হায়েজের সময়সীমা ও মাসয়ালা

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

হায়েজের নিম্নতম মুদ্দত তিনদিন তিনরাত্রি এবং সর্বোচ্চ মুদ্দত দশদিন দশরাত্রি। দুই হায়েজের মধ্যখানে কমপক্ষে পনের দিন পাক থাকে। অধিক কালও পাক থাকিতে পারে, ততদিনই পাক রহিল বলিয়া বুঝিতে হইবে।
কোন স্ত্রীলোকের মাসে ৩ দিন কি ৫ দিন করিয়া হায়েজ হওয়ার নিয়ম  ছিল কিন্তু কোন একবার ৮কি ৯ দিন পর্যন্ত রক্তস্রাব হইল। এমতাবস্থায় এই ৮/৯ দিনকে হায়েজ ধরিতে হইবে এবং মনে করিতে হইবে পূর্বের নিয়ম পরিবর্তন হইয়া গিয়াছে। কিন্তু দশদিনের বেশী  সময় পর্যন্ত রক্ত দেখা গেলে পূর্বের নিয়মানুসারে ৩ কি ৫ দিন হায়েজ ধরিয়া বাকী দিনগুলিকে এস্তেহাজা বা বিমারী মনে করি এবং ঐ সকল দিনের কাজা নামাজ পড়িবে।
যে স্ত্রীলোকের হায়েজের কোন নিয়ম নাই যেমন কোন মাসে ৭ দিন আবার কোন মাসে ৮ দিন এই রূপ অনিয়মিত অবস্থায় যে মাসে যে কয়দিন রক্তস্রাব দেখিবে সেই কয়দিনই হায়েজের মধ্যে গণ্য হইবে। হায়েজওয়ালী মহিলার কোন মাসে দশদিনের বেশী সময় রক্তস্রাব দেখিলে উহার পুর্ববর্তী মাসে যে কয়দিন হায়েজ ছিল সেই কয়দিন হায়েজের মধ্যে গণ্য করিয়া বাকী কয়দিনকে এস্তেহাজা বা বিমারী ধরিবে।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment