সাহাবীগণ আকাশের তারকা তুল্য

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

দ্বিতীয় অধ্যায়

এই অধ্যায়ে ঐ সকল হাদিস সমূহ উল্লেখ করা হয়েছে যে গুলোর সনদ বিদ্যমান রয়েছে এবং ছহীহ্, হাছান, দ্বায়িফ সকল প্রকারের হাদিস রয়েছে। তবে কোন প্রকার জাল হাদিস এই অধ্যায়ে নেই। যারা এই অধ্যায়ের কোন হাদিসকে জাল বলবে এতে তাদের অজ্ঞতাই প্রকাশ পাবে।

সাহাবীগণ আকাশের তারকা তুল্য

وَعَن عمر بن الْخطاب قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: سَأَلْتُ رَبِّي عَنِ اخْتِلَافِ أَصْحَابِي مِنْ بَعْدِي فَأَوْحَى إِلَيَّ: يَا مُحَمَّدُ إِنَّ أَصْحَابَكَ عِنْدِي بِمَنْزِلَةِ النُّجُومِ فِي السَّمَاءِ بَعْضُهَا أَقْوَى مِنْ بَعْضٍ وَلِكُلٍّ نُورٌ فَمَنْ أَخَذَ بِشَيْءٍ مِمَّا هُمْ عَلَيْهِ مِنِ اخْتِلَافِهِمْ فَهُوَ عِنْدِي عَلَى هُدًى قَالَ: وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَصْحَابِي كَالنُّجُومِ فَبِأَيِّهِمُ اقْتَدَيْتُمْ اهْتَدَيْتُمْ . رَوَاهُ رزين

-“হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন, আমি রাসূলে পাক (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: আমি আমার রব তা’আলাকে আমার পরে সাহাবীদের এখতেলাফ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। অত:পর আমার প্রতি ওহী হল যে, ওহে বন্ধু মুহাম্মাদ (ﷺ)! নিশ্চয় আপনার সাহাবীদের মর্যাদা আমার কাছে আকাশের তারার মত। একটি আরেকটির চেয়ে শক্তিশালী এবং প্রত্যেকটির মধ্যেই নূর বা আলো রয়েছে। যে তার থেকে কিছু গ্রহণ করবে যা তাদের কাছে মতানৈক্যপূর্ণ কিন্তু ইহা আমার কাছে হেদায়াতের পথ। আল্লাহর রাসূল (ﷺ) আরো বলেছেন: আমার সাহাবীগণ আকাশের তারকার মত, যে কোন একজনকে অনুসরণ করলে হেদায়েতের রাস্তা পেয়ে যাবে।” ১৭৮৭৮. মেসকাত শরীফ, ৫৫৪ পৃ: হাদিস নং ৬০১৮; ইমাম আইনী: উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী, ১০ খন্ড, ২০২ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: শরহে মুসনাদে আবী হানিফা, ১ম খন্ড, ৩২৮ পৃ:; ইমাম যুরকানী: শরহে যুরকানী আলাল মুয়াত্তা, ২য় খন্ড, ৩৩৬ পৃ:; মুবারকপুরী: তুহফাতুল আহওয়াজী, ১০ম খন্ড, ১৫৫ পৃ:; আল্লামা ছানআনী: আত তানভীর ফি শরহু জামেউছ ছাগীর, ২য় খন্ড, ৫৯৭ পৃ:; তাখরিজু আহাদিসুল কাশ্শাফ, ২য় খন্ড, ২৩০ পৃ:; আল্লামা ইবনে মুলাক্কিন: বদরুল মুনীর, ৯ম খন্ড, ৫৮৪ পৃ:; ইমাম আসকালানী: তালখিছুল হাবির, হাদিস নং ২৫৯৪; জামেউল ফাওয়াইদ, ৩য় খন্ড, ৩৮২ পৃ:; আল মুন্তাখাবু মিন ইলালিল খিলাল, ১ম খন্ড, ১৪৩ পৃ: হাদিস নং ৭০; মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১১ তম খন্ড, ১৬৩ পৃ:; তাফছিরে কবীর শরিফ, ২৫তম খন্ড,১৮৯ পৃ:; ২৭ তম খন্ড, ১৪৮ পৃ:; ১১তম খন্ড, ১৬৩ পৃ:; তাফছিরে ছা’লাবী, ৩য় খন্ড, ৩৩৪ পৃ:; তাফছিরে খাজেন, ৩য় খন্ড, ৩৯৩ পৃ:; তাফছিরে রুহুল মায়ানী, ১২তম খন্ড, ৫১৩ পৃ:; ২৫ তম খন্ড, ৪৪ পৃ:; আল্লামা আজলুনী: কাশফুল খফা, ১ম খন্ড, ১১৮ পৃ:, হাদিস নং-৩৮১; দায়লামী শরিফ, হজরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে; তাফছিরে রুহুল বয়ান, ৯ম খন্ড, ২৩৮ পৃ: ৫ম খন্ড, ৮১ পৃ:; গাউছে পাক: ছেররুল আছরার, ৫১ পৃ:; কাজী আয়্যাজ: শিফা শরীফ, ২য় জি: ৪১২ পৃ:;

