হযরত শাহজালাল (রহ)’র পাশাপাশি যে নামটি সবাই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন তিনি হলেন পীর ও বীর সিপাহশালার সৈয়দ নাসিরুদ্দিন(রহ:)। তার বংশে অগনিত কামিল ওলী অাল্লাহর জন্ম হয়,তেমনি একজন খান্দুরা হাবেলীতে জন্ম গ্রহনকারী সৈয়দ রকিবুল হোসেন সাহেব যিনি সাধারণ্যে পাগলা সাহেব নামে পরিচিত ছিলেন।তার পিতা ছিলেন নয় অানি জমিদার সৈয়দ শামসুল হোসেন তারা মিয়া সাহেব।তারা মিয়া সাহেবের তিনপুত্র যথাক্রমে সৈয়দ শাহিদুল হোসেন, সৈয়দ রকিবুল হোসেন ও সৈয়দ অাইনুল হোসেন।সৈয়দ শাহিদুল হোসেন সাহেবের জৈষ্ঠ পুত্র খান্দুরা হাবেলীর কৃতি সন্তান রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ শিক্ষক বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মরহুম সৈয়দ অাজহারুল হোসেন সাহেব যিনি অাল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ(রহঃ)’র বড় জামাতা।সৈয়দ রকিবুল হোসেন সাহেব শৈশবে ততটা খোদা ভিরু ছিলেন না, বিশেষ এক ঘটনার প্রেক্ষিতে তার জীবনে অামূল পরিবর্তন ঘটে।তিনি পাকিস্তানঅামলে অাধা সামরিক বাহিনীতে চাকুরীরত থাকা অবস্হায় একদিন তার বড় ভাই সৈয়দ শাহিদুল হোসেন সাহেবের সাথে নরপতি হাবেলীর মাজ্জুব পীর সৈয়দ শরফুল হাসান দুধা মিয়া সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করে কদমবুসি করতে গেলে দুধা মিয়া সাহেব বারবার বলতে থাকেন ‘জাতটা ভালা খাসলতটা খারাপ’।তিনি এ রহস্যময় কথার কিছুই বুঝতে না পেরে বড় ভাইকে বললেন ‘ভাই ওনি কি বললেন?’ভাই বললেন ‘তোমাকে উদ্দেশ্যে করেই বলেছেন জাত ভালা দ্বারা সৈয়দ বংশের দিকে ইঙ্গিত করেছেন অার খাসলত খারাপ দ্বারা তোমার বেশ ভুষার কথা বলেছেন।’উল্লেখ্য তিনি তখন হেট কোট ও বুট পরিহিত ছিলেন।এ গঠনায় তিনি লজ্জিত হয়ে চাকুরী পরিত্যাগ করে সংসার কর্মে বিরাগ ভাজন হয়ে মাওলার ধ্যানে অাত্ম নিয়োগ করেন।পরে তিনি খান্দুরা হাবেলীর পীরে কামেল সৈয়দ অাক্তারুল হোসেন(রহ)’র কাছে বায়াত হন।তার সাথে সবসময় লাঠি,তলোয়ার ও একখানা বাশি থাকত।ছাতিয়াইন বাজারে ঢোকার অাগে বাশিতে ফুক দিতেন তখন লোকজন ভয়ে তটস্থ হয়ে ছোটাছোটি করত,কোন পুরুষের হাটুর উপরে কাপড় উঠানো থাকলে ও কোন মহিলার মাথায় কাপড় না থাকলে লাঠি দ্বারা অাঘাত করতেন।তার অনেক কারামত এখনো লোকমুখে শুনা যায়।মৃত্যুর অাগের দিন দাসপাড়া গ্রামের তার এক ভক্তকে একখানা বাশ নিয়ে পরের দিন তার বাড়িতে যেতে বলে ছাতিয়াইন বাজার থেকে নিজেই কাফনের কাপড় কিনে অানেন।পরের দিন শুক্রবার লোকটি বাশ নিয়ে এসে দেখে পীর সাহেবের ইন্তেকাল হয়েছে,তার অানা বাশ দ্বারা কবরের চাটাই দেয়া হয় ও নিজ হস্তে ক্রয় করা কাপড় দিয়ে কাফন দেয়া হয় এমনকি অাগের দিন নিজ হাতে একটি নিশান যেখানে কবর হবে সেখানে পুতে দিয়ে অাসেন।প্রতিবছর ৯ ফাল্গুন তার ওরস উপলক্ষে খান্দুরা হাবেলীতে ঈসালে সাওয়াব মাহফিলের অায়োজন করা হয়ে থাকে।
সিপাহশালার সৈয়দ নাসিরুদ্দিন (রহ:) এর জীবনী
পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।





Users Today : 209
Users Yesterday : 767
This Month : 14631
This Year : 186502
Total Users : 302365
Views Today : 7995
Total views : 3584738