পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।
সুরা আস সাফফাত
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
وَالصَّافَّاتِ صَفًّا
শপথ তাদের যারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো, [সুরা সাফফাত: ১]
فَالزَّاجِرَاتِ زَجْرًا
অতঃপর ধমকিয়ে ভীতি প্রদর্শনকারীদের, [সুরা সাফফাত: ২]
فَالتَّالِيَاتِ ذِكْرًا
অতঃপর মুখস্থ আবৃত্তিকারীদের- [সুরা সাফফাত: ৩]
إِنَّ إِلَهَكُمْ لَوَاحِدٌ
নিশ্চয় তোমাদের মাবুদ এক। [সুরা সাফফাত: ৪]
رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَرَبُّ الْمَشَارِقِ
তিনি আসমান সমূহ, যমীনও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা এবং পালনকর্তা উদয়াচলসমূহের। [সুরা সাফফাত: ৫]
إِنَّا زَيَّنَّا السَّمَاء الدُّنْيَا بِزِينَةٍ الْكَوَاكِبِ
নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি। [সুরা সাফফাত: ৬]
وَحِفْظًا مِّن كُلِّ شَيْطَانٍ مَّارِدٍ
এবং তাকে সংরক্ষিত করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে। [সুরা সাফফাত: ৭]
لَا يَسَّمَّعُونَ إِلَى الْمَلَإِ الْأَعْلَى وَيُقْذَفُونَ مِن كُلِّ جَانِبٍ
ওরা উর্ধ্ব জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চার দিক থেকে তাদের প্রতি উল্কা নিক্ষেপ করা হয়। [সুরা সাফফাত: ৮]
دُحُورًا وَلَهُمْ عَذَابٌ وَاصِبٌ
ওদেরকে বিতাড়নের উদ্দেশে। ওদের জন্যে রয়েছে বিরামহীন শাস্তি। [সুরা সাফফাত: ৯]
إِلَّا مَنْ خَطِفَ الْخَطْفَةَ فَأَتْبَعَهُ شِهَابٌ ثَاقِبٌ
তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে। [সুরা সাফফাত: ১০]
فَاسْتَفْتِهِمْ أَهُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَم مَّنْ خَلَقْنَا إِنَّا خَلَقْنَاهُم مِّن طِينٍ لَّازِبٍ
আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর, না আমি অন্য যা সৃষ্টি করেছি? আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এঁটেল মাটি থেকে। [সুরা সাফফাত: ১১]
بَلْ عَجِبْتَ وَيَسْخَرُونَ
বরং আপনি বিস্ময় বোধ করেন আর তারা বিদ্রুপ করে। [সুরা সাফফাত: ১২]
وَإِذَا ذُكِّرُوا لَا يَذْكُرُونَ
যখন তাদেরকে বোঝানো হয়, তখন তারা বোঝে না। [সুরা সাফফাত: ১৩]
وَإِذَا رَأَوْا آيَةً يَسْتَسْخِرُونَ
তারা যখন কোন নিদর্শন দেখে তখন বিদ্রূপ করে। [সুরা সাফফাত: ১৪]
وَقَالُوا إِنْ هَذَا إِلَّا سِحْرٌ مُّبِينٌ
এবং বলে, কিছুই নয়, এযে স্পষ্ট যাদু। [সুরা সাফফাত: ১৫]
أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَبْعُوثُونَ
আমরা যখন মরে যাব, এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব? [সুরা সাফফাত: ১৬]
أَوَآبَاؤُنَا الْأَوَّلُونَ
আমাদের পিতৃপুরুষগণও কি? [সুরা সাফফাত: ১৭]
قُلْ نَعَمْ وَأَنتُمْ دَاخِرُونَ
বলুন, হ্যাঁ এবং তোমরা হবে লাঞ্ছিত। [সুরা সাফফাত: ১৮]
فَإِنَّمَا هِيَ زَجْرَةٌ وَاحِدَةٌ فَإِذَا هُمْ يَنظُرُونَ
বস্তুতঃ সে উত্থান হবে একটি বিকট শব্দ মাত্র-যখন তারা প্রত্যক্ষ করতে থাকবে। [সুরা সাফফাত: ১৯]
وَقَالُوا يَا وَيْلَنَا هَذَا يَوْمُ الدِّينِ
এবং বলবে, দুর্ভাগ্য আমাদের! এটাই তো প্রতিফল দিবস। [সুরা সাফফাত: ২০]
هَذَا يَوْمُ الْفَصْلِ الَّذِي كُنتُمْ بِهِ تُكَذِّبُونَ
বলা হবে, এটাই ফয়সালার দিন, যাকে তোমরা মিথ্যা বলতে। [সুরা সাফফাত: ২১]
احْشُرُوا الَّذِينَ ظَلَمُوا وَأَزْوَاجَهُمْ وَمَا كَانُوا يَعْبُدُونَ
একত্রিত কর গোনাহগারদেরকে, তাদের দোসরদেরকে এবং যাদের এবাদত তারা করত। [সুরা সাফফাত: ২২]
مِن دُونِ اللَّهِ فَاهْدُوهُمْ إِلَى صِرَاطِ الْجَحِيمِ