উপরে উল্লেখিত হাদিসটিতে দুইটি রেওয়াতের সমন্বয় করা হয়েছে। প্রথম অংশটি হযরত উমর (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) থেকে বর্ণিত এবং দ্বিতীয়টি হযরত জাবের (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর রেওয়ায়েত। যেমন হযরত জাবের (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর রেওয়ায়েতটি ইমাম দারা কুতনী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) {ওফাত ৩৮৫ হিজরী} এবং হাফিজ ইবনে আব্দিল র্বাররর (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) {ওফাত ৪৬৩ হিজরী} তদীয় স্ব স্ব কিতাবে এভাবে উল্লেখ করেছেন,

حَدَّثَنا القاضي أحمد بن كامل بن خلف حَدَّثَنا عَبد الله بن روح حَدَّثَنا سلام بن الحَارِث حَدَّثَنا الحَارِث بن غُصَيْن عن الأَعْمَش عن أبي سُفْيان عن جَابِر قَالَ قَالَ رَسُول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم َ أَصْحَابِي كَالنُّجُومِ بِأَيِّهِمْ اقْتَدَيْتُمْ اهْتَدَيْتُمْ   

-“হযরত জাবের (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: আমার সাহাবীগণ আকাশের তারকার মত, তাঁদের যে কাউকে অনুসরণ করলে হেদায়াতের রাস্তা পেয়ে যাবে।”  ১৭৯৭৯.  ইমাম দারা কুতনী: আল মু’তালিফু ওয়াল মুখতালিফ, ৪র্থ খন্ড, ১০ ও ১৭৭৮ পৃ:; তাখরিজু আহাদিসুল কাশ্শাফ, ২য় খন্ড, ২৩০ পৃ:; ইমাম ইবনে আব্দিল র্বার জামেউল বায়ানুল ইলমি ওয়া ফাদ্বলিহী, হাদিস নং ১৭৬০;

এই হাদিসের রাবী عَبد الله بن روح ‘আব্দুল্লাহ ইবনে রুহ’ সম্পর্কে ইমাম দারা কুতনী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন: ليس بِهِ بأس তার ব্যাপারে অসুবিধা নেই।  ১৮০৮০.  ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ২৩৫;

আরেকজন রাবী الحَارِث بن غُصَيْن ‘হারেছ ইবনে গুছাইন’ সম্পর্কে ইবনে আব্দিল র্বাররর (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) مجهول অপরিচিত বললেও ইমাম ইবনে হিব্বান (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ثِقَة ছিক্বাহ বা বিশ্বস্ত বলেছেন। ১৮১ ৮১.  ইমাম আসকালানী: লিছানুল মিযান, রাবী নং ৬৮৭;

