হযরত আলী (রাঃ) এর শানে মিজানুর রহমান আহাযারীর বেয়াদবীর জবাব।

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

প্রথমত,

আযহারী সাহেবের বচনভঙ্গী বরাবরের মত বেয়াদবের মত ভাষা ব্যবহার করেছেন। এসমস্ত Sensative বিষয়ে কথা বলার সময় যাদের মধ্যে আদবের অভাব রয়েছে তারা বরাবরই লাগামগীন কথা বার্তা বলে ব্রেক ফেইল করে। যার ফলে পরিষ্কারভাবে বেয়াদবী পরিলক্ষিত হয়ে যায়। হাদিসে [মাতলামী করতে করতে] এই শব্দগুলো তিনি কোথায় পেলেন? এই ঘটনাটি যদি হাদিস অনুযায়ি সরাসরিও বলত তবুও এত অশালীন/বেয়াদবী মনে হত না।

দ্বিতীয়ত,

মদ খাওয়া নিয়ে যেই হাদিসটি আযহারী সাহেব বলেছেন তার তাহক্বীক তিনি ভুল করেছেন। 

এই হাদিসটির ব্যাখ্যা হল, খারেজীরা হযরত আলী (رضي الله عنه) এর প্রতি সর্বদাই বিদ্বেষ পোষণ করত। তারাই চক্রান্ত করে সাহাবী আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (رضي الله عنه) এর নামের স্থলে হযরত আলী (رضي الله عنه) এর নাম  অপপ্রচার করেছেন। এজন্য ইমাম ইবনে হাকিম (رضي الله عنه) এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে উক্ত হাদিসে যেখানে, আলী (رضي الله عنه) এর নাম ব্যবহৃত হয়েছে সেটা মওদু (জাল/বানোয়াট) বলেছেন। 

ইলমি তাহকিক যার আছে সে জানেন যে,

 والصحيح أن الذي صلى بهم هو عبد الرحمن بن عوف.

মূলত নামাজে যিনি ইমামতি করেছিলেন তিনি ছিলেন হজরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাঃ। যার ভুল আয়াত তিলাওয়াতের প্রেক্ষাপটে সূরার নিসার আয়াত “ইয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানু লা তাকরাবুস সালাতা ওয়া আনতুম সুকারা…” “হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ।”… (সূরা নিসা ৪ঃ৪৩) নাজিল হয়েছে। এই সংক্রান্ত অন্যান্য হাদিসগুলোর আলোকে গবেষণা করলে জানা যায় যে, মাওলা আলি রাঃ শুধুমাত্র এই হাদিসখানার বর্ণনাকারী। তিনি মদপান করেন নাই। 

এবার আপনারাই বলুন আমরা কি জাল হাদিস মানব নাকি সহিহ হাদিস মানব?

তৃতীয়ত, 

এ সম্পর্কিত হাদিসগুলোর বিশ্লেষণ তোলে ধরা হলঃ 

হাদীছ শরীফের উপর কথা বলার জন্য উলুমে হাদীছে গভীর জ্ঞান রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। হাদীছের অর্থ, উদ্দেশ্য, অন্তর্নিহিত তাৎপর্য, আহওয়ালে রুওয়াত, আসমাউর রিজাল, ইলমুল জারহে ওয়াত তা’দীল বিষয়ে পরিপূর্ণ অবগতি না থাকলে এই বিষয়ে কথা বললে মুর্খতা ও পথভ্রষ্টতা ছাড়া কিছুই হবেনা। 

প্রথমতঃ 

১) আমাদের দেখতে হবে হাদীছটি একটি মাত্র সনদে এক কিতাবে বর্ণিত হয়েছে, না ভিন্ন ভিন্ন সনদে অন্যান্য কিতাবেও বর্ণিত হয়েছে? 

২) যদি অন্য কিতাবেও বর্ণিত হয়ে থাকে তবে সেগুলো কোন্ সনদ, তুরুক এবং মতনের সাথে বর্ণিত হয়েছে? 

৩) এরপর উলুমে হাদীছের দেওয়া মুলনীতির নিরিখে দেখতে হবে সনদ ও তারীক গুলোর মধ্যে কোনটা বেশি ‘আছাহ্ ও ‘আওছাক’ (নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য)। 

৪) অধিকতর সহিহ্ বর্ণনাটা গ্রহীত হবে এবং বাকীগুলো মারজুহ বা বর্জনীয় হবে। 

🔺এই বর্ণনাটি এক বর্ণনা সুত্রে চারভাবে বর্ণিত হয়েছেঃ 

● ইমামতি হযরত আলী (رضي الله عنه) করেছেন 

● ইমামতি অন্য কেউ করেছেন 

● ইমামতি হযরত ছাদ বিন আবি ওয়াক্কাস (رضي الله عنه) করেছেন 

● ইমামতি হযরত আব্দুর রাহমান ইবনে আওফ (رضي الله عنه) করেছেন 

❏ তিরমিঝি শরীফের বর্ননায় এসেছে, 

হযরত আব্দুর রাহমান ইবনে আউফ (رضي الله عنه) এর ঘরে অন্যদের দাওয়াত ছিল। অর্থাৎ, উনি হোষ্ট ছিলেন। 

❏ আবার আবু দাউদ শরীফের বর্ণনায় এসেছে

দাওয়াতটা ছিল কোন এক আনসারী সাহাবীর ঘরে। অর্থাৎ, ঐ বর্ণনায় হযরত আব্দুর রাহমান ইবনে আওফ গেষ্ট ছিলেন। 

❏ এরপর আবু দাউদ শরীফের বর্ণিত হাদীছটি পড়লে, যে কেউ বুঝতে পারবে যে, ইমামতির কথাটা হযরত আলী (رضي الله عنه)-র হতেই পারেনা। বরং অন্য বর্নণাকারী উনার দিকে তা মানসুব করেছেন। 

সংগতিপূর্ণ হতো যদি, হযরত আলী (رضي الله عنه) বলতেন “আমি ইমামতি করেছি”। 

কিন্তু ঐ বর্ণনায় এসেছে “হযরত আলী বলেছেন যে, হযরত আলী ইমামতি করেছেন”। এটা খুব অসংগতিপূর্ণ। 

এই বর্ণনাসুত্রে বর্ণিত হাদীছটির সনদ এক হওয়া সত্তেও বর্ণনা ভিন্ন ভিন্ন হওয়ার কারণে এখানে শাদীদ এদতেরাব হয়েছে।

উলুমে হাদীছের পরিভাষায় হাদীছে মুদতারিব বলা হয় ঐ হাদীছকে যা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বর্ণিত হয়েছে।

এই ধরনের বর্ণনার ক্ষেত্রে সেই বর্ণনাটি গ্রহণীয় হবে যেই বর্ণনাটি তারজীহাতের শর্তগুলো পুর্ণ করতে সক্ষম হবে। 

যেমনঃ যার বর্ণনাকারী অপেক্ষাকৃত বেশি স্মরণশক্তি সম্পন্ন বা সুহবতে শায়খ বেশি পেয়েছে ইত্যাদি। 

❏ রাবী পর্যালোচনা ১:

এই ভিন্নতার সৃষ্টি হয়েছে বর্ণনাকারী আতা বিন সায়েবের কারণে। সমস্ত মুহাদ্দিসীনদের এই বিষয়ে ঐক্যমত্য যে, “উনি নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী। তবে তার শেষ সময়ের বর্ণনাগুলো নির্ভরযোগ্য নই। কারণ পরবর্তী সময়ে স্মরণশক্তি একেবারে লোপ পাই যা মুহাদ্দেসীনদের ভাষায় ‘ইখতিলাত’ যার অর্থ ফাছাদুল আকল। 

উনার প্রথম যুগের বর্ণনাগুলো শুধুমাত্র গ্রহণযোগ্য। আর প্রথমযুগে উনার থেকে বর্ণনা করেছেন শুধুমাত্র ইমাম সুফিয়ান সাউরি ও ইমাম আবু শু’বা।”

