সাঈদী সাবের ভ্রান্ত আক্বিদা

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

সাঈদী সাবের ভ্রান্ত আক্বিদা

-আশরাফুল হাসান কাদেরি।

____________________________

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর শাফায়াত অমান্যকারী সাঈদী সাবকে লোকে কুরআনের পাখি কেন বলে তার সঠিক জ্ঞান আমার নেই। কুরআনের আবার পাখি কিরে ভাই?

সাগরের ঠ্যালা গাড়ি যেমন অবাস্তব কুরআনের পাখিও তেমন অবাস্তব। তাও ধরে নিলাম তাফসির মাহফিল করত টাকার কামানোর জন্য তাই হয়তো আবেগে কুরআনের পাখি নাম দিয়েছে। কিন্তু সামান্য নাসেখ মানসুখের জ্ঞান যার নেই সে কুরআনের তাফসীর কীভাবে করে এই জ্ঞানও আমার নেই।

সাঈদী সাব আউলিয়াদের বিরুদ্ধে আজীবন বিষোদগার করে গেছেন এক পর্যায়ে শাহ জালাল ق এর বিরোধীতা করতে গিয়ে কুরআনের শরীফের একটা মানসুখ তথা রহিত হয়ে যাওয়া আয়াত পেশ করে শানে মুস্তাফায় আঘাত করলেন। আয়াতটি সূরা আহক্বাফের একটি আয়াতের অর্ধাংশ। আয়াতটি

مَاۤ اَدۡرِیۡ مَا یُفۡعَلُ بِیۡ وَ لَا بِکُمۡ-

❝আর আমি জানি না আমার ও তোমাদের ব্যাপারে কি ফয়সালা হবে।❞

এই আয়াত দ্বারা সাঈদী সাব প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন। আল্লাহ রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কি অবস্থা করবে রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজে জানেন না সেখানে শাহ জালাল ق কীভাবে মুরিদ ও ভক্তদের জন্য সুপারিশ করবে! নাউজুবিল্লাহ!

দুনিয়ার সকল মুফাসসির তথা তাসফীরবিদগণ এক মত এই আয়াতটি রহিত হয়ে গেছে। কিন্তু মও-দুদীবাদে আসক্ত এই সাঈদী ফট করে কোথা থেকে এসে এই ভ্রান্ত তাফসীরপ্রচার করে গেলেন? এই কুরআনের পাখির নমুনা? আল্লাহর রাসূলের শানে এহেন মন্তব্য? কোন বিধর্মীও সাহস করেনা এমন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে।

এই আয়াতটি রহিত হয়ে যায় সূরা ফাতাহ’র আয়াতদ্বয় দ্বারা যা বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ তাফসীরে বাগাভী (তাফসীরে মা’লিমুত তানজিল নামেও প্রসিদ্ধ) তে উল্লেখ আছে।

فَأَنْزَلَ اللَّهُ إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا- لِيَغْفِرَ لَكَ اللَّهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ [الْفَتْح: ١-٢] ، فَقَالَتِ الصَّحَابَةُ: هَنِيئًا لَكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَدْ عَلِمْنَا مَا يُفْعَلُ بِكَ، فَمَاذَا يُفْعَلُ بِنَا؟ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: ليُدْخِلَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ جَنَّاتٍ [الفتح: ٥]

অর্থাৎ আল্লাহ তায়া’লা যখন ইরশাদ করলেন — ❝হে রাসূল! নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সুনিশ্চিত বিজয় দিয়েছি। যাতে আল্লাহ আপনার কারণে পাপ ক্ষমা করে দেন আপনার পূর্ববর্তীদের ও আপনার পরবর্তীদের এবং আপনার উপর অনুগ্রহ ও দয়া পরিপূর্ণ করে দেন। যাতে ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।❞

(সূরা ফাতাহ ১,২,৫)

এউ আয়াত নাযিলের পর সাহাবীরা বলে উঠলেন — ❝আল্লাহ আপনার সাথে কেমন আচরণ করবেন আমরা জেনে গেছি। এবং আমাদের সাথে কেমন আচরণ করবেন তাও জেনে গেছি।❞

আলহামদুলিল্লাহ!

তাছাড়া রাসূলুল্লাহ ﷺ যদি নিজের পরিবার বা নিজের খবর না জানতেন তাহলে ১০ জন সাহবীর জান্নাতের সুসংবাদ কীভাবে দিলেন? হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি আল্লাহর অলিরা কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহর সাথে একপ্রকার ঝগড়া লাগিয়ে দিবেন নিজেদের অনুসারীদের জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আর এই সাঈদী সাব বলে কি?

আবেগী মুসলমানদের বলব আলেম ছিলেন বলে কান্না কাটি করছেন কিন্তু কার জন্য করছেন ভেবে দেখবেন। সাথে এটাও ভাববেন অন্তরে সাহাবীদের আক্বিদা রাখবেন না একজন গোস্তাখে রাসূল সাঈদীর আক্বিদা অন্তরে রাখবেন।

আল্লাহ সকলকেই কৃতকর্মের ফল ভোগ করার সুযোগ দিক।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment