এডমিন
বর্তমান প্রেক্ষাপটে শিরোনামের বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আউলিয়া (রহ.)’মণ্ডলীর মাযার-দরগাহে হামলার পাশাপাশি ফকির-দরবেশের প্রতি হামলাও হচ্ছে। এ হীন অপকর্ম করছে নজদী-ওহাবীদের অনুসারীচক্র। হযরত শাহ পরাণ (রহমতুল্লাহি আলাইহি)-এর মাযারে হামলার ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে। ফকিরি পথ ও মতের অনুসারীদের মধ্যে কে যে ওলী, তা তো বলতে পারবে না এসব নালায়েক্ব বেয়াদব! পরে এমন বদ দোয়া পড়বে যে গোটা জাতিকেই না গুনতে হয় এর মাশুল! কেননা প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোষণা করেছেন:
হাদীস শরীফ
“رب أشعث أغبر مدفوع بالأبواب لو أقسم على الله لأبره ” ((رواه مسلم)).
অর্থ
(হযরত আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন), ’’বহু এমন লোকও আছে যার মাথা উষ্কখুষ্ক ধুলোভরা, যাদেরকে দরজা থেকে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়। (কিন্তু সে আল্লাহর নিকট এতো প্রিয় যে) সে যদি আল্লাহর নামে কসম খায়, তাহলে আল্লাহ তা পূর্ণ করে দেন।’’ [মুসলিম শরীফ, ২৬২২, ২৮৫৪; রিয়াদুস্ সালেহীন, আন্তর্জাতিক নম্বর ২৫৭]
সারমর্ম
এ হাদীসটি আউলিয়া (রহ.)-বৃন্দের হালত-অবস্থা প্রকাশের পাশাপাশি একটি সতর্কীকরণ বার্তাও। কেননা তাঁদেরকে চেনা যায় না। দরজা থেকে বিতাড়িত তথা সমাজ হতে দূরে হতে পারেন এ সকল দরবেশ। কিন্তু তাঁদের অন্তরে আঘাত করে কিছু করা হলে হয়তো তাঁরা অসন্তুষ্ট হয়ে বদ দোয়াও করতে পারেন। তাঁরা যা আল্লাহর নামে কসম করবেন, তা-ই তিনি মঞ্জুর করবেন। অতএব, সাবধান! সমাজের সব মানুষের দায়িত্ব ওই সব নালায়েক্ব বেয়াদবদের লাগাম টেনে ধরা! নতুবা বেয়াদবির দরুন মহাবিপদ ডেকে আনা হবে। এ হাদীসের অন্তর্নিহিত বাণী উপলব্ধি করাই হবে সবার জন্যে মঙ্গল। যারা ধর্মের শরঈ দলিল খোঁজে বেশি, হাদীসের এ দলিলটি তাদের বেশি করে পড়া এবং আত্মস্থ করা জরুরি।
আল্লাহতায়ালা সবাইকে বোঝার সামর্থ্য দিন, আমীন।
*সমাপ্ত*





Users Today : 308
Users Yesterday : 767
This Month : 14730
This Year : 186601
Total Users : 302464
Views Today : 29370
Total views : 3606113