সা’ঈ

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

সা’ঈ অর্থ দৌড়ানো, হজ্জ ও ওমরার করণীয় কাজ হিসেবে সাফা ও মারওয়ার মাঝখানে শরীয়ত নির্দেশিত নিয়মে সাতবার চক্কর (বা আসা-যাওয়া) এর নামই সা’ঈ। সাফা-মারওয়া হচ্ছে দুটি পাহাড় এ দু’টি মসজিদুল হারামের সাথে লাগানো।
‘ইফরাদ’ হজ্জ পালনকারীর জন্য তাওয়াফে যিয়ারতের পরে সা’ঈ করা উত্তম এবং ক্বিরান পালনকারীর জন্য তাওয়াফে ক্বুদুমের সাথে সা’ঈ আদায় করে নেয়া উত্তম। তাওয়াফে ক্বুদুমের পরে সা’ঈ সম্পন্ন করা হলে তাওয়াফে যিয়ারতের পর সা’ঈ করার প্রয়োজন হয় না।
সাঈ সম্পর্কে জরুরী মাসাইল
সা’ঈ এর শর্তাবলী:-
১. সা’ঈ করার পূর্বে হজ্জ অথবা ওমরার ইহরাম পরা।
২. সা’ঈ নিজে করা। সা’ঈতে প্রতিনিধিত্ব জায়েজ নেই।
৩. সা’ঈ তাওয়াফের পরে হওয়া। অর্থাৎ তাওয়াফের পরে সা’ঈ করবে, আগে নয়; তাওয়াফ ওয়াজিব হোক কিংবা নফলী হোক।
৪. সা’ঈ যথাসময়ে করা। তবে এ শর্ত কেবল হজ্জের সা’ঈর জন্য, ওমরার সা’ঈর জন্য নয়। অবশ্যই ক্বিরান বা তামাত্তু পালনকারীর জন্য তাদের ওমরার সা’ঈ সঠিক সময়ে অবশ্যই আদায় করবে।
৫. সা’ঈ সাফা থেকে শুরু করে মারওয়াতে শেষ করা। মারওয়া থেকে সাফার দিকে করলে সা’ঈ হবে না।
সা’ঈর ওয়াজিবসমূহ:-
১. এমন তাওয়াফের পর সা’ঈ করা যা হায়য-নিফাস ও জানাবত ইত্যাদি থেকে পবিত্র অবস্থায় সম্পন্ন করা হয়েছে।
২. পদব্রজে সা’ঈ করা। বিনা কারণে কোন বাহন দ্বারা সা’ঈ করলে দম দিতে হবে।
৩. সাত চক্কর পূর্ণ করা।
৪. সাফা-মারওয়ার মধ্যখানে পূর্ণ দূরত্ব অতিক্রম করা। অর্থাৎ সাফার সাথে পায়ের মুড়ি স্পর্শ করা অথবা সাফার উপর আরোহণ করতে থাকা এবং মারওয়ার সাথে পায়ের আঙ্গুলসমূহ স্পর্শ করা।
৫. ওমরার সা’ঈতে শেষ পর্যন্ত ইহরাম বিদ্যমান রাখা।
সা’ঈর সুন্নাতসমূহ:-
১. হাজরে আসওয়াদে চুম্বন কিংবা ইস্তিলাম করে সা’ঈর জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়া।
২. তাওয়াফের পর পরই সা’ঈ করা।
৩. সাফা-মারওয়ায় আরোহন করে ক্বেবলামুখী হওয়া।
৪. সা’ঈর চক্করগুলো বিরতি ছাড়াই সম্পন্ন করা।
৫. জানাবত ও হায়য থেকে পবিত্র হওয়া।
৬. পবিত্র অবস্থায় কৃত তাওয়াফের পরে সা’ঈ করা।
৭. সবুজ স্তম্ভ দুটির (মাইলাঈনে আখদ্বারাঈন) মাঝখানে দ্রুত অতিক্রম করা।
৮. সতর ঢেকে রাখার প্রতি অধিক যত্নবান হওয়া।
সা’ঈর মুস্তাহাব সমূহ:-
১. সা’ঈর নিয়্যত করা।
২. সাফা-মারওয়াতে যথেষ্ট সময় পর্যন্ত অবস্থান করা।
৩. বিনম্র চিত্তে যিকর ও দো’আগুলো  পাঠ করা।
৪. সা’ঈ শেষে মসজিদুল হারামে এসে দুরাকাত নফল নামায সম্পন্ন করা।
৫. বিনা কারণে কোন চক্কর বেশিক্ষন বিলম্বিত হলে পুনরায় প্রথম থেকে সা’ঈ করা, অবশ্যই বেশির ভাগ চক্কর আদায় করার পর এমনটি ঘটলে নতুন করে আরম্ভ করার প্রয়োজন নেই।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment