হায়া সোফিয়া মসজিদের প্রাচীনতম ইতিহাস

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

“হায়া সোফিয়া তো প্রথমে গীর্জা ছিল! খ্রিষ্টানদের চেয়ে মুসলমানদের কাছে এটি তুলনামূলক কম সময়ই ছিল, তাহলে কেন? কোন বিচারে একে মসজিদে রূপান্তর করা হলো? কামাল পাশা একে জাদুঘরে রূপান্তর করেছেন এতে ভুল কি হলো? এটা কি বেয়াইনি নয়?” অন্যান্য ধর্মের প্রতি আদালতের শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত ছিল। ইত্যাদি নানান অভিযোগ ছুঁড়ে নামধামী সুশীল সমাজ আর বিকৃত ইসলামী বিদ্বেষী মিডিয়াগুলো 🤕 তারা কষ্টে জ্বলে-পুরে ছাড়খার। তাদের সব প্রশ্নের জবাব এই মসজিদের ইতিহাস ছোট্ট করে তুলে ধরছি।

এমন ধারণা প্রচারকারী স্যাকুলারদের শান্তনা জানিয়ে উক্ত পোস্টটি কপি করলাম🥴😏

পত্রপত্রিকায় আয়া সোফিয়ার ঘটনা পড়ে কিছু দ্বিধা তৈরি হয়েছিল‍। বর্তমান জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তরের গ্রাউন্ড কী? বলা হচ্ছে, আগে এটি মসজিদ ছিল‍। কিন্তু তারও আগে ছিল গির্জা‍। ইনফ্যাক্ট, এটার নির্মান হয়েছিল খ্রিষ্টীয় ধর্মের স্থাপনা হিসেবে‍। তাহলে মসজিদে থেমে যাওয়া কি এরদোয়ানের সুলতানি অভিলাষের রাষ্ট্রীয় দখলদারিত্ব? এটা যদি নায্য হয়, তবে অন্য কেউ ক্ষমতা পেলে তার আদর্শিক স্থাপনায় রূপান্তর করা কি একইরকম যুক্তিযুক্ত মনে হবে?

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে তুরস্কে পিএইচডি গবেষক (জাহিদুল ইসলাম) ভাইয়ের সঙ্গে সকালে কথা বললাম‍। তিনি এটার ইতিহাস ও আদালতের রায় সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য জানালেন‍। আমি নিজের মতো সেগুলো উল্লেখ করছি‍।

প্রথমত, ৫৩৭ সালে আয়া সোফিয়া গির্জা হিসেবে নির্মিত হয়েছিল‍। খ্রিষ্টানদের বিভিন্ন উপভাগের অধীনে এটার কর্তৃত্ব পরিবর্তন হয়েছে‍।

দ্বিতীয়ত, অটোমান সাম্রাজ্যের ইস্তানবুল বিজয়ের পরে ফাতিহ সুলতান মেহমেদ স্থাপনাটি খ্রিষ্টানদের কাছ থেকে নিজের টাকায় কিনে নেন‍। যুদ্ধজয়ী বীর মেহমেদ চাইলে বিজিত স্থাপনা হিসেবে রাষ্ট্রীয় দখলে নিতে পারতেন‍। কিন্তু তিনি এটাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ক্রয় করেন‍। খ্রিষ্টান উপাসকরা এটি বিক্রি করার মাধ্যমে সমস্ত দাবি ছেড়ে দিয়েছেন‍। তুরস্কের অন্যান্য গির্জা খ্রিষ্টানদের প্রার্থনাগার হিসেবে চালু ছিল‍।

তৃতীয়ত, ১৪৫৩ সালে ফাতিহ সুলতান মেহমেদ তার এই ব্যক্তিগত সম্পত্তিকে মসজিদে রূপান্তর করেন‍। ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ক্ষতিসাধন না করে নামাজের উপযোগী করতে মূর্তিগুলো সাদা কাপড়ে ঢেকে দেন‍‍। পরবর্তীতে আরও সংস্কার সাধন করেন এবং ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে উইল করেন‍। ওয়াকফ বোর্ড, সরকার বা অন্য কারও পক্ষে এটার হস্তান্তর, বিক্রয় ও পরিবর্তন নিষিদ্ধ করেন‍।

চতুর্থত, ১৯৩৫ সালে কামাল আতাতুর্ক এখতিয়ারবহির্ভূত কর্তৃত্বে আয়া সোফিয়া মসজিদকে জাদুঘরে রূপান্তর করেন‍। ব্যক্তিগত ওয়াকফ সম্পত্তিকে রাষ্ট্রীয় দখলদারিত্বে পরিবর্তন করা ছিল আতাতুর্কের সেক্যুলার গুন্ডামি‍। 

পঞ্চমত, ২০২০ সালে তুরস্কের আদালত কামাল আতাতুর্কের ওই পদক্ষেপকে বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করেছে‍।

ষষ্ঠত, আয়া সোফিয়ার উপরে গির্জার কোনো দাবিই নেই‍। ওটার মিউচুয়াল মিমাংসা হয়ে গেছে বহু আগে‍। আর জাদুঘর বনাম মসজিদ বিতর্কেও আদালতের এসেছে‍। তুর্কি জনগণের প্রতি অন্যায়ের বিচার হয়েছে, তাদের অধিকার কায়েম হয়েছে‍।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment