্যতীত না বসে।”
☛(বুখারী হা/৪৪৪ , ১১৬৭ ; মুসলিম হা/ ৭১৪)
❏৪৪। রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ আমার প্রত্যেক উম্মতের গুণাহ মাফ হবে, তবে যে গুণাহ করে বলে বেড়ায়, তার গুনাহ মাফ হবে না।
☛(সহীহ বুখারীঃ ৫৬৪৩, সহীহ মুসলিমঃ ৭২৬৭)
❏৪৫। ইউসায়রাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী (ﷺ) তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেনঃ তোমরা তাকবীর, তাকদীস এবং তাহলীল এগুলো খুব ভালভাবে স্মরণে রাখবে এবং এগুলোকে আঙ্গুলে গুনে রাখবে।কেননা আঙ্গুলগুলোকে জিজ্ঞাসা করা হবে এবং এগুলোও সেদিন (ক্বিয়ামতে) কথা বলবে।
☛(আবু দাউদ, হা/১৫০১, তিরমিযী, হা/৩৫৮৫, আহমাদ,৬/৩৭০)
❏৪৬। যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোন ব্যক্তির দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা’আলাও তার ত্রুটি গোপন রাখবেন।
☛(সহীহ মুসলিমঃ ৬৩৯২,৬৪০৮,৬৩০৯)
❏৪৭। রাসূল (ﷺ) বলেছেন যে ব্যক্তি তার দু’চোয়ালের মাঝখান (অর্থাৎ জিহ্ববা) এবং দু’পায়ের মাঝখান (অর্থাৎ লজ্জাস্থান)- এর জামানত আমাকে দিবে, আমি তার জান্নাতের জামিন হব।
☛[সহীহ বুখারীঃ ৬০৩০, মিশকাত হাঃ৪৬০১]
❏৪৮। যে ব্যক্তি নম্রতা ও সহনশীলতার বৈশিষ্ট্য থেকে বঞ্চিত সে কল্যান থেকে বঞ্চিত।
☛(সহীহ মুসলিমঃ ৬৪১২,৬৪১৩,৬৪১৪)
❏৪৯। মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট হল ‘দ্বিমুখী ব্যক্তি’। তারা এদের কাছে বলে এক কথা আর ওদের কাছে বলে আর এক কথা।
☛(সহীহ বুখারীঃ ৬৬৯০)
❏৫০। নেশা সৃষ্টি করে এমন যে কোন পানীয় হারাম।
☛[সহীহ বুখারীঃ ৫২৫৮, সহীহ মুসলিমঃ ৫০৫১, ৫০৫২,
৫০৫৩, ৫০৫৪]