বর্তমানে অনেক স্ত্রীর অভিযোগ স্বামী তাদের ভালোবাসে না, আপনি এই পাঁচটি কাজ করে স্বামীর মন ভেঙে দেন নি তো ?
একজন স্ত্রী যে পাঁচটি কাজ করলে স্বামীর মন ভেঙ্গে যায় সে পাঁচটি কাজ হল-
১- অবহেলা করা :- একজন স্ত্রী যদি নিজের স্বামীকে অবহেলা করেন তাহলে স্বামী বড় কষ্ট পান । যেমন ধরুন স্বামী কোন কাজ করার জন্য আদেশ করলেন আর স্ত্রী শুনেও না শোনার ভান করে চুপচাপ রয়ে গেলেন এতে স্বামী বড় কষ্ট পান । তাই কোন স্ত্রী যেন স্বামীকে অবহেলা না করে ।
২- ঘৃণা করা:- অনেক সময় স্বামী নিজের স্ত্রীকে ভালোবেসে মুখে খাবার তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে যেমন ধরুন একজন স্বামী খাবার খেতে বসেছেন পাশে স্ত্রী বসে রয়েছে হঠাৎ করে স্বামীর মন চাইল তার স্ত্রীর মুখে এক লোকমা খাবার তুলে দিতে ।
এবার স্বামী এক লোকমা খাবার তুলে দিতে গেলেন স্ত্রীর মুখে সে সময় স্ত্রী সেই খাবারটি খেতে অস্বীকার করল স্বামী বললেন কেন খাচ্ছ না স্ত্রী উত্তর দিলো আমি অন্যের হাতে খাইনা আমাকে ঘৃণা লাগে । এছাড়া স্বামী যে গেলাসে পানি পান করলেন সেই গেলাসে পানি না পান করা । আবার স্বামী অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পর বা কোন কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পর যদি স্ত্রীর পাশে বসেন আর অমনি যদি স্ত্রী বলেন ও কি দুর্গন্ধ জামাটা একটু খুলে এস গোসল করে এসো তোমার গা দিয়ে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে । ইত্যাদি অনেক বিষয় নিয়ে স্ত্রী যদি স্বামীকে প্রকাশ্যে ঘৃণা করে থাকেন তাহলে এতে স্বামী বড় কষ্ট পান ।
যদি স্বামীর কোনো কাজ আপনাকে খারাপ লাগে তাহলে প্রকাশ্যে ঘৃণা না করে স্বামীকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে নিজে সামলে নিতে হবে । আপনাকে কোন জিনিস ভালো লাগছে না সেটা এমন ভাবে সামলে নেবেন যাতে স্বামী যেন বুঝতে না পারে আপনি তাকে ঘৃণা করছেন কৌশলে সমস্যার সমাধান করতে হবে ।
৩- স্বামীর সামনে অন্য পুরুষের সুনাম করা :-
অনেক স্ত্রী এমন থাকেন কথাই কথাই স্বামীর সামনে অন্য পর পুরুষের সুনাম করে থাকেন বলে থাকেন দেখো সে কত ভালো,সে কত স্মার্ট,সে কত সুন্দর, সে কত ইনকাম করে, তোমার দ্বারা কিচ্ছু হবে না তোমাকে বিয়ে করে ভুল করেছিলাম তোমার সঙ্গে ঘর সংসার করে তেমন শান্তি হয় না । এইভাবে কথায় কথায় অন্য পুরুষের সুনাম স্বামীর সামনে করা একজন স্বামী পছন্দ করেন না তাই কোন জিনিস চাওয়ার থাকলে স্বামীকে ভালোবেসে বলুন, কোন স্বপ্ন থাকলে স্বামী কে বলুন, সব সমান হয় না কেউ অর্থশালী হয়, কেউ দরিদ্র হয় আপনি আপনার ইচ্ছা স্বামীকে বলুন যতটা সম্ভব আপনার স্বপ্ন পূরণ করার চেষ্টা করবেন আপনার স্বামী কিন্তু কথায় কথায় অন্য পুরুষের সুনাম স্বামীর সামনে করবেন না এতে স্বামী কষ্ট পান, স্বামীর মন ভেঙে যায় । একজন স্ত্রীর জন্য এই কাজ করা মোটেও ঠিক না ।
৪- পর পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা:- একজন স্বামী কখনও চান না যে তার স্ত্রী অন্য কোন পর পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখুক প্রতিদিন তার সঙ্গে ফোনে কথা বলুক , তাকে বাড়িতে ডেকে অতিথিয়তা করুক, তার সঙ্গে বসে আড্ডা মেরে হাসাহাসি করুক,একজন স্বামী সর্বদাই চাই তার স্ত্রী শুধুমাত্র তার সঙ্গেই সর্বদাই হাসাহাসি করুক আনন্দ ফুর্তি করুক । তার সঙ্গে সময় কাটাক ।
পর পুরুষের সঙ্গে কথা বলা হাসাহাসি করা ফোনে ব্যস্ত থাকা একজন স্বামী কখনোই পছন্দ করেন না ।
ফলে যিনারা নিজের স্বামী থাকার পরেও অন্য কোন পর পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে থাকেন বা সম্পর্ক করার চেষ্টা করেন তিনারা ভুল করেন এটা ইসলামী মত অনুযায়ী ঠিক নয় ।
এটা বড় পান নাই কবিরা গুনাহের কাজ ফলে অন্য পর পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা বর্জন করুন । তবে যদি অতি প্রয়োজন দেখা দেয় তার সঙ্গে কথা না বললে হবেই না । স্বামী সেই মুহূর্তে বাড়িতে নেই । তার দ্বারা কোন উপকার হবে সে কোন কাজ করে দিবে এমন বিশেষ প্রয়োজনে অন্য পুরুষের সঙ্গে কথা বলে পর্দার মধ্যে থেকে নিজের সমস্যার সমাধান করতে পারেন ।
৫- শ্বশুর শাশুড়ির সঙ্গে দুর্ব্যবহার:-
কোন স্ত্রী তার শশুর শাশুড়ী অর্থাৎ স্বামীর বাবা-মার সঙ্গে বিতর্ক করুক, তাদের গালাগালি করুক, তাদের আদেশ অমান্য করুক, এমন কোন স্বামী চান না। যদি কোন স্ত্রী এমন করে থাকেন তাহলে স্বামী কষ্ট পান হতে পারে অনেক ছেলে নিজের বউয়ের পাগল হয়ে কষ্ট নাও পেতে পারে কিন্তু যারা সৎ চরিত্রের ছেলে তারা অবশ্যই কষ্ট পাবে এবং স্ত্রীর উপর রাগ করবে । তাই তেমন করা কোন স্ত্রীর জন্য উচিত নয় ।
কেউ যদি এই সমস্ত কাজ গুলি করে থাকেন এবং স্বামীর মন ভেঙে থাকেন তাহলে সেই গুলি বর্জন করে স্বামীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিন দেখবেন আপনার স্বামী আপনাকে আবার ভালবাসবে স্বামী যদি সৎ হয় তাহলে কোনভাবেই তাকে কষ্ট দেওয়া যাবে না তাকে আঘাত করা যাবে না কারণ হাদীসে আছে কোন স্ত্রী মারা যাওয়ার সময় তার স্বামী যদি তার উপর খুশি থাকেন তাহলে সে জান্নাতি ।
অতএব স্বামীকে খুশি রাখা একজন স্ত্রীর কর্তব্য সেই সাথে স্বামীকেও লক্ষ্য রাখতে হবে স্ত্রীর যেন কোন সমস্যা না হয় কঠিন সময়ে সব সময় স্ত্রীর সঙ্গ দেওয়া একজন আদর্শ স্বামীর কর্তব্য ।
কোন স্বামী যদি জোর করে স্ত্রীকে অন্যায় কাজ করতে বাধ্য করেন তাহলে স্ত্রী তা শুনবে না অথবা যদি কোন স্বামী নোংরা কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে স্ত্রী তার প্রতিবাদ করতে পারবে তাকে সঠিক পথে ফেরানোর জন্য ।
ইসলামে সবার অধিকার দেওয়া হয়েছে কেউ কারো প্রতি অত্যাচার করতে পারবে না কারো সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে পারবে না প্রত্যেক মানুষের দায়িত্ব ,যার যা অধিকার তাকে দিয়ে দেওয়া । একজন স্বামীর কর্তব্য স্ত্রীর হক আদায় করা করা আর একজন স্ত্রীর কর্তব্য স্বামীর হক আদায় করা । কেউ কারো হক নষ্ট করতে পারবে না যদি পৃথিবীর বুকে যার যে হক কেউ যদি তা নষ্ট করে , আদায় না করে তাহলে পরকালে তাকে হিসাব দিতেই হবে । আল্লাহতায়ালা যেন আমাদের সঠিক বুঝার তৌফিক দান করেন আমীন সুম্মা আমীন ।
বন্ধুরা আশা করি এই তথ্যগুলি আপনাদের ভাল লেগেছে যদি ভাল লাগে বেশি বেশি বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন আজ এই পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
(আল্লাহ হাফেজ)