রসুলেপাক (ﷺ) থেকে বিভিন্ন বিষয়ের শেফার আমল পাওয়া যায়। বিশেষ করে চোখের অসুখ এবং বিষাক্ত প্রাণীর দংশনের ক্ষেত্রে। হাদীছ শরীফে বদনযর, বিষাক্ত প্রাণীর দংশন এবং ফোঁড়া-বাঘীর ক্ষেত্রে দোয়া পাঠ করে দম করার জন্য তাকিদ দেয়া হয়েছে। এক হাদীছে এসেছে, দোয়া পাঠ করে ফুঁক দেয়ার অনুমতি আছে কেবল বদনযর এবং প্রাণীর দংশনের বেলায়। হেমা শব্দের অর্থ বিষাক্ত প্রাণীর দংশন। আর নাফায শব্দের অর্থ বদনযর বা নযর লাগা। অন্য আরেক বর্ণনায় লাদাগ (দংশন) শব্দটি অতিরিক্ত আছে। লাদাগ অর্থ দন্তবিশিষ্ট বিষাক্ত প্রাণীর দংশন। হাদীছের বাক্যে লা এবং ইন্না দ্বারা যে সীমা নির্দেশ করা হয়েছে, তদ্দ্বারা কেবল বক্তব্যের জোর প্রদান উদ্দেশ্য। এর অর্থ এই নয় যে, উল্লিখিত বিষয়েই কেবল রাকিয়ার আমল করা যাবে। অন্য কোনো রোগের ক্ষেত্রে নয়। বরং সর্বপ্রকারের রোগব্যাধি ও ব্যথা-বেদনার ক্ষেত্রে রাকিয়ার আমল করা শরীয়তসম্মত এবং সুন্নত।
➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)]