আল্লাহ ব্যতীত। অতঃপর তাদেরকে পরিচালিত কর জাহান্নামের পথে, [সুরা সাফফাত: ২৩]
وَقِفُوهُمْ إِنَّهُم مَّسْئُولُونَ
এবং তাদেরকে থামাও, তারা জিজ্ঞাসিত হবে; [সুরা সাফফাত: ২৪]
مَا لَكُمْ لَا تَنَاصَرُونَ
তোমাদের কি হল যে, তোমরা একে অপরের সাহায্য করছ না? [সুরা সাফফাত: ২৫]
بَلْ هُمُ الْيَوْمَ مُسْتَسْلِمُونَ
বরং তারা আজকের দিনে আত্নসমর্পণকারী। [সুরা সাফফাত: ২৬]
وَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ يَتَسَاءلُونَ
তারা একে অপরের দিকে মুখ করে পরস্পরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। [সুরা সাফফাত: ২৭]
قَالُوا إِنَّكُمْ كُنتُمْ تَأْتُونَنَا عَنِ الْيَمِينِ
বলবে, তোমরা তো আমাদের কাছে ডান দিক থেকে আসতে। [সুরা সাফফাত: ২৮]
قَالُوا بَل لَّمْ تَكُونُوا مُؤْمِنِينَ
তারা বলবে, বরং তোমরা তো বিশ্বাসীই ছিলে না। [সুরা সাফফাত: ২৯]
وَمَا كَانَ لَنَا عَلَيْكُم مِّن سُلْطَانٍ بَلْ كُنتُمْ قَوْمًا طَاغِينَ
এবং তোমাদের উপর আমাদের কোন কতৃত্ব ছিল না, বরং তোমরাই ছিলে সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়। [সুরা সাফফাত: ৩০]
فَحَقَّ عَلَيْنَا قَوْلُ رَبِّنَا إِنَّا لَذَائِقُونَ
আমাদের বিপক্ষে আমাদের পালনকর্তার উক্তিই সত্য হয়েছে। আমাদেরকে অবশই স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। [সুরা সাফফাত: ৩১]
فَأَغْوَيْنَاكُمْ إِنَّا كُنَّا غَاوِينَ
আমরা তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিলাম। কারণ আমরা নিজেরাই পথভ্রষ্ট ছিলাম। [সুরা সাফফাত: ৩২]
فَإِنَّهُمْ يَوْمَئِذٍ فِي الْعَذَابِ مُشْتَرِكُونَ
তারা সবাই সেদিন শান্তিতে শরীক হবে। [সুরা সাফফাত: ৩৩]
إِنَّا كَذَلِكَ نَفْعَلُ بِالْمُجْرِمِينَ
অপরাধীদের সাথে আমি এমনি ব্যবহার করে থাকি। [সুরা সাফফাত: ৩৪]
إِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ يَسْتَكْبِرُونَ
তাদের যখন বলা হত, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তখন তারা ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করত। [সুরা সাফফাত: ৩৫]
وَيَقُولُونَ أَئِنَّا لَتَارِكُوا آلِهَتِنَا لِشَاعِرٍ مَّجْنُونٍ
এবং বলত, আমরা কি এক উম্মাদ কবির কথায় আমাদের উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ করব। [সুরা সাফফাত: ৩৬]
بَلْ جَاء بِالْحَقِّ وَصَدَّقَ الْمُرْسَلِينَ
না, তিনি সত্যসহ আগমন করেছেন এবং রাসূলগণের সত্যতা স্বীকার করেছেন। [সুরা সাফফাত: ৩৭]
إِنَّكُمْ لَذَائِقُو الْعَذَابِ الْأَلِيمِ
তোমরা অবশ্যই বেদনাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করবে। [সুরা সাফফাত: ৩৮]
وَمَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
তোমরা যা করতে, তারই প্রতিফল পাবে। [সুরা সাফফাত: ৩৯]
إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ
তবে তারা নয়, যারা আল্লাহর বাছাই করা বান্দা। [সুরা সাফফাত: ৪০]
أُوْلَئِكَ لَهُمْ رِزْقٌ مَّعْلُومٌ
তাদের জন্যে রয়েছে নির্ধারিত রুযি। [সুরা সাফফাত: ৪১]
فَوَاكِهُ وَهُم مُّكْرَمُونَ
ফল-মূল এবং তারা সম্মানিত। [সুরা সাফফাত: ৪২]
فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ
নেয়ামতের উদ্যানসমূহ। [সুরা সাফফাত: ৪৩]
عَلَى سُرُرٍ مُّتَقَابِلِينَ
মুখোমুখি হয়ে আসনে আসীন। [সুরা সাফফাত: ৪৪]
يُطَافُ عَلَيْهِم بِكَأْسٍ مِن مَّعِينٍ
তাদেরকে ঘুরে ফিরে পরিবেশন করা হবে স্বচ্ছ পানপাত্র। [সুরা সাফফাত: ৪৫]
بَيْضَاء لَذَّةٍ لِّلشَّارِبِينَ
সুশুভ্র, যা পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু। [সুরা সাফফাত: ৪৬]
لَا فِيهَا غَوْلٌ وَلَا هُمْ عَنْهَا يُنزَفُونَ
তাতে মাথা ব্যথার উপাদান নেই এবং তারা তা পান করে মাতালও হবে না। [সুরা সাফফাত: ৪৭]
وَعِنْدَهُمْ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ عِينٌ
তাদের কাছে থাকবে নত, আয়তলোচনা তরুণীগণ। [সুরা সাফফাত: ৪৮]
كَأَنَّهُنَّ بَيْضٌ مَّكْنُونٌ
যেন তারা সুরক্ষিত ডিম। [সুরা সাফফাত: ৪৯]
فَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ يَتَسَاءلُونَ
অতঃপর তারা একে অপরের দিকে মুখ করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। [সুরা সাফফাত: ৫০]
قَالَ قَائِلٌ مِّنْهُمْ إِنِّي كَانَ لِي قَرِينٌ
তাদের একজন বলবে, আমার এক সঙ্গী ছিল। [সুরা সাফফাত: ৫১]
يَقُولُ أَئِنَّكَ لَمِنْ الْمُصَدِّقِينَ
সে বলত, তুমি কি বিশ্বাস কর যে, [সুরা সাফফাত: ৫২]
أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَدِينُونَ
আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব, তখনও কি আমরা প্রতিফল প্রাপ্ত হব? [সুরা সাফফাত: ৫৩]
قَالَ هَلْ أَنتُم مُّطَّلِعُونَ
আল্লাহ বলবেন, তোমরা কি তাকে উকি দিয়ে দেখতে চাও? [সুরা সাফফাত: ৫৪]
فَاطَّلَعَ فَرَآهُ فِي سَوَاء الْجَحِيمِ
অপর সে উকি দিয়ে দেখবে এবং তাকে জাহান্নামের মাঝখানে দেখতে পাবে। [সুরা সাফফাত: ৫৫]
قَالَ تَاللَّهِ إِنْ كِدتَّ لَتُرْدِينِ
সে বলবে, আল্লাহর কসম, তুমি তো আমাকে প্রায় ধ্বংসই করে দিয়েছিলে। [সুরা সাফফাত: ৫৬]
وَلَوْلَا نِعْمَةُ رَبِّي لَكُنتُ مِنَ الْمُحْضَرِينَ
আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ না হলে আমিও যে গ্রেফতারকৃতদের সাথেই উপস্থিত হতাম। [সুরা সাফফাত: ৫৭]
أَفَمَا نَحْنُ بِمَيِّتِينَ
এখন আমাদের আর মৃত্যু হবে না। [সুরা সাফফাত: ৫৮]
إِلَّا مَوْتَتَنَا الْأُولَى وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ
আমাদের প্রথম মৃত্যু ছাড়া এবং আমরা শাস্তি প্রাপ্তও হব না। [সুরা সাফফাত: ৫৯]
إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
নিশ্চয় এই মহা সাফল্য। [সুরা সাফফাত: ৬০]
لِمِثْلِ هَذَا فَلْيَعْمَلْ الْعَامِلُونَ
এমন সাফল্যের জন্যে পরিশ্রমীদের পরিশ্রম করা উচিত। [সুরা সাফফাত: ৬১]
أَذَلِكَ خَيْرٌ نُّزُلًا أَمْ شَجَرَةُ الزَّقُّومِ
এই কি উত্তম আপ্যায়ন, না যাক্কুম বৃক্ষ? [সুরা সাফফাত: ৬২]
إِنَّا جَعَلْنَاهَا فِتْنَةً لِّلظَّالِمِينَ
আমি যালেমদের জন্যে একে বিপদ করেছি। [সুরা সাফফাত: ৬৩]
إِنَّهَا شَجَرَةٌ تَخْرُجُ فِي أَصْلِ الْجَحِيمِ
এটি একটি বৃক্ষ, যা উদগত হয় জাহান্নামের মূলে। [সুরা সাফফাত: ৬৪]
طَلْعُهَا كَأَنَّهُ رُؤُوسُ الشَّيَاطِينِ
এর গুচ্ছ শয়তানের মস্তকের মত। [সুরা সাফফাত: ৬৫]
فَإِنَّهُمْ لَآكِلُونَ مِنْهَا فَمَالِؤُونَ مِنْهَا الْبُطُونَ
কাফেররা একে ভক্ষণ করবে এবং এর দ্বারা উদর পূর্ণ করবে। [সুরা সাফফাত: ৬৬]
ثُمَّ إِنَّ لَهُمْ عَلَيْهَا لَشَوْبًا مِّنْ حَمِيمٍ
তদুপরি তাদেরকে দেয়া হবে। ফুটন্ত পানির মিশ্রণ, [সুরা সাফফাত: ৬৭]
ثُمَّ إِنَّ مَرْجِعَهُمْ لَإِلَى الْجَحِيمِ
অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন হবে জাহান্নামের দিকে। [সুরা সাফফাত: ৬৮]
إِنَّهُمْ أَلْفَوْا آبَاءهُمْ ضَالِّينَ
তারা তাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছিল বিপথগামী। [সুরা সাফফাত: ৬৯]
فَهُمْ عَلَى آثَارِهِمْ يُهْرَعُونَ
অতঃপর তারা তদের পদাংক অনুসরণে তৎপর ছিল। [সুরা সাফফাত: ৭০]
وَلَقَدْ ضَلَّ قَبْلَهُمْ أَكْثَرُ الْأَوَّلِينَ
তাদের পূর্বেও অগ্রবর্তীদের অধিকাংশ বিপথগামী হয়েছিল। [সুরা সাফফাত: ৭১]
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا فِيهِم مُّنذِرِينَ
আমি তাদের মধ্যে ভীতি প্রদর্শনকারী প্রেরণ করেছিলাম। [সুরা সাফফাত: ৭২]
فَانظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُنذَرِينَ
অতএব লক্ষ্য করুন, যাদেরকে ভীতিপ্রদর্শণ করা হয়েছিল, তাদের পরিণতি কি হয়েছে। [সুরা সাফফাত: ৭৩]
إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ
তবে আল্লাহর বাছাই করা বান্দাদের কথা ভিন্ন। [সুরা সাফফাত: ৭৪]
وَلَقَدْ نَادَانَا نُوحٌ فَلَنِعْمَ الْمُجِيبُونَ
আর নূহ আমাকে ডেকেছিল। আর কি চমৎকারভাবে আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম। [সুরা সাফফাত: ৭৫]
وَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيمِ
আমি তাকে ও তার পরিবারবর্গকে এক মহাসংকট থেকে রক্ষা করেছিলাম। [সুরা সাফফাত: ৭৬]
وَجَعَلْنَا ذُرِّيَّتَهُ هُمْ الْبَاقِينَ
এবং তার বংশধরদেরকেই আমি অবশিষ্ট রেখেছিলাম। [সুরা সাফফাত: ৭৭]
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ
আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে, [সুরা সাফফাত: ৭৮]
سَلَامٌ عَلَى نُوحٍ فِي الْعَالَمِينَ
বিশ্ববাসীর মধ্যে নূহের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। [সুরা সাফফাত: ৭৯]
إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
আমি এভাবেই সৎকর্ম পরায়নদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। [সুরা সাফফাত: ৮০]
إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ
সে ছিল আমার ঈমানদার বান্দাদের অন্যতম। [সুরা সাফফাত: ৮১]
ثُمَّ أَغْرَقْنَا الْآخَرِينَ
অতঃপর আমি অপরাপর সবাইকে নিমজ্জত করেছিলাম। [সুরা সাফফাত: ৮২]
وَإِنَّ مِن شِيعَتِهِ لَإِبْرَاهِيمَ
আর নূহ পন্থীদেরই একজন ছিল ইব্রাহীম। [সুরা সাফফাত: ৮৩]
إِذْ جَاء رَبَّهُ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ
যখন সে তার পালনকর্তার নিকট সুষ্ঠু চিত্তে উপস্থিত হয়েছিল, [সুরা সাফফাত: ৮৪]
إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَاذَا تَعْبُدُونَ
যখন সে তার পিতা ও সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ তোমরা কিসের উপাসনা করছ? [সুরা সাফফাত: ৮৫]
أَئِفْكًا آلِهَةً دُونَ اللَّهِ تُرِيدُونَ
তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত মিথ্যা উপাস্য কামনা করছ? [সুরা সাফফাত: ৮৬]
فَمَا ظَنُّكُم بِرَبِّ الْعَالَمِينَ
বিশ্বজগতের পালনকর্তা সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি? [সুরা সাফফাত: ৮৭]
فَنَظَرَ نَظْرَةً فِي النُّجُومِ
অতঃপর সে একবার তারকাদের প্রতি লক্ষ্য করল। [সুরা সাফফাত: ৮৮]
فَقَالَ إِنِّي سَقِيمٌ
এবং বললঃ আমি পীড়িত। [সুরা সাফফাত: ৮৯]
فَتَوَلَّوْا عَنْهُ مُدْبِرِينَ
অতঃপর তারা তার প্রতি পিঠ ফিরিয়ে চলে গেল। [সুরা সাফফাত: ৯০]
فَرَاغَ إِلَى آلِهَتِهِمْ فَقَالَ أَلَا تَأْكُلُونَ
অতঃপর সে তাদের দেবালয়ে, গিয়ে ঢুকল এবং বললঃ তোমরা খাচ্ছ না কেন? [সুরা সাফফাত: ৯১]
مَا لَكُمْ لَا تَنطِقُونَ
তোমাদের কি হল যে, কথা বলছ না? [সুরা সাফফাত: ৯২]
فَرَاغَ عَلَيْهِمْ ضَرْبًا بِالْيَمِينِ
অতঃপর সে প্রবল আঘাতে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। [সুরা সাফফাত: ৯৩]
فَأَقْبَلُوا إِلَيْهِ يَزِفُّونَ
তখন লোকজন তার দিকে ছুটে এলো ভীত-সন্ত্রস ্ত পদে। [সুরা সাফফাত: ৯৪]
قَالَ أَتَعْبُدُونَ مَا تَنْحِتُونَ
সে বললঃ তোমরা স্বহস্ত নির্মিত পাথরের পূজা কর কেন? [সুরা সাফফাত: ৯৫]
وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ وَمَا تَعْمَلُونَ
অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে এবং তোমরা যা নির্মাণ করছ সবাইকে সৃষ্টি করেছেন। [সুরা সাফফাত: ৯৬]
قَالُوا ابْنُوا لَهُ بُنْيَانًا فَأَلْقُوهُ فِي الْجَحِيمِ
তারা বললঃ এর জন্যে একটি ভিত নির্মাণ কর এবং অতঃপর তাকে আগুনের স্তুপে নিক্ষেপ কর। [সুরা সাফফাত: ৯৭]
فَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَسْفَلِينَ
তারপর তারা তার বিরুদ্ধে মহা ষড়যন্ত্র আঁটতে চাইল, কিন্তু আমি তাদেরকেই পরাভূত করে দিলাম। [সুরা সাফফাত: ৯৮]
وَقَالَ إِنِّي ذَاهِبٌ إِلَى رَبِّي سَيَهْدِينِ
সে বললঃ আমি আমার পালনকর্তার দিকে চললাম, তিনি আমাকে পথপ্রদর্শন করবেন। [সুরা সাফফাত: ৯৯]
رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ
হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎপুত্র দান কর। [সুরা সাফফাত: ১০০]
فَبَشَّرْنَاهُ بِغُلَامٍ حَلِيمٍ
সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম। [সুরা সাফফাত: ১০১]
فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يَا بُنَيَّ إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانظُرْ مَاذَا تَرَى قَالَ يَا أَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِي إِن شَاء اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ
অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন। [সুরা সাফফাত: ১০২]
فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ
যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্যে শায়িত করল। [সুরা সাফফাত: ১০৩]
وَنَادَيْنَاهُ أَنْ يَا إِبْرَاهِيمُ
তখন আমি তাকে ডেকে বললামঃ হে ইব্রাহীম, [সুরা সাফফাত: ১০৪]
قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। [সুরা সাফফাত: ১০৫]
إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْبَلَاء الْمُبِينُ
নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা। [সুরা সাফফাত: ১০৬]
وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ
আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু। [সুরা সাফফাত: ১০৭]
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ
আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে, [সুরা সাফফাত: ১০৮]
سَلَامٌ عَلَى إِبْرَاهِيمَ
ইব্রাহীমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। [সুরা সাফফাত: ১০৯]
كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। [সুরা সাফফাত: ১১০]
إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ
সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের একজন। [সুরা সাফফাত: ১১১]
وَبَشَّرْنَاهُ بِإِسْحَاقَ نَبِيًّا مِّنَ الصَّالِحِينَ
আমি তাকে সুসংবাদ দিয়েছি ইসহাকের, সে সৎকর্মীদের মধ্য থেকে একজন নবী। [সুরা সাফফাত: ১১২]
وَبَارَكْنَا عَلَيْهِ وَعَلَى إِسْحَاقَ وَمِن ذُرِّيَّتِهِمَا مُحْسِنٌ وَظَالِمٌ لِّنَفْسِهِ مُبِينٌ
তাকে এবং ইসহাককে আমি বরকত দান করেছি। তাদের বংশধরদের মধ্যে কতক সৎকর্মী এবং কতক নিজেদের উপর স্পষ্ট জুলুমকারী। [সুরা সাফফাত: ১১৩]
وَلَقَدْ مَنَنَّا عَلَى مُوسَى وَهَارُونَ
আমি অনুগ্রহ করেছিলাম মূসা ও হারুনের প্রতি। [সুরা সাফফাত: ১১৪]
وَنَجَّيْنَاهُمَا وَقَوْمَهُمَا مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيمِ
তাদেরকে ও তাদের সম্প্রদায়কে উদ্ধার করেছি মহা সংকট থেকে। [সুরা সাফফাত: ১১৫]
وَنَصَرْنَاهُمْ فَكَانُوا هُمُ الْغَالِبِينَ
আমি তাদেরকে সাহায্য করেছিলাম, ফলে তারাই ছিল বিজয়ী। [সুরা সাফফাত: ১১৬]
وَآتَيْنَاهُمَا الْكِتَابَ الْمُسْتَبِينَ
আমি উভয়কে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট কিতাব। [সুরা সাফফাত: ১১৭]
وَهَدَيْنَاهُمَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
এবং তাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করেছিলাম। [সুরা সাফফাত: ১১৮]
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِمَا فِي الْآخِرِينَ
আমি তাদের জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে, [সুরা সাফফাত: ১১৯]
سَلَامٌ عَلَى مُوسَى وَهَارُونَ
মূসা ও হারুনের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। [সুরা সাফফাত: ১২০]
إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
এভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। [সুরা সাফফাত: ১২১]
إِنَّهُمَا مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ
তারা উভয়েই ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্যতম। [সুরা সাফফাত: ১২২]
وَإِنَّ إِلْيَاسَ لَمِنْ الْمُرْسَلِينَ
নিশ্চয়ই ইলিয়াস ছিল রসূল। [সুরা সাফফাত: ১২৩]
إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَلَا تَتَّقُونَ
যখন সে তার সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি ভয় কর না ? [সুরা সাফফাত: ১২৪]
أَتَدْعُونَ بَعْلًا وَتَذَرُونَ أَحْسَنَ الْخَالِقِينَ
তোমরা কি বা’আল দেবতার এবাদত করবে এবং সর্বোত্তম স্রষ্টাকে পরিত্যাগ করবে। [সুরা সাফফাত: ১২৫]
وَاللَّهَ رَبَّكُمْ وَرَبَّ آبَائِكُمُ الْأَوَّلِينَ
যিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের পালনকর্তা? [সুরা সাফফাত: ১২৬]
فَكَذَّبُوهُ فَإِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ
অতঃপর তারা তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। অতএব তারা অবশ্যই গ্রেফতার হয়ে আসবে। [সুরা সাফফাত: ১২৭]
إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ
কিন্তু আল্লাহ তা’আলার খাঁটি বান্দাগণ নয়। [সুরা সাফফাত: ১২৮]
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ
আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয়ে রেখে দিয়েছি যে, [সুরা সাফফাত: ১২৯]
سَلَامٌ عَلَى إِلْ يَاسِينَ
ইলিয়াসের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক! [সুরা সাফফাত: ১৩০]
إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
এভাবেই আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। [সুরা সাফফাত: ১৩১]
إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ
সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত। [সুরা সাফফাত: ১৩২]
وَإِنَّ لُوطًا لَّمِنَ الْمُرْسَلِينَ
নিশ্চয় লূত ছিলেন রসূলগণের একজন। [সুরা সাফফাত: ১৩৩]
إِذْ نَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ أَجْمَعِينَ
যখন আমি তাকেও তার পরিবারের সবাইকে উদ্ধার করেছিলাম; [সুরা সাফফাত: ১৩৪]
إِلَّا عَجُوزًا فِي الْغَابِرِينَ
কিন্তু এক বৃদ্ধাকে ছাড়া; সে অন্যান্যদের সঙ্গে থেকে গিয়েছিল। [সুরা সাফফাত: ১৩৫]
ثُمَّ دَمَّرْنَا الْآخَرِينَ
অতঃপর অবশিষ্টদেরকে আমি সমূলে উৎপাটিত করেছিলাম। [সুরা সাফফাত: ১৩৬]
وَإِنَّكُمْ لَتَمُرُّونَ عَلَيْهِم مُّصْبِحِينَ
তোমরা তোমাদের ধ্বংস স্তুপের উপর দিয়ে গমন কর ভোর বেলায় [সুরা সাফফাত: ১৩৭]
وَبِاللَّيْلِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
এবং সন্ধ্যায়, তার পরেও কি তোমরা বোঝ না? [সুরা সাফফাত: ১৩৮]
وَإِنَّ يُونُسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ
আর ইউনুসও ছিলেন পয়গম্বরগণের একজন। [সুরা সাফফাত: ১৩৯]
إِذْ أَبَقَ إِلَى الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ
যখন পালিয়ে তিনি বোঝাই নৌকায় গিয়ে পৌঁছেছিলেন। [সুরা সাফফাত: ১৪০]
فَسَاهَمَ فَكَانَ مِنْ الْمُدْحَضِينَ
অতঃপর লটারী (সুরতি) করালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলেন। [সুরা সাফফাত: ১৪১]
فَالْتَقَمَهُ الْحُوتُ وَهُوَ مُلِيمٌ
অতঃপর একটি মাছ তাঁকে গিলে ফেলল, তখন তিনি অপরাধী গণ্য হয়েছিলেন। [সুরা সাফফাত: ১৪২]
فَلَوْلَا أَنَّهُ كَانَ مِنْ الْمُسَبِّحِينَ
যদি তিনি আল্লাহর তসবীহ পাঠ না করতেন, [সুরা সাফফাত: ১৪৩]
لَلَبِثَ فِي بَطْنِهِ إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُونَ
তবে তাঁকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত মাছের পেটেই থাকতে হত। [সুরা সাফফাত: ১৪৪]
فَنَبَذْنَاهُ بِالْعَرَاء وَهُوَ سَقِيمٌ
অতঃপর আমি তাঁকে এক বিস্তীর্ণ-ব িজন প্রান্তরে নিক্ষেপ করলাম, তখন তিনি ছিলেন রুগ্ন। [সুরা সাফফাত: ১৪৫]
وَأَنبَتْنَا عَلَيْهِ شَجَرَةً مِّن يَقْطِينٍ
আমি তাঁর উপর এক লতাবিশিষ্ট বৃক্ষ উদগত করলাম। [সুরা সাফফাত: ১৪৬]
وَأَرْسَلْنَاهُ إِلَى مِئَةِ أَلْفٍ أَوْ يَزِيدُونَ
এবং তাঁকে, লক্ষ বা ততোধিক লোকের প্রতি প্রেরণ করলাম। [সুরা সাফফাত: ১৪৭]
فَآمَنُوا فَمَتَّعْنَاهُمْ إِلَى حِينٍ
তারা বিশ্বাস স্থাপন করল অতঃপর আমি তাদেরকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত জীবনোপভোগ করতে দিলাম। [সুরা সাফফাত: ১৪৮]
فَاسْتَفْتِهِمْ أَلِرَبِّكَ الْبَنَاتُ وَلَهُمُ الْبَنُونَ
এবার তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তোমার পালনকর্তার জন্যে কি কন্যা সন্তান রয়েছে এবং তাদের জন্যে কি পুত্র-সন্তা ন। [সুরা সাফফাত: ১৪৯]
أَمْ خَلَقْنَا الْمَلَائِكَةَ إِنَاثًا وَهُمْ شَاهِدُونَ
না কি আমি তাদের উপস্থিতিতে ফেরেশতাগণকে নারীরূপে সৃষ্টি করেছি? [সুরা সাফফাত: ১৫০]
أَلَا إِنَّهُم مِّنْ إِفْكِهِمْ لَيَقُولُونَ
জেনো, তারা মনগড়া উক্তি করে যে, [সুরা সাফফাত: ১৫১]
وَلَدَ اللَّهُ وَإِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ
আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী। [সুরা সাফফাত: ১৫২]
أَصْطَفَى الْبَنَاتِ عَلَى الْبَنِينَ
তিনি কি পুত্র-সন্তা নের স্থলে কন্যা-সন্তা ন পছন্দ করেছেন? [সুরা সাফফাত: ১৫৩]
مَا لَكُمْ كَيْفَ تَحْكُمُونَ
তোমাদের কি হল? তোমাদের এ কেমন সিন্ধান্ত? [সুরা সাফফাত: ১৫৪]
أَفَلَا تَذَكَّرُونَ
তোমরা কি অনুধাবন কর না? [সুরা সাফফাত: ১৫৫]
أَمْ لَكُمْ سُلْطَانٌ مُّبِينٌ
না কি তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট কোন দলীল রয়েছে? [সুরা সাফফাত: ১৫৬]
فَأْتُوا بِكِتَابِكُمْ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
তোমরা সত্যবাদী হলে তোমাদের কিতাব আন। [সুরা সাফফাত: ১৫৭]
وَجَعَلُوا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجِنَّةِ نَسَبًا وَلَقَدْ عَلِمَتِ الْجِنَّةُ إِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ
তারা আল্লাহ ও জ্বিনদের মধ্যে সম্পর্ক সাব্যস্ত করেছে, অথচ জ্বিনেরা জানে যে, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে। [সুরা সাফফাত: ১৫৮]
سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يَصِفُونَ
তারা যা বলে তা থেকে আল্লাহ পবিত্র। [সুরা সাফফাত: ১৫৯]
إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ
তবে যারা আল্লাহর নিষ্ঠাবান বান্দা, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে না। [সুরা সাফফাত: ১৬০]
فَإِنَّكُمْ وَمَا تَعْبُدُونَ
অতএব তোমরা এবং তোমরা যাদের উপাসনা কর, [সুরা সাফফাত: ১৬১]
مَا أَنتُمْ عَلَيْهِ بِفَاتِنِينَ
তাদের কাউকেই তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে বিভ্রান্ত করতে পারবে না। [সুরা সাফফাত: ১৬২]
إِلَّا مَنْ هُوَ صَالِ الْجَحِيمِ
শুধুমাত্র তাদের ছাড়া যারা জাহান্নামে পৌছাবে। [সুরা সাফফাত: ১৬৩]
وَمَا مِنَّا إِلَّا لَهُ مَقَامٌ مَّعْلُومٌ
আমাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট স্থান। [সুরা সাফফাত: ১৬৪]
وَإِنَّا لَنَحْنُ الصَّافُّونَ
এবং আমরাই সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান থাকি। [সুরা সাফফাত: ১৬৫]
وَإِنَّا لَنَحْنُ الْمُسَبِّحُونَ
এবং আমরাই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করি। [সুরা সাফফাত: ১৬৬]
وَإِنْ كَانُوا لَيَقُولُونَ
তারা তো বলতঃ [সুরা সাফফাত: ১৬৭]
لَوْ أَنَّ عِندَنَا ذِكْرًا مِّنْ الْأَوَّلِينَ
যদি আমাদের কাছে পূর্ববর্তীদের কোন উপদেশ থাকত, [সুরা সাফফাত: ১৬৮]
لَكُنَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ
তবে আমরা অবশ্যই আল্লাহর মনোনীত বান্দা হতাম। [সুরা সাফফাত: ১৬৯]
فَكَفَرُوا بِهِ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ
বস্তুতঃ তারা এই কোরআনকে অস্বীকার করেছে। এখন শীঘ্রই তারা জেনে নিতে পারবে, [সুরা সাফফাত: ১৭০]
وَلَقَدْ سَبَقَتْ كَلِمَتُنَا لِعِبَادِنَا الْمُرْسَلِينَ
আমার রাসূল ও বান্দাগণের ব্যাপারে আমার এই বাক্য সত্য হয়েছে যে, [সুরা সাফফাত: ১৭১]
إِنَّهُمْ لَهُمُ الْمَنصُورُونَ
অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হয়। [সুরা সাফফাত: ১৭২]
وَإِنَّ جُندَنَا لَهُمُ الْغَالِبُونَ
আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী। [সুরা সাফফাত: ১৭৩]
فَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتَّى حِينٍ
অতএব আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন। [সুরা সাফফাত: ১৭৪]
وَأَبْصِرْهُمْ فَسَوْفَ يُبْصِرُونَ
এবং তাদেরকে দেখতে থাকুন। শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে। [সুরা সাফফাত: ১৭৫]
أَفَبِعَذَابِنَا يَسْتَعْجِلُونَ
আমার আযাব কি তারা দ্রুত কামনা করে? [সুরা সাফফাত: ১৭৬]
فَإِذَا نَزَلَ بِسَاحَتِهِمْ فَسَاء صَبَاحُ الْمُنذَرِينَ
অতঃপর যখন তাদের আঙ্গিনায় আযাব নাযিল হবে, তখন যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল, তাদের সকাল বেলাটি হবে খুবই মন্দ। [সুরা সাফফাত: ১৭৭]
وَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتَّى حِينٍ
আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন। [সুরা সাফফাত: ১৭৮]
وَأَبْصِرْ فَسَوْفَ يُبْصِرُونَ
এবং দেখতে থাকুন, শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে। [সুরা সাফফাত: ১৭৯]
سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ
পবিত্র আপনার পরওয়ারদেগারের সত্তা, তিনি সম্মানিত ও পবিত্র যা তারা বর্ণনা করে তা থেকে। [সুরা সাফফাত: ১৮০]
وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ
পয়গম্বরগণের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। [সুরা সাফফাত: ১৮১]
وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর নিমিত্ত। [সুরা সাফফাত: ১৮২]
পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!