সুন্নাত:
সুন্নাতের আভিধানিক অর্থ তরিকা (নিয়ম) ভাল হউক কিংবা মন্দ হউক। শরীয়তের পরিভাষায় ধর্মে প্রচলিত পদ্ধতি তা নবী করিম (ﷺ) কর্তৃক হউক কিংবা সাহাবাদের কর্তৃক হউক।
নবী করিম (ﷺ) এর সর্বদা করণ: নবী করিম (ﷺ) এর সর্বদা করণ কর্ম সম্পর্কে তুমি যদি বল সর্বদাকরণ ও অবস্থায় হলে যাহা ওয়াজিব হওয়ার নিদর্শন বর্জন করে না তাহলে উহা ওয়াজিব হয়ে যাবে। আমরা উত্তরে বলব, হুযুর (ﷺ) এর স্বভাব হলেন কোন আমল করার প্রতি নির্দেশ দিতেন বা বর্জন করতে নিষেধ করতেন; তিনি কোন বিষয়ে এরূপ পালন ও বর্জনের আদেশ ও নিষেধ না করলে সে বিষয় ওয়াজিব বুঝাবে না। (কিদানীর হাশিয়া মিশকাত থেকে সংকলিত)
রাসূলে খোদা (ﷺ) এর বর্জনের সাথে আমল করণ: ইহা প্রকৃতপক্ষে হউক কিংবা হুকুমের প্রেক্ষিতে হউক; যেমন- হুযুর (ﷺ) সর্বদা করেছেন কিন্তু বর্জন করতে নিষেধ করেননি। যেমন ইতেকাফ ও প্রত্যেক কাজ ডান দিক থেকে আরম্ভ করা। কেননা কেউ কোনদিন তাঁকে বাম দিক থেকে আরম্ভ করতে দেখেননি। শরহে বেকায়াতে বর্ণিত, কেউ তাঁকে কোন কাজ বাম দিক থেকে করতে ভুলেও দেখেনি যে কাজ তিনি সর্বদা করতেন। এ ধরণের কাজ মুস্তাহাব হয় এগুলো আবা সুন্নাতও। যেমন- তাকদীরী ও অন্যান্য বড় বড় কিতাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যারা বলেন, কোন কাজ বর্জনবিহীন সর্বদা করণ; ইহা কাজটি ওয়াজীব হওয়ার দলীল। অবশ্য একে মাবসুতুল বিকরী এভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন; আদেশ ও নিষেধাজ্ঞা বিহীন সর্বদা করণে ওয়াজিব প্রমাণিত হবে না। (কিদানীর খোলাছার হাশিয়া)
মুবাহ:
অবৈধ, নিষেধাজ্ঞা, শুদ্ধ, অশুদ্ধ ও হারামের বিপরীত হল মুবাহ; এভাবে কাশফের মধ্যে বর্ণিত। তবে গোপনীয় বিশ্বাস হালাল এর বৈধতাকে অন্তর্ভূক্ত করে। খোলাছাতুন নেহায়াতে মাকরূহের বিপরীতকে মুবাহ বলা হয়েছে।
বান্দার ইখতিয়ার বা ইচ্ছাধীন: বান্দার ইচ্ছাধীন বিষয় অভ্যাস অনুযায়ী ভাল উদ্দেশ্যে করলে ইহা ইবাদতে পরিণত হয়। এতে কল্যাণ পাওয়া যায়। যেমন- রাত্রে ইবাদতের উদ্দেশ্যে খাওয়ার পর দুপুরে বিশ্রাম এবং আত্মতৃপ্তি, অশ্লীলতা থেকে পরিত্রাণ ও অন্যান্য মহৎ উদ্দেশ্যে স্বামী-স্ত্রীর মিলন।