❏ আর আতা বিন সায়েব থেকে ➡ যেই রেওয়ায়ত সুফিয়ান সাওরী করেছেন ➡ যা ইমাম হাকেম উনার মুছতাদরাকে উল্লেখ করেছেন, ঐ রেওয়ায়তে মদ্যপ হওয়া বা নামায পড়ানো কোনটাই হযরত আলী (رضي الله عنه)-র প্রতি মানসুব না। 

❏ অতঃপর ইমাম হাকেম ঐ হাদীছকে সাহীহ্ বলেছেন।

❏ সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে- উনি বলছেনঃ খারিজিরাই সুরা কাফেরুন পড়া ও মাতলামির কথা হযরত আলীর (رضي الله عنه) দিকে মানসুব করেছে।

❏ ইমাম হাকেমের এই রেওয়ায়তকে ‘আসাহ্’ বা অধিকতর সহিহ্ বলেছেন ও খারেজীরা এই বিষয়টা হযরত আলী (رضي الله عنه)-র দিকে মানসুব করেছেন। এ বিষয়ক মতামতকে গ্রহণ করেছেন আল্লামা শাওকানী, আল্লামা শামছুল হক আঝিমাবাদী, আল্লামা মোবারকপুরী।

তথ্যসূত্রঃ

১.সালাফীদের মান্যবর ইমাম শাওকানীঃ “নাইলুল আওতারে”, 

২.আল্লামা শামছুল হক আঝিমাবাদীঃ ‘আউনুল মা’বুদ’ শরহে সুনানু আবু দাউদ।

৩.আল্লামা মোবারকপুরীঃ ‘তুহফাতুল আহওয়াঝী’ শরহে সুনানু তিরমিযি।

রাবী পর্যালোচনা ২:

❏ এই সনদের যেই বর্ণনাকারী হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন, উনার নাম আবু আব্দুর রাহমান আসসুলামী। উনার ব্যাপারে ইমাম ইবনে হাজর আসকালনি উনার ‘তাহঝীবের’ মধ্যে উল্লেখ করেন যে, 

“উনি উসমানি হয়ে গেছেন। উসমানি হচ্ছে যারা হযরত উসমানের (رضي الله عنه) শাহাদাতের পর হত্যাকারীদের সাথে নিয়ে হযরত আলী (رضي الله عنه)-র বিরুদ্ধে  শত্রুতা শুরু করে। আর এই উসমানি থেকেই খারেজী আন্দোলনের উৎপত্তি।”

সুতরাং হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে উনার এই ধরনের বর্ণনাগুলো গ্রহণযোগ্য হবেনা এটাই উলুমে হাদীছের নিয়ম।

আর রয়ে গেল এই বেয়াদবের উক্তি ‘মাতলামি করতে করতে’ আমি জানিনা এটা সে কোথায় পেয়েছে। এটা হতে পারে নব্য খারেজিদের আরেকটা এডিশনস। 

এই ছাড়া এই আয়াতের অবতীর্ণের প্রেক্ষাপটে আরো তিনটা সহিহ্ রেওয়াত আছেঃ

হযরত সাদ (رضي الله عنه)-র বর্ণনা যার সাথে এই ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই। (ইবনে আবি হাতেম অথবা ইবনে কাসীর দেখেন)

হযরত উমর (رضي الله عنه) সংক্রান্ত যার সাথে এই ঘটনার কোন যোগ নেই (আবু দাউদ ৩৬৭০)

হযরত আবু হুরাইরা  (رضي الله عنه) কর্তৃক বর্ণিত যা অন্য একটি ঘটনাকে কেন্দগত করে (মুসানাদ আহমদ ইবনে হাম্বল)

🔺হযরত আলী (رضي الله عنه) মদ পানেন করেন নি, সহিহ হাদিসে আছে ইমাম ছিলেন অন্যজনঃ

বিখ্যাত হাদিসের কিতাব  মুস্তারেকুল হাকেম কিতাবে ৩১৯৯ নাম্বার হাদিস শরীফ ২ খন্ড ৩৩৬ পৃষ্ঠার হাদিস শরীফ – 

হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন একজন আনসার সাহাবী আমাদের দাওয়াত দিলেন।মদ পান হারাম হওয়ার পূর্বে। অতঃপর আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (رضي الله عنه) এগিয়ে আসলেন এবং মাগরিবের নামায পড়ালেন। অতঃপর সূরা কাফিরুনের মধ্যে পেচ লাগিয়ে দিলেন।

[মুস্তারেকুল হাকেম কিতাবে ৩১৯৯ নাম্বার হাদিস শরীফ ২ খন্ড ৩৩৬ পৃষ্ঠা]

● ইমাম হাকেম এই হাদিস শরীফটি থেকে ফায়দা লিখতে গিয়ে বলেছেন, খারেজীরাই মদ খাওয়ার ঘটনাটা হযরত আলী (رضي الله عنه) এর দিকে সম্পর্কিত করেছেন।

[মুস্তারেকুল হাকেম কিতাবে ৩১৯৯ নাম্বার হাদিস শরীফ ২ খন্ড ৩৩৬ পৃষ্ঠা]

● ইমাম হাকেম হাদিস শরীফটি সহিহ বলেছেন।

● ইমাম যাহাবীও হাদিস শরীফটি সহিহ বলেছেন।

🔺মদের প্রতি মাওলা হযরত আলী (رضي الله عنه) এঁর ঘৃণাঃ 

বিশ্ববিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ “তাফসীরে কাশশাফের, ২য় পারা, সূরা বাকারা, ২১৯নং আয়াতের পাদটীকায়” উল্লেখ রয়েছে-

হযরত আমীরুল মুমিনীন খলিফাতুল মুসলেমিন  সাইয়্যিদুনা আলীউল মুরতাদা শেরে খোদা (رضي الله عنه) বলেন: 

وعن علىّ رضى اللَّه عنه: لو وقعت قطرة في بئر فبنيت مكانها منارة لم أؤذن عليها ولو وقعت في بحر ثم جف ونبت فيه الكلأ لم أرعه .تفسير كشاف

“যদি মদের এক ফোঁটা কোনো কুপে পড়ে যায়, অতঃপর সেই জায়গায় (কুপের উপরে) মিনার নির্মাণ করা হয়, তবে সেই মিনারে দাঁড়িয়ে আমি আজান দিব না, আর যদি নদীতে মদের ফোঁটা পড়ে, অতঃপর নদী শুকিয়ে গিয়ে সেখানে ঘাস জন্মায়, তবে সে ঘাস আমার পশুদেরও খাওয়াব না।”

(তাফসীরে কাশশাফ, ২য় পারা, সূরা বাকারা,২১৯নং আয়াতের পাদটীকা)।

🔺মাওলায়ে কায়েনাত (رضي الله عنه)’র পুরো জীবন ছিল নিষ্কলুষঃ

হযরত মুশকিল কোশা আলী (رضي الله عنه), যিনি রাসূলুল্লাহ  (ﷺ) এর চাচাতো ভাই ছিলেন, যাঁর জন্ম পবিত্র কাবা ঘরের ভিতরে, যিনি স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মেয়ের জামাতা ছিলেন, যিনি আশারায়ে মুবাশশিরিনদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন, যিনি জীবনে কোনদিন কোন মূর্তির সামনে মাথা নত করেননি, যিনি নামাজ ফরজ হওয়ার আগ থেকেই হুজুর পাক  (ﷺ) এঁর পেছনে আম্মাজান খাদিজাতুল কুবরা (رضي الله عنه)’র সাথে জামায়াতের সাথে নামাজ পড়েন। যখন দুনিয়ার বুকে এই তিনজন ছাড়া আর কেউ নামাজ পড়তেন না। মহানবী (ﷺ) এঁর আহলে বায়তের অন্যতম প্রধান সদস্য ছিলেন মাওলা আলি (رضي الله عنه), তাঁর সম্পর্কে হাদিস শরিফে এভাবে এসেছে-

❏ হযরত সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত,

وأخرج مسلم عن سعد بن أبي وقاص، قال: لما نزلت هذه الآية : وندع أبناءن وأبناءكم 4 [ آل عمران : ۶۱] دعا رسول   الله (ﷺ) عليا، وفاطمة، وحسنا وحسينا فقال : اللهم هؤلاء أهلى ( رواه صحيح مسلم)

অর্থঃ যখন এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয় ” আমি আমার আহালদের ডাকছি, তোমরা তোমাদের আহালদের ডাক ” তখন রাসূল (ﷺ) হযরত আলী  (رضي الله عنه), ফাতেমা (رضي الله عنه), ইমাম হাসান (رضي الله عنه) ও ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه) কে আহবান করলেন। এবং বললেন, হে আল্লাহ! এরা আমার আহলে বাইয়াত। (সহীহ মুসলিম, হাঃ২৪০৪)। 

❏ আহলে বাইতে আতহারের সকল সদস্যকে গোনাহ থেকে মাহফুজ রাখার ঘোষণা কুরআন মাজিদে এসেছেঃ

 اِنَّمَا یُرِیۡدُ اللّٰہُ  لِیُذۡہِبَ عَنۡکُمُ الرِّجۡسَ اَہۡلَ الۡبَیۡتِ وَ یُطَہِّرَکُمۡ  تَطۡہِیۡرًا

অর্থঃ হে নবীর পরিবারবর্গ- নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তো এটাই          চান যে, তোমাদের থেকে প্রত্যেক অপবিত্রতা দূরীভূত করে দেবেন এবং তোমাদেরকে পবিত্র করে অতীব পরিচ্ছন্ন করে দেবেন (সূরা আহযাব, আয়াত ৩৩) 

সেই মাওলায়ে মুমিনিন কখনো মদ্যপ হয়ে নামাজে দাঁড়াতে পারেন না। এই আয়াত মদ হারাম হওয়ার পূর্বে নাজিল হয়েছিল। 

🔺মাওলা আলী (رضي الله عنه) মুমিন ও মুনাফেক নির্নয়ের মানদণ্ডঃ

❏ হযরত আবু যর গিফারী (رضي الله عنه), হযরত আবু সাঈদ-খুদরী (رضي الله عنه), হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه), হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (رضي الله عنه) হতে বর্ণীত- যে,

حضرت ابو سعيد خدري – رضي الله عنه : إنا كنا لنعرف المنافقين ببغضهم علي ابن أبي طالب -صلوات الله عليه

“আমরা সাহাবাগণ আলী ইবনে আবু তালীবের প্রতি ঘৃণা দ্বারা মুনাফিকদের চিহ্নিত করতাম।”

১.সহীহ মুসলিম, ১ম খণ্ড, হাঃ-১৪৪ ইফা, 

২.মুসনাদে হাম্বাল, ১ম খণ্ড, পৃঃ-৮৪।

৩.সুনানে নাসাঈ, ৮ম খণ্ড, পৃঃ-১১৫। 

৪.সহিহ তিরমিজি, ৫ম খণ্ড, পৃঃ-১১৫। 

৫.ইবনে মাজাহ, ১ম খণ্ড, পৃঃ-৫৫।

এ বিষয়ে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য সহিহ হাদিসটির স্ক্রীনশট বিভিন্ন কিতাব থেকে তুলে ধরা হলঃ

🕋 সহিহ তিরমিযি

🕋 তাফসিরে খাজাইনুল ইরফান

🕋 তাফসিরে নুরুল ইরফান

🕋 তাফসিরে জালালাইন

🕋 তাফসিরে ইবনে কাছির

🕋তাফসিরে তাবারী

🕋তাফসিরে ফি যিলালিল কুরআন

🕋তাফসিরে আবু বকর যাকারিয়া

অন্যান্য কিতাবের স্ক্রিনশট তোলে ধরা হলঃ

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment