সম্প্রতি সুন্নী ঘরানা হতে উৎপন্ন জনৈক সুবক্তা আলেম বলেছেন যে কোনো সাহাবী (রা.)-এর ব্যাপারে কী ধারণা রাখা হয়েছিলো তা কবরে ফেরেশতাদের প্রশ্নোত্তরের সময় জিজ্ঞেস করা হবে না। তিনি আলোচ্য হাদীসটির কিয়দংশ উদ্ধৃত করেছেন মাত্র, কিন্তু আসল অংশ করেননি। সেটা আরো বিবৃত করে – “তোমার নবী কে?” এরই সাথে সংশ্লিষ্ট আরেকটি রওয়ায়াতে এসেছে – مَا كُنْتَ تَقُولُ فِي هَذَا الرَّجُلِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم؟ – অর্থ: “এই যে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সম্পর্কে তুমি কী বলতে” [বুখারী, ১৩৩৮]? ওই সময় প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কবরে হাজির থাকবেন। যে ব্যক্তি তাঁর সাহাবী (রা.)-এর প্রতি অপবাদ দিতো, গালমন্দ করতো, তার প্রতি যে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসন্তষ্ট থাকবেন, তা তো বিভিন্ন হাদীসে তিনি ব্যক্ত করেই দিয়েছেন। ফলে কবরের সওয়াল-জওয়াব যে গালমন্দকারী ব্যক্তির পক্ষে যাবে না, তা তো সহজেই অনুমেয়। প্রশ্নোত্তর চলাকালীন নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সন্তুষ্ট ও সুন্দর অবয়বে দেখতে পারার ওপরই পরীক্ষাদাতার সাফল্য নির্ভর করবে। যাদের মনে বক্রতা বিরাজমান, কোনো রকম আকীদাগত ত্রুটি বিদ্যমান, তারা তাঁকে সেই সুন্দর ও সন্তুষ্ট সুরতে দেখতে সক্ষম হবে না।
সাহাবা (রা.)-বৃন্দের প্রতি মন্দ ধারণা রাখার বিষয়টি কবরের প্রশ্নোত্তরে প্রভাব ফেলবে কি-না
পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।