সূফি আউলিয়ায়ে কেরামগণ কেন গুহা-অরণ্যে ধ্যানমগ্ন থাকেন এবং দেশত্যাগ করে হিজরত করেন?
🖋মুহাম্মদ রাশেদ

—
এমন জায়গা যেখানে দিনেও কোলাহল নেই। নীরব সব। এডভেঞ্চারাস জায়গা। যেন কিছুতে মত্ত। শীতল একজায়গা। যেখানে নিচে একটি, দ্বিখণ্ডিত পাহাড়ের বুকে অনতিদূরে দুইটি গুহা। ওখানে আজ থেকে প্রায় শতবছর আগে বাবাজান কেবলা আল্-মাইজভাণ্ডারী কেবলা কাবা বার বছর টানা সাধনা করেছেন। ধ্যানমগ্ন ছিলেন ওই গুহাগুলোতে।
সাহাপুরী কেবলা বলেনঃ
অসাধ্য সাধনা করে আছ তুঁমি শান্তিপুরে।
সরাসরি না দেখলে বুঝবেননা যে গুহাগুলো কেমন। হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এঁর একটি সুন্নাত শরীফের প্রেমে পড়ে বাবাজান কেবলা কাবা বারটি বছর একজায়গায় কাটিয়ে দিয়েছেন। হেরাগুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন মোস্তাফা জানে রহমত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
—-
সিমনানের এক বাদশাহ্। সিমনান ইরানের একটি প্রদেশ। ওই প্রদেশের বাদশাহ্ ছিলেন মখ্দুম আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (রাদিআল্লাহু আনহু)। ইশকের বোরাকে আরোহণ করে নিজ জন্মস্থান সিমনানের সালতানাত ছেড়ে দিয়ে, হিজরত করেন হিন্দুস্তানে। জ্বীন-ইনসান সকলে হেদায়েত পেতে থাকে তাঁরই সদকায়।
হাদী বাবাজানের ভাষায়ঃ
সিংহাসন ছেড়ে কেন আসিলেন হেথায়।
তারিখুস সালতানাত, সুলতান আওহাদুদ্দীন মখদুম আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী রাদিআল্লাহু আনহু হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এঁর মক্কা শরীফ হতে মদিনা শরীফে হিজরতের সুন্নাত শরীফ পালন করতে সালতানাত ছেড়ে ইশকের ঝুলি নিয়ে বেড়িয়ে পরেন। মোস্তাফা জানে রহমত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা শরীফে আর মখ্দুমে পাক কিছৌছা শরীফে।
এমনই হয় আউলিয়ায়ে কেরামের প্রেম। আউলিয়ায়ে কেরামের প্রতিটি কর্মই সুন্নাতে পাকের অনুসরণ। সব কিছুর উর্ধ্বে প্রেম।
ইয়া রাসূলাল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম!
ইয়া রাসূলাল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম!
ইয়া রাসূলাল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম!
ছবিঃ বাবাজান কেবলা কাবার আস্তানা শরীফ, পাহাড়ের বুকে ধ্যান-গুহা।





Users Today : 281
Users Yesterday : 767
This Month : 14703
This Year : 186574
Total Users : 302437
Views Today : 23848
Total views : 3600591