 ‘আমাশ’ أبي سُفْيان ‘আবী সুফিয়ান’ বুখারী-মুসলীমের রাবী। আরেকজন রাবী ‘সালাম ইবনে হারেছ’ সম্পর্কে ইমাম দারা কুতনী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) কোন প্রকার সমালোচনা করেননি।  ১৮২৮২.  ইমাম যাহাবী: মিযানুল এ’তেদাল, রাবী নং ৩৩৩৯;

এই হাদিসের আরেকজন রাবী ‘কাজী আহমদ ইবনে কামিল ইবনে খালাফ’ এর রেওয়ায়েতকে হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ও ইমাম হাকেম (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) صَحِيحُ ছহীহ্ বলেছেন।  ১৮৩৮৩. ইত্তেহাফুল মিহরাত, হাদিস নং ১৭৯২৬; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস নং ১৫৪৭, ১৮৫৮, ২৮৫৮;

ইমাম যাহাবী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ও ইমাম হাকেম (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তার রেওয়ায়েতকে صَحِيحُ ছহীহ্ বলেছেন।  ১৮৪৮৪. মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস নং ৩০৪৬, ৬১৭৩, ৭২০৩, ৭৬৪০, ৮০৪১;

উল্লেখিত পর্যালোচনার আলোকে বলা যায়, এই হাদিসখানার সর্বনিম্ন স্তর হবে হাছান অথবা ছহীহ্। কারণ এর কোন রাবী চরমভাবে সমালোচিত নয়। সর্বোপরি একাধিক রেওয়ায়েত দ্বারা এর সমর্থন পাওয়া যায়। যেমন এই হাদিসটি আরেকজন সাহাবী থেকে ভিন্ন আরেকটি সনদে বর্ণিত আছে। ইমাম ইবনে বাত্তা আল আকবারী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) {ওফাত ৩৮৭ হিজরী} তদীয় কিতাবে উল্লেখ করেন,

وَحَدَّثَنِي أَبُو يُوسُفَ يَعْقُوبُ بْنُ يُوسُفَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو يَحْيَى زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى السَّاجِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْحَاقَ الْأَنْوَارِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ عَنْ حَمْزَةَ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّمَا أَصْحَابِي كَالنُّجُومِ فَبِأَيِّهِمُ اقْتَدَيْتُمُ اهْتَدَيْتُمْ

-“হযরত ইবনে আব্বাস (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন, রাসূলে করিম (ﷺ) বলেছেন: আমার সাহাবীগণ আকাশের তারকার মত, তাঁদের যে কাউকে অনুসরণ করলে হেদায়াতের রাস্তা পেয়ে যাবে।”  ১৮৫৮৫. ইমাম ইবনে বাত্তা: ইবানাতুল কুবরা, ২য় খন্ড, ৫৬৪ পৃ: হাদিস নং ৭০২;

এই সনদটি দ্বায়িফ হলেও দুইটি সনদ একত্রিত হয়ে অবশ্যই ক্বাবী বা শক্তিশালী হবে। অপরদিকে হযরত উমর (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) থেকে বর্ণিত হাদিসটি সনদসহ ইমাম বায়হাক্বী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৪৫৮ হিজরী এবং আল্লামা জামালুদ্দিন আবু মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ ইবনে ইউছুফ ইবনে মুহাম্মদ যায়লায়ী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৭৬২ হিজরী তদীয় স্ব স্ব কিতাবে উল্লেখ করেন,

أخبرنَا أَبُو عبد الله الْحَافِظ حَدثنَا أَبُو الْعَبَّاس مُحَمَّد بن يَعْقُوب حَدثنَا بكر بن سهل حَدثنَا نعيم بن حَمَّاد حَدثنَا عبد الرَّحِيم ابْن زيد الْعمي عَن أَبِيه عَن سعيد بن الْمسيب عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ سَأَلْتُ رَبِّي عَنِ اخْتِلَافِ أَصْحَابِي مِنْ بَعْدِي، فَأَوْحَى إِلَيَّ: يَا مُحَمَّدُ! إِنَّ أَصْحَابَكَ عِنْدِي بِمَنْزِلَةِ النُّجُومِ فِي السَّمَاءِ، بَعْضُهَا أَقْوَى مِنْ بَعْضٍ، وَلِكُلٍّ نُورٌ، فَمَنْ أَخَذَ بِشَيْءٍ مِمَّا هُمْ عَلَيْهِ مِنِ اخْتِلَافِهِمْ فَهُوَ عِنْدِي عَلَى هُدًى

-“হযরত উমন ইবনুল খাত্তাব (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন, আমি রাসূলে পাক (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: আমি আমার রব তা’আলাকে আমার পরে সাহাবীদের এখতেলাফ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। অত:পর আমার প্রতি ওহী হল যে, ওহে বন্ধু মুহাম্মাদ (ﷺ)! নিশ্চয় আপনার সাহাবীদের মর্যাদা আমার কাছে আকাশের তারার মত। একটি আরেকটির চেয়ে শক্তিশালী এবং প্রত্যেকটির মধ্যেই নূর বা আলো রয়েছে। যে তার থেকে কিছু গ্রহণ করবে যা তাদের কাছে মতানৈক্যপূর্ণ কিন্তু ইহা আমার কাছে হেদায়াতের পথ।”  ১৮৬৮৬. ইমাম বায়হাক্বী: মাদখাল, হাদিস নং ১৫১; তাখরিজু আহাদিসুল কাশ্শাফ, ২য় খন্ড, ২৩১ পৃ:;

এই সনদেও বর্ণনাকারী ‘বকর ইবনে সাহল’ بكر بن سهل সম্পর্কে ইমাম যাহাবী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ও হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: 

حمل الناس عنه، وهو مقارب الحال. -“লোকেরা তার থেকে হাদিস গ্রহণ করেছে আর সে হাদিস বর্ণনায় গ্রহণযোগ্য।”  ১৮৭৮৭.  ইমাম যাহাবী: মিযানুল এ’তেদাল, রাবী নং ১২৮৪; লিছানুল মিযান;

বর্ণনাকারী أَبُو الْعَبَّاس مُحَمَّد بن يَعْقُوب ‘আবুল আব্বাস মুহাম্মদ ইবনে ইয়াকুব’ সম্পর্কে ইমাম শামছুদ্দিন যাহাবী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন: حُجّةً مشهورًا. -“হুজ্জত ও সুপরিচিত রাবী।”  ১৮৮৮৮. ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ৫৯৫;

‘আবু আব্দুল্লাহ হাফিজ’ أَبُو عبد الله الْحَافِظ একজন সুপ্রসিদ্ধ বিশ্বস্ত হাফিজ যিনি ইমাম বায়হাক্বীর উস্তাদ। ‘নাঈম ইবনে হাম্মাদ’ نعيم بن حَمَّاد একজন বিশ্বস্ত ইমাম ও সু-প্রসিদ্ধ মুছান্নিফ এবং ইমাম বুখারী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর শায়েখ। বর্ণনাকারী ‘আব্দুর রাহীম’ এর পিতা زَيْدُ بْنُ الْحَوَارِيِّ الْعَمِّيُّ ‘জায়েদ ইবনে হাওয়ারী আম্মীউ’ সম্পর্কে ইমামদের কেউ কেউ দ্বায়িফ বললেও ইমাম দারা কুতনী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম আবু বকর বাজ্জার, (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ও ইমাম হাছান ইবনে সুফিয়ান (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাকে বিশ্বস্ত ও গ্রহণযোগ্য বলেছেন।  ১৮৯৮৯.  ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ৪৭৬;

ইমাম আবু হাফ্ছ ইবনে শাহিন (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাকে বিশ্বস্তদের অন্তভর্‚ক্ত করেছেন। ইমাম আবু ইসহাক্ব যুযাজানী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাকে গ্রহণযোগ্য বলেছেন।  ১৯০৯০.  ইমাম মুগলতাঈ: ইকমালু তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ১৭৬৯;

ইমাম ইবনে মাঈন (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাকে গ্রহণযোগ্য বলেছেন। ১৯১৯১. ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ২১০২;

 ইমাম আবু দাউদ (رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম ইবনে হিব্বান ও ইমাম আহমদ (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন।  ১৯২৯২.  ইমাম আসকালানী: লিছানুল মিযান , রাবী নং ৫৮৪৫;

বর্ণনাকারী عَبْدُ الرَّحِيْمِ بنُ زَيْدِ ‘আব্দুর রাহীম ইবনে জায়েদ’ ইমামদের কাছে দ্বায়িফ বিধায় এই হাদিসটি সর্বনিম্ন স্তর হবে দ্বায়িফ। তবে একাধিক রেওয়ায়েত কর্তৃক সমর্থিত বিধায় হাদিসটি হাছান পর্যায়ে পৌছবে।

এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত ইমাম আবু আব্দিল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে সালামা কাদ্বাঈ মিছরী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) {ওফাত ৪৫৪ হিজরী} উল্লেখ করেন,

أَخْبَرَنَا أَبُو الْفَتْحِ مَنْصُورُ بْنُ عَلِيٍّ الْأَنْمَاطِيُّ، ثنا أَبُو مُحَمَّدٍ الْحَسَنُ بْنُ رَشِيقٍ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، ثنا جَعْفَرٌ يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْوَاحِدِ، قَالَ: قَالَ لَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَثَلُ أَصْحَابِي مَثَلُ النُّجُومِ، مِنَ اقْتَدَى بِشَيْءٍ مِنْهَا اهْتَدَى

-“হযরত আবু হুরায়রা (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) নবী করিম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন: আমার সাহাবীগণ আকাশের তারকার মত, যে কোন বিষয়ে তাদের অনুসরণ করবে হেদায়েতের রাস্তা পেয়ে যাবে।”  ১৯৩৯৩. মুসনাদে শিহাব, ২য় খন্ড, ২৭৫ পৃ:; তাখরিজু আহাদিসুল কাশ্শাফ, ২য় খন্ড, ২৩১ পৃ:;

এই হাদিসের রাবী جَعْفَرٌ بْن عَبْد الْوَاحِد ‘জাফর ইবনে আব্দুল ওয়াহেদ’ সম্পর্কে কেউ কেউ সমালোচনা করলেও ইমাম মুগলতাঈ (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন: وكان ثقة -“সে বিশ্বস্ত।”  ১৯৪৯৪.  ইমাম মুগলতাঈ: ইকমালু তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ৯৯৬;

الْحَسَنُ بْنُ رَشِيقٍ ‘হাছান ইবনে রাশিক’ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: وثقه جماعة. -“একদল ইমাম তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন।”  ১৯৫৯৫.  ইমাম যাহাবী: মিযানুল এতেদাল, রাবী নং ১৮৪৭;

‘মুহাম্মদ ইবনে জাফর ইবনে মুহাম্মদ’ সর্বসম্মতিক্রমে বিশ্বস্ত রাবী। এছাড়া বাকী সকল রাবীগণ বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য। অতএব, এই হাদিসের সর্বনিম্ন স্তর হবে হাছান। এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েতে আছে,

وَأما حَدِيث ابْن عمر فَرَوَاهُ عبد بن حميد فِي مُسْنده وَالدَّارَقُطْنِيّ فِي كِتَابه فَضَائِل الصَّحَابَة كِلَاهُمَا من حَدِيث حَمْزَة الْجَزرِي وَقَالَ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ: أَخْبَرَنِي أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حدثنا أَبُو شِهَابٍ، عَنِ حَمْزَةَ الْجَزَرِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابن عمر رَضِيَ الله عَنْهما قَالَ: قَالَ رَسُول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم َ إِنَّمَا أَصْحَابِي مثل النُّجُوم فَأَيهمْ أَخَذْتُم بقوله اهْتَدَيْتُمْ

-“হযরত ইবনে উমর (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: নিশ্চয় আমার সাহাবীদের উদাহরণ হল আকাশের তারকার মত, যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে তাঁদের কথাকে গ্রহণ করবে তাহলে হেদায়েত পেয়ে যাবে।”  ১৯৬৯৬.  ইমাম আব্দ ইবনে হুমাইদ: মুসনাদ গ্রন্থে, হাদিস নং ৭৮১; ইমাম দারে কুতনী তার ‘ফাদ্বাইলে সাহাবা’ গ্রন্থে, তাখরিজু আহাদিসুল কাশ্শাফ, ২য় খন্ড, ২৩১ পৃ:; মাতালিবুল আলিয়া, হাদিস নং ৪১৫৯;

এই হাদিস সম্পর্কে ইবনে কুদামা মাকদেসী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন, 

لا يصح هذا الحديث -“এই হাদিস ছহীহ্ নয়।”  ১৯৭৯৭.  আল মুন্তাখাবু মিন ইলালিল খিলাল, ১ম খন্ড, ১৪৩ পৃ: হাদিস নং ৬৯;

হাফিজুল হাদিস, ইমাম ইবনু আব্দিল র্বাররর (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন,

قَالَ أَبُو عُمَرَ: هَذَا إِسْنَادٌ لَا تَقُومُ بِهِ حُجَّةٌ؛ لِأَنَّ الْحَارِثَ بْنَ غُصَيْنٍ مَجْهُولٌ

-“আবু উমার বলেন: এই সনদ দ্বারা হুজ্জত ছাবিত করা যাবেনা। কেননা হারেছ ইবনে গুচাইন অপরিচিত রাবী।”  ১৯৮৯৮. জামেউল বায়ানিল ইলমি ওয়া ফাদ্বলিহ, ২য় খন্ড, ৯২৫ পৃ:;

‘হারেছ ইবনে গুছাইন’ الْحَارِثَ بْنَ غُصَيْنٍ হাফিজ ইবনে আব্দিল র্বাররর (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর কাছে মাজহুল বা অপরিচিত হলেও ইমাম ইবনে হিব্বান (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাকে ছিক্বাহ বা বিশ্বস্ত বলেছেন। এই হাদিস সম্পর্কে আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) উল্লেখ করেন:

وَقَدْ ذَكَرَهُ ابْنُ حَجَرٍ الْعَسْقَلَانِيُّ فِي تَخْرِيجِ أَحَادِيثِ الرَّافِعِيِّ فِي بَابِ أَدَبِ الْقَضَاءِ، وَأَطَالَ الْكَلَامَ عَلَيْهِ، وَذَكَرَ أَنَّهُ ضَعِيفٌ وَاهٍ، بَلْ ذَكَرَ عَنِ ابْنِ حَزْمٍ أَنَّهُ مَوْضُوعٌ بَاطِلٌ، لَكِنْ ذُكِرَ عَنِ الْبَيْهَقِيِّ أَنَّهُ قَالَ: إِنَّ حَدِيثَ مُسْلِمٍ يُؤَدِّي بَعْضُ مَعْنَاهُ يَعْنِي قَوْلَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النُّجُومُ أَمَنَةٌ لِلسَّمَاءِ الْحَدِيثَ. قَالَ ابْنُ حَجَرٍ: صَدَقَ الْبَيْهَقِيُّ هُوَ يُؤَدِّي صِحَّةَ التَّشْبِيهِ لِلصَّحَابَةِ بِالنُّجُومِ   

-“হাফিজ ইবনে হাজার আস্কালানী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাঁর ‘তাখরিজু আহাদিসুর রাফেয়ী’ গ্রন্থের ‘আদাবুল ক্বাদ্বা অধ্যায়ে ইহা উল্লেখ করেছেন এবং এর উপর অনেক লম্বা আলোচনা করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, এই হাদিস দুর্বল। বরং ইবনু হাজেম থেকে উল্লেখ করেছেন, ইহা মওজু ভিত্তিহীন। কিন্তু তিনি ইমাম বায়হাক্বী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) থেকে উল্লেখ করেন যে, ইমাম বায়হাক্বী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন: নিশ্চয় মুসলীমের হাদিস ইহার অর্থকে সমর্থন করে, অর্থাৎ রাসূল (ﷺ) এর বাণী: তারকা সমূহ আকাশের আমানত। ইবনে হাজার আস্কালানী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: ইমাম বায়হাক্বী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) সত্য বলেছে যে, সাহাবীরা আকাশের তারকার মত ইহার সত্যতা এই হাদিস আদায় করে।”  ১৯৯৯৯.  ইমাম মোল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১১তম খন্ড, ১৬৩ পৃ:;

হাফিজুল হাদিস ইমাম ইবনে হাজার আস্কালানী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন,

وَفِي حَدِيثٍ مُنْقَطِعٍ يَعْنِي حَدِيثَ الضَّحَّاكِ ابْنِ مُزَاحِمٍ مَثَلُ أَصْحَابِي كَمَثَلِ النُّجُومِ فِي السَّمَاءِ، مَنْ أَخَذَ بِنَجْمٍ مِنْهَا اهْتَدَى. قَالَ: وَاَلَّذِي رَوَيْنَاهُ هَا هُنَا مِنْ الْحَدِيثِ الصَّحِيحِ يُؤَدِّي بَعْضَ مَعْنَاهُ. قُلْت: صَدَقَ الْبَيْهَقِيُّ،

-“দ্বাহ্হাক ইবনে মুযাইম (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর রেওয়ায়েতটি মুনকাতে, “আমার সাহাবীগণ আকাশের তারকার মত, যে কোন একটি তারকাকে গ্রহণ করে সে হেদায়েত পেয়ে যাবে। তিনি বলেন, আমি বলছি: এ বিষয়ে যে সমস্থ রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে ইমাম বায়হাক্বী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) সত্য বলেছে যে, সাহাবীরা আকাশের তারকার মত ইহার সত্যতা এই হাদিস আদায় করে।”  ২০০২০০.  ইমাম আসকালানী: তালখিছুল হাবির, হাদিস নং ২৫৯৪;

এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম ইবনু মুলাক্কিন (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন,

حَدِيث أَصْحَابِي كَالنُّجُومِ بِأَيِّهِمْ اقْتَدَيْتُمْ اهْتَدَيْتُمْ رَوَاهُ عبد بن حميد من رِوَايَة ابْن عمر وَغَيره من رِوَايَة عمر وَأبي هُرَيْرَة وأسانيدها كلهَا ضَعِيفَة قَالَ الْبَزَّار لَا يَصح هَذَا الْكَلَام عَن رَسُول الله صَلَّى الله تَعَالَى عَلَيْهِ وَسلم وَقَالَ ابْن حزم خبر مَكْذُوب مَوْضُوع

-“হাদিস- আমার সাহাবীগণ আকাশের তারকার মত, তাঁদের যে কাউকে অনুসরণ করলে হেদায়াতের রাস্তা পেয়ে যাবে। ইমাম আব্দ ইবনু হুমাইদ (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ইহা ইবনে উমর (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) থেকে বর্ণনা করেছেন এবং অন্যান্য ইমামগণ হযরত উমর (رَحْمَةُ الله عليه‎‎), হযরত আবু হুরায়রা (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) থেকে বর্ণনা করেছেন। ইহার প্রতিটি সনদ দুর্বল। ইমাম বাজ্জার (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন: আল্লাহর রাসূল (ﷺ) থেকে ছহীহ্ সূত্রে ইহা বর্ণিত নয়। ইবনু হাজম বলেছেন:২০১১. ইবনু হাজম (র:) অনেক ক্ষেত্রেই অন্যান্য ইমামদের মতের সাথে অযোক্তিক দ্বিমত করেছেন।

  ইহা মিথ্যা ভিত্তিহীন খবর।” ২০২২. ইমাম ইবনু মুলাক্কিন: খুলাছাতুল বাদরুল মুনীর, হাদিস নং ২৮৬৮;

ইমাম শারফুদ্দিন হুসাইন ইবনু আব্দিল্লাহ ত্বীবি (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৭৪৩ হিজরী তদীয় কিতাবে উল্লেখ করেছেন,

قوله عليه الصلاة والسلام: أصحابي كالنجوم الحديث حسنه الإمام الصنعاني.

-“আল্লাহর রাসূল (ﷺ)’র বাণী- আমার সাহাবীগণ আকাশের তারকার মত’ এই হাদিসকে ইমাম ছানআনী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) হাছান বলেছেন।”  ২০৩৩. ইমাম ত্বীবি: শারহু মিসকাত, ২য় খন্ড, ৬৭৪ পৃ: ২১৩ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়;

এ প্রসঙ্গে হাফিজ ইবনে তাইমিয়া বলেছেন,

فَهَذَا الْحَدِيثُ ضَعِيفٌ ضَعَّفَهُ أَهْلُ الْحَدِيثِ؛ قَالَ الْبَزَّارُ: هَذَا حَدِيثٌ لَا يَصِحُّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

-“এই হাদিস দ্বায়িফ, মুহাদ্দিছিনে কেরাম একে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বাজ্জার (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: রাসূল (ﷺ) থেকে এই হাদিস ছহীহ্ রূপে নেই।  ২০৪  ৪. মিনহাজু সুন্নাতুন নববিয়া, ৮ম খন্ড, ৩৬৪ পৃ:;

লা-মাজহাবী নাছিরুদ্দিন আলবানী উল্লেখ করেছেন,

وأما قول الشعراني في “الميزان” (১ / ২৮): وهذا الحديث وإن كان فيه مقال عند المحدثين، فهو صحيح عند أهل الكشف،

-“আর ইমাম শারানী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর ‘মিযান’ গ্রন্থে বক্তব্য হল, এই হাদিস সম্পর্কে যদিও মুহাদ্দিছিনে কেরামের অনেক সমালোচনা রয়েছে কিন্তু আহলে কাশ্ফ এর কাছে এই হাদিস ছহীহ্।”  ২০৫৫. সিলসিলায়ে জয়ীফা, ১ম খন্ড, ১৪৫ পৃ:;

সুতরাং হাদিসটি ছহীহ্ হাদিসের সাথে মিল থাকায় ক্বাবী বা শক্তিশালী হয়ে গেছে। “ইমামগণ হাদিসটিকে কেউ জাল বলেননি বরং দ্বায়িফ বলেছেন” কুখ্যাত নাছিরুদ্দিন আলবানী প্রথমে এই কথা স্বীকার করে পরে আবার হাদিসটিকে জাল বলার বেহুদা চেষ্টা করেছেন। আর এই আলবানীর আরেকজন চেলা জনাব আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেব লিখেছেন, “সিহাহ সিত্তা তো দূরের কথা অন্য কোন প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থে এ হাদিসটি নেই।”  ২০৬৬.  হাদিসের নামে জালিয়াতী, ৪১২ পৃ:;

অথচ ইমাম দারা কুতনী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎), হাফিজুল হাদিস ইমাম ইবনু আব্দিল র্বাররর (رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম ইবনে বাত্তা আল আকবারী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম বায়হাক্বী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে সালামা কাদ্বাঈ মিছরী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম আব্দ ইবনে হুমাইদ (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) প্রমূখ হাদিসটি তিনাদের স্ব স্ব কিতাবে বর্ণনা করেছেন। হযরত ইবনে আব্বাস (رَحْمَةُ الله عليه‎‎), হযরত জাবের (رَحْمَةُ الله عليه‎‎), হযরত আবু হুরায়রা (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ও হযরত ইবনে উমর (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) থেকে হাদিসটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত রয়েছে। ইমাম বায়হাক্বী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) প্রমূখ হাদিসটিকে গ্রহণ করেছেন। এরপরেও এসব মিথ্যাবাদীরা মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment